নিয়মের অতল ফাঁক - মালদহের গণি খান চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি - চতুর্থ কিস্তি : অনমিত্র রায়
বুলবুলভাজা | খবর : খবর্নয় | ১২ আগস্ট ২০১৮ | ১৩৪০ বার পঠিত | মন্তব্য : ৫
আজ অবধি কোথাও কোনো চেষ্টাই হয়নি মালদা জিকেসিআইইটি-র ঘটনাপরম্পরা লিপিবদ্ধ করে রাখার। এদিকে আন্দোলন শুরু হয়ে ২ বছরের ওপর ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত। এর মধ্যে নানান ঘটনা ঘটে গেছে। এইসব ঘটনার সংখ্যা এতই বেশি যে বর্তমানে আন্দোলনরত ছাত্ররাও সঠিকভাবে দিনক্ষণ, তারিখ বা নাম উল্লেখ করতে পারছে না। সমস্তটাই "ওই ঘটনাটা ঘটার ৬ দিন পর মোটামুটিভাবে ধরা যায়" জাতীয় বাক্য হিসেবে আসছে। সেখান থেকে সঠিক তথ্য ছেঁকে তোলার জন্য দরকার নির্ভরযোগ্য প্রমান। অর্থাৎ কিনা, সেই সময়কার ফেসবুক পোস্ট, কলেজ কর্তৃপক্ষের তারিখ নির্দেশ করা চিঠি (যার কিনা সূত্র পুনরায় ফেসবুক পোস্টই) অথবা সংবাদপত্রের প্রতিবেদন। এই দু'বছরে বেশ কিছু প্রতিবেদন আবার হারিয়েও গিয়ে থাকতে পারে অ্যালগোরিদম-এর দৌলতে।
নিয়মের অতল ফাঁক - মালদহের গণি খান চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি - প্রথম কিস্তি : অনমিত্র রায়
বুলবুলভাজা | খবর : খবর্নয় | ২৬ জুলাই ২০১৮ | ১২০০ বার পঠিত | মন্তব্য : ৬
বেশ কয়েকদিন ধরেই কানে আসছিলো যে মালদা মেডিক্যাল কলেজেও কিছু একটা চলছে। কানে আসছিলো বলার চেয়ে চোখে পড়ছিলো বলা ভালো বরং, সোশ্যাল মিডিয়ায় দু-একটা মন্তব্য দেখা যাচ্ছিলো। কিন্তু বিশদে বোঝা যাচ্ছিলো না কিছুই। খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, মেডিক্যাল নয়, একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। কিন্তু কলেজ কি বলা যায়? নাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান? নাকি শুধুই কয়েকটি বিল্ডিং যার কোথাও কোনোদিন সঠিকভাবে নিবন্ধীকরণই হয়নি। এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হয়তো পাওয়া যেতে পারতো প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের থেকে, কিন্তু মজার বা ভয়ের ব্যাপার হলো, তাঁরা নিজেরাও এ বিষয়ে সম্যক ধারণা রাখেন না। ২০১৬ থেকে ধরলে সেখানকার ছাত্রছাত্রীরা এই নিয়ে তৃতীয় দফায় আন্দোলনে নেমেছে। কিন্তু শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো সদুত্তর তারা পায়নি কর্তৃপক্ষের থেকে।
১ এর ঙঃ সাময়িক যবনিকা : অনমিত্র রায়
বুলবুলভাজা | ইস্পেশাল : উৎসব ২০১২ | ২৩ নভেম্বর ২০১২ | ১০৪০ বার পঠিত | মন্তব্য : ৭
নো বাজেট কি? – এই মহার্ঘ্য প্রশ্নটা বহুদিন ধরে জ্বালাচ্ছে। এটাকেই আগে শেষ করা যাক। এ বিষয়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় মত বোধহয় এটাই যে কোন ছবিই আসলে নো-বাজেট হতে পারে না। কিন্তু যাঁরা এটা মনে করেন তাঁরা হয়তো মাথায় রাখেন না যে নো-এক্সপেন্স বলা হয়নি। এবার যাঁরা জীবনে কোনরকম কোনো প্রোজেক্ট বা প্রোডাকশনের সাথে যুক্ত থেকেছেন তাঁরা বলবেন যে বাজেট তো বাবা সব কিছুরই হয়, হ্যাঁ এটা হতে পারে যে তোমরা হিসাবটা করো না। তবু ইনভিসিবল হলেও সেটা তো আছেই। - ব্যাপারটা ঠিক ওরকম নয়, অন্তত ফিল্মের ক্ষেত্রে। প্রথমে বলে নেওয়া যাক যে নো-বাজেট ছবিকে জিরো বাজেট বা মাইক্রো বাজেটও বলা হয়ে থাকে। আমরা অবশ্য নো প্রেফিক্সটা বসানোরই পক্ষপাতী। এবার প্রশ্নটার উত্তর দুদিক থেকে দেওয়া যায়। প্রথমে সহজ উত্তরটা দিই। ধরা যাক, পটলবাবুর শখ বাগান করা, জবাদি মোবাইলের সদ্য বাজারে আসা সেট কিনতে পছন্দ করে, আবার আলুদা অফিসের বাচ্চা মেয়েদের সাথে উইকএন্ডে ডিনারে যায়; মানে হ্যাবিট থেকে হবি অবধি যে অঞ্চলটা মানুষের জীবনে, তার পিছনেও তো মানুষ টাকা খরচ করে। আর কে কোনখাতে কতটা খরচ করলো সেটা তার সামাজিক পরিচয়ও গড়ে দেয় কিছুটা মাত্রায়। চাঁপাবৌদি যেমন বাড়ি গেলেই নতুন ফ্রিজ, নতুন এসি দেখাতে শুরু করেন, এক্কেবারে প্রাইস ট্যাগ সহ, সেটাতেই তাঁর আনন্দ। ঠিক সেরকমই, আমি ছোটবেলায় ক্রিকেটারদের ছবি জমাতাম খাতায়, বন্ধুদের দেখাতাম বাড়ি এলে, বড় হয়ে সিনেমা বানিয়েছি। ব্যাপারটা পৃথিবীতে বেশিরভাগ লোকই যেহেতু করেনা তাই আমার বা আমাদের এই অদ্ভুত স্বভাব অনেকেই নজর করেছে। একটা পরিচয়ের মতো। বেঁচে থাকারও তো একটা খরচ আছে, নিঃশ্বাস নেওয়ারও। ইচ্ছা থাকলে সেই টাকাটাতেও ছবি বানানো যায়। নো-বাজেট ফিল্ম কিছুটা এরকমই। সারা পৃথিবীতেই। তবে এর বাইরে আরও কতগুলো ব্যাপার আছে। সেগুলোকে দ্বিতীয় তথা জটিল উত্তরটির অন্তর্গত করলাম।
১-এর কঃ ওপেনিং আধলা : অনমিত্র রায়
বুলবুলভাজা | ইস্পেশাল : উৎসব ২০১২ | ০২ নভেম্বর ২০১২ | ১০১৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ৯
ঠিক এই জায়গাটাকেই দর্শককূল বা পাঠককূল মনে করে থাকেন অ্যারোগেন্স বলে। অ্যারোগেন্সটা কিন্তু এমনি এমনি আসেনা। সেসব কথায় পরে আসছি। আপাতত বলা যাক যে, এই আমাদের গোষ্ঠীটার ভেতর আবার দুটো স্পষ্ট ভাগ রয়েছে। আমরা মোটামুটিভাবে বন্ধু হলেও আমাদের চিন্তাভাবনার পদ্ধতি আমাদের দুটো আলাদা কাজ করতে ঠেলে দেয়। আমরা যারা এই গোষ্ঠীর এবং মেইনস্ট্রীম সিনেমা নিয়ে খুশি নই, ক্যামেরার পিছনে দাঁড়িয়ে কিছু করতে চাই; একদল মনে করি লোকে না দেখলে কাজ করে কি হবে, আরেকদলের মতানুযায়ী যে করে হোক কাজটা শুরু করা দরকার, তারপর লোকে নিশ্চয়ই দেখবে, না দেখে যাবে কোথায়! ঠিক এই পার্থক্যটাই আমাদের একসাথে কাজ করতে দেয়না, যদিও উদ্দেশ্য আসলে একই। আমি দ্বিতীয় দলের লোক হলেও প্রথম দল সম্পর্কে আগে বলে নেওয়া যাক। এরা বিশ্বাস করে আভাঁ-গার্দ এবং মেইনস্ট্রীম ফিল্ম এর মধ্যে আদানপ্রদানটা খুবই জরুরী। সেটা আমরাও যে করিনা তা নয়, তবে এদের ওই লোকে না দেখলে কিছুই হলো না জাতীয় মনোভাব থেকে এরা একটা কি দুটো শর্ট ফিল্ম বানানোর পরপরই ইন্ডাস্ট্রিতে ঢোকার পথ খুঁজতে শুরু করে। কেউ স্ক্রিপ্ট রাইটার তো কেউ এডি (সহকারী পরিচালক) হয়ে ঢুকেও পড়ে। আসল উদ্দেশ্য দশ কি পনেরো বছর ধরে আটঘাটগুলো জেনে নেওয়া, তারপর নিজে ছবি বানানো শুরু করা। কেউ পারে কেউ পারেনা। এরপর কোনোদিন দেখা হলে আলোচনার বিষয় হয়ে যায় তমুকের ক্যামেরাম্যান কেন ইচ্ছা থাকার পরও কোনদিন ইউনিট ছেড়ে বেড়িয়ে গিয়ে নিজের ছবিটা করে উঠতে পারলোনা, অথবা অমুক পরিচালক আদতে কতটা সৎ কিংবা এই যে বড় বড় প্রোডিউসার-ডিস্ট্রিবিউটর-হলমালিকদের আঁতাত, ইত্যাদি। দেখা না হলেও চলে, তবু এইসব সাক্ষাৎ এবং পরস্পর পরস্পরকে আমরা মনে রেখে দিই। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, ইন্ডাস্ট্রিতে চলে যাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় দুটো কারণ হল ১) একটা কমন ক্রাইসিস, যে, ছবিও করতে হবে আবার খেয়ে-পরে বাঁচতেও হবে আর ২) আত্মবিশ্বাসের অভাব। নিজেকে নিজে পুরোপুরি বিশ্বাস না করতে পারলে অন্য কেউও তোমায় বিশ্বাস করতে পারে না এবং এতে তাদেরকে দোষ দেওয়ারও কিছু থাকে না। এই বিশ্বাসের অভাবই কি সেই ভয়ের জন্ম দেয়না যে দর্শক আমায় রিজেক্ট করতে পারে? আর সেই ভয়ই কি একটা সময়ের পর নিজস্ব সাফল্যের ফর্মুলা অনুযায়ী ছবি করতে বাধ্য করে না? এইভাবেই তো সত্যা-র সাফল্যের পর পাঁচ তৈরী করার কথা ভাবে একটা লোক অথবা ওম্যানিয়া আর চি-চা লেদারের সাফল্যের পর বোঝাই যায় যে ড্রিমাম ওয়েকাপ্পাম দর্শক ভালই ‘খাবে’। মাথার ভেতর কোথাও বোধহয় ওই বিশ্বাসের অভাব বা ওই ভয়টা ‘মশলা’টা মেশাতে শিখিয়ে দেয়। হলই বা নিজস্ব মশলা, মশলাই তো। তাছাড়া কম বয়সে কেই বা বিপ্লব করেনি বলতো! শয়তানের ভেতর মোরাভিয়া ঢুকে যায়, জনি গদ্দারের মধ্যে জেম্স্ হ্যাডলী চেজ। যাই হোক!