পরঞ্জয় গুহঠাকুরতার বক্তব্যে প্রাধান্য পায় দাঙ্গা এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকার কথা। এই দেশের রাজনৈতিক সামাজিক প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমের সচেতন ব্যবহার যে কতটা জরুরি এবং সেই সচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে সৎ স্বাধীন সাংবাদিকতাকে কতটা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় সে প্রসঙ্গও উঠে আসে। ... ...
'যদি'গুলোকে সব নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে ভাসিয়ে দেবার সময় এসেছে। কারণ এইগুলিই এদেশের ধর্ষণ সংস্কৃতির শক্ত খুঁটি। গলা তুলে বলতে হবে কোনও যদি নয় আর, সে মধ্যরাত হোক কী ভোরের আবছা, প্রয়োজনে নারী যখন খুশি তখন বাইরে যেতে পারবে। বা ঘরে ফিরতে পারবে। ওড়না নিক না নিক, নারীর পোশাকের কারণে তাকে ধর্ষিতা হতে হয় বলে যারা মনে করে, তারা একান্তই মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। ... ...
ঝড়ের থেকে জলকে ভয় বেশী। আয়লার সময় সব ভেসে গিয়েছিল। এবার নদীর মাটির বাঁধ কোথাও কোথাও ভেঙ্গেছে, কিন্তু জল ঢোকেনি গ্রামে। অঞ্চলে বারো আনা বাড়ি মাটির। ঝড়ে চাল উড়ে গেছে - কিন্তু সারাতে বেশী অসুবিধা হয় নি। খড় বাড়িতে থাকেই। খরচা বলতে দুদিনের মজুরি ৬০০। ঝড়ের দুদিনের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে এসেছে। টিউব ওয়েল আছে, যদিও দূরে দূরে। তবু পানীয় জলের অসুবিধা নেই। ... ...
এর মধ্যে যেটা জানা, তা হল চাকরি বাকরি হারানোর মধ্যেই লাফিয়ে বাড়ছে করোনার কেসের সংখ্যা। সিএনএনএর সঞ্জয় গুপ্তার মতে, এখন যে তথ্য জানা যাচ্ছে, সেটা আসলে দুসপ্তাহ আগের। এবং কার্যত সংখ্যাটা প্রতিদিনই দ্বিগুণ হচ্ছে। ফলে সংখ্যাটা এখন কোথায়, এবং কোথায় গিয়ে ঠেকবে, বলা কঠিন। অবশ্য, এসবই খুব বেশি হলে আন্দাজ। আসল সংখ্যা কী, তার মাপ কী, কী অভিঘাত, কেউই জানেন বলে মনে হচ্ছেনা। প্রভূত রোগির আশঙ্কায় নিউ-ইয়র্কের গভর্নর জানিয়েছেন, পরীক্ষামূলকভাবে একটি ভেন্টিলেটার দিয়ে দুজন রোগির চিকিৎসা করে দেখা হবে। ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে নতুন এবং জটিল। চিকিৎসা নিয়ে অন্যান্য জটিলতাও আছে। যথেষ্টই আছে। আমেরিকায় চিকিৎসা ব্যবস্থা সরকারি নয়, পুরোটাই বীমানির্ভর। বীমাকোম্পানিরা জানিয়েছে, যে, করোনার পরীক্ষা হবে বিনামূল্যে, কিন্তু চিকিৎসার খরচ পুরোটা তারা বহন করবেনা। এখন শোনা যাচ্ছে, সব ক্ষেত্রে পরীক্ষাও বিনামূল্যে হচ্ছেনা। অর্থাৎ কাগজেকলমে পরীক্ষা বিনামূল্যেই বটে, কিন্তু তার সঙ্গে সার্ভিস চার্জ, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ফি, ইত্যাদি হাবিজাবি যোগ করে, কাউকে নাকি ৩০০০ ডলারও বিল করা হয়েছে। ... ...
কাশ্মীর নিয়ে প্রবল হইচইয়ের মধ্যে নতুন খবর এই, যে, দেশের ৪১ টি আগ্নেয়াস্ত্র (অর্ডন্যান্স) কারখানার লক্ষাধিক কর্মী সর্বাত্মক ধর্মঘটে নেমেছেন বেসরকারি হাতে অস্ত্র কারখানা বেচে দেবার উদ্যোগের বিরুদ্ধে। এমনিতে সরকারি সংস্থা বেচে দেবার খবরে নতুনত্ব কিছু নেই। দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল আমরা সকলেই জানি। অর্থনীতির মন্দা ঘনিয়ে আসছে। পার্লে গতকালই ১০০০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে। জেট এয়ারওয়েজ বন্ধ, সমস্ত কর্মী কাজ হারিয়েছেন। গাড়ি শিল্পে প্রবল মন্দা সমাগত। আনুমানিক সংখ্যা অনুযায়ী এই শিল্পে নিয়োজিত ১০ লক্ষ লোক সম্ভবত কাজ হারাতে চলেছেন শীঘ্রই। বস্ত্র শিল্পে সংকট আরও অনেক তীব্র। খুব সম্ভবত ৩ কোটিরও বেশি মানুষ কাজ হারাতে চলেছেন আর কিছুদিনের মধ্যেই। ভারতবর্ষের এই বিপুল জনসংখ্যার ৩, ৪ বা ৫ শতাংশ মানুষের একই সঙ্গে কাজ হারানোর ফলাফল কী হতে পারে, তা আলাদা করে বলার কিছু নেই। ... ...
কলকাতা মেট্রো এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল আজ। দুর্ঘটনাটি ঘটে সন্ধ্য়ে পৌনে সাতটা নাগাদ। কসবা এলাকার এক বাসিন্দা সজল কাঞ্জিলালের হাত মেট্রোর একটি ট্রেনের দরজায় আটকে যায়। সাধারণ অবস্থায় এরকম আটকে যাওয়া সম্ভব নয়। দরজা এই অবস্থায় বন্ধই হয়না। কিন্তু যান্ত্রিক গোলমালের জন্য়ই এমন হয় বলে আন্দাজ করা হচ্ছে। চালক কিছু টের পেয়েছিলেন কিনা জানা যায়নি। কিন্তু ওই অবস্থাতেই ট্রেন চলতে শুরু করে। যাত্রীটিকে ট্রেন ছ্য়াঁচড়াতে ছ্য়াঁচড়াতে নিয়ে চলে বহুদূর। তিনি গুরুতর ভাবে আহত হন। পরে মারা যান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন কিনা জানা যায়নি। ... ...
ভূতের মতো কান্ড যেমন নির্বোধ অতি ঘোর যা কিছু হারায় গিন্নি বলেন চৌকিদারই চোর আপনারা ভোটের ভিডিও দেখেছেন, ভাটের ভিডিও দেখেছেন। দুই যোগ করে যা হয়, এই হল সেই বস্তু। এই বাজারে আঁচ না পোয়ালে পিছিয়ে পড়বেন। ... ...
পুলাওয়ামা ঘটনার পর দেশপ্রেম আচমকা বেড়ে গেল সবার। তারিখটা আবার প্রেমের দিবসেরও। যাতে এইবার কেন জানি না ভগৎ সিং এর ফাঁসি ঠিক হয়ে ওঠেনি। তা, এই ঘটনার পর দেশের প্রধাণমন্ত্রী তো ভাষণে ফাটিয়ে দিতে থাকলেন। এক সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পর বাইরে থেকে আওয়াজ পেয়ে বারান্দায় এসে দেখি মিছিল চলছে জনা পঞ্চাশ লোক, মোমবাতির বদলে হাতে মোবাইলের ফ্লাশলাইট। স্লোগান শুনলাম একবার ভারতমাতা কি জ্যায় পিছু পাঁচবার করে পাকিস্তান মুর্দাবাদ। বলা বাহুল্য পড়শী দেশের উল্লেখের সময়ে তাদের জোশ যেন ফেটে ফেটে বেরোচ্ছিল। পরে শুনি এই মিছিল ছোট ছোট করে সারা দেশে বেরিয়েছে, কলকাতাতেও। যেন রাস্তার ধারে পাকিস্তান বসে বিড়ি বাঁধছে বলে খবর, এরা খুঁজে বেড়াচ্ছে। ... ...
এই টুকরো খবর এবং ছবিগুলি ঠিক যে ভাবে হাতে এসেছে, সেভাবেই তোলা হল। ধূলাগড় নিয়ে অজস্র উড়ো খবর ইত্যাদিতে অন্তর্জাল ছেয়ে যাবার পরে এই ছবি এবং খবর বিশেষ গুরুত্ব বহন করে বলেই মনে হয়। পঁচিশে বৈশাখে পরস্পরকে রাখি পরিয়ে আপন করে নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রায় ২০০-২৫০ হিন্দু মুসলমান। তারপর একে অপরকে রাখি বেঁধে শুরু হয় পদযাত্রা আর তার সাথে মৈত্রীর বার্তা হাতে নিয়ে হাতে হাতে সোনালি সুতো বেঁধে দেওয়ার পালা। হাওড়া জেলার এই অঞ্চল, যেখানে বিগত ডিসেম্বর মাসে ইদ মিলাদ উন নাবি উপলক্ষে সাম্প্রদায়িক সংঘাত দেখা গিয়েছিল, সেই অঞ্চলের বহু সাধারণ মানুষ অভাবনীয় স্বতঃস্ফূর্ততার সাথে যোগ দিলেন এই উৎসবে। ... ...
মা গাড়ি চালাতে জানেনা, কাজেই বাবাকেই বাজার যেতে হবে। মঙ্গলবারে আপিস থেকে ফিরে। অবশ্য মাকে সঙ্গে না নিয়ে গেলে হবে কি করে? কি কি লাগবে তা নিজে দেখে বেছে না কিনলে তার আবার চলেনা। দেশে থাকতে তো আমি আর মা রোজ বাজার যেতাম। ঘুরে ঘুরে ফল, সব্জি কেনা হতো, তাজা শাক,হার্বস কেনা হতো। কারুন আর আরভান্দ নদী থেকে ধরা টাটকা মাছ, চাষীকাকুদের খামার থেকে জ্যান্ত মুরগী। সবে তন্দুর থেকে বেরিয়েছে সেই হাতে গরম লাভাশ আর সাংগাক রুটি কিনতাম আমরা। সত্যি বলতে কি এখন বুঝতে পারি যে সেই ছোটবেলাতেই এই বাজারে ঘুরে ঘুরে আমি দিব্যি একজন খাবারদাবারের সমঝদার হয়ে উঠেছিলাম, এদেশে যাকে বলে "ফুডি'। এখানের বাজারে আর আমার যাওয়া হতোনা। বাবারা কতক্ষণ ধরে বাজার করবে তার ঠিক নেই! মানে, ঠিক আছে আর কি, মায়ের মেজাজের সাথে পাল্লা দিয়ে ঠিক হবে কতক্ষণ ধরে ঘোরাঘুরি হবে। দেরি হলেই বুঝবেন যা যা খুঁজছিলো তা পাচ্ছেনা, তাই বাজার একেবারে চিরুনী দিয়ে আঁচড়ানো হচ্ছে। আর এসে পরে যা চমৎকার তার 'মুড'! তখন তার সামনে যায় সাধ্যি কার! "এই পোড়া দেশে কি ভদ্রস্থ শাকসব্জিও পাওয়া যায় না?', "হতভাগারা ফলগুলো পাকা অব্দি গাছে রাখাতে পারেনা?',"কি সব মুরগী! ধাড়ি ধাড়ি, স্বাদের "স' নেই!',"কিছুই পাওয়া যায়না তা রান্নাটা হবে কি তোদের মুন্ডু দিয়ে?', "তার ওপরে এই ছাতার মাথা হাঁটু ব্যথা নিয়ে আমি কি করে এতসব উদ্ধার করবোটা কি করে শুনি?' ইত্যাদি মধুর ভাষন আর কি। ... ...
খুবই অদ্ভূত সেই যন্ত্র। তিনটে আলাদা অংশ। আলাদা তাদের কাজ। আলাদা তাদের নাম। কিন্তু উদ্দেশ্য একই। "জাজমেন্ট' কার্যকর করে এই যন্ত্র। 'জাজমেন্ট' জানান হয় না দন্ডিতকে। ছ'ঘন্টা ধ'রে একটা অংশ অসংখ্য ছুঁচ দিয়ে অনেকটা উল্কির মত 'জাজমেন্ট' খোদাই করে দেয় দণ্ডিতের চামড়ায়। ততক্ষণে দন্ডিত তার শরীর জোড়া রক্তাক্ত ক্ষত থেকে জেনে যায় কী সেই 'জাজমেন্ট'। ... ...
বাঙালির ঐতিহ্য বুঝতে হলে দশমীতে টিভি চালান। আজ একান্নবর্তী পরিবারের দিন। সংসার স্টেশনে ঢুকছে চন্ডীমন্ডপ লোকাল। সিঁদুর খেলা স্পেশাল। ননদ-বৌদি শাশুড়ি-বৌমার আর কোনো ভুল-বোঝাবুঝি নেই। বড়োরা ছোটোদের প্রণাম করছে। ছোটোরা বড়দের আশীর্বাদ ;-)। সম সেক্সে কোলাকুলি হচ্ছে। বিষম সেক্সে ঢলাঢলি। সমকামে নিষেধাজ্ঞা আছে। সবাই সবার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। আকাশ আমায় ভরল আলোয়, আকাশ আমি ভরব গানে। ... ...
থিমের নাকি আকাল। নতুন-নতুন থিম পাওয়া ক্রমশ দুষ্কর হয়ে উঠছে, এই নিয়ে টিভিতে উদ্যোক্তাদের স্লাইট হাহুতাশ শোনা গেল। কারো-কারো কপালে ভাঁজ। কারো মাথায় হাত, কারো বা টাকে। পড়ারই কথা। পুজো শেষ হবার সাতদিন পরেই তাঁরা নাকি পরের বারের প্রস্তুতি শুরু করেন (কি পরিশ্রমী, বাপরে)। ... ...
পুজোয় চাই নতুন জামা আর নতুন গান। ও ও ও ও পুজোর গন্ধ এসেছে। এফএম খুললেই তাই ঝমঝম করে বাজছে "অটোগ্রাফ' ছবির নতুন গান -- আমাকে আমার মতো থাকতে দাও। আমি নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছি। অবশ্য চাইলেই বা কে আর কাকে নিজের মতো থাকতে দিচ্ছে কে জানে। ... ...
]এমনিতেই বাঙালির বুদ্ধির ঠেলায় জগৎ উদ্ধার। তার উপরে পুজোর বাজারে লোকে নাকি হঠাৎই সদলবলে অধিক বুদ্ধিমান হয়ে পড়েছে। সক্কলে বুঝে গেছে যে এই মোচ্ছব-ঋতুতে সন্ধ্যেবেলায় রাস্তাঘাটে ভিড়-ভাট্টা হবেই। ফালতু অচেনা লোকের সঙ্গে গা-ঘষাঘষি করে ঘাম ঝরিয়ে মাঝরাত্তিরে ঠাকুর দেখার বদলে বাঙালি নতুন জামা নতুন জুতো ও নতুন বান্ধবী নিয়ে সক্কাল সক্কাল বেরিয়ে পড়েছে রাস্তায়। দলে দলে লোক আজ পথে নেমেছে। ফলে জ্যাম এখন দুপুর থেকেই। আজ হরতাল, আজ চাক্কা বন্ধ। উত্তরে শ্যামবাজার থেকে দক্ষিণে গড়িয়া অব্দি, এয়ারপোর্ট থেকে হাওড়া স্টেশন অব্দি জ্যাম। আজ শুধু হাঁটার দিন। ... ...
বছর দশেক আগে কর্পোরেট ট্রেনার হায়াসিন্থ আর্য্য লক্ষ করেন, কিছু কিছু মায়েরা তাঁদের বাচ্চা মেয়েদের সান্টা ক্লজের পোষাকে সজ্জিত পুরুষদের সাথে খেলতে দিতে ঠিক স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। এদিকে খ্রীষ্টমাসের সময় বিভিন্ন শপিং মলে, স্কুলে স্কুলে সান্টার চাহিদা বেড়েই চলেছে। ... ...
World Wide Web(WWW) অর্থাৎ কিনা জগৎজোড়া জালের আওতায় যাঁরা আছেন, তাঁরা হরহামেশাই ইন্টারনেটে কিছু করতে গেলে বা ইমেইল প্রোফাইল বানাতে গেলে সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য দেন না। কখনও বাড়িয়ে, কখনও কমিয়ে, কখনও বা সম্পূর্ণ পালটে নিজের সম্পর্কে তথ্য দেন। ... ...
সম্প্রতি জানা গেল, মুম্বাই শহরের পোষা কুকুরের মালিকরা এক অভূতপূর্ব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। তাঁদের পোষা কুকুরদের মিলিত হওয়ার জন্য কুকুরী পাওয়া যাচ্ছে না। ... ...
শুধুমাত্র নয় - কিছুদিন পর থেকে ব্রাউজারে টাইপ করতে পারবেন ডাব্লুডাব্লুডাব্লু.গুরুচন্ডা৯.কম বা আরো ছোট করে শুধু গুরুচন্ডা৯.কম - আর পৌঁছে যাবেন গুরুচন্ডা৯-র পাতায়। ... ...