নকুলদানা, ঘুষপেটিয়া, চৌকিদার, এক্সপায়ারিবাবু এবং আমাদের ভোট : শুভাশিস মৈত্র
বুলবুলভাজা | খবর : টাটকা খবর | ১১ এপ্রিল ২০১৯ | ১৫৫৪ বার পঠিত | মন্তব্য : ৩
দেশের সপ্তদশ সাধারণ নির্বাচন। প্রত্যেক ভোটেই কিছু নতুন শব্দের জন্ম দেয়। তার কিছু টিকে যায়, বাকিটা হারিয়ে যায়। যেমন ২০১৪-এ ছিল সারদা, নারদা।এবারের ভোটে কতগুলো নতুন শব্দ বা বাক্যবন্ধ কানে আসছে।তার কয়েকটি এরকম। নকুলদানা, ঘুষপেটিয়া, চৌকিদার, এক্সপায়ারিবাবু, স্পিডব্রেকার দিদি, এ-স্যাট, নাকাতল্লাশি, জুমলা। দলবদলেরও একটা নতুন ঘটনা এবারে চোখে পড়ছে। বৃহস্পতিবার প্রথম দফা ভোট কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে। কোচবিহারে এবার তৃণমূল প্রার্থী একসময়ে বামফ্রন্টের মন্ত্রী পরেশ অধিকারী। উল্টো দিকে বিজেপির প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক এই সেদিনও ছিলেন তৃণমূলের নেতা, এবারে বিজেপির প্রার্থী। আলিপুরদুয়ারেও ছবিও প্রায় এক। তৃণমূল প্রার্থী দশরথ তির্কে একসময়ের বামফ্রন্টের দাপুটে নেতা, এবারে তৃণমূলের প্রার্থী।
রাজনৈতিক হিংসা এবং স্বপ্নভঙ্গের শূন্যতা বিষয়ে একটি অসম্পূর্ণ আলোচনা : শুভাশিস মৈত্র
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২১ এপ্রিল ২০১৯ | ১২৭৫ বার পঠিত | মন্তব্য : ৯
ভোটে স্বচ্ছতার দাবি জানিয়ে মমতা আন্দোল শুরু করেছিলেন ১৯৯০ থেকেই। তবে তিনি ক্ষমতায় আসার পর পুরোনো সব রেকর্ড ভেঙে খান খান হয়ে গেল। পশ্চিম বঙ্গে অবস্থা এখন এমন দাঁড়িয়েছে, গুন্ডা এবং বিপুল অর্থ ছাড়া ভোটে লড়াই করা সম্ভব নয়। সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কানে এসেছে, প্রমাণ করা সম্ভব নয়, চলতি ভোটে বিপুল টাকা ছড়িয়েছে এই রাজ্যে আসন বৃদ্ধিতে উৎসাহী একটি দল।
সারা দেশে ফ্যাসিবাদী রাজনীতির বিপরীতে আমরা দেখছি, নতুন এক ঝাঁক তরুণ নেতা উঠে আসছেন। কানাহাইয়া কুমার, উমর খালিদ, শহেলা রশিদ, জিগনেশ, হার্দিক। এরা কেজরিওয়াল পরবরতী প্রজন্ম। এইটুকুই যা আশার আলো। বাকিটা বড়ই অন্ধকার।
রাত কত হইল? উত্তর মেলে না... : শুভাশিস মৈত্র
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১৭ মে ২০১৯ | ১৩০৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ৬
যতদিন না স্টেট ফান্ডিং চালু হচ্ছে, সিপিএমের এটা একটা অনেক দিনের দাবি, ততদিন ভোটে কোটি কোটি টাকা খরচ না করতে পারলে লড়াই করাই অসম্ভব। বিজেপির হাতে যত টাকা, মায়াবতী, অখিলেশ, চন্দ্রবাবুদের হাতে যত অর্থবল, তৃণমূলের তার সিকি অংশও নেই। সিপিএম নেতা গৌতম দেব অভিযোগ করেছিলেন, ২০১১-র ভোটে তৃণমূলের ফান্ডে চিটফান্ডের টাকা ঢুকেছিল। হয়তো ঢুকেছিল, কিন্তু তা আজও প্রমাণ হয়নি। ২০১৪তেই তৃণমূলের হাতে টাকা যথেষ্ট কম ছিল। বিজেপি তখন থেকেই পশ্চিমবঙ্গ দখলের পরিকল্পনা করে। এবং তারা জানত, মমতাই প্রধান বাধা। দলেরই একজন টাকা দিয়ে নিয়োগ করে এক এজেন্সিকে। যার ফল আমরা দেখেছিলাম, পাঁচ লক্ষ টাকা করে নিচ্ছেন একেক জন নেতা।
শীর্ষ আদালতের রায়ে বিজেপির আড়াই খানা অ্যাজেন্ডা পূর্ণ হল : শুভাশিস মৈত্র
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৯ নভেম্বর ২০১৯ | ৩৯১৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ৫০
রামজনমভূমি-বাবরি মসজিদ নিয়ে শীর্ষ আদালতের ৫ সদস্যের বেঞ্চের রায়ে যা বলা হয়েছে, এই কথাটাই তো ৩০ বছর আগে বলেছিলেন এল কে আদবানি। তখনও মসজিদ ভাঙা হয়নি, ১৯৮৯ সালে তাঁর সমাধানসূত্র ছিল মসজিদকে তুলে নিয়ে গিয়ে (রিলোকেট) নতুন জায়গায় বসিয়ে দেওয়া হোক, আর সেই জায়গায় মন্দির তৈরি হোক। মসজিদ ভেঙে দেওয়ার পর, আদবানি একদিকে বলেছিলেন, সেদিনটা (৬ ডিসেম্বর, ১৯৯২) নাকি ছিল (মাই কান্ট্রি মাই লাইফ) তাঁর জীবনের সব থেকে দুঃখের দিন। আর বলেছিলেন, ভারতে এমন কোনও রাজনৈতিক দল নেই যে দল প্রকাশ্যে ঘোষণা করতে পারে যে তারা ক্ষমতায় এলে নতুন করে ওই খানেই বাবরি মসজিদ তৈরি করে দেবে। শনিবার, ৯ নভেম্বর, শীর্ষ আদালতের রায় শোনার পর এই কথাগুলোই মনে পড়ে গেল।
বদলে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি : শুভাশিস মৈত্র
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১৯ আগস্ট ২০১৯ | ১৫৩০ বার পঠিত
এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই অবদান, সেটা হল, ‘দল বদল’। গত কয়েক বছরে ২৫-২৬ জন বিধায়ক, অসংখ্য পঞ্চায়েতসদস্য হাজার হাজার দলের সদস্য এদল, ওদল সেদল ঘুরে বেরিয়েছেন। এই সংস্কৃতি তৃণমূলের আমদানি। এখন তৃণমূল তার খেসারত দিচ্ছে। প্রধানমনম্ত্রী প্রকাশ্য জনসভায় ঘোষণা করছেন ৪০ জন তৃণমূল বিধায়ক নাকি তাঁর দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এই অতি নিম্ন মানের রাজনীতি এই রাজ্য আগে দেখেনি। এরই মধ্যে দেশে তো বটেই, রাজ্যেও হিন্দুত্ববাদীদের উত্থান রাজনীতিতে এক সাম্প্রদায়িক মাত্রা যোগ করেছে। ফলে এখন, একদিকে ৫৬ ইঞ্চির হুঙ্কার অন্যদিকে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বোঝাবুঝির চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে গেছে বাঙালি।যে বাঙালিকে নিয়ে বামপন্থীরা এতদিন বলতেন, সচেতন ভাবে তারা নাকি বামেদের ভোট দেন, বাংলার মাটি নিয়ে দুর্জয় ঘাঁটি-ফাটিও বলা হত তখন, সেই বাঙালি এখন রামনবমীতে নকল লেজ লাগিয়ে রাস্তায় অস্ত্র হাতে ধেই ধেই করছে।
বজ্রডঙ্কুশ এবং উদংষ্টিট্টিভ, অথবা শব্দের চাল-চলন নিয়ে একটি অসম্পূর্ণ রচনা : শুভাশিস মৈত্র
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৭ অক্টোবর ২০১৮ | ২০৭৪ বার পঠিত | মন্তব্য : ১০
বজ্রডঙ্কুশ বা উদংষ্টিট্টিভ। এর মানে কী? শশীশেখর তাঁর ছেলের নাম রেখেছিলেন মৃগাঙ্কভূষণ। স্কুলে একদিন ছাত্রের মুখে বাবার নাম শুনে শিক্ষক বললেন,‘সেকী! শশীশেখরের ছেলের নাম মৃগাঙ্কভূষণ কেন? বাবাকে বল নাম বদলে মৃগাঙ্কশেখর করে দিতে। ছেলে বাবাকে বাড়ি ফিরে সেকথা বলতে শশীশেখরের জবাব, ‘মাস্টারকে বলিস আমার ছেলের নাম আমি বজ্রডঙ্কুশ রাখব না উদংষ্টিট্টিভ রাখব, তাতে মাস্টারের কী। এরকমই নতুন শব্দ সুকুমার রায়ের হিজবিজবিজ, কুমড়োপটাশ, কাঁকড়ামতী নদী বা ল্যাগব্যাগর্নিস পাখি। এরা কেউ বাস্তবে নেই, কিন্তু নাম থেকেই এদের কী কোনও ছবি মনে আসে? বা সুকুমার এই সব চরিত্রের চেহারার যে বর্ণনা লিখে গেছেন, মনে হয় নাকি, সেসব এক্কেবারে সঠিক! শব্দের এটাই শক্তি, এটাই জোর।
লকডাউন, হিন্দুত্ববাদীদের ভূমিকা, পুলিশের লাঠি, কাশ্মীরের সুখবর : শুভাশিস মৈত্র
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২২ মে ২০২০ | ৩২৫০ বার পঠিত
লকডাউনপর্বে রাষ্ট্রের একটা নির্দয়, ভয়ঙ্কর, কুতসিৎ ছবি আমাদের সামনে তুলে ধরেছে সোস্যালমিডিয়া। সেটা হল, গরিব মানুষের উপর পুলিশের অত্যাচার ঘটনা। কয়েকশো পুলিশি অত্যাচারের ভিডিও আপলোড হয়েছে এই সময়ে। গরিব মানুষকে লাঠিপেটা করা, রাস্তায় ফেলে পেটানো, তাদের জিনিস ফেলে দেওয়া, গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখানো, এমন অসংখ্য ঘটনা উঠে এসেছে সোস্যাল মিডিয়ায়। দেখে মনে হচ্ছিল ইংরেজ আমলের সেপাইরা কালা আদমি পেটাচ্ছে। ঠিকই, প্রকাশ্যে জাতীয় সড়কের উপর ঘটে যাওয়া এত বড়ো অপরাধের জন্য শাস্তি হল না কারও। কিন্তু খবর চেপে রাখা যায়নি। তাৎক্ষণিক কোনও সমাধান পাওয়া গেল না, কিন্তু এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব থাকবে। আশা করব, কেউ কেউ নিশ্চয়ই ওই সব ভিডিও সংরক্ষণও করছেন।
গান্ধী হওয়া অত সহজ নয় : শুভাশিস মৈত্র
বুলবুলভাজা | আলোচনা : রাজনীতি | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৩১৫০ বার পঠিত | মন্তব্য : ১০
১৯২২ সালে গান্ধীর ডাকে পথে নামা আন্দোলনকারীরা যখন গোরক্ষপুরের চৌরিচৌরায় থানার ভিতরে ঢুকে ইংরেজসেবক ২২ জন পুলিশকে খুন করেছিল, গান্ধী আন্দোলন তুলে নিয়ে তাঁর পত্রিকা ‘নবজীবন’-এ লিখলেন, গোরক্ষপুরের চৌরিচৌরার ওই ঘটনার জন্য আমিই সব থেকে বেশি দায়ী।
চলতি বছরের ২৪ মার্চ রাতে নরেন্দ্র মোদি ৪ ঘণ্টার নোটিসে লকডাউন ঘোষণা করে লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে অবর্ণনীয় দুর্দশার মধ্যে ফেলে দিলেন। সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী বাড়ি ফেরার পথা প্রায় দু’শো জনের মৃত্যু হল রাস্তায়, রেললাইনে ট্রেনে কাটা পড়ে, পথ দুর্ঘটনায়, পথে অসুস্থ হয়ে বিনা চিকিৎসায়। খাবার, পানীয় জলের অভাবে তারা ধুকতে ধুকতে পায়ে হেঁটে, সাইকেলে, ভ্যানে চেপে রওনা দিয়েছিলেন বাড়ির পথে। তার পরও বহুবার নানান বাহারি পোশাকে নরেন্দ্র মোদি সরকারি ক্যামেরার সামনে এসেছেন। একবারও কিন্তু স্বীকার করলেন না যে তাঁরই ভুলে লক্ষ লক্ষ মানুষ অনন্ত দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। গান্ধী কি শুধু বসার কায়দায় আর বক্তৃতা দিয়ে হওয়া যায়!
আজ থেকে চার বছর আগের কথা। আচমকা নোট বাতিল করে গোটা দেশকে তিনি বিপাকে ফেলেছিলেন। বলেছিলেন সব কালো টাকা বেরিয়ে পড়বে। দেখা গেল তা হল না। সব টাকাই ব্যাঙ্কে ফেরত এল। বলেছিলেন, কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ কমবে। যার কোনও লক্ষণই নেই। ওই সময় টাকার জন্য ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িবে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কখনও তো নরেন্দ্র মোদি বলেননি যে তিনি মানুষের এই দুর্ভোগের দায় নিচ্ছেন! লাইনে দাঁড়িয়ে বয়স্ক মানুষদের মৃত্যুর দায় তিনি নিচ্ছেন, কেউ কখনও শোনেনি তঁর মুখে এমন কথা।
নরেন্দ্র মোদী, তাঁর পোশাক-আশাক, তাঁর ভাষণ-টাসন এবং ... : শুভাশিস মৈত্র
বুলবুলভাজা | ভোটবাক্স : বিধানসভা-২০২১ | ০৩ মার্চ ২০২১ | ৩৬৭১ বার পঠিত | মন্তব্য : ৫
শুরু অনেক আগেই হয়েছে। সে কারণেই সম্ভবত গুজরাট দাঙ্গার সময়ে যিনি দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন, সেই কে আর নারায়ণন অবসরের পর বলেছিলেন, তিনি সব থেকে বেশি পীড়িত হয়েছিলেন এটা দেখে যে, এত বড় একটা গণহত্যা ঘটে গেল, সারা দেশ ছিল প্রায় নীরব। সেই সাক্ষাৎকারে ইউটিউবে যে কেউ দেখে নিতে পারেন।
মোদি-শাহদের নতুন আবিষ্কার, ‘সরকারচুরি’ : শুভাশিস মৈত্র
বুলবুলভাজা | ভোটবাক্স : বিধানসভা-২০২১ | ৩০ মার্চ ২০২১ | ৪২০২ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
বিজেপি কোনও রাজ্যে নির্বাচনে যদি হেরেও যা্য়, তবু বিজেপি সেখানে সরকার গড়তে পারে। বিজেপি সম্পর্কে এখন বলা হয়, জিতলে আমরা সরকার গড়ব, আর হারলে, তোমরা বিরোধী আসনে বসবে। মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, গোয়া সহ বেশ কিছু রাজ্যে হেরে গিয়েও সরকার গড়ে বিজেপি প্রমাণ করে দিয়েছে, ভোট বা নির্বাচন একটা ধাপ মাত্র, সরকার গড়ার জন্য ভোটে জিততেই হবে, তার কোনও মানে নেই।
উন্নয়ন, দুর্নীতি তাস বাতিল, বাকি চার দফা ভোটে শীতলকুচিই বিজেপির পাকিস্তান : শুভাশিস মৈত্র
বুলবুলভাজা | ভোটবাক্স : বিধানসভা-২০২১ | ১৩ এপ্রিল ২০২১ | ৩০৭৫ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
নিরস্ত্র জনতার উপর গুলি চালানো এবং হত্যার পর দেশের সর্ব বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেতাদের এই সব মন্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর তা নিয়ে নীরব থাকা, একটাই কথা বলে। সেটা হল, ঘৃণা এখন ভারতে শাসকের রাজনীতির সব থেকে জরুরি উপাদান। এর সঙ্গে মিলিয়ে নিন আরও কয়েকটি তথ্য। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন আন্দোলনকারীদের পোশাক দেখে চিনতে। মোদী মন্ত্রিসভার এক সদস্যকে শাহিনবাগকে উদ্দেশ্য করে জনতাকে দিয়ে বলাতে দেখা গিয়েছিল, ‘গোলি মারো সালোকো’। মোদী মন্ত্রিসভারই আরেক মন্ত্রীকে দেখা গিয়েছিল আখলাখ খুনে গ্রেফতার হওয়া এক অভিযুক্তের স্বাভাবিক মৃত্যুর পর, সেই শবযাত্রায় উপস্থিত থাকতে, যেখানে হত্যায় অভিযুক্তের ওই মৃতদেহ জাতীয় পতাকায় ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। সেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর টুইটে তাকে বলা হয়েছিল ‘শহিদ’। এই সব কিছু একই সুতোয় বাঁধা। আর এই মুহূর্তে তারা সবাই সক্রিয় শীতলকুচিতে।
বিজেপিকে হারাতে বাঙালির ঐতিহাসিক ভূমিকা : শুভাশিস মৈত্র
বুলবুলভাজা | ভোটবাক্স : বিধানসভা-২০২১ | ০৪ মে ২০২১ | ৮১৭৮ বার পঠিত | মন্তব্য : ৬২
আমাদের এই ভাঙা-চোরা, কালি-ঝুলি মাখা অপুষ্টিতে ভুগতে থাকা যে গণতন্ত্র আছে সেটাকে রক্ষা করাই আমাদের এখন প্রধান কাজ। ভবিষ্যৎ প্রমাণ করবে, কিন্তু এই মুহূর্তে বলা যায়, সেই কাজে বাঙালি একটা বড় ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করল, এবারের ভোটে বিজেপিকে রুখে দিয়ে। বাঙালি বজেপির বিরুদ্ধে একটা শক্তিকে চেয়েছিল। বিজেপিও তার বহুমাত্রিক, সর্বগ্রাসী আক্রমণ দিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছিল কে তার প্রধান শত্রু। সিপিএমের ‘বিজেমূল’ প্রচারে মানুষ একেবারেই কান দেয়নি। বাঙালির কাছে এই মুহূর্তের বাস্তবতা এটাই যে, তৃণমূল নেত্রী মমতা ছাড়া তাদের কাছে নির্ভরযোগ্য কোনও শক্তি ছিল না। যারা তাঁকে ভোট দিলেন, তাঁদের অনেকেই তৃণমূল নেত্রী অতীতে কী কী বলেছেন, কী কী করেছেন এই সব অসংখ্য প্রশ্ন এবং তর্ক সরিয়ে রাখলেন। বিজেপির পরাজয় তারই পরিণতি।
উচ্চবর্ণ না চণ্ডাল, কাদের দখলে কমিউনিস্ট পার্টি, প্রশ্ন দলিত বুদ্ধিজীবীর : শুভাশিস মৈত্র
বুলবুলভাজা | আলোচনা : রাজনীতি | ০২ জুন ২০২১ | ৬০৯৭ বার পঠিত | মন্তব্য : ২২
বিনয় চৌধুরীর মণ্ডল কমিশনকে এই রাজ্যে পশ্চাদপদ শ্রেণি বা ওবিসি নেই চিঠি দিয়ে জানানোর প্রায় ২৩-২৪ বছর বাদে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মুখ্যমন্ত্রিত্বের সময়ে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ওবিসি বা পশ্চাদপদ জাতির বা ওবিসিদের তালিকা তৈরি করতে শুরু করে। বলা যায় বাধ্য হয়ে এই কাজে হাত দেওয়া হয়। কারণ ততদিনে, অনেক রাজ্যেই ওবিসি এবং দলিতরা নির্বাচনে বড়ো ভূমিকা পালন করছে, তাঁদের নেতা-নেত্রীরাও বিভিন্ন রাজ্য-রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। ওই সময়ে পশ্চিমবঙ্গে অর্থনৈতিক মাপকঠিতে ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণও ঘোষণা করা হয়। মুসলিমদেরও একটা বড়ো অংশ এই তালিকাভুক্ত হন। ২০১০-১১ সালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মুখ্যমন্ত্রিত্বের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত এলাকায় একটি সমীক্ষা হয় পশ্চাদপদ জাতির সংখ্যা ঠিক মতো জানতে। যতটুকু সমীক্ষা হয়েছিল তা থেকে তখন একটা ধারণা হয়েছিল, গ্রামীণ পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার প্রায় ৩৪ শতাংশ ওবিসি। যদিও এটা সরকারি তথ্য নয়।