ছত্রিশগড় থেকে ফিরে : সিদ্ধার্থ মিত্র
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ | ১৩২৯ বার পঠিত
রাত্রে পড়ব বলে যখন বইটা হিমাংশুজী'র থেকে ধার নিই, উনি হাসতে হাসতে বলেছিলেন "দেখবেন, কাল যেন আবার কেউ আপনার হাতে এই বই না দেখে'। "আরে না না', আমি ওনাকে আশ্বাস দিলাম। আজকাল রাজনীতির যা বাজার, নকশালপন্থা নিয়ে আলোচনা করলেই আপনাকে দাগী নকশাল বলে লোকে সন্দেহ করবে। এই বইটা অবশ্য শুধু নকশাল আন্দোলনের বিবর্তন কেমন করে হলো সেই নিয়ে লেখা। দিল্লীর একজন সাংবাদিক, সুদীপ চক্রবর্তী লিখেছেন।
অভ্দেশ গৌতমের মামলা : সিদ্ধার্থ মিত্র
বুলবুলভাজা | খবর : খবর্নয় | ১৬ আগস্ট ২০১২ | ১৪০১ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
লিঙ্গকে এস্সার মামলার একজন আসামী হিসেবে দেখায় পুলিশ, এ ছাড়াও তাকে অভদেশ গৌতম মামলাতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়(যদিও সেই ঘটানাটি ঘটেছিলো প্রায় এক বছর আগে)। চার্জশীট যখন দাখিল করা হল তখন বোঝা গেল যে সাক্ষ্য প্রমাণের উপর নির্ভর করে লিঙ্গের বিরুদ্ধে মামলা আনা হয়েছে সেটি একটি টাইপ করা কাগজ যেটাতে নাকি অভদেশ গৌতমের সই রয়েছে। তো ঐ বয়ানে লেখা আছে তার বাড়ীতে হামলা হবার কিছুদিন পরে তিনি নাকি "শুনতে" পান যে কিছু পার্টিকর্মী, যারা আরো দূরের গাঁয়ে থাকে, তারাও নাকি কোথাও শুনেছে যে ঐ হামলার মুল মাথা ছিলো লিঙ্গ। এবং এই লিঙ্গই নাকি হবে মাও পার্টীর ভবিষ্যত মুখপাত্র। শুধুমাত্র এই একটি ই "প্রমাণ" রয়েছে পুলিশের কাছে। একটি টাইপ করা কাগজ। এবং সেটি যদি জেনুইন বলেই ধরে নেওয়া যায়, তাহলেও একেবারেই কোনো মামলায় ফাঁসানোর জন্য গ্রাহ্য হতেই পারে না। কারন খালি একটা "গুজবে"র কথাই বলা হয়েছে এতে।
খাম্মামের হারিয়ে যাওয়া মানুষজন - প্রথম কিস্তি : সিদ্ধার্থ মিত্র
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : বিবিধ | ০৬ আগস্ট ২০১২ | ১৪১৬ বার পঠিত | মন্তব্য : ৩
ছত্তিসগড়ে হিংসামূলক কাজকর্মের জন্য উৎখাত হওয়া ১৬,০০০ জনেরও বেশী মানুষ অন্ধ্রপ্রদেশের খাম্মাম অঞ্চলে ২০৩ টে অস্থায়ী উপনিবেশে রয়েছেন। এইসব ক্যাম্পগুলির কিছু কিছু গ্রামের আশেপাশে। কিছুসংখ্যক এই ক্যাম্প মানবাধিকার সংস্থাগুলির দ্বারা নথিভুক্ত। তা সত্ত্বেও রাজ্য এই উপনিবেশগুলির অস্তিত্ব স্বীকার করতে নারাজ। বাস্তবিকই, রাজ্যের গন্ডীর মধ্যে এই ১৬,০০০ মানুষের বাঁচা বা মরা রাজ্যের দায় নয় – এটা বুঝিয়ে দিতে অন্ধ্রপ্রদেশ এই মানুষগুলির অস্তিত্বকেই অস্বীকার করেছে। এ যেন এমন এক অদৃশ্যকরণ জাদুকৌশল যেটা দক্ষতম জাদুকরেরও ক্ষমতার বাইরে। আপনি সরকারি নথিপত্র দেখতে পারেন, কিন্তু কোথাও এই মানুষগুলির উল্লেখ নেই।
খাম্মামের হারিয়ে যাওয়া মানুষজন - চতুর্থ ও শেষ কিস্তি : সিদ্ধার্থ মিত্র
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : বিবিধ | ১২ অক্টোবর ২০১২ | ১৫২২ বার পঠিত | মন্তব্য : ৩
অনেক মানুষ মনে করে, এই জঙ্গলের আদিবাসী লোকগুলো কোনওরকম পরিবর্তন চায় না। এটা ভুল ধারণা। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানীয় জল – জীবনের অনেক ক্ষেত্রে এরা আমাদের সাহায্য চায়। সবার আগে, অন্য যে কোনও মানুষের মত এরাও নিজেদের প্রাপ্য মর্যাদাটুকু চায়। ভদ্রবোধসম্পন্ন মানুষের নিজেদের এক্তিয়ারে স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার। উচ্ছেদের পরে আমরা এদের নতুন যে জীবনদান করতে চাইছি, কোনওরকম পুঁথিগত শিক্ষা ছাড়াই এই লোকগুলোর বোঝার ক্ষমতা আছে যে সেই জীবনে মর্যাদাবোধ নেই – এমনই বিচক্ষণ এরা। যতদিন না আমরা এদের সেই অধিকারবোধ দিচ্ছি, এরা নিজেদের জীবন এবং অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম জারি রাখবে, সে যত স্বল্প পরিসরেই হোক না কেন।