আসুন দেখে নিই এক্সিট পোলের ভিতরের রহস্য ... ...
যৌন আধিপত্য নানা স্তরীয়। কে যে কাকে সুবিধে দেয় আর কে সুবিধে নেয়, বোঝা দায় বাইরে থেকে। বিস্তর ন্যাকাপনা করে, ক্লিভেজ বা কেশরাশি ব্যবহার করে কাজ হাসিল করা মেয়েদের সংখ্যা নেহাৎ কম নয়। পোশাক যখন স্টাইল স্টেটমেন্ট তখন তার মাহাত্ম্য আলাদা। তখন বিকিনি সুন্দর। স্প্যাগেটি টপ সুন্দর। হটপ্যান্ট সুন্দর। আবার আপাদমস্তক ঢাকা মধুবালাও সুন্দর। কিন্তু কোনটা স্টাইল স্টেটমেন্ট আর কোনটা সিডাকশন স্টেটমেন্ট সেটা তো বুঝতে হবে। ... ...
আর দায় নেই চুপটি থাকার, বলব যা আজ চাইবে মন, ভক্তকূলও ঝুঁকিয়ে মাথা, ঘুরবে পিছে সর্ব ক্ষণ। গান্ধীবাড়ির হিসাব জিগাই, ঠিক ভুলে যাই আম্বানি, নীরব, মেহুল ? - দূর মহাশয়, সবার কি আর নাম জানি? নারদাতেও যেমনি টাকা, নেয়নি মোটে ভোন্দুও, গ্রিটিংস কার্ডেই খাম ভরা সব, পাঠিয়েছিল বন্ধু ওর। ... ...
ব্রিজভূষণ উত্তর প্রদেশের গোন্ডা জেলার কাইজারগঞ্জ থেকে শাসকদলের সাংসদ। কুস্তি নিয়ে বরাবরের একটা আগ্রহ ছিল, তাই বিভিন্ন আখড়ায় স্থানীয় কুস্তির প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে করতে সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি হয়ে গেছেন সে প্রায় এক দশক হল। তবে তাঁর বায়োডেটার দুটি উল্লেখযোগ্য অঙ্গ হল, ১৯৯২তে দায়ুদ ইব্রাহিমকে সাহায্য করার অভিযোগে টাডায় গ্রেফতার হন, ছাড়া পান ১৯৯৯তে। আর অবশ্যই বাবরি মসজিদ ধ্বংসের অভিযোগে সিবিআই দ্বারা অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত। যদিও ২০২০তে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ক্লিন চিট পেয়ে গেছেন। তবুও অভিযোগগুলো ছিল। ... ...
দিল্লির সচিবালয় 'অসংসদীয়' শব্দের একটি নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় থাকা শব্দগুলিকেই এই লেখায় কেটে দেওয়া হয়েছে। শুধু এই কটি শব্দই তালিকায় আছে, তা অবশ্যই নয়। পূর্ণাঙ্গ বিবরণের জন্য সচিবালয়ের নির্দেশনামাটি দেখে নিন। ... ...
যাত্রা, চলচ্চিত্র সব ধ্বংস করে দিয়ে আমরা পরীমণির কাছে আশা রাখছি সে ছ্যাঁচোরের মতো দু চার পয়সা রোজগার করে কোনরকমে চেয়ে চিন্তে জীবন কাটিয়ে সতীত্বের পরকাষ্ঠা দেখাবে। সব দায় পরীমণির। যখন তার সামান্য চোখের ইশারায় সে বুভুক্ষু পুরুষকে বাগে নিতে পারে ,তুড়ি মেরে আয় করে নিতে পারে অঢেল অর্থ, বিলাসী জীবন। শরীরের বিনিময়ে যে অর্থ বিত্ত সহজলভ্য, তা গ্রহন না করে নিজেকে সতী সাধ্বী রাখার দায় কেবল পরীমণির। এর সব দোষও হয়তো পরীমণির। ... ...
যোহন বলিলেন, মানুষের যা অসাধ্য কাজ, কেমন করে সাধিব তা আজ। প্রভু বললেন, মনুষ্যের কথা ছাড়। পশ্চিমে তাকাও। বিস্তীর্ণ গোবলয় থেকে দেখ নিয়ে আসছি কেন্দ্রীয় বানরসেনা। এ বাহিনীতে প্রবেশ করতে গেলে সুললিত রাষ্ট্রভাষা জানা আবশ্যক। কোনো বঙ্গীয় যিহাদি এর মধ্যে প্রবেশে সমর্থ নয়। এরা কর্তার ইচ্ছায় কর্ম ও হুপহাপ করে। ব্যবহার কর। শব্দের মাধ্যমে ধর্মপ্রচার না হলে বজ্রপাতের ব্যবস্থা কর। ... ...
এই বাঙালি হিন্দু ভদ্রলোকেদের আব্বাস বিরোধিতার আসল কারণ তার লুঙ্গি ও টুপি হলেও, তারা কখনো সে কথা প্রকাশ্যে লেখেন না। এই যে আব্বাস ও তাঁর মত মেহনতী জনতার পোষাক লুঙ্গি নিয়ে না লেখা, সেই প্রসঙ্গ না তোলা, কথা না বলা, এই স্নবারিই এঁদের সুপ্ত ইসলামোফোবিয়াকে প্রমাণ করে। ... ...
ছোটবেলায় আমরা সাহিত্যিকদের নামের তালিকা বানাতাম। দেখতাম সব বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখোপাধ্যায়, চট্টোপাধ্যায়, গঙ্গোপাধ্যায়তে ভর্তি। মানে ভট্টাচার্য, চক্রবর্তীর সংখ্যাও কম।শিবরাম অবশ্য একাই একশো। কৌলিন্যের এমন দাপট। "ঢোঁড়াই চরিত মানস" টাও ভাদুড়িতে চলে গেল।ঐ একজন বুদ্ধদেব বসু বা বিমল কর বা রমাপদ চৌধুরি পেলে "ঐ তো রে আছে" মার্কা এক্সপ্রেশন। এটি সংগীত শিল্পীদের ক্ষেত্রেও তাই। এ তো গেল মজার কথা।কিন্তু তত মজা নয়। ব্রাহ্মণ্যবাদী সংস্কৃতি যে সাহিত্য বহন করে আমরা শুধু তাই জেনেছি সিস্টেমের চাপে। আমরা ঢোঁড়াই দের আসল গান শুনিনি।চাপা পড়ে গেছে।শেষ হয়ে গেছে।এথনিক বলে মিউজিয়ামে সাজিয়ে রাখলে আহা বাহা পাওয়া যায়। ক্ষমতা কে ছাড়তে চায়? এখন যে ট্রোলিং হচ্ছে, তা ঐ ক্ষমতা চলে যাবার আশংকায়। ... ...
অথচ এই হাড়গিলেরা একদিন কলকেতাকে প্রায় ‘জোড়াসাঁকো পার্কে’ পরিণত করেছিল। শুধু কলকেতা নয়—ঢাকা, রেংগুন, গৌহাটি—প্রায় সব ক-টি বড়ো শহরই! তালঢ্যাঙ্গা চেহারা... বগের ঠ্যাং-এর পা... পিঠের ইয়া বঢ়কা পালকগুলিরই যত দ্যাখনশোভা... তারপর সেই যে শাপলার ডাঁটার মতো গলা চলছে তো চলছেই... মাঝে গলকম্বল... শেষ হল গিয়ে কাগের বাসার মতো একমাথা উশকোখুশকো মুণ্ডুতে আর দেড়ফুটিয়া লোহার পাতের মতো চঞ্চুর খাইখাই চাঞ্চল্যে! ... ...
এই ধরণের বিভেদকামী চরিত্রের পবিত্র গ্যল ভূমিতে, মহান গ্যল ঐতিহ্যের সাথে কোন সংস্রব থাকতে পারেনা। সর্বোপরি টিনটিন বেলজিয়ান এবং বিদেশী। এই দাবীর চরম পরিণতি হিসেবে, তাঁরা ‘আরেকবার ধাক্কা দাও, মার্লিনস্পাইক গুঁড়িয়ে দাও’ হুঙ্কারে সেই প্রাচীন প্রাসাদটি ধূলিসাৎ করেন। সারা ফ্রান্সে অ্যাস্টেরিক্সের মন্দির-সৌধ-সংগ্রহশালা তৈরীর জন্য দাবী ওঠে। টিনটিন অনুরাগীদের প্রতি বিদ্বেষ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়। প্রচুর ভাংচুর-দাঙ্গা হাঙ্গামা হয়। টিনটিন অনুরাগীদের বেলজিয়াম চলে যেতে বলা হয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় টিনিটিনের কুকুর কুট্টুসের মূর্তির নীচে ‘ডগমাটিক্স’ (ওবেলিক্সের কুকুরের নাম) লিখে দেওয়া হয়। ... ...
পড়াশুনা যারা টুকটাক করেছেন, তারা অনুভব করেছেন যে ইহা মূলতঃ দুই প্রকার - ডিরেক্ট রিডিং এবং ইনডিরেক্ট রিডিং। ডিরেক্ট রিডিং অর্থাৎ যে বই আমি নিজে পড়েছি এবং তা থেকে জ্ঞান আহরণ করেছি। যেমন শার্লক হোমস অমনিবাস, দা ভিঞ্চি কোড ইত্যাদি। ইনডিরেক্ট রিডিং অর্থাৎ যা আমি নিজে পড়িনি কিন্তু আমার বন্ধুরা পড়েছে বা পড়েছেন, তা থেকে জ্ঞান আহরণ করেছেন এবং সেই লব্ধ জ্ঞান ইতিউতি বিতরণ করেছেন এবং আমি সেই বিতরিত জ্ঞান আহরণ করে বইটির মূল বিষয়বস্তু এবং বিভিন্ন খুঁটিনাটি সম্বন্ধে জেনেছি। যেমন বোদলেয়ারের দর্শন, দান্তের কাব্য ইত্যাদি। জ্ঞান আহরণের এই দুটি সর্বজনমান্য পদ্ধতিকে আদি যুগে স্মৃতি ও শ্রুতি নামে অভিহিত করা হত। ... ...
লকডাউন পিরিয়ড কর্মহীনতাকে মাত্রাছাড়া করে তুলেছে। ধুঁকতে থাকা অর্থনীতির ফাঁদে পড়ে বহু ছাত্রকেই আয়ের পথ খুঁজে বেড়াতে হচ্ছে। যে ছাত্রকে আজ সুদিনের আশায় অব্যহতি দেওয়া হল সে ফিরতি বছরে আদৌ স্কুলমুখী হবে কিনা তা বলা মুশকিল। গোটা বিশ্বেই এই আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে যে অতিমারীর প্রকোপ কাটলে ভয়াবহ ড্রপ আউট হতে চলেছে স্কুল কলেজে। ভারতে এর মাত্রা যে ঠিক কত ভয়াবহ হতে পারে তা আন্দাজ করাও মুশকিল। জিরো অ্যাকাডেমিক ইয়ারের প্রাথমিক অব্যহতি নড়িয়ে দিতে পারে ফিরতি বছরের শিক্ষার্থীর হারকেই। তাছাড়া শিক্ষাব্যবস্থা নিজেই অর্থনীতির একটা বড় অংশ। এই গোটা ব্যবস্থার সাথে যুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ভিতর বিভাজন কম নয়। ... ...
পপুলার ছবি, তার জন্মলগ্ন থেকেই, দায় নিয়েছে ভারতের অতি-জটিল রাজনীতির মুখ্য প্রবক্তা হবার, আবার সে রাজনীতির বিনোদনের যোগান দেবারও বটে।ভারতীয় রাজনীতি-- এবং তার বিনোদনের চাহিদা-- পালটায় প্রতি দশকে, পালটায় তার জননীতি, জনসমর্থন এবং অনুভাগগুলি। সংস্কৃতির এক বিচিত্র নিয়মে অন্তত পঞ্চাশের দশক থেকেই হিন্দি ছবি তাল মিলিয়ে চলছে এই পরিবর্তনশীলতার সঙ্গে। একে শুধু রাষ্ট্রীয় রাজনীতির অনুগমন বললে ভুল হবে, বরং হিন্দি ছবির রূপান্তর অনেকসময়েই তার সহোদরা-- দেশীয় রাজনীতির সাথে সম্পূর্ণ সমান্তরাল, কখনও কখনও মাসেরও বিলম্ব হয় না, উনিশশো পঁচাত্তরের জরুরী অবস্থার (জুন) বজ্রনির্ঘোষের ক’মাস আগে পরের মধ্যে রিলিজ করে যায় ‘দিওয়ার’ (জানুয়ারী) এবং ‘শোলে’ (অগস্ট)। দুটি ছবিই প্রবল প্রতিষ্ঠানবিরোধী এবং ভিজিল্যান্টিজমের সমর্থক; একপাশে দস্যুরূপী অসুরদলনের রূপকথা, অন্যদিকে সমসাময়িক ধূমায়িত গণ-অসন্তোষের আগুনে হাত সেঁকা। গব্বর সিং আপাত-অরাজনৈতিক, কিন্তু সে কী সত্তরের ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রশক্তির প্রতিভূ নয়? ... ...
