“ওরা” : তির্যক
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৬ জুলাই ২০১৩ | ৮৫৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ১৯
তাহলে কি আমি অপেক্ষা করে থাকব কবে সেনাবাহিনির জওয়ান আমার মেয়েকেই টেনে নিয়ে যাবে, কবে আমারই ছেলেকে পারিপার্শ্বিক প্রমাণের ভিত্তিতে (পড়ুন বিনাবিচারে) নাশকতার অভিযোগে খুন হয়ে যেতে হবে, আমারই টাকা লোপাট হয়ে যাবে, আমারই ভাইয়ের আঁকা ছবি কেউ কিছু না বুঝেই সাম্প্রদায়িক লেবেল সেঁটে দেবে বা আমার বোনের লেখাকে ‘উস্কানিমূলক’ বলে প্রচার করে তাকে দেশছাড়া করবে, আমার ভাষাকে, সাহিত্যকে, শিল্পকে প্রান্তিক বলে ঠেলে দেবে......। নাকি যে কোন বিষয় সামনে এলে মতামত দেওয়া এমন কি না দেওয়ার আগেও (মতামত না দেওয়াও একটা মতামত) একটু ভাববো কেন এমন হল! ওদের কথাও একটু মন দিয়ে শুনবো আর নিজেকে ওই ‘ওদের’ জায়গাটায় বসিয়ে দেখব এই ঘটনা আমার সঙ্গে হলে, আমার বাবা-মা-ভাই-বোন-ছেলে-মেয়ে-র সঙ্গে হলে কী করতাম, কী ভাবতাম! এই স্টেপটা সবচেয়ে কঠিন, কেবলই মনে হবে আমার সঙ্গে কক্ষনো এমন হত না, আমার এতসব ভাবার কী দরকার ইত্যাদি ইত্যাদি, কিন্তু এই স্টেপটা ‘জাম্প’ করে যাওয়া যাবে না।
উলটে দেখুন : তির্যক
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৩ | ৮৯৬ বার পঠিত | মন্তব্য : ১৫
তার মানে ভুলেও ভাববেন না যে আমি খেলাধুলো ও শরীরচর্চাকে (এমনকি বিনোদনকেও) গুরুত্বহীন মনে করছি। সেটা একেবারেই নয়, বরং প্রতিটি মানুষের মধ্যে কিছুটা শরীরচর্চার গুরুত্ব বোঝার মত সচেতনতা আসাটাকে আমি সামাজিক অগ্রগতির একটা দিক বলেই মনে করি। সুস্থ শরীর মানুষের জীবনযাত্রার একটা প্রাথমিক ও মৌলিক উপাদান আর সেই কারণেই জীবনযাত্রার মানের উন্নয়নের একটা ধাপ হল নিয়মিত শরীরচর্চা। অনেকে সেটা খুব ভালবেসেই করেন, যেমন আমার পরিচিত একটি ছোট্ট মেয়ে রোজ দশ কিলোমিটার দৌড়োয়, যেটা না করতে পারলে নাকি তার মন ভাল থাকে না! কিন্তু সেইটুকু শরীরচর্চার জোরে তো অলিম্পিকের মানে পৌঁছানো যায় না। অলিম্পিকের বিজয়ী ক্রীড়ানক্ষত্ররা জীবনের অনেক কিছু বাদ দিয়ে ক্রমাগত যে অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতাকে প্রায় যন্ত্রের সমকক্ষতায় নিয়ে যান, স্বাভাবিক জীবনে তো সেই মানের শরীরচর্চার প্রয়োজন নেই। এই মানে পৌঁছতে পারার পেছনে সেই প্রতিযোগীর অসীম পরিশ্রম, মনোযোগ, আত্মত্যাগ অনেক কিছু আছে কিন্তু এই এতসব করে শেষ পর্যন্ত তিনি যা করলেন (মানে কয়েক ফুট বেশি লাফানো বা কয়েক মিলিসেকেন্ড কম সময়ে দৌড়োনো) তা মানুষের মৌলিক উন্নয়নে কি কোথায় কাজে লাগল? যদি কিছু না-ই করে, তবে কেবল কিছুটা বিনোদনের স্বার্থে আমরা কতটা অপচয়কে ‘দরকারি’ বলে মেনে নেব আর কেনই বা নেব! বুলফাইটও তো একসময় দারুণ জানপ্রিয় বিনোদন ছিল, এখন বন্ধ হয়ে গেছে। আত্মরক্ষার স্বার্থে কুস্তির মারপ্যাঁচ জেনে রাখব সেটা ভালো কথা কিন্তু বিনা প্রয়োজনে দুটো লোক পরস্পরকে ঘুষোচ্ছে এই দেখে আমরা আমোদ পাবো, এটা কতটা স্বাস্থ্যকর বিনোদন, একবার ভেবে দেখব না?
রয়েছি মামণি হয়ে : তির্যক
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১৩ এপ্রিল ২০১৭ | ৯৩৩ বার পঠিত | মন্তব্য : ৮
কর্মরতা মহিলা গোষ্ঠীর একপ্রান্তে আছেন মহিলা শ্রমিকরা, যাঁরা চাষের কাজে, মাটি কাটায়, রাস্তা তৈরীতে, রাজমিস্ত্রির কাজে লেগে আছেন। আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন (ILO)-র একটা সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে এশিয়ার মধ্যে ভারত আর পাকিস্তানে মহিলা শ্রমিকের সংখ্যা সবচেয়ে কম আর সেই সংখ্যাটা ক্রমাগত কমছে। ১৯৯৯-২০০০ সালে যে হারটা ২৫.৯% ছিল এখন সেটা কমে হয়েছে ২১.৯%। কিন্তু আমাদের অভিজ্ঞতা বলে কাজের সুযোগ পেলে নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েরা পিছিয়ে থাকেন না, যদি না তাঁর যাতয়াতের রাস্তাটা খুব কঠিন বা কাজের জায়গাটা খুব দুরের হয়। দুই ক্ষেত্রেই বাচ্চাকে ছেড়ে অনেকক্ষণ থাকতে হয়, এইটার সঙ্গে মেয়েরা কিছুতেই সমঝোতা করতে পারেন না। তাই যেসব জায়গায় পাকা রাস্তা হয়েছে বা বাচ্চা রাখার সুবিধে আছে এনরেগা প্রকল্পের সাফল্য সেখানে অনেক বড়, সেখানে অনেক বেশি মহিলা কাজে আসছেন। কিন্তু শহরের দিকে নিম্নবিত্ত পরিবারের মহিলারা অনেকে দূরে গিয়ে বাঁধা মজুরীর কাজের বদলে বরং বাড়ির কাছাকাছি অনেক কম মাইনের পরিচারিকার কাজ (বা সেলাইয়ের কাজ বা এই ধরণের কোনও অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ) করছেন যাতে সংসারের দেখাশোনাটাও চালানো যায়। বাঁধা মজুরীর কাজে মহিলা শ্রমিকের সংখ্যা কমে যাওয়ার অনেক কারণের মধ্যে একটা হল এটা। অর্থাৎ সংসার ও বাচ্চাকে দেখাশোনা করার দায়িত্বটা এই বৃত্তের মেয়েদের কাজে আসা না আসার ক্ষেত্রে একটা বড়সড় ব্যাপার।
মেয়েদের লেখালেখি : তির্যক
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২১ জানুয়ারি ২০১৮ | ২১৮৩ বার পঠিত | মন্তব্য : ১১
তবে মেয়েদের লেখাও পাঠকের মনোযোগ পায় যখন তা অন্য একটা জগতের কথা বলে। লেখিকা যদি আদিবাসীদের কথা বা অনাবাসীদের কথা লিখতে পারেন, যে কথায় আমাদের চেনা জীবনটা নেই, সেই লেখার একটা আলাদা মাত্রা আছে। কারণ মানুষ অজানা জগতের কথা জানতে চায়, কিন্তু তার নিজের ঘরেই যে একটা আস্ত অজানা জগত লুকিয়ে আছে তার খবর তো সে জানেই না ! তাই ডাকসাইটে অধ্যাপিকা নবনীতা দেবসেন কি করে নিজের দুই মেয়ে-মা আর সংসার নিয়েই নিত্যনতুন রসে টইটম্বুর লেখা লিখে যেতে পারেন, তাই ভেবে অনেকেই কূলকনারা পান না। তাই যে পাঠক মন দিয়ে ঝুম্পা লাহিড়ি পড়েন, গোয়েন্দা গল্পের জন্য আগাথা ক্রিস্টি বা শিশুসাহিত্যের জন্য লীলা মজুমদার পড়েন, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পাওয়া দুই বাঙালী লেখিকার মধ্যে একজন (মহাশ্বেতা দেবী) তাঁর কাছে বহুলপঠিত ও চর্চিত হলেও আর একজন (আশাপূর্ণা দেবী) তাঁর কাছে মূলতঃ ‘মেয়েদের লেখক’ হয়েই থেকে যান। সে লেখিকারা যতই পুরস্কার পান না কেন !
নারীদিবসঃ ২। ‘ঘরকন্যা’দের বেতনক্রম : তির্যক
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১০ এপ্রিল ২০১৫ | ৮৭৫৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ২৯৩
হ্যাঁ, নারীকে নিয়েই কথা আসে সারাবছর, অজস্র কথা। জীবন এফোঁড়-ওফোঁড় করে চলে যায় নানারঙের কথা। সেইসব কথার পিঠে চড়ে আসে ভাবনারা। প্রশ্নেরা। ঘুরে বেড়ায় আলগোছে। নারীদিবসের আশেপাশে এইসব ভাবনাগুলো জমাট বাঁধে, মাথায় চড়ে বসে। আমাদের তাগাদা দেয় পুরোনো পড়া ঝালিয়ে নিতে। আর সেই পুরোনো পড়া পুরোনো ভাবনা নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতেই কোথাও কোথাও নতুন কথাও জুড়ে যায় জায়গামত। এবারের পুরোনো পড়া ঝালানোর সময়েই পড়লাম স্বাতী ভট্টাচার্যের ‘ঘরোয়া’ (আনন্দবাজার পত্রিকা, ৮ই মার্চ)। খোদ নারীদিবসে দাঁড়িয়ে একজন নারীই যখন মেয়েদের ‘গুছিয়ে সংসার করার মোহে’র দিকে আঙুল তোলেন, তখন একটু ধাক্কা খেতে হয় বইকি, মানে এইটা ঠিক পুরোনো পড়ার সিলেবাসের মধ্যে ছিল না তো বরং (এই সাংবাদিকের লেখা) যেসব পুরোনো পড়া মনে পড়ে যায়, সেখানে উনিই সওয়াল করে এসেছেন মেয়েদের ঘরোয়া কাজের মূল্যায়নের পক্ষে; সারামাসের রান্নার লোকের মাইনের সঙ্গে বা বারো ঘন্টার আয়ার মাইনের সঙ্গে ড্রাইভার বা মিস্ত্রীর মাইনের একেবারে সোজাসুজি তুলনা করেছেন। তাহলে কি দুটোই সত্যি ! এইখান থেকে শুরু হয়ে যায় আমাদের লেখাপড়াশোনা যার সরল অর্থ হল আজকের পড়ার মধ্যে নতুন ও পুরোনো সবরকমের কথাই থাকবে, নারী ও আনাড়ি সকলের কথাই নামে ও বেনামে থাকবে।
নারীদিবসঃ ১। হিংসা কি শুধুই শারীরিক ? : তির্যক
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১২ মার্চ ২০১৫ | ৯৬৬ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
আমি এইরকম একজন মহিলাকে দেখেছি যাঁর স্বামী একটা ছোট কারখানায় কাজ করতেন। একটাই ছেলে, কলেজে পড়ছিল। স্বামীর আয়ের যেটুকু হাতে আসতো তাই দিয়েই সাধ্যমত সংসার চালাচ্ছিলেন মহিলাটি। কিন্তু পই পই করে বলেও স্বামীকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে পারেননি একবিন্দু, আর পারেননি কিছু সঞ্চয় করাতেও। মধ্যবয়সের যাবতীয় পরিচিত ব্যাধিই ভদ্রলোকের শরীরে ছিল, রক্তের উচ্চচাপ, শর্করা মাত্রাও ছিল বিলক্ষন চড়া। তাই নিয়েই তিনি নিয়মিত ধূমপানে আর মদ্যপানে যতটা অভ্যস্ত ছিলেন ততটাই নারাজ ছিলেন ডাক্তারে-ওষুধে। ভদ্রমহিলা চেষ্টা কম করেননি কিন্তু ‘মেয়েছেলে’র কথায় কান দেওয়াকে কবেই আর পুরুষোচিত কাজ বলে ধরা হয়! ফল যা হবার তাই, একদিন অফিসে কাজ করতে করতেই শিয়রে শমন। মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ। দুদিন হাসপাতালে যুদ্ধের পর ভদ্রলোক চলেই গেলেন একেবারে।
ইতি রবীন্দ্রনাথ : তির্যক
বুলবুলভাজা | বাকিসব : নেট-ঠেক-কড়চা | ১৬ মে ২০১১ | ৮৩১ বার পঠিত
চিঠি লেখা যে এমন
রুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে তা দেখিয়েছেন তিনি । নিজের জীবনে তিনি শুধু চিঠিই লিখেছিলেন হাজার পাঁচেক, যে
লো পড়ে, ট¥কে, বিশ্লেষণ করে শত শত বাঙালী বিদ্বান হয়ে গেছে । যেকোন ব্যক্তির লেখা চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করতেন, জবাবও দিতেন নিজের দুর্দান্ত হÙ¡¹ক্ষরে, কিন্তু জনসাধারণের উদ্দেশ্যে খোলাচিঠি লেখেননি কখনও । নিজের জীবনের দেড়শো বছরে এস এম এস, ব্লগ, স্ক্র্যাপ নির্ভর আধুনিক বাঙালীকে নিজের ভাবনার কথা ফেসবুক মারফৎ জানালেন রবীন্দÊনাথ ।
শব্দ বদলে যায় : তির্যক
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ | ৮৩২ বার পঠিত
গত লোকসভা নির্বাচনে এইরকম একটি আপাত:নিরীহ শব্দ আমাদের খবরের কাগজের পাতায় উঠে এসেছিল। কথাটা হল "নিরপেক্ষ", অর্থাৎ যিনি কোন পক্ষেই মতামত দেন না। শব্দটা প্রশংসাসূচক। কিন্তু সত্যিই যিনি কারুর সাতে-পাঁচে থাকেন না, কাউকে ভালো-মন্দ বলেন না, তাঁকে ভালো বলার বা ভাবার কি কোন কারণ আছে? এইরকম লোক কিন্তু কোন অন্যায়েরই প্রতিবাদ করবেন না; ভেবে দেখুন তো, বাস্তবে তেমন লোকের ওপর আপনি কতটা ভরসা করতে পারবেন? আর আদালতের জজসাহেব এইরকম নিরপেক্ষ হলে তো কোন মামলারই কোনদিন নিষ্পত্তি হবে না!
