এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • নাইটো

    একক লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ০৫ আগস্ট ২০২২ | ১২৯৬ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  •   
    ওয়াংখা বার থেকে আমি আর দিলরাজ ঠিক ক'টার সময় বেরিয়েছিলুম মনে করতে পারি নি। 
     

    ওরা তো থানা পুলিশ করেচিল। তখন অফিসার ধুনচিলেন খুব, ক'টা- কোথায়- কে কে। মনে না থাকলে কী বলব। ওরা মানে মনীষার বাপের বাড়ি। বিশেষত ওর ভাউজু, পেশায় উকিল। তো, তাও। মনে করতে পারিনি। 
    রাত দেড়টার সময় দিলুর ফোনে একটা কল এসচিল মনে পড়ে। যা হয়। সাইকডেলিক আলোর শব্দে গমগমে ফ্লোর। সিনি একটু দূর থেকে আঙুল দেখাচ্চিল, ইওর ফোন ইজ রিংগিং। তিনবারের বার হুঁশ পায় দিলরাজ। তারপর  ধন্যবাদ লাসো-লা চলতে থাকে। মাঝখান থেকে ফোন কেটে যায়।
     

    সৌজন্যের  আলাপচারিতা কিন্তু থামে না।
    অপরিচিত সংখ্যা আবার বেজে ওঠে । সিনি ফের ইঙ্গিত করে। দিলরাজ তখন সিনির শালির মেয়ে দিল্লিতে পড়তে গিয়ে কেমন আচে এবম্বিধ আত্মীয়তায় কাতর। তবু, নেহাতই অনুকম্পায়, ফোনটি তোলে। তেরো সেকেন্ডের মাথায় নাবিয়ে রাখে।

     -- বস! ইয়্... আম্বিলিকাল কর্ড ভনেকো, কেই হুন ছ?  
    বেশ ক্যাজুয়ালি-ই বলে। বলে, নতুন  পেগ ভরে দেয় আমাকে। সিনিকে ঘাড় ফিরিয়ে অনুরোধ করে। মাথা ঝোঁকায়। এদিকে ফেরে।
         
    -- আরে, হসপিটাল থেকে, গুছিয়ে বসে দিলরাজ,  বলছে গিন্নির কী বলে একটা  কর্ড জড়িয়ে গ্যাছে। তাই আর কী। 

    তখন দেড়টা। মনীষাকে বিকেলে দেখে এসেচি আমরা। উদ্বেগ না কৌতূহল বোঝার চেষ্টা
     করিএকটু। দিলরাজ টোস্ট করেই চুমুকে গেলাশ অর্ধেক করে ফেলে। বার গার্লদের পিটপিট করে মাপে মিনিট খানেক। 
    -- হ্যাঁ, তুমি ত খোঁজখবর রাখো নানারকম। সিগারেট এগিয়ে দেয়।
     

    প্রমাদ গণি কি? না বোধহয়। ডাক্তারির সঙ্গে দূরদূরান্তের সম্পর্ক না থাকলেও, হুইস্কির চব্বিশ কারাট আমাকে গপ্পের দিকে টানছিল। ঠান্ডা স্যাঁতসেতে পাহাড়ি পরিবেশ, সেখানে কথা ভাঁজার বিষয় তো বড় একটা মেলে না।  ধরিয়ে একটা টান দিই। 

    -- ইটস আ পাইপ বিটুইন দি ইয়েট টু বর্ন বেবি অ্যান্ড দ্য মাদার। নিখুঁত সংজ্ঞা নির্ধারণ ক্ষমতায় নিজের প্রতি নিজেই মুগ্ধ হই খানিক। 

    -- ওহ ওকে... ওকে। দিলরাজ যেন কত বোঝে। আমি যেন কত জানি। তবে পেগ নি আবার। গ্রিক মাইথলজিতে আম্বিলিকাল কর্ড এসব ধুনচুন বকি খানিক। গপ্পের গন্ধ পেয়ে দিলরাজ বলে তার গ্রামে, এ জিনিস বুড়ো সাইপ্রাস গাছের তলায় মাটিচাপা দেওয়া হয় পুজো করে। আমরা একটু হাসাহাসি করি গ্রামের লোকদের নিয়ে। সোনম পালদেন গ্রামপ্রধানের পরীক্ষায় পাশ দিয়ে শহরের নামী প্রাইভেট কোম্পানি ছেড়ে গেল, এ নিয়ে আলোচনার মাঝে দিলরাজের ফোন আবার বেজে ওঠে। বেজে যায়।  আমরা ততক্ষণে,  কবে সোনমের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ভোজ খাব আর শুওর শিকারে বেরব ভুট্টা ক্ষেতে, প্রধানের শহুরে বন্ধুদের দেখে গাঁয়ের লোকজন কেমন লাসো-লা করবে, সেইসব নিয়ে দুপ্রস্থ আলোচনা সেরে ফেলেচি। দিলরাজ যথারীতি  উত্তেজিত। 

    হাত লেগে তিন নম্বর গ্লাসটা ভাঙার সময় আমি খেয়াল করি যে বার টেন্ডার কিংগা একটুও রেগে যাচ্চে না। দু দুটো গ্লাস পড়ে ভেঙেচে দিলরাজের হাত থেকে। অথচ। গত তিন ঘন্টায়।  

    ভাঙা কাচ সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। আর কিংগা তার মাঝ দিয়ে কেমন একটা ফরেন লুকিং সারস পাখির মতো বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে হেঁটে বেড়াচ্চে। তার পরনে নী-লেংথ কালো স্কার্ট। পায়ে মেরুন হিল। দিলরাজকে ডেকে দেখাতে চাই। আর তখনই সে আবার প্রশ্ন করে, এই আম্বিলিকাল কর্ড জড়িয়ে যাওয়া কেস টা কী। এতে কী হয়।

                                      
    মাথাটা অল্প ধরে ছিল।
    ওয়াংখার দরজা খোলার আগে থেমে যাই। প্রবল ঝড়ের শব্দ। হাওয়ার ধাক্কায় লোহার ড্রাগন আঁকা গেট দুটো থেকে থেকে আছড়াচ্চে। এর মধ্যে কে যাবে বাইরে! দিলরাজ মত্ত হাতে হ্যাচকা টান দেয় একটা।
    পরিষ্কার আকাশ। বাতাস চুপ। শোঁ শোঁ শব্দ কিসের!  
    গাড়িতে ঢুকতেই কাচের ওপর বৃষ্টি। আমি পাশে বসি। দুবারের চেষ্টায় স্টার্ট নেয় দিলু। স্বাভাবিক। দুপুরে এমব্যাসি ক্লাবে পার্টি ছিল, সেই ইস্তক টানচে। 

    গাড়ি ছোটে। মুখে হাওয়া লাগাব বলে জানলা একটু নাবাই। ছাট আসে না। দূরে পাসাখা সাইডে পাহাড়ের মাথায় একটা চাঁদ হয়ে আচে। ক্রমে সেই  চাঁদের তলায় ফুয়েনছোলিং সিটি হসপিটাল ফুটে ওঠে। হাসপাতালের সিঁড়িতে এক অপরিচিত যুবক হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে দিলরাজের দিকে ছুটে আসে, পরে জেনেছিলুম ছোটো শালা, তখন কোনওমতে তাকে ধাক্কা দিয়ে সরাই। আপদ। 

    লেবর ওয়ার্ডের পোশাক, দেয়াল সব এত ফ্যাকাসে  হয় কেন কে জানে। ঢুকতেই একদল ফ্যাকাসে পেংগুইন আর স্টেথো গলায় সীলমাছ আমাদের ঘিরে ধরে মাথা নিচু করে বকবক করতে থাকে। 

    নাড়ি জড়িয়ে মৃত্যু এদের কাছে নতুন না। তবু  এমন ভাব করে চলেচে যে, দিলরাজ সময়মতো এসে সই করে দিলে বাচ্চাটাকে বাঁচানো যেত। মাথা দপদপ করতে থাকে আমার। ফালতু দোষ দেওয়ার একটা সীমা থাকবে তো নাকি। ইতিমধ্যে মনীষার বাড়ির লোক হাজির। ফোনাফুনি। তাদের গুরুর নির্দেশ, কীসব পুঁতে দিতে হবে মাটিতে আর কীসব ভাসাতে হবে নদীর জলে। দিলরাজ যন্ত্রের মতো হাঁ হঁজুর করে যেতে থাকে সবেতেই। 

