বাজে গল্প (১)- বাইগন : বিক্রম পাকড়াশী
বুলবুলভাজা | গপ্পো | ০৭ মে ২০১৩ | ১২২৫ বার পঠিত | মন্তব্য : ৬
বেগুনের ভরের চেয়েও, বেগুনের জিন এর এই গুরুত্ব কিন্তু এর আগে বোঝা সম্ভব হয় নি। আসলে ভেবে দেখতে গেলে, জিএম বেগুনের জিনে এত বেশি রকমের তারতম্য, যে এগুলি বেগুনের উপসর্গ মাত্র। প্রকৃত প্রস্তাবে, এটি একটি সম্পূর্ণ নূতন প্রজাতির সিন্থেটিক সব্জি। এই তো কদিন আগেই বিদেশমন্ত্রী জুবেদা খাতুন রাষ্ট্রসংঘের বক্তৃতায় বললেন যে অর্গ্যানিক বেগুন চাষ বাংলাদেশের কৃষি স্বাধীনতা এবং সামাজিক পছন্দ (সোসাল চয়েস) এর দৃঢ় প্রতীক। কৃত্রিম উপায়ে প্রস্তুত জিএম বেগুন যে শুধু মুনাফালোভী চক্রান্ত তাই নয়, সেগুলি বেগুনই নয়। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সদ্ভাব রক্ষা ও গবেষণায় সম্পূর্ণ সাহায্যে বাংলাদেশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত। মহামান্য আদালতের রায়ের পরে আশা করা যেতে পারে যে এ নিয়ে কোনওরকম ভুল বোঝাবুঝি থাকবে না ও প্রকৃতির দান প্রকৃতির কাছেই থাকবে। এ নিয়ে যেন দুই দেশের মৈত্রী ও সৌভ্রাতৃত্ববোধে আঘাত না লাগে। এমন কি তিনি এও বললেন - লেট বাইগনস বি বাইগনস।
খুদা মেহ্ফুজ রখ্খে : বিক্রম পাকড়াশী
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ১২ এপ্রিল ২০১৬ | ১১০৪ বার পঠিত | মন্তব্য : ৪
মুশকিলটা এইখানে, যে এই ধরণের কাজে গণতান্ত্রিকভাবে চাট্টি আলোচনা, বা কথা বলাটা গ্রাহ্য নয়। পাবলিক বলতেই পারে, এইসবই তারা করে আসছে শতশত বছর ধরে, কিন্তু বললেই শুনতে হবে, এরকম ধাষ্টামো করার সাহস ও শিক্ষা আমাদের থাকবে কেন? ছাগুলে পাবলিকের পাগুলে কথা নাহয় বাদই দেওয়া হলো, কিন্তু এমনকি আমাদের সিভিল ইÏনিয়ার ভাইবোনেরা ও উচ্চপদাসীন বিশেষজ্ঞরাই বা খবরের কাগজে - টিভিতে-মায় ফেসবুকে নিজেদের মতামত দেখে পুলকিত হয়ে ওঠার নাবালক লোভে বিশু থেকে শিশু হয়ে উঠছে আর আমরা সেই দেখে ধিনিকেষ্ট নাচ জুড়েছি। এভাবে হয় না। এজলাসে এই মোকদ্দমা উঠলে এই এতগুলি পণ্ডিতের রায় শুধু এক্তিয়ারবহির্ভূতই নয়, এমনকি অনেক ক্ষেত্রেই দায়িত্বজ্ঞানহীন হিসাবে গণ্য হতে পারে। ফলতঃ, আমোদগেঁড়ে জনতা নিজেদের মধ্যে প্রতর্ক করুক। কিস্যু আসে যায় না। এমনকি তাদের মধ্যে কেউ কেউ সম্পূর্ণ ঠিক কথা বলে থাকলেও না। সোসাল মিডিয়া আর খবরের কাগজে চ্যানেলে বসে এসব হয় না। তাই অন্ততঃ সাংবাদিক ভাইবোনদাদাদিদিবেয়াইবোনাই সকলকেই করজোড়ে অনুরোধ, এই বিশেষজ্ঞ মতামতটা দেওয়া একটু তামাদি রাখুন না। অনুভব করছি, তাই বলছি।
বাজে গল্প (৪)-মাটি : বিক্রম পাকড়াশী
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ | ১১৭৫ বার পঠিত | মন্তব্য : ৮
ডঃ পাত্র এর একটা বিহিত বা হেস্তনেস্ত করার দায়িত্ব নিলেন। অবশ্য এতে ওনার একটা অ্যাকাডেমিক ইন্টারেস্টও ছিল। সময়সুযোগ থাকলে একদিন তিনিও পুরোদস্তুর গবেষণা করতে পারতেন, শুধু ছাত্র ঠেঙিয়েই চাকরির জীবনটি চলে গেল। সে যাই হোক, উনি অনেক আঁকজোঁক করে কিচ্ছু বের করে উঠতে পারলেন না। এই অবস্থায় উনি একদিন কাকভোরে উঠে লেকের মাঠে গাছপালার ঝোপে বান্ধবগড় থেকে কেনা ক্যামোফ্লাজ জ্যাকেট পরে ঘাপটি মেরে কী হয় দেখার জন্য বসে রইলেন। প্রথম দু দিন কিচ্ছু দেখতে পাওয়া গেল না। সুস্থ শরীর ব্যস্ত করে রাতের ঘুম নষ্ট হল। কিন্তু তাতে ডঃ পাত্র দমলেন না। এক সময় তিনি ডক্টরেট করেছিলেন, তাই অকিঞ্চিৎকর জিনিস নিয়ে খামোখা লড়ে যাবার ক্ষমতা তাঁর পুরনো।
বাজে গল্প (৫)- রোগ : বিক্রম পাকড়াশী
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ১১ অক্টোবর ২০১৫ | ১১১৭ বার পঠিত
তবে উপায়? বিকাশ প্রথমে ওয়াটার থেরাপির ধান্দা করলেন। দিনে আট গেলাস জল পেটে ঢুকতে লাগলো, মদ্যপান বন্ধ, আর প্রতি ঘন্টায় দুচোখে জলের ঝাপটা। এতে করে কোনও লাভ হল না, বার বার বাথরুম যাবার প্রয়োজন পড়ল, ঝাপটা দিতে গিয়ে জামা ভিজে একশা হল, সন্ধ্যায় ইয়ারবক্সীরা 'উল্লাস' বলার একটি সাথী আপাততঃ হারিয়ে সামান্য বিমর্ষ হলেন। রাতে ঘুম এল না। ঘুম আসার জন্য সানন্দায় কানে কানে পড়তে গিয়ে মাথাটা শেষে খেলল। বিকাশবাবু গোপনে ওনার সহধর্মিনীর প্রসাধন সামগ্রী হাঁটকে শসা, লেবু ইত্যাদি প্রাকৃতিক ভেষজ দেওয়া ক্রিম চোখে লাগাতে শুরু করলেন ও কদিনের মধ্যেই ক্রিম সরাতে গিয়ে ধরা পড়লেন। লাগিয়ে ফল হল কচু, হাতি আর ঘন্টা। চৌর্যের কোনও কারণ বাৎলানো দায় হল, গৃহিনীর মুখনাড়া সার হল, বিবিজান লবেজান করে দিলেন। কিছুতেই কিছু হল না দেখে মরিয়া বিকাশ খুব ভোরে উঠে আদা-মধু আর কল ওঠা ছোলা মুখে ফেলে দু-আঙুলে টেনে টেনে চোখের চামড়ার ব্যায়াম আরম্ভ করলেন। এতে তাঁর জীবনযাত্রা পূর্বের চেয়ে স্বাস্থ্যকর হল, তর্জনীর গাঁটে ব্যথা হল, কিন্তু চোখের কোনও রদবদল ঘটল না। হতাশ, ভগ্ন, ভীত, রোগগ্রস্ত বিকাশ সেন ডাক্তারের শরণাপন্ন হলেন।
কোনাল ইয়েলোক্ল-এর আজগুবি কাণ্ডকারখানা (আইরিশ উপকথার আংশিক অনুবাদ) : বিক্রম পাকড়াশী
বুলবুলভাজা | গপ্পো | ১৪ নভেম্বর ২০১১ | ১২০৯ বার পঠিত
বড়োলোকের বড়োই অহংকার, কারণ সে নাকি আসলে রাজা। বেশ, তাকে আমরা রাজামশাই বলেই না হয় ডাকবো। তো সেই রাজামশাই পুত্রশোকে অস্থির হয়ে কোনালকে এত্তেলা পাঠালেন - রে কোনাল! আমার ছেলে তোর কি ক্ষতি করেছিলো যে তোর ছেলেরা তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে মেরে ফেললো? আমি চাইলে এখনি এর বদলা নিতে পারি, কিন্তু সে বদলা নিলে তোর আর আমার তফাত রইবে না। আমি মনস্থ করেছি, তোকে এক কঠিন কাজ দেবো। সে কাজ করতে পারলে আমি তোর ছেলেদের প্রাণভিক্ষা দেবো। লগলানের রাজার আস্তাবলে যে বাদামী ঘোড়াটা আছে সেটা নিয়ে আয়, তোর ছেলেরা প্রাণে বেঁচে যাবে।
ছাপরা হিলে লাল : বিক্রম পাকড়াশী
বুলবুলভাজা | খবর : টাটকা খবর | ২৩ এপ্রিল ২০১০ | ৯৯৫ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
শুধু ভূমিকম্প নয়, কাপড়জামা না পরে ভগবানকে উত্তেজিত করলে আরও ভয়ানক শাস্তির বিধান আছে। দেখতে পান না, আফ্রিকায়, ভারতে, পাকিস্তানে, সমুদ্রের দ্বীপগুলিতে, আরবে, রাশিয়ায় জামাকাপড় না পরা বুড়ো লোক, বড়ো লোক, মেয়ে লোক, বচ্চা লোক, কেউ খেতে পাচ্ছে না, যত কাপড় খসে খসে পড়ছে, খাবার তত কমে যাচ্ছে, এমনকি যখন মরে যাচ্ছে, লক্ষ্য করে দেখবেন, গায়ে একটা সুতো অবধি থাকছে না।
নতুন জীবন : বিক্রম পাকড়াশী
বুলবুলভাজা | বইপত্তর | ২৭ জুন ২০১০ | ১২০৯ বার পঠিত
একটা নতুন বই। এমন মারাত্মক, আশ্চর্য, আর গোপন - যে কেউ সেই বই পড়ছে তার জীবনটাই বদলে যাচ্ছে চিরকালের মত। প্রথম পাতাটা খুলতেই আলোর ঝলকানিতে চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে, সেই বই তার পাঠককে এক নতুন জগতে নিয়ে যাচ্ছে, মনে হচ্ছে যারা এই বইটা পড়ে নি, তারা কী হতভাগ্য, তারা কী বোকা! ওসমান নিজে এই বইটা পড়েছে, সে এখনও ইস্তাম্বুলে কলেজের ছাত্র, মনে মনে জানানকে পছন্দ করে, জানান এই বইটা পড়েছে, জানানের প্রেমিক এই বইটা পড়েছে। জীবন আর ভালোবাসার বিষয়ে যা যা জানা সম্ভব, আর ভবিষ্যতে যা যা জানা যাবে, সব ওতে লেখা আছে।
সিনে সিনেমা : বিক্রম পাকড়াশী
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ | ১৩০১ বার পঠিত | মন্তব্য : ১২
অথবা ধরুন, কালী ব্যানার্জি, প্রায় সমস্ত সিনেমাতেই হাংগাল সাহেবের ন্যায় চিররুগ্ন, অসহায়, রোগজরাগ্রস্ত (বা অন্ধ) এবং মূলত: মেয়ের বাপ। তিনি জীবনের শেষ শক্তিটুকু নিয়ে খাট থেকে কাঁপতে কাঁপতে উঠে অ্যাঁ: অ্যাঁ: শব্দ করত: পুনরায় মূর্চ্ছিত হয়ে গেলেন - হয় হার্টফেল, নয় পক্ষাঘাত। এইরকম করুণ রস ছায়াছবিতে না দেখিয়ে বই থেকে পড়ার চেষ্টা করলে কেমন অবিশ্বাস্য ঠেকে।
লার্স ভন ত্রীয়ের -- অ্যান্টিক্রাইস্ট : বিক্রম পাকড়াশী
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ | ৮৪২ বার পঠিত | মন্তব্য : ২
লার্স ভন ত্রীয়েরের নতুন ছবি, অ্যান্টিক্রাইস্ট নিয়ে অনেকদিন ধরেই বাজারে নানান গুজব ভেসে বেড়াচ্ছিলো। সেইসব ভাসমান গুজবের অধিকাংশই একমত যে সিনেমাটা অত্যন্ত দগদগে রগরগে ধরণের হয়েছে। যেন পাড়ার উঠতি ছোঁড়া এসে হাত নাড়িয়ে বলছে - পাগলা খাবি কি রে, ঝাঁঝেই মরে যাবি। এ ধরণের গুজব, শহুরে রূপকথা, যেমন - এক্সরসিস্ট দেখতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া কিংবা বিবরের মতো সাহসী সাহিত্য গত একশো বছরে হয় নি, এগুলি আসবে ও যাবে। কিন্তু গুজবটা এক্ষেত্রে বেশ বড়ো করেই পৃথিবীতে ছড়ালো, কান চলচ্চিত্র উৎসবে বহু দর্শক ছি ছি করে বেরিয়ে গেলেন, অথচ সেই সিনেমার হিরোইন পেলেন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার।
পিং পং : বিক্রম পাকড়াশী
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২০ জানুয়ারি ২০০৭ | ৮৭৮ বার পঠিত
উল্টোদিকের বোর্ডে মোট তিনটে ভাগ। ফার্স্ট কোর্ট, সেকেন্ড কোর্ট, থার্ড কোর্ট। হয় নেটের একেবারে কাছে ফার্স্ট কোর্টের কোনা দিয়ে বলটাকে বের করে একটা পয়েন্ট নিতে হবে, বা থার্ড কোর্টের কোনা দিয়ে একটা ঝটকায় টপস্পিনটা বের করে দিতে হবে। এইসমস্ত কথা আমরা ভাবি, কারন একটা পয়েন্ট মানে একটা পয়েন্ট নয়। একটা পয়েন্ট মানে দুটো পয়েন্ট। আমি ৩-৪ ডাইন অবস্থায় জিতলে ৪-৪, হারলে ৩-৫। বোর্ডের ওপর একটা চকখড়ি দিয়ে একটা ছোটো গোল বানিয়ে পর পর ঠিক ঐ জায়গালোতে আমরা বল রেখে যেতে থাকি। ইন্দিবর কুড়িটা রাখতে পারে, ও নির্ঘাত বেঙ্গল খেলবে। নার্ভ রাখতে হবে ইস্পাতের মতো।
ফরাসী ইমিগ্রান্ট : বিক্রম পাকড়াশী
বুলবুলভাজা | আলোচনা : সিনেমা | ১২ জানুয়ারি ২০০৭ | ৭৫৫ বার পঠিত
বেশি ঘ্যানাপ্যাচালিতে যাবো না, কাজের কথা বলি। ফ্রান্সে যারা উত্তর আফ্রিকা থেকে এসেছে, তাদের জীবনযাত্রা একটু অন্য, ঠিক প্রান্তিক কেস নয়, তবে তার থেকে খুব দূরেও নয়। গত কয়েক বছরে এ নিয়ে কতগুলি ভালো সিনেমা হয়েছে। নাম দিলাম। এই জেনারের সিনেমা একসাথে দেখলে ভালো লাগবে। আমি এই মুহূর্তে তিনটে নাম দেই যা দেখে ভালো লেগেছে, আর প্রতিটা নিয়ে এক দু কথা।
সারনাথ ব্যানার্জী- দা বার্ন আউলস ওয়ান্ড্রাস কেপার্স : বিক্রম পাকড়াশী
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বই | ০৮ আগস্ট ২০০৭ | ৭৩৯ বার পঠিত
ফ্রান্সে একজন নতুন লেখকের কমিক্স অন্তত: দশ হাজার কপি বিকোয়, এদিকে আমাদের এখানে হাজার পাঁচেক মেরেকেটে বিক্রি হলে সেই কমিক্স বেস্ট সেলার হয়ে যায়। আমরা কখোনো তেমন ভালো কমিক্স পাইনি, শুধু তাই নয় এই পুরো কনসেপ্টটাই দেশে অনেকটা নতুন। আগে পুতুল নাচ কি রেডিও এইসবের মাধ্যমে জনচেতনার (এই ধরি বার্থ কনট্রোল ইত্যাদি) জাগরন করার চেষ্টা চলতো, এখন কমিক্সে কিছু কিছু হচ্ছে। গন্ডগোলটা ঠিক এইখানে, যে আমাদের ধারনা কমিক্স পড়তে গেলে আঁতলামো কি প্রচেষ্টা এগুলো কম লাগে। যেটা ভুল।
বাংলা বয়েজ স্কুল : বিক্রম পাকড়াশী
বুলবুলভাজা | গপ্পো | ২৫ জানুয়ারি ২০০৬ | ১১১১ বার পঠিত
আমরা কোনদিন সার্কলের থিওরেম প্রমাণ করি নি, মানে করতে পারি নি। বৃত্তের উপপাদ্য প্রমাণ করতে করতে কেটে গেছে আমাদের ইস্কুল বয়স। এটা আমাদের দোষ। অনেকটা বাংলা ব্যাকরণ বইতে দোষবাচক বিশেষণের উদাহরনে যেমন লেখা থাকত 'ছেলেটি রোগা- এটি তার দোষ', সেইরকম দোষ। আমরা ভৌতবিজ্ঞান পড়েছি, ভ্রামক পড়েছি, উদস্থৈতিক কূট পড়েছি - সাইন্স কুইজে রেটর্ট কে বকযন্ত্র বলে প্রবল খোরাক হয়েছি।
একটু ক্যাওস : বিক্রম পাকড়াশী এবং বিদিশা ঘোষ
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৬ | ১৩৭১ বার পঠিত
এই লেখার সহিত জীবিত বা মৃত ব্যক্তির/ব্যক্তিসমূহের সাদৃশ্য খোঁজা বৃথা, আর পাঁচটা বাংলা পপুলার সায়েন্স-ঘেঁষা প্রবন্ধের ন্যায় এটাও মূলত: না বুঝে, বা হাপ বুঝে টুকে দেওয়া একটা জিনিস। এই লেখা পড়ে ক্যাওস বা কেঅস কোনোটাই শেখা যাবে না। লেখা পড়ে ক্যাওস পাকলে লেখক দায়ী থাকবেন না। সব দোষ সম্পাদকের, কারণ দোষ ফেলে রাখতে নেই।
সালাম ইসমায়েল : বিক্রম পাকড়াশী
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৩ জুন ২০০৭ | ৯৪৮ বার পঠিত
ইরাক ও তার দুরবস্থা নিয়ে এত বেশি লেখালেখি হয়েছে, যে সেগুলো ইদানিং বড়ো একটা পড়া হচ্ছে না, মানে চোখে পড়ছে না। এমনিতেই কেস হোপলেস, সুতরাং তা নিয়ে বেশি উচ্চ বা নীচ কোনো বাচ্যই না করা বিধেয়। বছরখানেক আগে ডক্টর সালাম ইসমায়েলের সাথে আমার কিছু কথাবার্তা হয়। কথা শেষে আমার সাথে হাত মিলিয়ে উনি বলেন আমি আজকে আপনার সাথে হাত মিলিয়ে গেলাম বটে, কিন্তু পরের মাসে ইহলোকে থাকবো কিনা সেইটা একটা বিরাট বড়ো প্রশ্ন।
মরা সাহেবের টেবিল এবং অন্যান্য ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর গল্প : বিক্রম পাকড়াশী
বুলবুলভাজা | গপ্পো | ০১ মার্চ ২০০৯ | ৮৫৫ বার পঠিত
মরা সাহেবের টেবিল দিয়েই সেদিন শুরু হয়েছিলো - আসলে কি, অফিসে পরপর দুজন বড়সাহেব একই ঘরে মরে যাওয়ার পর প্রাণে ধরে এমনিতেই ওখানে আর কেউ ঢুকতে চাইছিলো না। প্রথম জন টিকলো একটি গোটা মাস, মরলো শনিবার, অফিস ছুটি হলো মঙ্গলবার। দ্বিতীয়জন বড়দিনের ঠিক আগে জিমখানায় দৌড়তে গিয়ে হাঁসফাঁস করে মাটিতে ঘামতে ঘামতে মরে গেলো, সে ছিলো হপ্তাখানেক। দুর্ঘটনার এখানেই শেষ নয়, এক ভরদুপুরে উড়ো খবর এলো যে ওপরের তলায় ডানদিকের ঘরের সাহেব নাকি ছুটিতে ছিলো,বউবাচ্চা সমেত গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করে সেও নাকি মারা গেছে। খবরটা সত্যি।
উজ্জ্বলকুমার দে'র অন্যায় ও শাস্তি : বিক্রম পাকড়াশী
বুলবুলভাজা | গপ্পো | ০২ অক্টোবর ২০১১ | ১০৩৭ বার পঠিত
উজ্জ্বলকুমার দে চোর। সে যদি আজকে নবীনা সিনেমার ফুটে থাকতো, তাহলে মাজারের পাশের গলি দিয়ে দৌড়ে দশ গলির এক গলির মধ্যে লুকিয়ে পড়তে পারতো। নিদেনপক্ষে যদি যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের সামনে থেকে বক্তিয়ারশা রোডে ঢুকে পড়তো, তাহলেও ধরা না পড়ার একটা আশা ছিলো। কিন্তু বোঝাই যাচ্ছে, যে সে এর কোনওটাই করে উঠতে পারে নি। আর সময়টাও এমন, যে অসময়ে টিউশানি পড়তে আসা ছেলেপিলের বড্ড উপদ্রব।