এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • শান্তনীড় রহস্য - ৩ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৩ এপ্রিল ২০২২ | ৯১২ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • ঈশানলাল একটা সিগারেট ধরাল। মুখ  দিয়ে বকবক করে মদের গন্ধ আসছে। সারাদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনি গেছে। ঠিকাদার তো আর বসিয়ে খাওয়াবে না। ঘুমে চোখ জড়িয়ে আসছে প্রকাশের। কিন্তু মালিককে তো খুশ রাখতেই হবে।  কাজ চলে গেলে নতুন কাজ পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে। কন্স্ট্রাকশানের কাজ ক'বছর ধরে মাটিতে প্রায় শুয়ে পড়েছে। তাছাড়া প্রকাশ ঈশান কুমারের কাছ থেকে তিরিশ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল উমার জরায়ুতে একটা অস্ত্রোপচারের জন্য। স্ট্যাম্প পেপারে টিপছাপ করিয়ে নিয়ে তবে টাকাটা দিয়েছিল ঈশান। তাই প্রকাশ দাঁড়িয়ে রইল অনুগত ভৃত্যের মতো। 

    ঈশান টাকাটা কখন চেয়ে বসে সেই ভয়ে প্রকাশ সিঁটিয়ে থাকে সব সময়। ঈশান অবশ্য টাকাটা ফেরত দেবার কথা মুখেও আনে না। সে এমনিতেই তো টাকার পাহাড়ে বসে আছে। তার এক টুকরো নুড়ি খসে গেলে তার কিছু যায় আসে না। কিন্তু কিছুদিন ধরে ঈশানের চোখের ভাষায় একটা অন্য ছায়া পড়েছে। প্রকাশের খুব ডর লাগছে সেজন্য। একদিন দুপুরবেলায় প্রকাশ ঘরে এসেছিল ভাত খেতে। সেই সময়ে ঈশান কি একটা কাজে প্রকাশকে ডাকতে এসেছিল। প্রকাশ খাচ্ছিল বলে উমা বেরিয়ে এসেছিল কথা বলতে। কথা আর কি, কোন ফ্ল্যাটের বাথরুমের ওয়াল থেকে জল লিক করছে বা ওই ধরণের কোন ব্যাপার। এটা দেখবার জন্য অন্য আরও তিন চারজন আছে। তাছাড়া এটা মোবাইলেই বলা যেত। এই তাকে ডাকতে আসাটা একটা বাহানা ছাড়া আর কিছু না, প্রকাশ ভালই বুঝতে পেরেছিল। 

    উমাকে দেখে ঈশানির চোখের তারা আচমকা  কেমন যেন ঝিলিক দিয়ে উঠল সেদিন। এটা প্রায় দু মাস আগের কথা। তার পর থেকে রাত্তিরবেলায় প্রকাশের ঘরের সামনে টহলদারি 
    শুরু হল ঈশান কুমারের। প্রকাশ ইদানীং প্রবল দুর্যোগের আভাস পেতে শুরু করেছে। ঈশানজীর ক্ষমতার পরিধি সম্বন্ধে ভালরকম আন্দাজ আছে প্রকাশ। তার বুক দুরদুর করে। 

    ঈশান বলল, ' শোন প্রকাশ .... এখানকার কাজ তো শেষ হয়ে এল। মধ্যমগ্রামে আমাদের একটা বড় কাজ শুরু হচ্ছে। তুই ওখানে চলে যা। একজনের থাকার জায়গা হয়ে যাবে .....'
    প্রকাশ জানে একটা কন্স্ট্রাকশান সাইটে অনেক লোকের  থাকার জায়গা থাকে। বিশেষ করে তার মতো একজন সামান্য মিস্ত্রির জন্য। তার ঘুম ছুটে গেল। ঈশানের নেশায় ঢুলুঢুলু চোখের দিকে সে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে  রইল। প্রকাশ আঁতকে উঠল মনে মনে। 
    ঈশান আবার বলল, ' তুই কাল সকালেই বেরিয়ে পড়। ওখানে কাজ স্টার্ট হয়ে গেছে। লোকের দরকার। প্রকাশ তোতলাতে তোতলাতে কোনরকমে বলল, ' এখানে এরা একা থাকবে ..... বাচ্চাটা আছে ..... ' 
    -------- ' আরে .... ওদের জন্য চিন্তা কিসের? আমি তো আছি। তাছাড়া আরও কত লোক আছে .……  কোন অসুবিধে হবে না। ওরা এখানেই থাকবে। ' 
    তারপর আদেশের সুরে বলল, ' কাল এগারোটার মধ্যে বেরিয়ে পড়। এই নে .... এটা রাখ ...... যাবার কিছু খরচা আছে ... লাগতে পারে।'  বলে, দরাজ ভঙ্গীতে একটা দুশো টাকার নোট বাড়িয়ে ধরল। প্রকাশ যন্ত্রের মতো হাত বাড়িয়ে টাকাটা নিল। না নিয়ে উপায় নেই।
    অসহায় ভঙ্গীতে মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে রইল প্রকাশ। অভ্যেসমতো মুখ দিয়ে অস্ফূট স্বরে বেরিয়ে এল ---- ' জি .... মালিক ... ' 

    ****************************************

    বৈশাখী সোলাঙ্কির সামনেই কলতান গুপ্তর নাম্বারে কল দিল। একবারেই লাইন লেগে গেল। ওদিক থেকে আওয়াজ এল ----- 'কলতান গুপ্ত বলছি। '
    ------ ' মিস্টার গুপ্ত ..... গুড আফটারনুন। আমি আগরপাড়া থেকে বলছি ..... '
    ----- ' হ্যা ... বলুন .... কোন প্রবলেম? মানে, প্রবলেম ছাড়া তো আমাকে কেউ স্মরণ করে না।' কলতানের কথা ভেসে আসে।
    ------- ' হা: হা: হা: ........ কি বলব বলুন তো .... সত্যিই একটা সমস্যায় পড়েছি। আপনার হেল্প চাইছি .... আমার এক বন্ধুরও একটা সমস্যা আছে। আপনার অ্যপয়েন্টমেন্ট পেলে  ব্যাপারটা ডিসকাস করা যেত। '
    ------- ' হ্যা ... নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই ..... কিন্তু আমি এখন কলকাতায় নেই ..... কদিনের জন্য বাইরে আছি। এ মাসের টোয়েন্টিফোরথ ফিরব। আপনি কাইন্ডলি ওই দিন বিকেলের দিকে কিংবা পরের দিন সকালে একটা কল দিন। ডোন্ট ওয়ারি ....আমি আছি আপনাদের সঙ্গে। আমি ফিরে এসে আমি আপনাদের সঙ্গে বসব। এ ক'দিন আমি একটু বিজি আছি ... '
    ----- ' অনেক ধন্যবাদ মিস্টার গুপ্ত। আমরা অপেক্ষা করব।' বৈশাখী জানায়।
    ------' ওক্কে .... থ্যাঙ্ক ইউ। ভাল থাকবেন। '
    লাইন কেটে যায়। বৈশাখী সোলাঙ্কির দিকে তাকাল। 
    ----- ' বুঝতে পারলি তো কি কথা হল? '
    ----- ' মোটামুটি ধরতে পেরেছি ..... কি বললেন উনি ..... পঁচিশ তারিখের আগে হবে না? ' 
    ------ ' হ্যা .... তাই তো বললেন। '
    ------ ' ও : ... এখনও পাঁচদিন। যাক .... কি আর করা যাবে। অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। আর কিছু বললেন? ' সোলাঙ্কি জানতে চায়।
    ------ ' না ... তেমন কিছু না। বললেন সাবধানে থাকতে। '
    ------ ' হমম্ ..... ' 

    নীলেশের সঙ্গীসাথী তেমন কেউ নেই। মিস্ত্রি মজুরেরা কেউ বিল্ডিং চত্বরের মধ্যে থাকে না। বেলা ফুরোলে তারা তাদের ঠেক বা আস্তানায় ফিরে যায়।  শান্তনীড় - এর পিছন দিকে বেশ 
    খানিকটা খোলা জমি আছে। এটায় এখনও হাত দেওয়া হয়নি। পাঁচিল তোলা আছে জমির সীমানায়। পাঁচিল ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে নানা তরুণ গাছের সারি। দেবদারু, কদম, রাধাচূড়া এইসব গাছের সারি। একটা তেঁতুল গাছও আছে। একটা শিমূল গাছও আছে। জমিতে পাঁচিল ওঠার আগে থেকেই আছে। সকালে বিকেলে বা দুপুরবেলায় ছোট্ট নীলেশ এখানে আপনমনে খেলে বেড়ায়। একা একাই খেলে। আপনমনে নানারকম কথা বলে কাল্পনিক কোন লোকের সঙ্গে। ছোটাছুটি করে বেড়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রাধাচূড়া আর আর শিমূল ফুল মাড়িয়ে মাড়িয়ে। আপনমনেই মাঝে মাঝে খিলখিল করে হাসে। নিজে নিজেই নানারকম খেলা আবিষ্কার করে এবং তাতে বিভোর হয়ে থাকে। 

    নীলেশের জামার বুকপকেটের সেলাই খুলে গিয়ে পকেট ঝুলছে। বগলের কাছে ছেঁড়া। জামার ওপরের দুটো বোতামের সূতো আলগা। কোনরকমে জামায় লেগে আছে। 
    নীলেশ মাটিতে ঝরে যাওয়া একটা কদমফুল নিয়ে লোফালুফি শুরু করল। আবার আপনমনে হাসতে শুরু করল খিলখিল করে। যেন অদৃশ্য আর এক খেলুড়ের সঙ্গে খেলে চলেছে সে। 
    পাপা তাকে আর মামিকে ফেলে রেখে কোথায় যেন কাজে চলে গেল আজ সকালে। যাবার আগে তাকে খুব আদর করে গেল। পাপা  কাঁদছিল কেন কে জানে। মামি ভি রোনে লাগি দি। নীলেশ কিছুই বুঝতে পারল না। পাপা  যাবার সময় মামিকে বলে গেল ---- ' বহৎ সামহালকে রহনা ..... '।
    প্রণবেশদের ফ্ল্যাটের পিছন দিকে একটা ছোট ব্যালকনি আছে। সেখানে মাঝে মাঝে দাঁড়িয়ে  গাছগুলোর দিকে আনমনে তাকিয়ে থাকে সোলাঙ্কি। বেশ একটা আবেশের পরত পড়ে মনে। 
    সোলাঙ্কি ওপর থেকে চেঁচিয়ে বলল, ' এই ছেলেটা আমায় খেলায় নিবি? '
    নীলেশ চমকে উঠে ওপর দিকে তাকাল। দেখল এক মেমসাহেব তার দিকে তাকিয়ে হাসছে। 
    নীলেশ ভীষণ লজ্জা পেয়ে ছুটে গিয়ে একটা বিল্ডিং কলামের আড়ালে লুকোল। সেখান থেকে উঁকি মেরে ওপর দিকে তাকিয়ে দেখতে লাগল তিনতলার ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ওই মেমসাহেবটা  কি জানি কেন হেসেই চলেছে।

    ( ক্রমশঃ : )
    ******************************************

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • প্রশ্ন | 151.197.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ০৬:৩০506853
  • একটা একটু অন্য প্রশ্ন ছিল। 
    প্রনবেশ দন্ত্য ন না মূর্ধ ণ? না কি কিছু এসে যায় না? 
     বানানবিদদের সাহায্য ​​​​​​​চাইছি। 
     
  • বিপ্লব রহমান | ২৬ এপ্রিল ২০২২ ১৭:২৫506923
  • বানানবিদ নই, তবে গুগোলমামা জানাচ্ছে, ওই বানানে “মূর্ধ ণ্য” হবে, তবে  “দন্ত্য ন্য”তে রহস্যের ক্ষতিবৃদ্ধি হয়নি।

    গপ্প বড়োই উমেদা হইতাছে। উড়ুক…  wink
     
  • Mousumi Banerjee | ২৬ এপ্রিল ২০২২ ২০:৩০506929
  • খুব ভালো লাগছে।
     
    'মাম্মি' লিখলে ভালো হবে
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন