এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • দেশরক্ষায় দ্রুত জোট ইন্ডিয়ার বৈঠক ডাকা জরুরি

    kalyan sengupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ৩১৪ বার পঠিত
  • আমাদের মতো অনেকের আশা আকাঙ্খাকে বলি চড়িয়ে রাহুল গান্ধী তাঁর বিশ্বাসভাজন ও দলের নীতি নির্ধারক অধীর চৌধুরী, জয়রাম রমেশের কথায় প্রভাবিত হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (মুখে ভালো ভালো কথা বলে) কার্যত উত্যক্ত ও উপেক্ষা করে বঙ্গে জোটের শেষ আশাটুকুও খতম করলেন। দেখা যাচ্ছে  আশ্চর্যজনকভাবে কংগ্রেসের বাকি নেতৃত্বের কোন সাড়া শব্দ নেই। সবাই জানে, যে কোন সময় নির্বাচন ঘোষিত হতে পরে। অথচ রাহুল ব্যস্ত ন্যায় যাত্রায় আর বাকিদের ভূমিকা বোঝা মুশকিল। এখন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে, কংগ্রেস কি মোদীকে হারাতে সত্যিই আন্তরিক? মনে  হয় না। কারণ, তাহলে সময় নষ্ট না করে দ্রুত ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক ডেকে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতেন। কিন্তু সেরকম কোন তাগিদ বা উদ্বেগ দেখাই যাচ্ছে না। এর কারণ কি কর্পোরেট জগতের নির্দেশ? নাকি সংঘ কর্তাদের কোন  আশ্বাসবাণী? অন্য কিছু হলে সেটা পরিষ্কার করে সবাইকে জানাতে হবে। মুখে জোটের কথা বলবে আর বাস্তবে নিজেরাই ইচ্ছেমতো ছড়ি ঘোরাবে, এমনটা কে মানবে?

    একথা সবাই বোঝে যে, বিরোধী পক্ষ ঠিকঠাক জোট গঠন করে, নির্দিষ্ট  জনমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করে ঐক্যবদ্ধভাবে মিটিং মিছিলের মাধ্যমে প্রচারে ঝড় তুলতে পারলেই মানুষ ভরসা পাবে এবং মোদী পরাস্ত হবে। আর এসব করা না গেলে মোদীকে পরাজিত করা সম্ভব নয় কোনভাবেই। বিষয়টা কংগ্রেস নেতৃত্ব বোঝে না, এমনটা নয়। তবুও ইন্ডিয়া জোটের মিটিং না ডেকে কংগ্রেস এককভাবে সব দায়িত্ব নিজের হাতে নিয়ে মুখে ভালো ভালো কথা বলে গোটা বিষয়টাকে যখন ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে তখন এর দায়ও কংগ্রেস নেতৃত্বকেই নিতে হবে।

    মোদীকে হারানোর লড়াইয়ে কংগ্রেস যেভাবে জোটের স্পিরিটকে নষ্ট করছে, মোদীবিরোধী বিভিন্ন সংগঠন ও জনতাকে বিভ্রান্ত করে চরম হতাশায় নিমজ্জিত করছে, তা সম্পূর্ন অপ্রত্যাশিত। পূর্বে ছত্রিশগড়, মধ্য প্রদেশ ও রাজস্থানে বিধানসভার ভোট লড়তে গিয়ে ইন্ডিয়া জোটকে সম্পূর্ন আড়ালে রেখে মুখ পোড়ালো। ইন্ডিয়া জোটের মুম্বাই বৈঠকের সময় থেকেই দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস নেতৃত্বের আচরণ অস্বাভাবিক এবং আদপেই জোট সহায়ক নয়। জোটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে অবিরাম তীব্র শ্লেষাত্মক সমালোচনা করে চলেছেন কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরী একটানা এবং কংগ্রেসের উচ্চতর নেতৃত্ব সেটাকে যথেষ্ট প্রশ্রয় ও সমর্থন দিচ্ছেন সচেতনভাবেই। এসবের আগেই রাজ্য কংগ্রেস ঘটা করে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দিয়েছে যে তারা এখানে জোট করতে রাজী নয়। কিন্তু এরই সাথে সবাইকে বিভ্রান্ত করতে ১০/১২টি আসনের দাবীও শোনা যাচ্ছিল। তৃণমূলের পক্ষেও ২/৩টির বেশি আসন দেওয়া যাবেনা, এমনটাই জানানো হচ্ছিল। কিন্তু সেরকম সংগঠিত ভাবে এরাজ্যে উচ্চপর্যায়ে কোন আসন রফার আলোচনা হয়েছে বলে জানা নেই, যা হয়েছে তা নেহাতই দায়সারা গোছের, বিন্দুমাত্র আন্তরিকতা ছিল বলে শোনা যায়নি। এরপর মমতা বন্দোপাধ্যায় এককভাবেই ৪২টি আসনে লড়াইয়ের ঘোষণা করলেন। এতদসত্বেও  কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে কিছু মধুর বচন আওড়ানো ছাড়া আর কোন কর্যকরী পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল না। ফলে গোটা বিষয়টিকে বেশ আশ্চর্য্যজনক রহস্যে মোড়া বলে মনে হচ্ছে। আদপেই এর কোন সহজ ব্যাখ্যা আছে বলে মনে হয়না।

    কংগ্রেসের এমন আচরনের কারণ বেশ আশ্চর্য্যজনক ও সঠিক কারণ নির্ণয় করাও খুব কঠিন। তবুও বিভিন্ন সম্ভাবনাকে খতিয়ে দেখা জরুরি। তেমনই সম্ভাবনার একটি হতে পারে, বিগত পাঁচটি রাজ্যের ভোটের ফল দেখে হয়তো তাদের মনে হয়েছে, সরাসরি লড়াইয়ে বিজেপিকে হারানোর চেয়ে (তেলেঙ্গানা) বিআরএস দলের মতো আঞ্চলিক দলকে হারানো অনেক সহজ।  হয়তো এবার সেকারণেই বিজেপির সাহায্যে তৃণমূলকে টার্গেট করেছে অধীর ও ইয়েচুরির দুষ্প্রভাবে। এটা করা সম্ভব যদি বাম কংগ্রেস আইএসএফ মিলে ত্রিমুখী লড়াইয়ের নামে এবং যেভাবে বিজেপির (এলেবেলে প্রার্থী দিয়ে) গোপন সাহায্য নিয়ে ২০১৯এ অধীর জিতেছিল, সেইরকম গোপন বোঝাপড়ার মাধ্যমে বিজেপিকে ৩২ ও বাকি ১০ আসনে নিজেরা লড়াই করে তৃণমূলকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে। কারণ এটা সবাই বোঝে যে, পরিষ্কার ত্রিমুখী লড়াই হলে  অঙ্কের সোজা হিসেবে লাভ তৃণমূলেরই হওয়ার কথা এবং সেটা অধীর সেলিম বোঝেনা, এমন নয়। ফলে তৃণমূলকে শিক্ষা দিতে গেলে গোপন বোঝাপড়া করতেই হবে। কিন্তু যদি তারপরও তৃণমূল শূন্যে না নামে বা ১৫-২০টা আসন পেয়ে যায়, তখন তৃণমূল হয়তো বাধ্য হবে ভবিষ্যতে কংগ্রেসের সঙ্গ পরিহার করতে এবং তার জন্য সম্পূর্ন দায়ী থাকবে চরম হটকারী কংগ্রেস নেতৃত্ব।

    এরাজ্যের ক্ষেত্রে দেখা গেল, ইন্ডিয়া জোট গঠিত হবার পরেও অধীর চৌধুরী ও তার দলবল চূড়ান্ত কটূ ভাষায় তৃণমূল সরকার ও দলনেত্রীর সমালোচনা করে চলেছে। উদ্দেশ্য একটাই যাতে এরাজ্যে জোট গড়ে না ওঠে। এতে লাভ কাদের?  মূলতঃ বিজেপির এবং সিপিএমের।  বিজেপির বিষয়টি স্পষ্ট এবং অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু সিপিএম ও রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিষয়টি চূড়ান্ত গোলমেলে। এদের স্বাভাবিক ভাবে লক্ষ্য হওয়া উচিৎ ছিল দেশের প্রধান শত্রু মোদীকে পরাস্ত করতে আগ্রহী হওয়া। কিন্তু তেমনটি হোল না, প্রথমেই সিপিএম বেসুরো গেয়ে বলতে লাগলো, তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলানো নৈব নৈব চ। অধীরের পক্ষে তেমন সিদ্ধান্তে অনড় থাকা সম্ভব ছিল না, কিন্তু মনের বাসনা ছিল একান্তই সিপিএমের অনুরূপ। ফলে ওদিকে ইন্ডিয়া জোট সংঘবদ্ধ হতে লাগলো আর অধীর এদিকে তৃণমূলের সমালোচনায় যা খুশি তাই বলতে লাগলো। তৃণমূল আশা করেছিল  কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অধীরের রাশ টানবে, কিন্তু তেমন কোন লক্ষণ দেখা গেলনা এবং এতে প্রশ্রয় পেয়ে অধীর ও তার দলবল ক্রমশ আরও বেপরোয়া হয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির মতো অবিশ্বাস্য দাবি তুলতে লাগলো। কারণ এরাজ্যে জোট ভঙ্গ হলে ও কেন্দ্রের ক্ষমতায় মোদী পুনর্বার আসীন হলেই সিপিএম ও অধীরের রাজনৈতিক সুবিধে হয়। এভাবেই এরাজ্যে জোটের গঙ্গাযাত্রা ঘটে গেল।

    সিপিএম মুখে না বললেও দলীয় স্তরে বলে থাকে যে, তৃণমূলের বিরোধিতা করাটা তাদের পলিটিক্যাল কম্পালসন। যুক্তি দেখায়, তৃণমূল দেশের মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ ও স্বৈরতান্ত্রিক দল। অর্থাৎ বাকি দলগুলোর কথা ছেড়ে দিলেও বিজেপিকে ক্লীন চিট দিচ্ছে সিপিএম। সিপিএম পার্টির পত্র পত্রিকায় মোদী জমানার যেসব দুর্নীতির তথ্য ও তার বিপুল পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছে সেই ভয়াবহ খতিয়ানকেই বাতিল বা অস্বীকার করা হচ্ছে বাস্তবে। এর কারণ অবশ্য তৃণমূলকেই সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্থ প্রমাণ করার তাগিদ। সিপিএম জানে যে, মোদী জিতলেই তৃণমূল চাপে থাকবে এবং তাহলেই সাংগঠনিকভাবে সিপিএমের পক্ষে সবকিছু করা সহজ হবে। সেকারণেই সিপিএম চায় কেন্দ্রের ক্ষমতায় মোদীই থাকুক। 

    এমতাবস্থায় এসবের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হচ্ছে, আঞ্চলিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে নিজেদের কৌশল স্থির করা। কারণ ২০২৪এ মোদী আবার জিতলে সংবিধান, আইন কানুন সবই  নিজের সুবিধা অনুযায়ী বদলে দেবে। সংবিধান, গণতন্ত্র ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বিপদগ্রস্থ হবে। গঠিত হবে হিন্দু রাষ্ট্র। হয়তো কংগ্রেসও এমনটাই চায়। আপাতত তাই রণে ভঙ্গ দিয়ে ভবিষ্যত সুযোগের অপেক্ষায় থাকবে। ২০২৯ এর পর মোদীর প্রয়োজন সঙ্ঘ বা বিজেপি দল আর নাও অনুভব করতে পারে। কংগ্রেস হয়তো ভাবছে তখন লড়াই বেশ সহজ হবে। কিন্তু যদি তখন মোদীর বদলে অমিত শাহ প্রধান নেতা হন, তাতে কি বিশেষ সুবিধা হবে? সাংগঠনিক দক্ষতায় কিন্তু অমিত শাহ মোদীর তুলনায় বেশি ছাড়া কম দক্ষ নন।  কংগ্রেস নেতৃত্ব ভবিষ্যত নিয়ে যত খুশি স্বপ্ন দেখুন, কিন্তু মোদী আবার জিতলে তার দায় বা ব্যর্থতার কলঙ্ক কিন্তু সহজে মুছবেনা এবং কংগ্রেস তথা রাহুল গান্ধী তার বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পূর্ন হারাবে। দেশের ভবিষ্যত সর্বনাশের জন্য মোদীর সাথে সাথে কংগ্রেসও সেই পাপের সম্পূর্ন ভাগীদার হবে।

    কংগ্রেসের এখন  সবচেয়ে বড় কর্তব্য হচ্ছে, জোট রাজনীতি নিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা কবুল করে যত শীঘ্র সম্ভব সবার সাথে কথা বলে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক ডাকা এবং দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় অমীমাংসিত বিষয়গুলি নিয়ে পুনরায় সম্মিলিতরূপে যুক্তিগ্রাহ্য আলোচনা শুরু করে আন্তরিক ভাবে  সমাধানের অনুসন্ধান করা। কিন্তু বাস্তবে তার কোন সম্ভাবনা বিশেষ দেখা যাচ্ছেনা। কোনরূপ গোপন পরিকল্পনা ছাড়া এমনটা হবার কথা নয়। কংগ্রেসের সৌজন্যে একের পর এক ব্যর্থতার কারণে দেশের মানুষ হতাশ হচ্ছে এবং মোদীর জয়ের পথ মসৃণ হচ্ছে। সুতরাং, অবিলম্বে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক ডেকে দেশরক্ষার আরেকবার চেষ্টা করা হোক, কংগ্রেসের শুভবুদ্ধির উদয় ঘটুক।
                            **************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 2402:3a80:196f:34e9:878:5634:1232:***:*** | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৪৪528353
  • পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে বাম ও কংগ্রেসের কোনো গ্রহণযোগ্যতা ও জনভিত্তি নেই। দুটো আসন‌ও পাবে কিনা সন্দেহ। সমর্থকরাই একথা বলছে। তাদের নিয়ে এতো কান্নাকাটির কি প্রয়োজন?
    আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করুন, তারপর নাহয় দেশ নিয়ে ভাববেন।
    ইন্ডি জোটের পিন্ডি চটকে গেছে !
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন