গণবিদ্রোহ নামক কাঁঠালকে কিলিয়ে পাকানোর চেষ্টা চলছে -- কল্যাণ সেনগুপ্ত পরপর তিনটি নির্বাচনের ফলে মহাশূন্যে বিরাজমান সিপিএম দল তাদের শেষ ভরসার নেতা বুদ্ধবাবুর চিরবিদায়ের দিনই দেহদানের পর প্রায় সাথে সাথেই পেয়ে গেলেন তাদের অকল্পনীয় কাঙ্খিত একটি বিষয় - হাসপাতালের মধ্যেই এক ডাক্তার ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের এক ভয়ংকর নির্মম ঘটনা। ফলে এরকম একটি হাতে গরম বিষয় নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে সময় লাগলোনা। যুব নেত্রী মিনাক্ষী বিশাল দলবল নিয়ে তৎক্ষণাৎ সটান পৌঁছে গেলেন NRS থেকে RGKar হাসপাতাল। কারণ, লোকজনকে খবর ... ...
এবারের নির্বাচনে মোদী তথা বিজেপি যে ২৪০ পর্যন্ত পৌঁছতে পারলো, তার জন্য দায়ী কি কংগ্রেস নয়? ইন্ডিয়া জোটের মুম্বাইয়ে শেষ বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী জোর দিয়েছিলেন অবিলম্বে আসন সমঝোতার আলোচনা শুরু করতে। চেয়েছিলেন জোটের কনভেনর নিযুক্ত হোক। তিনি খার্গেজীর নামও উত্থাপন করেছিলেন এবং এও বলেছিলেন যে, তিনি একজন দলিত নেতা হবার কারণেই তাঁর নাম আমরা ভবিষ্যতে পিএম মুখ হিসেবেও সবাই বিবেচনা ... ...
এক চরম হিতাকাঙ্খী টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী কে প্রশ্ন করা হয় - কে আপনার পছন্দের, গান্ধী না গডসে? এর দ্রুত উত্তরে তিনি জানান যে, এটার জন্য আমাকে একটু ভাবতে হবে, এক্ষুনি এর উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি সম্ভবত এখনও এটা নিয়ে ভেবেই চলেছেন এবং এর যথাযথ উত্তর তিনি এখনো পর্যন্ত কোথাও দিয়েছেন ... ...
আমাদের মতো অনেকের আশা আকাঙ্খাকে বলি চড়িয়ে রাহুল গান্ধী তাঁর বিশ্বাসভাজন ও দলের নীতি নির্ধারক অধীর চৌধুরী, জয়রাম রমেশের কথায় প্রভাবিত হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (মুখে ভালো ভালো কথা বলে) কার্যত উত্যক্ত ও উপেক্ষা করে বঙ্গে জোটের শেষ আশাটুকুও খতম করলেন। দেখা যাচ্ছে আশ্চর্যজনকভাবে কংগ্রেসের বাকি নেতৃত্বের কোন সাড়া শব্দ নেই। সবাই জানে, যে কোন সময় নির্বাচন ঘোষিত হতে পরে। অথচ রাহুল ব্যস্ত ন্যায় যাত্রায় আর বাকিদের ভূমিকা বোঝা মুশকিল। এখন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে, কংগ্রেস কি মোদীকে হারাতে সত্যিই আন্তরিক? মনে হয় না। কারণ, তাহলে সময় নষ্ট না করে দ্রুত ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক ডেকে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতেন। কিন্তু সেরকম কোন ... ...
সিপিএমের ব্রিগেড অভিযান সফল হলেও সেই ভিড় কিন্তু অতীতে মমতার নেতৃত্বাধীন যুব কংগ্রেসের ডাকে মৃত্যুঘণ্টা বাজানোর ব্রিগেড সমাবেশকে ছাপাতে পারেনি কোনভাবেই। সেদিনের ভিড়ে স্ট্যাম্পপ্যাড হবার জোগাড় হয়েছিল এবং মঞ্চ থেকে তৎকালীন কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সীর বারংবার ভয়ার্থ সাবধান বাণী ঘোষণার ফলে সেই বিপদ শেষ পর্যন্ত কোনক্রমে এড়ানো যায়। কিন্তু এতদসত্বেও সিপিএমকে সরাতে মমতাকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল দীর্ঘকালের ... ...
আমাদের মতো কিছু মানুষ, যারা বিজেপিকে হারাতে জোট ইন্ডিয়ার পক্ষে বাজি ধরে বসে আছি সমস্ত রকম ভবিষ্যত বিপন্নতার ঝুঁকি নিয়ে, তারা বর্তমানে প্রায় দিশেহারা অবস্থায় রয়েছি কংগ্রেস নেতৃত্বের দলীয় স্বার্থ সম্পর্কিত কারণে জোটকে প্রায় শীতঘুমে পাঠিয়ে দেবার উদাসীন মনোভাবে। তাঁরা হয়তো ভাবছেন, পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলে যদি গোটা চারেক রাজ্যে ফল খুবই ভালো হয় তবে জোটের আসন ... ...
বাংলায় বিজেপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল। সিপিএম ও কংগ্রেস তত্ত্বগত ভাবে বিজেপি বিরোধী হলেও, বাস্তবে তারা অনেক বেশি মমতা বিরোধী। ফলে তাদের সমস্ত আক্রমণই মমতা কেন্দ্রিক। কিন্তু এদের হতাশার মূল কারণ, ভোট রাজনীতিতে মমতার সঙ্গে কোনমতেই পেরে না ওঠা। ২০২১এর ভোটে সিপিএম - কংগ্রেস হাত মেলালো, সঙ্গে নিল চরম মৌলবাদী ইসলামী দল আই এস এফ কে। তবুও সিপিএম - কংগ্রেসের ঝুলি শূন্যই ... ...
রাজনীতি সচেতন ও নিরপেক্ষ মানুষেরা সবাই মানেন যে, এরাজ্যে ২০২১এর ভোটে বিজেপি এমন গোহারা না হারলে এসব ইডি/সিবিআই এর এত তদন্ত করার প্রয়োজনই হতোনা। বিজেপি দিব্যি সুখে রাজ্যপাট চালাতো। বিনা প্রয়োজনে কে আর এসব ঝামেলায় জড়াতে চায়? আর মমতা ক্ষমতাচ্যুত হলে সিপিএমেরও গায়ের জ্বালা জুড়তো এবং দিব্যি শান্তিতে শীতঘুমে যেতে পারতো। বাংলায় রামরাজত্ব চালু হতো যোগী রাজ্যের মডেলেই। রাজ্যজুড়ে সর্বত্র শোনা যেত জয় শ্রীরাম ... ...