এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • অর্চনা গুহ মামলা: অত্যাচারের বিবরণীর দ্বিতীয় অংশ

    Tapas Das লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৯ মে ২০২১ | ৫১৮২ বার পঠিত | রেটিং ৪.৬ (৫ জন)
  • ১৮ জুলাই ১৯৭৪-এর বিকেল চারটে নাগাদ ফের স্পেশাল সেলের অফিসে নিয়ে আসা হয় অর্চনা-লতিকা-গৌরীকে। 


    সন্ধেবেলা, রুণুর নির্দেশে সন্তোষ দে অর্চনাকে টর্চার চেম্বারে নিয়ে যায়। টর্চার চেম্বারে একটি লাঠিতে অর্চনাকে বাঁধা হয়, মাথা নিচে- পা ওপরে। হাঁটু দুটি বাঁধা হয় আলাদা করে, তার মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় একটি লাঠি। এই লাঠির দুটি প্রান্ত চেয়ারের হ্যান্ডেলে রাখা হয় এবং অর্চনার শরীর মাঝে ঝুলিয়ে রাখা হয়।


    রুণু গুহনিয়োগীর নির্দেশে সন্তোষ, আদিত্য ও অন্যান্য পুলিশকর্মীরা সমস্ত শক্তি দিয়ে অর্চনার পায়ের নিচে লাঠির বাড়ি মারতে থাকে। এই অত্যাচারের সময়ে রুণু ও অন্যান্য পুলিশকর্মীরা অর্চনার পায়ের নিচে জ্বলন্ত সিগারেটের টুকরো চেপে ধরতে থাকে, লাঠির আঘাত ছাড়া। পায়ের নিচে লাথিও মারতে থাকে।


     এরপর রুণু অন্য পুলিশদের বলে অর্চনার কপালে ঠান্ডা জলের ফোঁটা দিতে। ঠান্ডা জলের ফোঁটা দেওয়া শুরুর পর অর্চনার মাথায় ভয়ানক যন্ত্রণা হতে থাকে, মুখ দিয়ে ফেনা বেরোতে শুরু করে। অর্চনা অজ্ঞান হয়ে যান। পুলিশ কর্মীরা তাঁকে নামিয়ে এনে চেয়ারে বসান ও মুখে জলের ছিটে দেয়। তাঁকে ওই চেম্বারের খাটে শুইয়ে দেওয়া হয়।


     রাত ৮টা নাগাদ, অর্চনা, লতিকা ও গৌরীকে স্পেশাল সেলের সেন্ট্রাল লক আপে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই রাত কাটান তিনজন।


     পর দিন, ১৯ জুলাই, ১৯৭৪। সেন্ট্রাল লক আপ থেকে তিনজনকে নিয়ে যাওয়া হয় স্পেশাল সেলে। কিছুক্ষণ পর শিয়ালদা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় অর্চনা গুহ, লতিকা গুহ ও গৌরী চ্যাটার্জিকে।


    কোর্টে নিয়ে যাওয়া হলেও, তিনজনের কাউকেই ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করা হয়নি। কোর্টবাবুর ঘরে আটকে রাখা হয় তিনজনকেই। ঘন্টা দেড়েক পর, অর্চনা-লতিকা-গৌরীকে স্পেশাল সেলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওঁরা জানতে পারেন, আদালতে পুলিশ তাঁদের ভুয়ো নাম দিয়েছে। তাঁদের জন্য আদালতে কেউই জামিনের আবেদন করেনি।


     সেদিন, ১৯ জুলাই, ১৯৭৪ রুণু গুহনিয়োগীর নির্দেশে সেলের মধ্যে অর্চনার সামনে সাদা কাগজ নিয়ে আসে অমিত মজুমদার নামের এক পুলিশ অফিসার। একই রকমের সাদা কাগজ লতিকা ও গৌরীকেও দেওয়া হয়। অর্চনাকে বলা হয় সাদা কাগজে সই করে দিতে। হুমকি দেওয়া হয়, সই না করলে অর্চনার সঙ্গে যা করা হয়েছে, সেই একই অত্যাচার করা হবে তাঁর মা ও দুই ছোট ভাইঝির উপরেও।


     বিকেলে রুণুর অফিসে ডেকে পাঠানো হয় অর্চনাকে। রুণুর পাশে একজন পুলিশ অফিসার বসেছিল। অর্চনার পাশে বসে আরেক পুলিশ অফিসার, লালবাজারের অরুণ ব্যানার্জি। অর্চনা পরে জানতে  পারেন রুণুর পাশে বসা অফিসারটি হাওড়া থানার। হাওড়ার অফিসার অর্চনার সঙ্গে কথা বলা শুরু করতেই অরুণ ব্যানার্জি অর্চনার মাথায় প্রবল জোরে ঘুঁষি মারতে শুরু করে। সে ঘুঁষি চলে ১০-১৫ মিনিট ধরে। অর্চনা মাথায় ও সারা শরীরে অসহনীয় যন্ত্রণা বোধ করতে থাকেন। এরপর তাঁকে অফিসঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। 


    সন্ধেবেলা ফের অর্চনাকে রুণুর অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। রুণু একটা চেয়ারে অর্চনাকে বসতে বলে। অর্চনা বসার পর রুণু গৌরীকে টর্চার চেম্বারে নিয়ে যাবার নির্দেশ দেয়। গৌরীকে অর্চনার সামনে দিয়েই টর্চার চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরে টর্চার চেম্বার থেকে গৌরীকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় অফিসে। গৌরীকে দেখে অর্চনা বুঝতে পারেন পুলিশ অফিসাররা গৌরীর উপর নির্মম অত্যাচার করেছে। 


    এরপর রুণু গুহ নিয়োগীর নির্দেশে অর্চনার সামনে দিয়ে লতিকা গুহকে টর্চার চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয়। অর্চনা রুণুর ঘরে বসেই শুনতে পাচ্ছিলেন লাঠির আঘাতের শব্দ এবং অশ্রাব্য গালিগালাজ। কিছুক্ষণ পর লতিকাকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় মূল অফিসে, অর্চনার সামনে দিয়েই। তাঁর অবস্থা দেখে অর্চনা বুঝতে পারেন লতিকার উপরেও নির্মম অত্যাচার চালানো হয়েছে। এরপর রুণু ডেকে পাঠায় কমলকে। কমল এলে রুণু অর্চনাকে বলে কমলের দিকে তাকাতে। রুণু বলে, “এর হল ‘সোনে কা হাথ’। এ হাতে যে পড়েছে, তার নিস্তার নেই।” রুণু ভয় দেখাতে থাকে। বলা হয় আজ অর্চনার শেষ দিন। আজ যদি অর্চনা মুখ না খোলেন, তা হলে তাঁকে খুন করে গঙ্গায় ফেলে দেওয়া হবে। বাড়ির কোনও লোক প্রমাণ করতে পারবেন না যে অর্চনাদের তিনজনকে লালবাজারে বা রুণু গুহ নিয়োগীর কাছে নিয়ে আসা হয়েছে। 


    রুণু কমলকে নির্দেশ দেয় অর্চনাকে শিক্ষা দেবার জন্য। কমল অর্চনার চুলের মুঠি ধরে তাঁকে চেয়ার থেকে টেনে তোলে এবং তাঁর মাথা দেওয়ালের দিকে ছুড়ে দেয়। দেওয়ালে মাথা ধাক্কা লাগার ঠিক আগে চুল ধরে হ্যাঁচকা টান মেরে নিজের দিকে নিয়ে আসে। এই পদ্ধতিতে অত্যাচার চলে ১৫-২০ মিনিট ধরে। অর্চনা আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না। তাঁর মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল। সারা শরীরে অসহনীয় যন্ত্রণা হচ্ছিল তখন অর্চনার। তাঁকে চেয়ারে বসতে বলা হল। কিছুক্ষণ পর আদিত্যকে রুণু নির্দেশ দিল অর্চনার চুল ধরে ঝুলিয়ে রাখতে। আদিত্য ঝাঁপিয়ে পড়ে অর্চনার চুল এত জোরে টানে যে তাঁর মাথার কিছু চুল ছিঁড়ে যায়। 


    আদিত্য ও আরেকজন কনস্টেবল অর্চনার মাথার চুল দু দিক থেকে ধরে তাঁকে মেঝে থেকে তুলে ঝুলিয়ে রাখে। ১৫-২০ মিনিট ধরে চুল ধরে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এর মধ্যে রুণু এগিয়ে আসে, অর্চনার পায়ে লাথি মারে. তাঁকে কদর্য ভাষায় গালাগাল দেয় এবং তাঁর শরীরের কিছু জায়গায় জ্বলন্ত চুরুটের ছ্যাঁকা দেয়। অর্চনা প্রায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পুলিশরা তাঁকে ছুড়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর তাঁর মুখে, চোখে জল দিয়ে, মুখের মধ্যে জল দিয়ে তাঁর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। 


    জ্ঞান ফেরার সঙ্গে সঙ্গে অর্চনাকে সেন্ট্রাল লক আপের অফিস ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। অর্চনা দেখেন অফিস ঘরে লতিকা বসে রয়েছেন। লতিকা অর্চনার কাছে জানতে চান কী অত্যাচার করা হয়েছে। অর্চনা সেই মুহূর্তে কথা বলতে পারছিলেন না। লতিকা তখন আদিত্যকে জিজ্ঞাসা করেন। আদিত্য স্বীকার করে যে অর্চনার উপর নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে। আদিত্য এ কথাও বলে যে সে জীবনে প্রথমবার কোনও মহিলাকে এরকম ভাবে অত্যাচার করল। 


    লতিকাকে লক আপে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর লক আপে নিয়ে যাওয়া হয় অর্চনাকেও। সেদিন, ১৯ জুলাই, ১৯৭৪ অর্চনাকে আলাদা রাখা হয়। এর পরের ১৫ দিন অর্চনাকে সলিটারি সেলে রাখা হয়েছিল।


     ২০ জুলাই ১৯৭৪। সকাল ১০টা নাগাদ অর্চনা, লতিকা, গৌরীকে স্পেশাল সেলে নিয়ে যাওয়া হয়।  পুলিশ অফিসাররা অর্চনার উপর অত্যাচার চালাতে শুরু করে এবং তিনজনকে জোর করে সাদা কাগজে সই করতে বাধ্য করা হয়। 


    রুণু গুহ নিয়োগী ক্রমাগত অর্চনা, লতিকা ও গৌরীকে ঘুঁষি মারছিল এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছিল। 


    বিকেল চারটে নাগাদ তিনজনকেই সেন্ট্রাল লক আপে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ৮ টা নাগাদ অর্চনা ও লতিকাকে স্পেশাল সেলের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ছিল রুণু ও কিছু কনস্টেবল। রুণুর নির্দেশে অর্চনাকে টর্চার চেম্বারে নিয়ে যায় কনস্টেবল আদিত্য। চেয়ারে অর্চনাকে বসিয়ে আদিত্য বলে, আজ মুখ না খুললে বাইরে চারজন অবাঙালি মাতাল দাঁড়িয়ে রয়েছে, তারা এক ইশারায় অর্চনার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে ধর্ষণ করবে।


     রুণু এসে আদিত্যকে জিজ্ঞাসা করে অর্চনা কিছু বলেছেন কিনা। আদিত্য জানায় কিছুই বলেননি। টর্চার চেম্বারে এসে রুণু আদিত্যকে বলে অর্চনার হাত দড়ি দিয়ে বাঁধতে। রুণুর কথা মত আদিত্য দড়ি দিয়ে অর্চনার হাত বাঁধে। সে দড়ির একটা মাথা ছিল চামড়ায় মোড়া।


     ওই চামড়ার দিকটা দিয়ে রুণু সজোরে অর্চনার মাথায় মারতে থাকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে। সে আঘাতের শব্দ এমন ছিল যে মনে হচ্ছিল অর্চনার মাথা নারকেলের মত ফেটে যাচ্ছে। অর্চনা সারা শরীরে যন্ত্রণা বোধ করতে থাকেন। এক সময়ে তিনি প্রায় অজ্ঞান হয়ে যান।


     পুলিশ অফিসাররা অর্চনাকে অন্য ঘরে নিয়ে যায়। কনস্টেবল আদিত্য অর্চনার মুখে চোখে জল দিয়ে তাঁর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করে। অর্চনাকে সেন্ট্রাল লক আপে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থা এতই খারাপ ছিল যে লক আপের অন্য মহিলা ওয়ার্ডাররা অর্চনাকে সেলে নিতে অস্বীকার করেন। অর্চনা হাঁটতে পারছিলেন না। লালবাজারের উঠোন পেরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে তাঁকে ফিমেল লক আপে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আদিত্য ও আরেকজন কনস্টেবল অর্চনাকে সেলে নিয়ে যায়। 


    অর্চনার খুব তেষ্টা পেয়েছিল। কিন্তু তিনি এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে নিজে জল নিয়ে খাবার মত অবস্থায় ছিলেন না। কোনওরকমে হামাগুড়ি দিয়ে তিনি সেলের মধ্যে ঢুকেই অজ্ঞান হয়ে যান। 


    পরদিন অর্চনার জ্ঞান ফেরে লতিকা ও গৌরীর কান্নার শব্দে। উঠে বসেন অর্চনা। তাঁর নড়বার ক্ষমতা ছিল না। লতিকা ও গৌরী অর্চনাকে বলেন, তাঁরা অনেকক্ষণ ধরে অর্চনাকে ডেকে সাড়া পাচ্ছিলেন না।  


     ২১ জুলাই ১৯৭৪-এ অর্চনা, লতিকা ও গৌরীকে স্পেশাল সেলে নিয়ে যাওয়া হয়নি। ১৮ জুলাই ১৯৭৪ থেকে ১৩ অগাস্ট ১৯৭৪ পর্যন্ত এই তিনজনকে লক আপে রাখা হয়েছিল। এই ২৭ দিনে এঁদের কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তাঁরা একই পোশাকে এই দিনগুলো কাটিয়েছিলেন। তাঁদের স্নান বা মুখ হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি। তাঁদের পশুর মত করে রাখা হয়েছিল। ২২ জুলাই থেকে প্রতিদিন অর্চনা, লতিকা ও গৌরীকে স্পেশাল সেলে নিয়ে গিয়ে নির্মম অত্যাচার করা হত, কুৎসিত গালিগালাজ করা হত এবং তাঁদের সামনে কদর্য অঙ্গভঙ্গি করা হত। জ্বলন্ত সিগারেট ও চুরুটের ছ্যাঁকা দেওয়া হত তিনজনের শরীরে।


     এই অত্যাচারের জেরে অর্চনা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ও পক্ষাঘাতগ্রস্ত হন। ১৯৭৪ সালের ১৩ অগাস্ট অর্চনা, লতিকা ও গৌরীকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। অর্চনা সারাদিন ধরে মাথায় যন্ত্রণা বোধ করতে থাকেন এবং সমস্ত শক্তি হারিয়ে ফেলেন। অর্চনার শরীরের নিম্নাঙ্গ পঙ্গু হয়ে যায়।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৯ মে ২০২১ | ৫১৮২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • b | 14.139.***.*** | ২০ মে ২০২১ ২২:১১106212
  • উফ। 

  • aranya | 73.197.***.*** | ২০ মে ২০২১ ২২:২১106213
  • কল্পনাতীত :-(((

  • বিপ্লব রহমান | ২১ মে ২০২১ ০৫:৩০106220
  • বার বার শিউরে উঠতে হয়! 


    #


    তাপস দা, পুরো লেখা, মামলার নথি ও অন্যান্য তথ্যসূত্র সমেত একটি বই প্রকাশের চেষ্টা করো। এই দলিল সংরক্ষিত রাখা খুব দরকার। শুভ 

  • Debasish Chakrabarty | ২১ মে ২০২১ ১৭:০০106230
  • লেখা চলতে থাকুক । এই ইতিহাস টা খুব জরুরি ।

  • শঙ্খ | ২৩ মে ২০২১ ১৬:২৯106359
  • এইগুলো সিনেমাতে দেখা যায়। বাস্তবে এর ১0% o যদি সামনাসামনি ঘটতে দেখি, বোধহয় বমি করে ফেলবো। আমাদের অফিসের একজনকে একবার জলপথ হয়ে ফেরার সময় কি একটা সামান্য কারণে ঐ পথের গ্রামবাসীরা তাড়া করে ধরে ফেলে মারে। প্রায় চল্লিশ পঞ্চাশ জন মিলে মেরে ফেলে রাখে, পরে পুলিশ নিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করতে হয়, সেই বিবরণ শুনে এবং পরে তার ট্রমার বিবরণ শুনে কেঁপে গেছি। আর এখানে দিনের পর দিন ধরে এই রকম টরচার! 


    ঐ সব রাক্ষস, দানব এসব গল্পকথা না, আমাদের মধ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। 

  • arindam | 45.249.***.*** | ২৪ মে ২০২১ ০৭:১১106384
  • উফ কী ভয়াবহ। তবু এ সত্য, তাই সম্পূর্ণ ঘটনা পড়তে চাই। তাড়াতাড়ি likhun

  • বিপ্লব রহমান | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:৪৩498531
  • পুনশ্চ : কিছু পর্ব আবারও পড়ছি, ধারাবাহিকটি এগিয়ে নেও দাদা 
  • সৌমেন ​​​​​​​গুহ | 1.23.***.*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:৩৭498634
  • আমি তাপসের 'সৌমেনদা'। ​​​​​​আদালতে তাপস ছিল আমার 'মুহুরী'। ব্যবস্থাটা করে দিয়েছিলো পরিমল। তাপসের লেখাটা ​​​​​মন দিয়ে পড়েছি। ওর মতো করে লিখুক ​​​​​​​না। তবে ​​​​​​​তথ্য-নথিপূর্ণ ​​​​​​​ইতিহাস লেখার ​​​​​​​দায়িত্ব ​​​​​​​আমার। এখন বয়স আমার ৭৪ বছর। এখনও ​​​​​​​চিরকালীন সামাজিক সর্দাররা ​​​​​​​আমার লেখা ​​​​​​​প্রকাশের ​​​​​​​বাধা। ​​​​​​​অজস্র সহস্র পাহাড়প্রমাণ নথিপত্র আগলে রাখার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতদিন পারব। শরীর জীর্ণ মন দিয়ে যুদ্ধ। ​​​​​​​আমার ​​​​​​​স্মৃতিকথার ​​​​​​​১ম ​​​​​​​খন্ড প্রকাশিত ​​​​​​​হয়েছে। ​​​​​​​বেঁচে  আছি ​​​​​​​লিখে ​​​​​​​যাব। ​​​​​​​রাষ্ট্রীয় নির্যাতন অত্যাচারকে প্রতিবাদ করাতে অপরিমেয় মূল্য দিতে হয়। আর আমরা বাঙালি  'বাবু'দের শাসন শোষণে মেরুদণ্ডহীন অস্তিত্বে বিমোহিত ফসিল। তখন একটু স্বাদপারিবর্তনে মন্দ লাগছে না। ​​​​​​​
  • সৌমেন গুহ | 1.23.***.*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:১৯498636
  • বোঝা যায় বুড়ো হয়েছি। তাপসের সাথে ব্যবস্থাটা করে দিয়েছিলো পরিমল নয়। করেছিল পার্থপ্রতিম মৈত্র। বিচ্ছিরি ভুল। 
  • hirak sengupta | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:০৬498733
  • এ বিষয়টি সবার জানার দরকার।বিশেষত যারা ভাবেন, আমার কী ,আমার তো কিছু হয় নি। ও পুলিশের ঘটনা শুনতে আমার বয়েই গেছে। 
    এই ছবি ,এখনও একই রকম।লক আপে অত্যাচার ,হত্যা অগুনতি। 
    হীরক সেনগুপ্ত
  • অরুণাভ ঘোষণ | 2401:4900:314f:2349:0:54:fa7a:***:*** | ২৮ মে ২০২২ ২১:০৪508181
  • এই জঘন্য অত্যাচার যারা করেছে তারা পরবর্তী প্রশাসনের কাছেও সাজা পায়নি। শাসকের চরিত্র একই থেকে গেছে। এর ক্ষমা নেই।
  • Prajjwal Pal | ২৯ মে ২০২২ ০১:০১508194
  • ভয়ংকর
  • অয়ন | 2409:4060:2e86:fb98:f249:50cf:a669:***:*** | ১৪ জুলাই ২০২৩ ২৩:৪৮521240
  • রুনু গুহ নিয়োগী ছিল একটা নরপশু।একটা শুয়োরের বাচ্চা একটা বেজন্মা খানকীর ছেলে।ওকে পেলে ওর পুরুষাঙ্গ আলাদা করে দিতাম!কিন্তু Alas
  • দীপ | 42.***.*** | ১৬ জুলাই ২০২৩ ১৩:০০521304
  • একে পশু বললে পশুর অপমান করা হয়!
    এরপর‌ও এদের কোনো শাস্তি হয়না! সমাজে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়! 
    Totally corrupt system!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন