কয়েকটা জানা ছিল, কয়েকটা অজানা। বৈঠকি ঢঙে স্বাদু রচনা। ভাল লাগলো।
দারুণ লাগলো।
তাহলে হরিদাস পাল আর হরিপদ কেরাণী কেউ কম নয় ! বাঁচা গেলো!!
বেশ লিখেছ। এ
ভালো
আব্রাহামিক প্রোফেট "অ্যারন" এর নাম অনুসারে বিভিন্ন জার্মানিক ভাষায় "অ্যারন" নাম রাখা হয়, যার তুর্কি ও আর্বি সংস্করণ হল হারুন, হিব্রু সংস্করণ "আহারন"। ইংরেজিতে অ্যারন ছাড়াও এর আরও কিছু ভার্শন আছে, যেমন অ্যারেন, এরিন। এরিন নামটা আবার মেয়েরাও ব্যবহার করে।
আব্রাহামিক নাম ছাড়া একটা ইন্দো-ইউরোপীয় রুটের উদাহরণ দেই এখানে। জার্মানিক "উইলহেম" শব্দটি "উইল" (ইচ্ছা) ও "হেল্ম" (শিরস্ত্রাণ) শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। এখন আমরা এই নামের আত্মীয় হিসেবে পাচ্ছি ব্রেটন গুইলেম, ক্রোয়েশিয়ান ভিলিম,ভিলকো, ডেনিশ ভিলাম, ডাচ উইলি, উইল ইত্যাদি, ফ্রেঞ্চ গিয়ম (Guillaume), ইতালিয়ান গুলিয়েলমো (Guglielmo), ম্যাঙ্কস ইলিয়াম, নরওয়েজিয়ান ভিলহেম ইত্যাদি, ইংরেজিতে গিলিয়াম, উইলিয়াম ছাড়াও ডেরিভেটিভ হিসেবে উইলিয়ামসন, উইলসন, বিল, বিলি, লিয়াম, উইলি রয়েছে।
একটা জিনিস খেয়াল করেছি, ইন্দো-ইউরোপীয় মেয়েদের নামে শেষে আ-প্রত্যয় খুব সাধারণ। এরফলে বিভিন্ন সেমিটিক নাম, যেগুলো পুরুষবাচক কিন্তু আ দিয়ে শেষ হয়েছে, সেগুলো ইউরোপে অনেক ক্ষেত্রেই মেয়েদের নাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, একটা উদাহরণ হল "ইলাইজা" বা "এলিজা" নামটা।
যাই হোক, আব্রাহামিক প্রোফেট বা সেইন্টদের নামই নয়, ইন্দো-ইউরোপীয় দেবদেবীর নাম ধরলে প্রচুর ভেরিয়েশন পাওয়া যাবে। যেমন স্কাই গড Dyḗus বা Dyḗus ph₂tḗr (PIE) থেকে ইন্দো-ইরানীয় *dyaus হয়ে বৈদিক দেবতা দ্যৌস, আবেস্তান দেবতা dyaoš, মাইসিনীয় di-we হয়ে গ্রিক জিউস, ইতালিক *djous হয়ে ল্যাতিন জুপিটার ও জোভ ইত্যাদি। গ্রিক দেবী ইওস, আর ইন্দো-আর্য দেবী ঊষাও তেমনি, বৈদিক অপাং-নপাৎ ও রোমান নেপচুন, বৈদিক উল্কা (অগ্নি), রোমান ভালকানও তেমনি উদাহরণ। শুধু ইন্দো-ইউরোপীয় না, অ্যাফ্রো-এশিয়াটিক রুটের দেবদেবীর নামের বেলাতেও তা প্রযোজ্য। গ্রেকো-রোমান মিথের চরিত্র অ্যাদোনিস, হিব্রু বা কানানীয় দেবতা অ্যাদোনাই, হেলেনাইজড অ্যাস্টার্তে, নর্থওয়েস্ট সেমিটিক অ্যাস্তোরেথ, ইস্ট সেমিটিক ইশতার ইত্যাদি। দেবদেবীদের এই নাম-বৈচিত্র্য প্রাচীন কালের ধর্মগুলোর বিবর্তন ও বিকাশ সম্পর্কেও ধারণা দেয়।