এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • অসীম নন্দনের উপন্যাস: বেঁচে থাকাটাই লিরিক্যাল (১ম পর্ব)

    asim nondon লেখকের গ্রাহক হোন
    ০১ জুন ২০২৫ | ৭২ বার পঠিত
  • প্রথম পর্ব
    প্রস্তাবনা: 

    পাঠকের সুবিধার জন্য আমার এই উপন্যাস সম্পর্কে কিছু কথা বলে রাখা ভালো। এটাই আমার প্রথম উপন্যাস। ২০২২ সালে লেখা শেষ করেছি। বলা যায় প্রথম চেষ্টা। চেষ্টা কতটুকু সফল? সে কথা পাঠক ভালো বলতে পারবেন। তবে গত ৩ বছর বেশ কয়েকবার ঘষামাজা করেছি। আমার এই উপন্যাসের প্রায় সবগুলো অধ্যায় ১টি গানের লিরিকের নামে বিভক্ত। গানটির গীতিকার ও গায়ক বাংলাদেশের সনামধন্য সঙ্গীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান। তবে শেষের দিকের কয়েকটি অধ্যায়'কে আমি চলতি কিছু কথা'র নামে রেখেছি। মানে প্রবাদতুল্য কথা। যেমন: ম্যান ইজ আ পলিটিকাল এনিমাল। আবার গল্পের প্রয়োজনেও অধ্যায়ের নাম আছে। যেমন: মাথায় হাড় নেই, চাপ দেবেন না প্লিজ। তবে অধিকাংশ অধ্যায়ের নামই এসেছে সঙ্গীতজ্ঞ সায়ানের ১টি জনপ্রিয় গান থেকে। গানটির নাম, এক হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর সাথে। পাঠকের কাছে অনুরোধ, যদি গানটা না শুনে থাকেন; অবশ্যই অন্তত ১ বার হলেও শুনবেন। পাঠক ভাবতে পারেন, এজন্যই হয়তো উপন্যাসের নাম, বেঁচে থাকাটাই লিরিক্যাল। কিন্তু তা ঠিক নয়। লেখক তার দার্শনিক ভাবনা থেকেই এই নামটা ঠিক করেছেন। বাকী যে কথা থেকে যায় তা পাঠকের কল্পনার জগতের সাথে লেখকের কল্পনার জগতের এক দ্বান্দ্বিক সংযোগ এবং উপস্থাপনা। সকলের জন্য শুভ কামনা রইলো এবং সকলের মন্তব্য প্রত্যাশা করছি। 
     
    ছোট্ট বিজ্ঞপ্তি: উপন্যাসটা এখানে কয়েক পর্বে ধারাবাহিক ভাবে প্রতি রবিবার পোস্ট করবো। আপনারা যারা আগ্রহী তারা দয়া করে রবিবারের গুরু'তে চোখ রাখবেন। তো চলুন শুরু করা যাক! 
     
    এক হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর সাথে   

    ''বন্ধু শব্দটাই খুব নস্টালজিক।বন্ধুরা নানান ঘটনার সাক্ষী হয়।কারো কারো জীবনভর খুব খুব বন্ধু থাকে।থাকে নাকি সত্যি সত্যি? আবার কেউ কেউ প্রতি মুহূর্তে হারায়া ফেলে বন্ধুদের। ওল্ড স্কুল রিচুয়ালে আমরা আগে যেভাবে দোস্তি করতাম সেইটা অনেকটা এরকম।একজন হয়তো বলতো, চলো বন্ধু হয়ে  যাই আমরা।বলার পর, হাতের অনামিকা এবং কনিষ্ঠতম আঙুল ছুঁয়ে হ্যান্ডশেক করে বন্ধু  হতাম।এইটা নব্বইয়ের দশকের সকল বাচ্চারাইজানে। মানে এই রিচুয়ালের কথা।আর নব্বইয়ের দশকের আগের  দশকগুলার বাচ্চাকাচ্চারাও এইটা জানে।তবে ২০২২ সালের বাচ্চারা কি এইটা জানে? তারা জানে কিনা, আমি তো জানিনা। এই বিষয়টা নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে।মানুষজন ভাবতে পারে এইটা কোনো গবেষণা করার বিষয় হলো নাকি? যারা মনে করে এইটা কোনো গবেষণার বিষয় না, তাদের স্মরণে রাখা উচিত পৃথিবীতে এই মুহূর্তে না হলেও কয়েক বিলিয়ন মানুষ নিঃসঙ্গতায় ভুগতেছে।এবং তাদের মধ্যে না হলেও প্রতি সেকেন্ডে অন্তত একজন সুইসাইড এটেম্প নিতেছে। গুগল করলেই জানা যায়।প্রতি ৪০ সেকেন্ডে অন্তত একজন মানুষ সুইসাইড করে মারা যায়।এবং বছরে সংখ্যাটা এক মিলিয়ন।এখন তাহলে সুইসাইডের সাথে বন্ধুর  সম্পর্ক আসলে কী? সম্পর্ক এইটাই যে, মন খুলে কথা বলার মতন মানুষ থাকলে হয়তো এই সুইসাইডের ঘটনা ঘটতো না।'' 

    বন্ধুদের কথা ভাবতে গিয়ে সুইসাইডের ভাবনাটা যেন কেমন খাপছাড়া লাগলো  আমার কাছে।খাপছাড়া কিন্তু আবার লজিক্যালও।আমি কথাগুলাকে বারবার উল্টেপাল্টে পুনরায় সিরিয়াসলি ভাবলাম।যে লোকটা এই কথাগুলা বলছে তার  দিকে সরু চোখে তাকালাম। একটা ১০টা- ৫টা গসিপওয়ালা ছাপোষা জবহোল্ডার।লোকটার মোটিভ আসলে কী? জানা  দরকার। সে-ও তাকালো।এবং চুপ করে গেল। আমার বডি ল্যাঙ্গুয়েজেই হয়তো চুপ  করে গেছে। এইটা খুবই গুবলেট অবস্থা।মানে আমার বডি ল্যাংগুয়েজেই একটা অস্বস্তির ছায়া।ছোটবেলায় আমিও তো কত কত  রিচুয়াল করে বন্ধুত্ব করছিলাম।আমাদের তো আড়ি দেয়ারও একটা  স্টাইল ছিল।বুড্ডা আঙুলে কাচকলা দেখিয়ে আড়ি দিতাম আর কথা অফ করে দিতাম।তারপর মিটমাট হলে আবার রিচুয়াল করে দোস্তি করতাম।আমার জীবনে আমি কাকে প্রথম বন্ধু বানিয়েছিলাম তা আর এখন মনে পড়ে না। মানে ঐ রিচুয়াল করে আরকি।আমার প্রথম বন্ধু হয়েছিল দুইজন একইসাথে। অ এবং আ।অ এবং আ’র মাঝে আবার একরকমের বিরূপ সম্পর্ক মানে অন্যভাবে বললে ঝগড়ার মতন ছিল। আমি অবশ্য দুইজনেরই কমন ফ্রেন্ড ছিলাম। এবং একটা ব্রিজের মতন কাজ করছিলাম।অ’র খবর আ'কে এবং আ'র খবর অ'কে দিতে দিতে একসময় কেমনে কেমনে যেন আমরা তিনজন বন্ধু হয়ে উঠেছিলাম ছেলেবেলার আই মিন নেংটাকালের দোস্ত। আরকি।  
    যাক।আমি লোকটার দিকে অস্বস্তিতে তাকিয়ে গলা খাঁকারি দিয়ে একটু গলাটা পরিষ্কার করে নিলাম।তারপর বললাম, মাফ করবেন।আপনি হঠাৎ এরকম কথা বললেন যে? 

    লোকটা তার ঠোঁটের কোণায় স্মিত হাসিঝুলিয়ে উদাস গলায় বললো, এমনিই।এই বাসস্টপে বসে বসে বাসের অপেক্ষায় হঠাৎ মনে হলো।মানে সায়ানের একটা গান শুনতেছিলাম।এক হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর সাথে।এই গানটা শুনতে শুনতেই আরকি।  

    আমি মাথা ঝাকিয়ে একটু পজিটিভ এপ্রোচ দেখালাম।তখন লোকটা আঙুল দিয়ে একটা অন্যলোককে দেখালো। বাসস্টপের অপরপাশে একটা দেয়ালে লেখা "এইখানে প্রস্রাব করা নিষেধ--আদেশক্রমে সিটি করপোরেশন"; সেখানেএকটা লোক মনের সুখে প্রস্রাবের শেষে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে প্যান্টের ভিতর হাত ঢুকিয়ে কুলুপ করছে।  
     
    লোকটা বিতৃষ্ণা নিয়ে বললো, এদেশের মানুষ কোনোদিন সভ্য হবে না।দৃশ্যটা খুবই বিশ্রী লাগে।হঠাৎ দেখলে মনে হয় রাস্তায় দাঁড়িয়ে যেনমাস্টারবেট করছে।কুলুপ কিংবা মাস্টারবেশন কোনোটার ব্যাপারেই আমার অভিযোগ নেই।তবে ঘটনাটা প্রাইভেট প্লেসেই সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। এইটাই তো সভ্যতা।অথচ এইদেশের মানুষকে এই ব্যাপার বোঝাবে কে? অথচ কত শিক্ষিত ভদ্রলোক গোছের লোককেও দেখলাম, খোলা জায়গায় এরকম প্রস্রাব করতে; প্রস্রাবের পর মনের সুখে প্যান্টের ভিতর হাত ঢুকিয়ে অসভ্যের মতন কুলুপ করে এরা যে কীসুখ পায়! আল্লাহ মালুম।  

    এই বিষয়ে আমি আর কোনো কথা এগোতে চাইলাম না।খুবই সেনসেটিভ ইস্যু।যে কোনো সময় ধর্মীয় অনুভূতির আইনে জেল হয়ে যেতে পারে।বিগ ব্রাদার মানে বড় বড় ভাইদের চোখ-কান খোলা থাকে সবসময়; হয়তো আমারকথাই ফিল্টার করে শুনে ফেলবে।আর তারপর থানা পুলিশ কোর্ট কাচারি ইত্যাদি নানান রকম ঝুট ঝামেলা ।তাই চুপ থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।তাই চুপ থেকে জাস্ট টপিকটাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলাম।এই দেশের মানুষ তো আজীবনই এরকম ছিল, আছে এবং থাকবেও।যেদিন প্রথম পদ্মাসেতু উদ্বোধন হলো, সেদিনও একটা লোক নতুন সেতুর উপরে মূত্র বিসর্জন করে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। অথচ লোকটার কোনো জরিমানা হয় নাই।  

    বাস এসে গেল। আমরা ভিড় বাসে উঠলাম ঠেলাঠেলি করে।জীবনযুদ্ধ! লোকটার নাম জানা হলো না।থাক। এই শহরে কতই তো মুখচেনা অথচ নামহীন পরিচয় আছে।সেগুলার সাথে থাক এই লোকটাও। 

    দেখ, নীল নীল নীল আকাশের মত অনন্ত হাহাকার 

    কোনো কোনো দিন এমন হয়, সারাদিন মাথার ভিতর কোনো এক গানের একটা লাইনই কেবল ঘুরতে থাকে। একটাই সুর।যেন আর কিছু নাই দুনিয়ায়।আপনি গান গাইতে পারেন বা না পারেন, তাতে সমস্যা নাই।আপনার গলায় সুর থাকুক বা না থাকুক, কিচ্ছু যায় আসে না।মাথার ভিতর একটা লাইন একটা সুর যেন একটা হাহাকার হয়ে থাকে।  

    সকাল থেকেই সৈকতের মাথার ভিতর ১টা লাইন ভাঙা রেকর্ডের মতো বেজে যাচ্ছে।হরর সিনেমাগুলাতে যেমন ভৌতিক ১টা বাড়িতে হঠাৎ হঠাৎ গ্রামোফোন বেজে উঠে, ঠিক একইভাবে।হঠাৎ বেজে উঠে থেমে যায়।আবার বেজে উঠে। আবার থেমে যায়।একটা হাহাকার তৈরি করে।সৈকতের নিজেকে ভুতগ্রস্তের মতো লাগে।  

    সকালে নাস্তার সময় থেকে এই ব্যাপারটা শুরু হয়েছে।আম্মা রুটি এনে টেবিলে রেখে চলে গেল রান্নাঘরে।আর তখনই এই একটা লাইন, একটা সুর।স্কুলে যেতে যেতেও। ক্লাসে বসে বসেও।অই একইরকম।অথচ সৈকত একদমই গান গাইতে পারে না। কোনোদিন শেখে নাই। তবুও।আর যখনই ভাঙা রেকর্ডার শুরু হয়ে যায়,সৈকত অন্যমনস্ক হয়ে পড়ে। উদাস লাগে।
    জীববিজ্ঞানের স্যার।যাকে স্কুলের সবাই আড়ালে চিকা-হামিদ নামে ডাকে।স্যারের স্বাস্থ্য খারাপ তো তাই।সেই স্যার দুম করে সৈকতকে জিজ্ঞেস করলেন, এই দাঁড়াও।এখন বলো তো মাইটোকন্ড্রিয়াকে পাওয়ার হাউজ বলা হয় কেন? 

    সৈকত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল।উত্তরটা সে জানতো।কিন্তু ঠিক কাজের সময়ই তো নার্ভাস সিস্টেমে জটিলতা দেখা যায়।আর তাই ঘটলো সৈকতের।প্রশ্নের উত্তরের বদলে মাথার  ভিতর গানের লাইন ঘুরতে থাকলো। আর চিকা-হামিদ স্যার সৈকতকে ক্লাসরুমের দরজায় শাস্তিস্বরূপ কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখলেন।  
     
    গানটা সৈকত গত সপ্তাহে শুনেছিল।ইউটিউবে। ইউটিউবই সাজেশন দিয়েছিল।কেবল একবার গানটা  শুনেছিল সৈকত।গানের সব লাইন সে এখন ভুলে গেছে।শুধু ঐ একটা লাইনের সুর আর একটা ইমেজ মানে ১টা ছবি।দুই বছর আগে অষ্টম শ্রেণির স্কলারশিপ পরীক্ষা শেষে সৈকত তার বাবা-মায়ের সাথে সেন্ট মার্টিন ঘুরতে গিয়েছিল। অনেক মজা হয়েছিল।আব্বাকে কোনোদিনও আইসক্রিম খেতে দেখা যায় নাই।আইসক্রিম তো কেমন বাচ্চাবাচ্চা গোত্রীয়খাবার।আর আইসক্রিম খেতে চাইলে আব্বা সবসময় ধমকই দিতেন। জ্বর-ঠান্ডা এইসবের অজুহাতে আইসক্রিম কিনে দিতে চাইতেন না।কিন্তু সেই আব্বা তিনটা চকোবার কিনলেন। সমুদ্র-সৈকতে বসে বসে তিনজনের আইসক্রিম খাওয়া হলো।সেখানে আকাশ আর সমুদ্রের নীল মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে।সেই ইমেজের সাথে গানের লাইনটা সৈকতের মাথায় শর্ট-সার্কিট হয়ে গেছে যেন।এই ছয় মাস আগেই, গত রোজার ঈদের সময় সৈকতের আব্বা মারা গেলেন।ঈদের ঠিক দুই দিন আগে।তারাবির নামাজ শেষ করে, ডাব কিনে বাসায় ফিরছিলেন।  রাস্তা পারাপারের সময় একটা সিএনজি এসে ধাক্কা মারলো তাকে।তিনি গিয়ে পড়লেন ট্রাকের চাকার নিচে।ট্রাকটা ব্রেক কষেছিল।কিন্তু দুই সেকেন্ড লেট হয়েছিল ব্রেক কষতে। মাথাটা চাকার নিচে। ঈদ উপলক্ষে আব্বার নতুন কেনা নীল রঙের পাঞ্জাবীটা এখনো ভাঁজ খোলা হয় নাই।
     
    (চলবে...)

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    প্রথম পর্ব
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন