

সংবাদবার্তা পরিবহনের সে প্রায় পুরানো প্রস্তরযুগের ঘটনা – ১৮৬৫ সালের কথা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন থিয়েটার দেখতে গিয়েছিলেন ওয়াশিংটনের এক জায়গায়। সেই থিয়েটার চলাকালীন এক আততায়ী তাঁর মাথাতে গুলি চালায়। পরের দিন মারা যান লিঙ্কন। এবার তা হলে সেই খবর সারা পৃথিবীতে পরিবেশিত হবে কিভাবে? তখনো টেলিফোনের চলও হয় নি। আমেরিকা থেকে ইংল্যান্ড এবং ইউরোপের মূল ভূখন্ডে খবর পাঠাতে হলে সেই জাহাজ যাত্রাই একমাত্র অবলম্বন। ... ...

"লোকে যাকে সাহিত্য করাটরা বলে তেমন কোন-কিছুতে আমার কোন আস্থা নেই চিন্তার মধ্যবিত্ততাকে ঘৃণা করি আমি, যে চিন্তা বৌয়ের ঠোঁটের লিপস্টিক দেখে রক্ত প্রত্যক্ষ করে। রবিঠাকুর-টাকুরদের মতো সাহিত্য-করিয়েদের লাইনে থাকতে নিজেকে রীতিমত অসম্মানিত মনে হয় আমার। আমি তেমন কোনো লেখা লিখতে চাই না যা পড়ে লোকে আমার পিঠ চাপড়ে বললে বাহা বেড়ে সাহিত্য করেছো তো হে ছোকরা, আমি চাই লোকে আমার লেখা পড়ে আমার মুখে থুথু দিক, আঙুল দেখিয়ে বলুক, - এই সেই লোক যে উপদংশ-সর্বস্ব এই সভ্যতার ঘাগুলো খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে দিনের আলোর মত খোলাখুলি করে দিয়েছে।" ... ...

ইউরোপীয় কোম্পানিগুলি বাংলার রফতানি পণ্য কেনার জন্য ইউরোপ থেকে যেসব সোনা-রুপো নিয়ে আসত (প্রায় সবটাই রুপো) সেগুলোর বেশিরভাগই জগৎশেঠদের কাছে বিক্রি করতে হত কারণ এগুলোর বিনিময়ে তাদের স্থানীয় মুদ্রা সংগ্রহ করতে হত এবং তা দিয়েই রফতানি পণ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হত। আর যেহেতু জগৎশেঠদের হাতেই টাঁকশালের কর্তৃত্ব, তাদের আমদানি করা রুপো জগৎশেঠদের কাছে বিক্রি করা ছাড়া কোনও উপায় তাদের ছিল না। শুধু তাই নয়, জগৎশেঠরা যে দাম দিতেন, সেটাই তাদের নিতে হত। বলা বাহুল্য সে দাম বাজারের দামের চেয়ে কমই হত। ইউরোপীয় কোম্পানিগুলির পক্ষে এ ব্যবস্থা মেনে নিতেই হত কারণ তারা এ দেশে পণ্য কেনার জন্য যে রুপো নিয়ে আসত, জগৎশেঠদের ছলচাতুরির জন্য তারা সেগুলি দিয়ে টাঁকশালে মুদ্রা তৈরি করতে পারত না। অথচ দাদনি বণিকদের মাধ্যমে রফতানি পণ্য সংগ্রহ করার জন্য তাদের নগদ টাকার খুবই প্রয়োজন হত। ... ...

সূত্র : যতীন্দ্রমোহন চট্টোপাধ্যায় দ্বারা মূল জেন্দ থেকে বাংলায় অনূদিত জরথুস্ত্র উপনিষদ ... ...

আমার একটি গল্প সংকলন প্রকাশিত হয়েছে এবারের বইমেলায়। তারই বিজ্ঞাপন। শিরোনামে ৩ কারণ এটি আমার তৃতীয় বই-এর বিজ্ঞাপন। ... ...

সাতটি স্বাদের - সাতটি বর্ণের - সাতটি বই ... ...

নতুন বছরে নতুন বই। কিশোরদের জন্যে নটি গল্পের সংকলন। তেঁনারা। ... ...

পরপর দুটি স্মৃতিকথা পড়া হয়। প্রথম বাশারাত পীর লিখিত ‘কার্ফ্যিউড নাইট’ এবং সেই সূত্রে রেফারেন্স পেয়েই বিপ্রতীপের আখ্যান রাহুল পন্ডিতা লিখিত ‘আওয়ার মুন হ্যাজ ব্লাড ক্লটস’। পীরের লেখা আমাকে আমূল কাঁপিয়ে দিয়ে যায়। আফস্পা নামক আইনটি এবং সেই রক্ষাকবচের আড়ালে কাশ্মীর বা মণিপুরে ভারতীয় সেনার দানবীয় রূপের কিছু কিছু কথা জানা ছিল, জানা ছিল না এই ভয়াবহ অত্যাচার আর অবিশ্বাসের আবহাওয়ার। জানা ছিল না সরকার তথা সেনাবাহিনী অথবা সন্ত্রাসবাদী তথা স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীর এই দুই পক্ষের মধ্যে কোন একটির আওতায় থাকতে বাধ্য প্রতিটি মানুষ। জানা ছিল না এমনকি পক্ষাবলম্বনের পরেও সেই পক্ষের মধ্যে থাকতে পারে অজস্র ছোট পক্ষ যাদের মধ্যের বাদানুবাদে যেকোন মুহূর্তে বিপন্ন হতে পারে মানুষের সর্বস্ব। প্রায় নির্লিপ্ত ভঙ্গীতে পীর লিখে গেছেন কাশ্মীরের অসহায় বিপন্ন দিনরাতের জ্বলেপুড়ে যাওয়ার কাহিনী। পন্ডিতা নিজে কাশ্মিরী পন্ডিত, লেখা সত্যি বলতে কি বড় বেশী পার্টিজান, খুব যে ভাল লেগেছে পড়তে তা নয়, কিন্তু এ বইও আমার জন্য আই ওপনার। কাশ্মীরি পন্ডিতদের আতঙ্ক ও অসহায় পলায়ন ঠিক এভাবে জানা ছিল না। ... ...

১৯৭১ সালে পুলিশ বীনাকে গ্রেপ্তার করে নক্শাল সন্দেহে। সপ্তাহখানেক হাজতে রাখে, জেরার নামে প্রতিদিন, ক্রমাগত মারধোর করে, তারপর রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত, অর্ধচেতন অবস্থায় জেলে পাঠায়। কোনরকম একটু সুস্থ হওয়ার পর আবার হাজতে, আবার এক সপ্তাহ জেরা ও নৃশংস মার। আমার সঙ্গে যখন দেখা তখনও বীনার সর্বাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন, কানে চোট লেগে মাথা ঘোরে, যন্ত্রনা আর থেকে থেকে জ্বর। কিন্তু বীনা শক্ত মেয়ে। বীনার সব থেকে বড় রাগ ছিল, পুলিশ ওর ঋতুশ্রাবের সময় কোন কাপড় পর্যন্ত ব্যবহার করতে দেয়নি। জেলেও অবস্থা তেমন কিছু আলাদা ছিল না। হাজারিবাগে কখনো কখনো নোংরা, উকুনে ভরা কাপড়ের বান্ডিল গরাদের ফাঁক দিয়ে ছুঁড়ে দেওয়া হত- বেচেবুছে পরিস্কার করে ঋতুশ্রাবের সময় ব্যবহার করার জন্য। জামশেদপুরে ওসবের আলাদ কোন ব্যবস্থাই ছিল না। মেয়েরা তাদের শাড়ি থেকে, কখনো কম্বল থেকে কাপড় ছিঁড়ে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করতো। বীনার সঙ্গে আমার য্খন দেখা তখন সদ্য ওর বাবা মারা গেছে। বাড়ির কাউকে ও অনেকদিন দেখেনি - কারন জামশেদপুর আসতে দশ টাকা গাড়ি ভাড়া লাগে, আর জেলের দরজায় ঘুষ দিতে হয় - ঐ টাকা জোটানো বীনার বাড়ির লোকের পক্ষে সম্ভব না। ওকে দেখে বুঝতে পারতাম বীনা কখন ওর বাড়ির মানুষের কথা ভাবছে। আবহাওয়ার সামান্য বদলে বীনা বিষন্ন হয়ে পড়তো - ফসলের কী হবে, ফসলের ক্ষতি হলে বাড়ির মানুষের কী হবে। ফসল ভালো না হলে স্থানীয় মহাজনের থেকে ১০০% সুদে ধান কর্জ নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। ... ...

ভ্রমণ নিয়ে যে বিশাল লেখাপত্র ফেঁদে বসব এমনটা খুব বেশ দিন আগেও ভাবি নি। আর আগে তেমনটা আগে ভাবি নি বলেই মোটা ডায়েরী নিয়ে ঘুরেছি বা ঘুরে এসেই সব লিখতে বসে গেছি – এমনটাও হয় নি। অন্যদিকে দেখতে গেলে গত কুড়ি-পঁচিশ বছরে ঘোরা ঘুরিও কম হল না! এই কুড়ি এত ঘুরেছি যে সেটাই যেন স্বভাবিক এমন ভাবনায় মস্তিষ্ক নর্মালাইজড হয়ে গিয়েছিল! ... ...

এই লেখাটি ভ্রমণবিষয়ক "মনপবন" পত্রিকার পরিচয় জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে রচিত। ... ...

এক সময় কবিতা লজিক্যাল থাকে না – আর থাকার দরকারও তো নেই মনে হয় সবসময়! সব সময় কবিতা দিয়ে সাহিত্যের বাঁকবদল নাই বা হল! কোন নতুন যুগের সূচনা করার জন্য কবিতা লিখতে চায় নি সে। কবিতা ছিল তার প্রকাশ – তার সাময়িক নিঃসঙ্গতার সাথী। ... ...


বিশ্বজুড়ে ধর্ম-অধর্ম নিয়ে রক্তারক্তির ঘটনা চিরকালীন - সত্যি বলতে বিশ্বের সকল মানুষের সেটাই সনাতন ধর্ম - সে তাদের ধর্মমতের নানান নাম-ধাম- গাঞি-গোত্র যাই হোক না কেন। ... ...

টুকটাক ... ...

ডেল্টা অফ ভেনাসের গল্পগুলো অনুবাদ করছি ... ...

বিট আন্দোলন ... ...

অনুবাদকও ভুল পথে নিয়ে যেতে পারে ... ...
