এরপর আশুরা অন্য শহরে চলে এল, যেটা কিনা কলকাতার বেশ কাছাকাছি। এই সময় হটাৎই তাঁর বাবা মেয়ে ও ছেলের ভবিষ্যত নিয়ে বিশেষ ভাবে চিন্তিত হয়ে পড়েন। ঠিক করেন দুজনকেই হোস্টেলে রেখে পড়াশুনা করাবেন সেই মতো দুজনেই চলে গেল দুটি হোস্টেলে। সেখানে আশু শুরুটা খারাপ করলেও,ধীরে ধীরে পড়াশুনায় মনোযোগী ... ...
মায়ের সাথে আশুর একটা অম্ল মধুর সম্পর্ক ছিল। কিন্ত দিদির সাথে সরাসরি শত্রুতা, যদিও সেটা খেলার ছলে। দিদির রসবোধ নিয়ে আশুর যথেষ্ট সন্দেহ ছিল। এর মধ্যেই সে সবার অলক্ষ্যে বড় হয়ে উঠছিল। তার আদর্শ ছিল তার বাবা। সাধারণ ভাবে মায়েরা শিশুদের বেশী প্রভাবিত করে থাকেন, কিন্ত আশুর বেলায় পুরো বিপরীত। অবশ্য তার বাবা সম্পর্কে আমি তার মুখে যা শুনেছি তা অবাক করার মতো। আসলে আমার এই লেখার উদ্দেশ্য আশুর জীবনী লেখা নয় ... ...
হঠাৎ করে আশু কে নিয়ে পড়লাম কেন? "বিন্দুতে সিন্ধু দর্শন" বলে একটি প্রবাদ আছে। এই ব্যক্তি আশুর জীবনের ওঠা পড়া আসলে আমার আপনার সবার জীবনের কাহিনী। হয়তো স্থান কাল পাত্র বা প্রকাশ ভঙ্গিমায় কিছু আলাদা। যাই হোক আবার ফিরে যাওয়া যাক ওঁর কথায়। ওরা চলে এলো বাঁকুড়ায়। সেখানে আবার এক নতুন স্কুল ...."কংসাবতী প্রজেক্ট হাই স্কুল"। ওর কাছে শোনা এরকম নামের কোনও স্কুল আছে ... ...
আশুতোষ একটি খুবই সাধারণ ছেলে। কিন্ত তার স্মরন শক্তি বেশ প্রখর, যা ১৯৭৮ সালের বন্যার কিছু আগে থেকেই শুরু। স্মরন শক্তি এমন একটি বিষয় যা মানুষকে সব সময়ই যে সুখের অনুভূতি দেবে এমন নাও হতে পারে। যদিও সেই সময় আশুর (এই নামেই আমরা তাকে ডাকি) মাত্র ৩ বছর বয়স ছিল। একমাত্র আমি ছাড়া আর কেউই তার ওই স্মৃতির প্রতি বিশ্বাস ... ...