রেখেছো মামণি করে : তির্যক
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০২ ডিসেম্বর ২০০৭ | ৫৬১ বার পঠিত
বাংলা বা হিন্দি সিনেমা বা টিভি সিরিয়াল একটু-আধটুও যারা দেখে থাকেন তারা একমত হবেন যে মানুষের জীবনের একমাত্র সমস্যা হল বিবাহ বহির্ভূত সন্তান। গল্প যেমনই হোক তার কোনো এক পর্যায়ে শিক্ষিত, প্রাপ্তবয়স্ক এক মহিলা (সবকিছু জেনেশুনেও) স্রেফ আকাট মূর্খের মতো গর্ভবতী হয়ে পড়বেন, সেই সন্তানের পাষাণহৃদয় বাবা পারিবারিক সম্মান, লোকলজ্জা ইত্যাদির ভয়ে কাতর হয়ে গর্ভপাত করাতে চাইবেন আর মহিলাটি ছলোছলো চোখে বলবেন "বাচ্চাটার তো কোনো দোষ নেই!" তবেই না! তবেই না তাবৎ দর্শককূল ছলোছলো চোখে বলবেন "আহা মায়ের মন!" (আর সিরিয়ালের টিআরপি উঠবে চড়চড় করে! )
মুখোমুখি : আমি ও আমি নয় : তির্যক
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২১ ডিসেম্বর ২০০৮ | ৫৫৭ বার পঠিত
বুঝতেই পারছেন, এটাকে ঠিক লেখা বলা চলে না, বরং ধরুন একটা তর্কাতর্কি : আমার সঙ্গে তির্যকের। এটা প্রায়ই হয়, হয়েই চলে, আমি যা ভাবি ও ওর তির্যক দৃষ্টিভঙ্গিতে সেগুলো নস্যাৎ করে দেয়। ওর যুক্তি আমি মেনে নিতে পারি না, কাটতেও পারি না। সে এক বিড়ম্বনা বটে ! কিন্তু কলম, ঘড়ি ইত্যাদি বদলবদলি করেও এখনও ঠিকানা কি টেলিফোন নম্বর তো বদলাবদলি করিনি, তাই আমি আন্তরিকভাবে চাই আমি যেটা পারলাম না, কেউ সেটা করুক, অর্থাৎ তির্যকের যুক্তিগুলো কেটে দিক। তাই এই আলোচনা গোটাটাই তুলে দিলাম, এবার সব আপনাদের হাতে।
খেতে পারি কিন্তু কেন খাবো! : তির্যক
বুলবুলভাজা | খ্যাঁটন : খানা জানা-অজানা | ১২ আগস্ট ২০২১ | ২৪৭১ বার পঠিত | মন্তব্য : ৪
এতদিনে পান্তাভাত কি ও কয় প্রকার, কতখানি স্বাস্থ্যকর, কতটা জিভে জল আনা, কোথায় কোথায় কি কি নামে ডাকা হয় কি কি দিয়ে খাওয়া হয় - সব আপনি মোটামুটি জেনে গেছেন। ভেবে কি একটু অবাক লাগছে, যে এতই পুষ্টিকর ও উপাদেয় আদ্যন্ত দেশী খাদ্যটিকে চিনে-জেনে নিতে অস্ট্রেলিয়ার মাস্টারি দরকার হল কেন? প্রশ্নটা সহজ, কিন্তু উত্তরটা কিঞ্চিৎ জটিল, ধাপে ধাপে পৌঁছতে হবে।