             তোর্সা নদীর ধার ধরে, জল থেকে দূরে,বালির চর পার করে  আমাদের গাড়ি দাঁড়ায়। 

    হাতে পুঁটলি নিয়ে হঠাৎ দিলরাজ বলে, চলো জুতো খুলে জল অবধি যাই। গাড়ি থেকে নেবে কয়েক পা ফেলতে গিয়ে টলে যায় একবার। দুপুর থেকে হুইস্কি আর এখন নদীর ধারের হাওয়া। কিন্তু সে মানতে চায়না নেশা হয়েচে। উলটে বলে, বাচ্চা নাকি নড়ে উটল। 
    আবার মাথা গরম হতে থাকে আমার। একে মুড নষ্ট তারপর এসব ঢং।  দিলরাজ জিদ ধরে। চাদর ফাঁক করে বেবির মুন্ডুটা দেখায়। চাঁদের আলোয় একটা নীলচে হয়ে যাওয়া পুতুলের মুখ। বিরক্ত হই। কিন্তু ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে হয় কেমন। হাওয়ার ঝাপটে ঢেকে যায় কাপড় উড়ে। মুহূর্তের জন্যে চোখ দুটো কি নড়ে ওঠে?  

    গাড়ি ঘোরাই আমরা। বাচ্চাকাচ্চার ব্যাপার। সত্যি বেঁচে নাকি কে জানে। 

    এবার আর  কাচ নাবানোর চেষ্টা করলুম না। গাড়ি পেলখিল রোড ধরল।  টানা পথ। হাসপাতাল গিয়ে উঠেচে। এদিকে রাস্তার আলোগুলো কাটল কীকরে কে জানে। দিলরাজকে বলি আস্তে চালাতে, সে শোনে না এবং কিলোমিটার দুয়েক গিয়েই ব্রেক কষে কোনওরকমে থামায়। গাড়ির আলোয় দেখি চাকার সামনেই খাদ। তিন ফুট ব্যবধান বড়জোর। শুধু খাদ। পাহাড়ি পিচের রাস্তাকে কেউ কাগজের ঠোঙার মত দুমড়ে ছিঁড়ে নিয়েচে। 

    দিলরাজ একবার পেছনের সিটে, বেবির পুঁটলিটা দেখে। ঝাঁকুনিতে পড়ে যায়নি। আমি ফ্যাসফ্যাসে গলায় বলি, 
    -- এতা ভুঁইচল ভাকো ছ। কার ঘুমাউনি। 

    দিলরাজ শোনে না। গাড়ি থেকে নাবে ও বাইরে কোনও ঝড়বৃষ্টি হচ্চে না দেখে আমার দিকে হাঁ করে তাকায়। আবার   ঠান্ডা গলায় বলি, এক্ষুনি গাড়ি ঘোরাও, আর্থকোয়েক। 
     
    আবার তোর্সার দিকে চলেচি। কাচের বাইরে অবিশ্রান্ত ঝড় বৃষ্টি। সোম, প্রব্লেম ছ, বিড়বিড় করে দিলরাজ, গাড়ি স্পীড নিচ্ছে না। তাকিয়ে দেখি,  চল্লিশ থেকে ষাট ছাড়িয়ে যাচ্ছে স্পিডোমিটার, সাইড মিররে দেখার চেষ্টা করি ভারী চোখের পাতা খুলে। পেছনে ও কী সুরঙ্গের মত ধেয়ে আসচে! নাকি ঝড়?

    নদীর ধারে যখন  এসে নাবলুম তখন দুজনেরই অবস্থা সুবিধের নয়। পা দুটো ভারী, চোখ টানচে। গুমোট বাতাস। মনে হচ্চে বেকার জল অবধি না হেঁটে বাচ্চাটাকে এখানেই পুঁতে দিয়ে চলে যাই। চাঁদের আলোয় চারপাশে ছড়ানো নোংরা পলিথিন আর কৌটোবাটা। ভাঙা গাছের ডাল উঁকি দিচ্চে তার থেকে, ভাবি ডেকে দেখাব দিলরাজ কে, যেন কারও উঠে আসা হাতের সরু সরু আঙুল। 
    যদিও খুব ভয় পেয়ে ছিল দিলু এমন নয়। কেমন ঘোর লেগে ছিল মতো। সত্যিই ভেবেচিল নাকি বাচ্চাটা বেঁচে? হাজার হোক নিজের রক্ত। কিন্তু আমার আর পোষাচ্ছিল না। আবার বলি, জল অবধি যাবে?  

    অগত্যা আমাকেও পাশে পাশে যেতে হয়। যতটা চোখ যায় নদীর চরের পাথর টপকে টপকে। দিলু দুবার পাথরের ওপর হুমড়ি খেতে গিয়ে সামলায়। 
    ফাইনালি, বেবির পুঁটলিটা খরস্রোতা পাহাড়ি নদীর জলে ভাসানোর পর, যখন বোল্ডারে ধাক্কা খেতে খেতে ভেসে যাওয়া সাদা কাপড়টুকু অন্ধকারে দেখা যায় শুধু, পাথরে আটকায়, পরের ঢেউএর আঘাতে  মিলিয়ে যায়; আমি ভাবি দিলরাজকে জিগাব, বেঁচে ছিল না ত? 
    দেখি, সে আঁতিপাতি করে বালিতে পাথরের ফাঁকে কী খুঁজে চলেচে।

    -- কী ভয়ো সোম? আমি জিগাই, কিছু পড়ে গেল নাকি!  
    -- কর্ড, তপাইকো, কেই ভনছ অম্বা অম্বা--
    -- ওহ আম্বিলিকাল! জলে ফেলোনি?  
    -- হই না আ আ!  দিলরাজ প্রায় আর্তনাদ করে ওঠে। বাচ্চার নাড়ি আলাদা করে মাটিতে পুঁতে দিতে হয়। ফেলতে নেই। একটা কাপড়ের কানিতে মোড়া ছিল, হাত ফস্কে পড়েচে পাথরের খাঁজে। 

    সঙ্গে টর্চ অবধি নেই। চাঁদের আলোতে পাথরের আড়াল ঠাহর হয় না। এর মধ্যে ব্যাটা মাতাল দিলরাজ তার মড়া বাচ্চার নাড়ি হারিয়ে ফেল্ল! বিরক্ত হয়ে সরে দাঁড়াই। পাশের একটা উঁচু পাথরে, ঠেস দি। 

               এই সময়েই মাটি কেঁপে ওঠে। ভুঁইচল। এবং, এবার, সন্ধে থেকে প্রথমবার, বাইরে দাঁড়িয়ে ঝড় টের পাচ্ছি।  সেই শোঁ শোঁ শব্দ। বাতাসের গতি বাড়চে। ঝিল্কি আলোয় সাদা বালি পাক খেয়ে উঠচে।  

    কোনওরকমে নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করি।  পায়ের তলায় কী যেন!  দ্রুত এক পা তুলে সরে গিয়েই দেখি নদীর সাদা বালি থেকে ছোটো ছোটো শুঁড়ের মতো দুলতে দুলতে কী সব উঠে আসচে আমাদের চারপাশে। সাপ নাকি। না মাথায় ফণা নেই।  

    কী ওগুলো?! 
    মাংসের ফুলের মত মুখ বাড়িয়ে দেকচে যেন। চোখ নেই, ঠোঁটসর্বস্ব ছোট ছোট মুখ প্রতিটা ডগায়। দ্রুত ঘিরে ধরচে আমাদের। মুহূর্তের মধ্যে লকলক করে লম্বা হয়ে  গায়ের কাছে দুলচে এসে। গায়ে  প'ড়ে। 

    না, গায়ে পড়তে বুঝি, হাতির বা অক্টোপাসের শুঁড় নয়, কেমন পাকানো পাকানো মাংসল দড়ির মতো আর তার সারা গায়ে কোনও চকচকে তরল। ফট করে বাঁহাত পেঁচিয়ে ধরতেই ঝাঁকুনি দিয়ে ছাড়াই। এহ্ হাতে চটচটে কীসব লেগে গেল। দিলরাজকে হাঁক দি, পালাও এখানে আর না!! কিন্তু সে পাগলের মতো বালি পাথরের খাঁজে, খুঁজে  চলেচে তার মড়া বাচ্চার নাড়ি।  

    আর আমাদের ঘিরে চাঁদের আলোয় বিস্তীর্ণ সাদা বালির চর জুড়ে  নদীপাথরের ফাঁকে ফাঁকে জেগে উটচে অসংখ্য মাংসল দড়ি। আম্বিলিকাল কর্ড। 
    দড়িগুলো ক্রমশ ঘিরে ধরে দিলুকে। আমিও পা থেকে ছাড়াতে গিয়ে বোল্ডারে হুমড়ি খেয়ে পড়লুম। মাথা ঠুকে গেল। শেষবারের মতো পেছন ফিরে যখন দিলরাজের নাম ধরে ডাকলুম, একটা পাইপ তার চোখের মধ্যে দিয়ে ঢুকে গেল, তারপর ছটফটিয়ে বেরিয়ে এল মুখের ভেতর দিয়ে। মুখের ভেতর থেকে বেরনো সেই মুখ তার  পুরু ঠোঁট হাঁ করে ফুলের মত মেলে ধরল খানিক, রস গড়িয়ে পড়ল ভেতর থেকে। আর একটা নাড়ি পেটের মধ্যে চুষে আটকে গিয়ে শরীরটাকে টেনে আছড়ে এনে ফেলল মাটির মধ্যে। যেন কসরত করে দিলরাজের গোটা পাঁচ ফুট আট ইঞ্চি দেহখান হিঁচড়ে কোন এক মাটির তলার সুরঙ্গে নিয়ে যাচ্চে নাড়িগুলো। 
     

    আমার গলা দিয়ে আওয়াজ বেরুলো না। কপালে অসহ্য ব্যথা। মাথাটা বিষ লাগচে। ঝাপসা হয়ে এল সবকিচু। 

    [ এরপর প্রায় আট মাস আমাকে ফুয়েনছোলিং থানায় এবং কোর্টে হাজিরা দিতে হয়েচিল। আমার কোলিগ দিলরাজ গুরুং-এর বডির হদিশ পাওয়া যায়নি। সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে কেস ক্লোজ ঘোষণা হল  যেদিন, ওয়াংখা বারে গেসলুম শেষবারের জন্যে। কিংগা একটা আলপিন দিয়ে কান খোঁচাতে খোঁচাতে বলল, ফিরে যাও, এখানে আর থেকো না। সেদিনই বদলির দরখাস্ত করে দিই। জান-মাল গুছিয়ে ফেরার সময় নদীর ব্রিজ থেকে চোখ  গেচিল এক পলক। ঠা ঠা সাদা বালির ওপর উড়ুন্তি হাওয়া।ঘুমন্ত নদী-পাথর।বিপদের চিহ্নমাত্র নেই।  ]

     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ০৫ আগস্ট ২০২২ | ১২৯৬ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    সিপাহী - একক
    আরও পড়ুন
    প্রহাস - একক
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • একক | ০৫ আগস্ট ২০২২ ০১:০২510763
  • # লেখাটি আগে বাংলালাইভে প্রকাশিত। 
  • শঙ্খ | 116.206.***.*** | ০৫ আগস্ট ২০২২ ০৭:০২510766
  • ওরে বাপরে! লাভক্রাফট খুশ হুয়া।  
  • | ০৫ আগস্ট ২০২২ ১১:৪৫510775
  • বাপরে বাপ! 
  • যোষিতা | ০৫ আগস্ট ২০২২ ১২:৩৪510777
  • ভাল। ভয়ংকর।
  • dc | 2401:4900:1f2a:1bf6:e1a8:6752:b295:***:*** | ০৫ আগস্ট ২০২২ ১৯:০৮510791
  • হরর এলিমেন্টটা তেমন জমেনি, বড্ডো তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল মনে হলো। তবে অ্যাটমোসফিয়ার বিল্ডিং ভালো হয়েছে। 
  • একক | ০৬ আগস্ট ২০২২ ০০:২২510800
  • এই লেখা পড়ে লাভক্রাফট খুশ হওয়া বেশ মুশকিল। প্রথমত লেখা হিসেবেই লো ইন্টেন্সিটি, তাছাড়া লাভক্রাফট এ যেভাবে এলিমেন্ট বিল্ট হয় তা এখানে টোটাল অনুপস্থিত। 
     
    কোন ঘরানা কি মাথায় থাকে লেখার সময়?  গ্রাফিক শর্ট  স্টোরির ফরম্যাট কিছুটা বলা যেতে পারে, গ্রাফিক নভেলের মত। জুঞ্জি ইতো যেমন। আবার কেও ভাব্বেন না নিজেকে ইতোর পর্যায়ে ভাবচি ঃ) যাস্ট ঘরানা চেনানোর জন্যে বলা। সঙ্গে ছবি দিয়ে স্ট্রিপ আকারে আসবে,  মাথায় রেখে লেখা। এইটুকুই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন