সার্টিফিকেট (৩) : রাহুল দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ২৩৭২ বার পঠিত
তারপর প্রথম পৃষ্ঠায় সবুজ কালিতে লিখল, ‘আজ প্রথম সর্বশক্তিমানকে দেখলাম। ইনি কাউকে জোর করেন না। কারও ওপর কিছু চাপিয়ে দেন না। তাঁর কাছে গেলে তাঁর শক্তির কিছুই টের পাওয়া যায় না। তাঁর ব্যবহার অতি মধুর। এই মাধুর্য দিয়েই তিনি সবাইকে জয় করে নেন। আমাকেও তিনি জয় করে নিয়েছেন। একটা সকালেই আমার জীবন বদলে গেছে। এখন প্রতি মুহূর্তে আমার ওপরে তাঁর অপরিসীম প্রভাব আমি টের পাচ্ছি। সম্মোহিত হয়ে আছি আমি। তাঁর কাছে আমার কৃতজ্ঞতার কোনো শেষ নেই। যাদের শক্তি থাকে না, তারা প্রতি মুহূর্তে নিজেদের শক্তিকে জাহির করে। তিনি সর্বশক্তিমান, নিজের শক্তিকে তাই তিনি অনাবশ্যকভাবে টের পেতে দেন না।’
সার্টিফিকেট (৫) : রাহুল দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক | ২১ নভেম্বর ২০২০ | ১৮৪৪ বার পঠিত
আরও কুড়িটা নাম। এবারও নিমাই বাদ। কুড়িবার যেন ছুরি মারল কেউ। নিমাইয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল ধ্রুপদী। বেশ ভালোই প্রাপ্য জুটছে তার। অন্ধকারে ভালো দেখা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে, নির্বিকারভাবে তাকিয়ে রয়েছে মঞ্চের দিকে। ধ্রুপদী আগেই জানত। তবু একদম নির্বাক, স্তব্ধ হয়ে গেছে সে। দেশের পঁচিশজন তরুণ অভিনয়-প্রতিভার নাম! অথচ কোথাও নিমাই নেই! অচ্যুৎ সবার প্রথমে। এত এত সাধনা। কোনো স্বীকৃতি নেই তার? নিমাইয়ের পাণ্ডিত্যের কোনো শেষ নেই। ত্যাগ ও মগ্নতারও। অবিরাম তার সাধনা! এ দেশে তাহলে সাধনার জায়গা কোথায়? আস্তাকুঁড়ে? দেশের সেরা প্রতিভাদের আস্তাকুঁড়ে ফেলে দিলে সেই দেশের নিজেরও আস্তাকুঁড় হতে বেশি সময় লাগে না! জোরে চেঁচিয়ে প্রতিবাদ করতে ইচ্ছা করল ধ্রুপদীর। নিমাইয়ের জন্য নয়। নিজের জন্য। তার নিজের হাত-পা কেউ যেন বেঁধে দিয়েছে। কে সে? ফিসফিস করে নিজেকেই শোনালো ধ্রুপদী, নিয়তি!
সার্টিফিকেট (৬) : রাহুল দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : উপন্যাস | ২৮ নভেম্বর ২০২০ | ২৮০৪ বার পঠিত
অমলকান্তি সব শুনে বলে উঠল, “আমি শুধু একটা কথাই বলব, কাজের সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে এবার থেকে বাবাকে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে, সার্টিফিকেট দেওয়ার মতো কাজ। তিনি প্রাজ্ঞ, মহৎ, দূরদর্শী ও বিচক্ষণ, গোটা দেশ একথা জানে। তিনি যে এই ধরনের হঠকারিতা করতে পারেন না, সেকথাও সবার জানা। তিনি এখন অন্যের ওপরে নির্ভরশীল। কিন্তু সেই নির্ভরতা যেন তাঁর পক্ষে আশঙ্কাজনক না হয়ে ওঠে, সেটা আমাদের সবাইকেই দেখতে হবে...”