হনুমানের লগে শেষ দেখা কথা মনে হয় সীতার। রাম রাজা হইবার পর সবাইরে প্রচুর দান-দক্ষিণা করে। সীতার গলায় সে পরায়া দেয় মূল্যবান একটা মুক্তার মালা। সীতা মালাটা পাইয়া আগায়া যায় হনুমানের দিকে- রানি হিসাবে এই মালাটাই আমার প্রথম আর এখন পর্যন্ত একমাত্র সম্পদ। মালাটা আমি তোমারেই দিতে চাই… হনুমান বিনীত হয়- বানরের গলায় মুক্তার মালা দিবা? যদি সারা জীবন এই কৃতজ্ঞতা ধইরা না রাখা যায়? সীতা কয়- তোমার কি মনে হয় ডর দেখাইলে আর ডরানোর মতো জায়গা বাকি আছে আমার? রাজ বাড়িতে বড়ো হইছি। কূটনীতিকের লগে যে আত্মীয়তাও বেশিদিন টিকে না সেইটা জানি। রাবণের বড়ো পছন্দের মানুষ আছিলা তুমি। সেই রাবণের কী দশা তুমি করছ সেইটা তো সকলেই জানে। তোমার কাছে আমার কোনো প্রত্যাশা নাই; আছে বেসুমার কৃতজ্ঞতা। এই মালাটা তুমি গ্রহণ করো… ... ...
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাঝারি মাপের কারখানার মালিক জানান, 'ভারতের সরকার যে শুধু তার শ্রমিকদের দেখভাল করে তা নয়, বিদেশী শ্রমিকদের প্রতিও দয়ালু। সে কারণেই আমরা ভারতপন্থী'। তিনি আরও জানান, যে, চিনা সরকার স্থানীয় শিল্পকে রক্ষা করতে উদ্যোগী না হলেও ভারত থেকেই এসেছে এক কোটি ফেস্টুনের অর্ডার। যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে ছাপা হচ্ছে। কলকারখানা আবার জেগে উঠেছে। শ্রমিকরা পাচ্ছেন ওভারটাইম। এখনকার মতো সংকট মিটল বলেই আশা করা যাচ্ছে। ... ...
হনুমান বিভীষণের চোখে চোখ রাখে- কাগুমামা। আপনের মতো ভাই খেদায়া নিজে রাজা হইবার শখ তারো আছে। ধর্মশপথ করা বামুনগো কথা অবিশ্বাস কইরা অভিশাপের ভাগ নিতে চাইব না সে। বামুনগো অভিশাপ নিয়া বাড়ি ফিরলে বশিষ্ঠরে দিয়া সীমান্তেই তারে ঠেকাবে ভরত। …তবে পরীক্ষা শুরুর আগেই আপনের বামুনগো বড়ো বড়ো ঘরানা আর অভিশাপ টভিশাপের কাহিনী তারে একটু শোনায়া দিয়েন… ... ...
- খুব তো কেরল কেরল করো, দেখলে তো পনের বছরের প্রেগন্যান্ট হাতিটার কী হাল করল কেরালার লোক গুলো? - হ্যাঁ, খারাপ লাগলো খুব। কারা যে করলো? কেন যে করলো? - কারা আবার? মানেকা গান্ধীর স্টেটমেন্ট পড়নি। মাল্লাপুরে! মাইনরিটি এলাকা! কেরালায় বছরে ৬০০ হাতি মারা পড়ে বলেছেন। - হ্যাঁ দেখলাম, টুইট করেছেন ৩রা জুন। কিন্তু বুঝলাম না কী বলছেন! ভারত সরকার সংসদে ২০১৯ সালে একটা প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন ভারতে গড়ে বছরে ৫৬.৬ টা হাতি মারা যায়। ২০১৯ এর ফেব্রুয়ারি মাসের কোনো একটা তারিখে দ্য হিন্দু পত্রিকায় বেড়িয়েছিল যে ২০১৮ সালে ৭৫টা হাতি মারা গেছে এলিফেন্ট সেন্সাস অনুযায়ী। ৬০০ র অঙ্কটা ঠিক কোথায় পাওয়া গেল? ... ...