এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ইন্ডিয়া জোটের হাল হকিকত

    kalyan sengupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৩২৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ইন্ডিয়া জোটের হাল হকিকত
    -- কল্যাণ সেনগুপ্ত   

    ইন্ডিয়া নামক একটি জোটের কথা মিডিয়ায় এখনও শোনা যায়, কিন্তু এটির কোন তাৎপর্য এখনও আছে কিনা, সম্ভবত রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস দলের নেতারাই সেটি বলতে পারবে। আশ্চর্যজনক ভাবে মনে প্রশ্ন জাগে, কংগ্রেস কি সত্যিই মোদী তথা বিজেপিকে পরাস্ত করতে আগ্রহী? কংগ্রেস নেতৃত্বের আচরণ বা কার্যকলাপ দেখে এমন প্রশ্ন সবার মনেই জাগা স্বাভাবিক। আমরা অতীতে দেখেছি উক্ত জোট গঠনের লক্ষ্যে পাটনা, দিল্লী ও মুম্বাইয়ে পরপর  সবাইকে নিয়ে মিটিং হোল। জোটের নামকরণ হোল, কিছু কিছু কমিটি গড়ে সেসব নামও ঘোষিত হোল। কিন্তু হঠাৎ তারপরই তাল কেটে গেল। এরপর দীর্ঘদিন আর কোনও মিটিং ডাকা হোলনা জোটের। একের পর এক নির্বাচন আসতে লাগলো আর কংগ্রেস তার খেয়াল খুশি মতো আসন সমঝোতা করতে লাগলো। এর ফলে লাভ হয়েছে বিজেপির আর চূড়ান্ত ক্ষতি হয়েছে কংগ্রেস সহ ইন্ডিয়া জোট শরিকদের, সর্বোপরি দেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার।

    প্রায় সর্বত্র কংগ্রেস বিজেপি মুখোমুখি লড়াইয়ে কংগ্রেস পর্যুদস্ত। বিধানসভার নির্বাচনে কংগ্রেস কর্ণাটক ও হিমাচলে জিতলেও লোকসভা ভোটের ফল ভালো নয়। মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাঞ্চল দুটি রাজ্যেই পরাস্ত। ছত্তিশগড়, রাজস্থান হাতছাড়া। একমাত্র তেলেঙ্গানায় জয়লাভ, কারণ সেখানে বিজেপি যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। তবে সর্বাধিক হতাশাজনক ফল হরিয়ানায়, যেখানে জয় ছিল একপ্রকার নিশ্চিত। এতে প্রমাণিত কংগ্রেস নেতৃত্বের ভোট কৌশল বা কুশলতা সম্পূর্ন তলানিতে এসে ঠেকেছে। ইন্ডিয়া জোট ভিন্ন এদের সামনে বাঁচার আর কোন পথ নেই। কিন্তু সেটাও এরা বোঝে কি?

    সাম্প্রতিক নির্বাচনে দেশের অতীব গুরুত্বপুর্ন রাজ্যে  মহারাষ্ট্রও হাতছাড়া হয়েছে। অপেক্ষাকৃত ছোট রাজ্য ঝাড়খন্ডে জয় বজায় রক্ষা সম্ভব হয়েছে আদিবাসী নেতা হেমন্ত সোরেনের কারণে। আদিবাসী অধ্যুষিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ রাজ্যের মানুষ জয়ী করেছে শাসক দলের জোটকেই। অবশ্য এরই সাথে লক্ষীর ভান্ডারের অনুরূপ প্রকল্প ও বিদ্যুৎ বিল মুকূপের সুফলও পাওয়া গেছে। মহারাষ্ট্রের মতো বিজেপি ও সংঘ ঝাড়খন্ডে জেতার লক্ষ্যে চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখেনি। কিন্তু তুলনায় জেতার জন্য মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রে মরিয়া ভাব ছিল চূড়ান্ত ও অস্বাভাবিক।

    ইন্ডিয়া জোটকে সঠিকরূপে গঠনে কংগ্রেস নেতৃত্বের অনিহার কারণ এক অজানা রহস্য তথা সর্বজনের  জিজ্ঞাসা। অনেকের ধারণা, তৃণমূল নেত্রীকে নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের এক অমূলক আশঙ্কা আছে। যদি তিনি প্রধান মন্ত্রী পদের দাবিদার হয়ে যান, কারণ তাঁর দলের অনেকেই মাঝেমধ্যে এইরূপ দাবি করে থাকেন। যদিও নেত্রী স্পষ্ট করেই বলেছেন, তিনি আদপেই ওই পদের দাবিদার নন। তিনি শুধুমাত্র বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে যোগ্য ভূমিকাই পালন করতে চান। কিন্তু সম্পূর্ন নিজস্বার্থে মমতার প্রতি জাতক্রোধ সম্পন্ন  অধীর চৌধুরী এবং সম্ভবত সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে এই অবিশ্বাসের জমি তৈরি করেছেন স্রেফ দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থে। কিন্তু এখন অধীর ভোটে পরাস্ত এবং ইয়েচুরি অকাল প্রয়াত। সুতরাং পরিস্থিতির বদল ঘটেছে। এমতাবস্থায় কংগ্রেস নেতৃত্ব তথা রাহুল গান্ধীর কি উচিৎ নয় সমস্ত সংশয় ঝেড়ে ফেলে তৃণমূল নেত্রীর সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক ও সহজ করে দেশের স্বার্থে  মজবুত জোট গঠনে নতুনভাবে উদ্যোগী হওয়া? 

    এরাজ্যের কংগ্রেস কর্মীরা এক ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে মনে করেন যে, কংগ্রেস দলের বর্তমান দুরবস্থার জন্য দায়ী তৃণমূল। কারণ, কংগ্রেস থেকে বহুনেতা বিভিন্ন সময়ে দলছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে এবং নেত্রী নাকি সবাইকে মোটা অর্থের বিনিময়ে কিনে নিয়েছে। এই অভিযোগের সারবত্তা বলতে অতীতে কিছু সীমিত ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত দখলের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু অধিকারীর দ্বারা সংগঠিত হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর কোন সত্যতা নেই। এসব নেতারা কংগ্রেস দলে তাদের ভবিষ্যত নেই দেখেই শাসকদলে যোগ দেন সম্পূর্ন  নিজস্বার্থে। এর সর্বশেষ উদাহরণ সাগরদীঘির বিধায়ক  বায়রন বিশ্বাস। এরাজ্যে কংগ্রেসের দূরাবস্থার জন্য যদি তৃণমূল দায়ী হয়, তাহলে পড়শী রাজ্য উড়িষ্যায় কে দায়ী, ভেবেছে কখনও? নেতৃত্বের ভুলেই কংগ্রেসের এই সংকট। এর একমাত্র সমাধান কংগ্রেস দলকে শক্তিশালী করা এবং সেটি সম্ভব হতে পারে ইন্ডিয়া জোট সুগঠিত হলেই। অনেকেরই বিশ্বাস, রাহুল ও সোনিয়া উদ্যোগ নিয়ে মমতার সঙ্গে সম্পর্ককে স্বাভাবিক করতে পারলেই জোট সমস্যার সমাধান অচিরেই সম্ভব। মমতা যোগ্য সম্মান ও গুরুত্ব পেলেই তাঁর সব অভিমান দুর হয়ে যাবে, জোটের সব জট কেটে যাবে।
    এনিয়ে কারও কোন সন্দেহ নেই যে, একটি স্থায়ী বিকল্প সরকার গঠন করতে হলে সরকারের নেতৃত্ব তথা প্রধানমন্ত্রী পদটির দায়িত্ব নিতে হবে রাহুল গান্ধীকে অথবা তাঁর পছন্দের কাউকেই। সরকারের স্থায়িত্বের জন্য এর অন্যথা হবার জো নেই। সাধারণ অংকের হিসেব হচ্ছে, ২৭২ ম্যাজিক ফিগার হলেও স্থায়ী সরকার গঠনের জন্য নূন্যতম ৩০০ আসন প্রয়োজন। খানিক কমবেশি ধরে নিয়েই কংগ্রেস দল ১৫০ এবং আঞ্চলিক দলসমূহ ১৫০ পেলেই লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। কংগ্রেসের বর্তমান সাংসদের  সংখ্যা ৯৯+১ অর্থাৎ ১০০ এবং পরিস্থিতি কিছুটা সহায়ক হলেই  ১০০ থেকে ১৪০ বা ১৫০ হওয়া আদপেই অসম্ভব নয়। আর মনে রাখতে হবে, জোট রাজনীতির সুফল সর্বাধিক লাভ করে প্রধান বড় দলই। সুতরাং অখিলেশ যাদব বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে সর্বাধিক ৪০/৪২ আসন পেয়ে  কংগ্রেসের ন্যায্য দাবিকে নস্যাৎ করা সম্ভব নয়। তবে হ্যা, কাঙ্খিত রূপে জোট সুগঠিত না হলে এবং আধা খ্যাঁচড়া আসন সমঝোতা হলে কিছু আঞ্চলিক দল নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে এগোলে ও ভোটে বিজেপিকে পরাস্ত করতে সম্ভব হলে পরবর্তীতে নেতৃত্বদান বিষয়ে সংকট দেখা দিতেই পারে। কিন্তু এমনটা আশা করা বাস্তব সম্মত নয় যে, সঠিকরূপে জোট গঠিত না হলেও বিজেপিকে পরাস্ত করা সম্ভব হবে। ফলে এই অমূলক আশঙ্কা অর্থহীন।

    কংগ্রেস সহ সব বিরোধীপক্ষের নেতৃত্বই জানে, ইন্ডিয়া জোট ভিন্ন বিজেপিকে পরাস্ত করা সম্ভব নয়। কিন্তু তবু কংগ্রেসের এবিষয়ে এত গড়িমসি বা গাছাড়া ভাব কেন? এর একটা কারণ হতে পারে, কর্পোরেট সমাজের এই জোটের বিষয়টি পছন্দ নয়। অথবা দলেরই একটা প্রভাবশালী অংশ মনে করে, কালের নিয়ম মেনেই একদিন মোদী বিদায় ঘটবে, ফলে জোট হাঙ্গামায় না জড়ানোই ভালো। নেতৃত্বকে ঘিরে থাকা একটা অংশ যে মোদীর স্বার্থরক্ষার গোপন দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত নয়, হলফ করে তাও কি বলা সম্ভব? এসব অনুমান যদি অসার হয় তাহলে জোট অনিহার আসল কারণ কি, সেটা পরিষ্কার না জানা পর্যন্ত এমন সন্দেহের অবসান সম্ভব নয়। কংগ্রেস নেতৃত্বের উচিৎ জোটের বিষয়টি নিয়ে তাদের ভাবনা বা বক্তব্য পরিষ্কার করা। কারণ বর্তমানে যেভাবে জোট চলছে, সেটা আদপেই সঠিক পন্থা নয়। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রের মতো একের পর এক রাজ্য বিজেপি জিতে যাবে আর আমরা ২০২৯এ গিয়ে বিজেপিকে পরাস্ত করবো, এটা কোন সৎ প্রচেষ্টার লক্ষণ নয় আদপেই।

    জোটের বিষয়ে আর সময় নষ্ট না করে এখনি উদ্যোগ নেওয়া উচিৎ সবার সাথে কথা বলে যত শীঘ্র সম্ভব  ইন্ডিয়া জোটের সব দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে নিয়ে  বৈঠকে বসা। সেটি কলকাতা, দিল্লী বা অন্যত্র বসে আগে এই জোটের জট কাটানো জরুরি এবং এরই সাথে নিয়মিত বৈঠকের জন্য পরবর্তী স্থান ও দিনক্ষণ স্থির করে ঘোষণা করতে হবে। প্রথম বৈঠকেই আসন্ন দিল্লী ও বিহারের নির্বাচন নিয়ে বিস্তৃত  আলোচনা করে বিজেপির পরাজয়কে সুনিশ্চিত করতে হবে। এসব জায়গায় ইন্ডিয়া জোটের শীর্ষ নেতৃত্ব একতাবদ্ধ হয়ে জনসভা করতে পারলে হওয়া পুরো ঘুরে যাবে, মানুষ আস্থা ফিরে পাবে। এরই সাথে জরুরি, নির্বাচন কমিশনকে পক্ষপাতমূলক আচরণ থেকে বিরত রেখে সঠিকভাবে ভোট পরিচালনায় বাধ্য করা। এবং রাজ্যের বিশিষ্ট মানুষদের নিয়ে নজরদারি কমিটি গঠন করে তাদের পরামর্শকে গুরুত্ব প্রদান করে সর্বজনগ্রাহ্য রূপে ভোট সমাপন করা। এছাড়াও মনিপুর, বাংলাদেশ, সম্বল সন্ত্রাস, আদানি দুর্নীতির তদন্ত সহ বিভিন্ন বিষয়ে পথে নামা এবং এর মধ্য দিয়েই গড়ে উঠবে সুদৃঢ়  বিরোধী ঐক্য, দুর হবে সব অবিশ্বাস বা ভুল বোঝাবুঝি।

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কংগ্রেস নেতৃত্ব কি জোটের বিষয়ে সত্যিই আগ্রহী, নাকি তাদের খেয়াল খুশি মতো জোট পরিচালনাই চালিয়ে যেতে চান? সঠিক অর্থে জোটকে কার্যকরী করতে গেলে  আঞ্চলিক দলসমূহের নেতৃত্বকে খোলামনে আলোচনার সুযোগ দিতে হবে, জরুরি কিছু সাংগঠনিক বিষয়ে নির্দিষ্ট দায়িত্ব দিতে হবে, প্রয়োজনীয় কমিটি গড়তে হবে। তবে সর্বাধিক গুরুত্বপুর্ন বিষয় হচ্ছে, বিকল্প সরকারের কর্মসূচি। বিষয়টি এতটাই গুরুত্বপুর্ন যে  সমাজের বিশিষ্ট মানুষদের এবিষয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে ভালো হয়। যথেষ্ট সময় নিয়ে বহু আলোচনার মধ্য দিয়েই জনমুখী  কর্মসূচিকে চূড়ান্ত রূপ দিতে হবে। তবে মূল বিষয়টি হচ্ছে জোটের প্রশ্নে দেশের মানুষের জন্য বৃহত্তর স্বার্থে অতীতের সব মন মালিন্যকে দূরে সরিয়ে রেখে উদার মনে একজোট হয়ে লড়াই করা।

    মনে রাখতে হবে, দেশের কোটি কোটি মানুষ চায়, মোদী শাসন থেকে মুক্তি। সেজন্য এর প্রাথমিক কর্তব্য হচ্ছে ইন্ডিয়া জোটকে সুসংগঠিত করে দেশব্যাপী বিরোধী নেতৃত্বকে ঐক্যবদ্ধরূপে দেশের সর্বত্র সভা সমাবেশের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে প্রবল আশার সঞ্চার করা। তাহলেই রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পূর্ন অনুকূল হতে বাধ্য। তখন বিজেপি ও সংঘের সংগঠন, সমাজের একেবারে নিচুতলার গিয়ে সর্বাত্মক প্রচার অথবা যাই করুক, কিছুই আর কার্যকরী হবে না। মানুষ শান্তি চায়, বুনিয়াদি সমস্যার সমাধান চায় এবং এর জন্য জরুরি  নির্ভেজাল বিরোধী ঐক্য। কংগ্রেস যদি আন্তরিক ভাবেই চায়  বিজেপি হারুক, সংবিধান ও দেশ রক্ষা পাক, মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সমস্যা সমূহের খানিক সমাধানের পথে সদর্থক ভূমিকা নিক বিকল্প সরকার, তাহলে ইন্ডিয়া জোটকে সুসংগঠিত করার বিষয়টিকেই সর্বাধিক প্রাধান্য দিতে হবে। অতীতের ভারত জোড়ো যাত্রার মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী মানুষের মনে যে আশার সঞ্চার করতে সমর্থ হয়েছিলেন রাহুল, সে আশা পূরণের দায়িত্ব পালন করা এবার জরুরি। 

    ইতিমধ্যে আঞ্চলিক দলসমূহের মধ্যে জোট নেতৃত্ব ও কার্যকলাপ নিয়ে যথেষ্ট অসন্তোষের ফলে বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাইছেন জোটের নেতৃত্বে এবং এনিয়ে সম্ভবত কথাবার্তাও খানিক এগিয়েছে। এমতাবস্থায় কংগ্রেস নেতৃত্ব কি করবেন? বাধা দেবেন না মেনে নেবেন? মানতে বাধ্য হবেন না খোলা মনে নেবেন অথবা জোটের বৈঠক ডেকে সবার সাথে আলোচনা করে সব সমস্যার সমাধান করবেন, এখনই বলা মুশকিল। তবে এবার কিছু একটা যে করতেই হবে, সেটা নিশ্চিত। ঐক্যবদ্ধ জোট সক্রিয় হলেই মোদী হারবে, দেশ বাঁচবে। নচেৎ দেশ ডুববে গভীর অন্ধকারে।

    প্রার্থনা করি, জোট নেতৃত্বের শুভবুদ্ধির উদয় হোক, দেশ বাঁচুক, সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষা পাক।  দেশের মানুষ  আশায় বুক বাধুক যে বিকল্প সরকার জনমুখী নীতি গ্রহণ করে মানুষের জন্য রোজগারের সংস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সহ বুনিয়াদি সমস্যার সমাধানে সচেষ্ট হবে। প্রকৃতই সুদিনের মুখ খানিকটা হলেও দেখুক মানুষ।
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • মণিপদ্ম দত্ত | 2401:4900:8847:6ee6:d18a:df3f:74f8:***:*** | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৩৮540195
  • লেখাটি মূল প্রশ্নকে চিহ্নিত করতে পারলেও সমাধানের পথের অতিসরলীকরণ করেছে। বিজেপি কে হারানো অবশ্যই প্রয়োজন। তবে ১৯৭৭ এর জনতা জোট বা ২০১১ র তৃণমূল মদত কোনো সত্যিকারের সমাধান দিতে পারে নি।‌কারণ নীতিহীন বোঝাপড়া আসলে একটি ওপরচালাকি।‌বিজেপি হেরে গেলেই সব হয়ে গেল এই ভাবনা থেকে দূরে থেকে আন্দোলনের রূপ পরিবর্তন প্রয়োজন। অখিলেশ যাদব বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কোন বিকল্প নন এ বিষয়ে দ্বিমত থাকার‌ বাস্তব কারণ নেই। এরা সব নীতিহীন মওকাটেরিয়ান। এই প্রতিবেদক যে খুব দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বা সংবেদনশীল নন তার বোঝা গেল ব্যক্তিগত আক্রমণের প্রবণতা দেখে। মমতার পশ্চিম বঙ্গের আর একজন ভাড়া করা সাংবাদিক মনে হচ্ছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন