এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • তৃণমূলী শিক্ষাব্যবস্থা আরও অনেককে চাপা দিয়ে যায়

    Bhutanoya লেখকের গ্রাহক হোন
    ০২ মার্চ ২০২৫ | ৫১০ বার পঠিত
  • আমরা যারা বাম আমলে সরকারী স্কুলে পড়েছি, তারা স্কুল পার করে জেনেছি, স্কুলে লাইব্রেরি থাকে, খাবার জলের ব্যবস্থা থাকে। আমরা এসব দেখিনি, বলাই বাহুল্য। কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থার এই ধ্বসে যাওয়া চেহারা বাম আমলে ছিল না। সরকারী কলেজে ভর্তি হয়েছি, বছরে ফি দিতে হত ৯০০ টাকা। আর্টসের লোকেরা এর অর্ধেক ফি দিত। ইউনিয়ন চাঁদা চাইত ৩০০ টাকা, কোনওবছরই দিইনি। দামড়া কিছু দাদা চাইতে এলে আজ দেব কাল দেব করে কাটিয়ে দিয়েছি, ওরাও বিরক্ত হয়ে চাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। তারপর এল তৃণমূল জমানা। ছোট পিসতুতো মাসতুতো ভাইবোনেরা যখন সরকারী কলেজে ভর্তি হতে গেল, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ তোলা চাইল হাজার হাজার টাকা। এ জিনিস সত্যিই আমাদের সময়ে শুনিনি। কলেজ ফিও লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে। বছর দুই আগে একটি মেয়ে ইতিহাস নিয়ে কলকাতার একটি সরকারী কলেজে ভর্তি হতে আমার সাহায্য চেয়েছিল, অনলাইন ফর্ম ফিল আপ হয়, সরকারী স্কুলগুলিতে কম্পিউটার লিটারেসি দেওয়া হয় না, ফলত গরীব পরিবারগুলিকে একে তাকে ধরতে হয় কলেজে ভর্তি হতে। তো সে করতে গিয়ে জানতে পারলাম, ইতিহাস অনার্সের কোর্স ফি সেমিস্টার প্রতি ৬০০০ টাকা, অর্থাৎ মাসে হাজার টাকা!

    স্কুলশিক্ষার ব্যাপারেও একটা দুটো জিনিস জানতে পারলাম একটি ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করাতে গিয়ে। ছেলেটির বাবা নির্মাণ শ্রমিক, ছেলেকে নিয়ে নিউ টাউনে এসেছেন কাজ করতে। ছেলেটি বাবার সাথে এদিক-ওদিক করে বেড়িয়েছে, পড়াশোনা বিশেষ শেখেনি, যোগবিয়োগ, একটা  বাংলা বাক্য পড়তে পারা এসব কিছুই ভাল করে পারে না। ছেলেটির বয়েস ১৪, কিন্তু স্কুলে ছেলেটিকে ক্লাস নাইনের নীচে নেবে না, কারণ সরকারী নোটিস আছে, বয়সের উপযুক্ত ক্লাসেই নিতে হবে, নইলে নয়। এবার, যে একটা লাইন লিখতে পারে না, তাকে ক্লাস নাইনে বসিয়ে রাখা অর্থহীন। এবং অবস্থার ফেরে স্কুলছুট বহু বাচ্চার অবস্থাই এই। এদের শিক্ষার কী হবে? নিচু ক্লাসে ভর্তি হলে স্কুল থেকে লিখতে-পড়তে শিখতে পারত, যেখানে বাড়িতে কেউ লেখাপড়া জানেন না বা সাহায্য করার সময় নেই, কিন্তু সরকারী স্কুল এ রাজ্যের দরিদ্রতম ছেলেমেয়েগুলিকে সেটুকু থেকেও বঞ্চিত করছে।

    আমি জানি না, যাদবপুরে আজ ঠিক কী দাবিতে ঝামেলা হয়েছে। তবে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দিয়ে যাবার ভিডিওটা দেখলাম। সত্যি বলতে, শিক্ষাব্যবস্থার যা বর্তমান অবস্থা, তাতে এই নৃশংসতা আর আশ্চর্য করে না। গরীব বাচ্চারা স্কুল-কলেজ থেকে যাতে আর কিচ্ছু না পায়, তারই অবস্থা তৈরি করা হয়েছে সরকারী নীতি দিয়ে। সরকারী স্কুল-কলেজ যাদের জন্য হওয়ার কথা, সরকারী নীতিগুলি এমনভাবেই নেওয়া হয়েছে যাতে তারাই বাদ পড়ে। যাদবপুরের এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া কী হবে আমি জানি না। তবে, স্কুল-কলেজের এই অবস্থার কথা যাতে এই চর্চার মধ্যে ওঠে, যাতে 'দফা এক দাবি এক' টাইপের বিজেপি মার্কা নির্বোধ দাবির বদলে সরকারী স্কুল-কলেজে ফি বাতিল, স্কুলে শিক্ষার মান অনুযায়ী ক্লাসে ভর্তি, কম্পিউটার শেখানো, লাইব্রেরি তৈরি ইত্যাদি দাবিগুলো তোলার কথা কেউ ভাবেন, সেজন্যই এই হ্যাজ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ০২ মার্চ ২০২৫ ০০:৩৮541423
  • আমিও বাম আমলেই স্কুলে পড়েছি ,যখন ক্লাস টেনে উঠেছি , তখন তিনুরা এসেছিল সরকারে। তখন তো স্কুলে লাইব্রেরী বা খাবার জল ছিল। গ্রামের দিকের স্কুলের অবস্থা জানি না অবশ্য
  • &/ | 107.77.***.*** | ০২ মার্চ ২০২৫ ০১:১৪541425
  • আমাদেরও স্কুল লাইব্রেরি ছিল , খাবার জলের ব্যবস্থা ছিল।  বাম আমলের অজপাড়াগাঁয়ের  সরকারি  বাংলা মাধ্যম স্কুল , স্কুলটি তে ক্লাস ফাইভ থেকে  টুয়েলভ   অবধি পড়েছি 
  • . | ০২ মার্চ ২০২৫ ০১:২৪541426
  • আমিও বাম আমলের গোড়ার দিকে ইস্কুলে পড়েছি। জল, লাইব্রেরি,সবই ছিল আমাদের অবৈতনিক ইস্কুলে।
  • Bhutanoya | ০২ মার্চ ২০২৫ ০১:৪৫541427
  • আমাদের "লাইব্রেরি" বলতে ছিল খান কুড়ি পুরনো গল্পের বই। লাইব্রেরি ঘর বলে একটা ঘর ছিল, কিন্তু তাতে কাউকে ঢুকতে দিত না, তো আমরা স্টুডেন্টরা কেউই জানতাম না ওতে কী আছে। খাবার জলের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। বাড়ি থেকে জল আনতে হত।
  • . | ০২ মার্চ ২০২৫ ০৩:২৬541428
  • বুঝতে পারছি, স্কুল টু স্কুল ডিফার করে পরিস্থিতি।
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ০২ মার্চ ২০২৫ ০৯:৪৬541429
  • আমি বাম আমলে সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলে পড়েছি। লাইব্রেরি ছিল, পুরো একটা ঘর, তাকে তাকে প্রচুর বই রাখা। পর্যাপ্ত খাবার জল ছিল। কম্পিউটার শিক্ষাও দেওয়া হত, একদম বেসিক কিছু জিনিসের। বিভিন্ন স্কুলে পরিকাঠামোয় তফাৎ থাকতে পারে অবশ্য।
  • Bhutanoya | ০২ মার্চ ২০২৫ ০৯:৫৮541430
  • সম্ভবত স্কুল কর্তৃপক্ষের অপদার্থতার জন্যই আমরা পাইনি। কলেজে অবশ্য লাইব্রেরি, খাবার জল সবই ছিল।
  • | ০২ মার্চ ২০২৫ ১০:৩৭541431
  • আমি বাম আমলে স্কুল পাশ করেছি।  মাধ্যমিকের স্কুলে জল তো ছিল। টিউবওয়েল। স্কুলের সীমানা ঘেরা ছিল না তাই সেই কল থেকে বাইরের পাড়ার লোকজনও জল নিয়ে যেতেন। 
     
    কিন্তু লাইব্রেরি? নাহ ওসব কিছু ছিল না আমাদের ভাগাড়পাড়া স্কুলে। লাইব্রেরির ক্লাস বা পিরিয়ডও  ছিল না। বই কিছু কিছু কেনা হত যেটা আমার মা স্কুলে যোগ দেওয়ার পরে জানতে পারি। ওই সুত্রেই ২-১ টা বই পড়তেও পেরেছি। কিন্তু অন্য ছাত্রীরা তা জানতেও পারে নি বইও পায় নি। 
     
    ১১-১২ আকনায় পড়েছি। সেখানে দস্তুরমত লাইব্রেরি রুম  ছিল। বইটইও ছিল। 
  • | ০২ মার্চ ২০২৫ ১১:৪৯541434
  • আর যাদবপুরে ব্রাত্য বসুর এই কাজটা ক্রিমিনাল অফেন্স। হিট এন্ড রান ক্রিমিনাল অফেন্স তার সেভাবেই ট্রীট হওয়া উচিৎ। ড্রাইভিং ক্লাসেপ্রথমদিনই শিখিয়েছিল একমাত্র অস্ত্র নিয়ে প্রাণঘাতী আক্রমণ করতে না এলে আর কোন ক্ষেত্রেই তুমি কাউকে মারবে না। সামনে মানুষ কুকুর গরু যাই আসুক তুমি মারবে না থেমে যাবে। তাতে যদি পেছনের গাড়ি থামতে না পেরে তোমায় মারে দোষ ২০০% সেই গাড়ির। তোমার নয়। পরে প্রতিদিনই একবার করে এটা বলত। 
    আমি পুণেতে ড্রাইভিং শিখেছিলাম। 
  • কৌতূহলী | 103.249.***.*** | ০২ মার্চ ২০২৫ ১২:৫১541437
  • আখনা (শ্রীরামপুর গার্লস হাই স্কুল) এঁর পরিকাঠামো খুবই ভাল। অন্তত আমার বোন যখন পড়ত তখনও ভাল ছিল। স্কুলে কম্পিউটার ল্যাবে ২৪ টা কম্পিউটার ছিল। তাছাড়া লাইব্রেরী ,জলের একোয়াগার্ড সবই ছিল। সবরকম ঘরের ছাত্রীরাই পড়ত। রেজাল্টও ভাল হত নিয়মিত।
  • π | ০২ মার্চ ২০২৫ ১৩:০৫541438
  • এখন কী অবস্থা? 
  • কৌতূহলী | 103.249.***.*** | ০২ মার্চ ২০২৫ ১৩:১৪541439
  • এখনকার খবরটা ভাল জানি না। আমার বোনেদের সময়কার প্রধান শিক্ষিকা উভয়ভারতীদি তো রিটায়ার করে গেছেন। আমার বোনও অনেকদিনই হল পাশ করে গেছে। অনেকে বলে শুনি এখন নাকি স্কুল তত ভাল নেই। এবার তাঁরা আদৌ ঠিক বলে কিনা ,বা ভাল নেই বলতে ঠিক কী বোঝায় , তা জানি না। তবে একটা জিনিস দেখেছি। আমাদের শহরে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা সন্তানদের আশ্রম ,নন্দলাল ,ইউনিয়ন , একাডেমি ,আখনা, রমেশ বা বৈদ্যবাটির চারুশিলা এসব স্কুলগুলোতেই ভর্তি করতে চাইত। এখন দেখছি ট্রেন্ডটা অনেকটা নতুন হওয়া সিবিএসই বোর্ডের স্কুলগুলোর দিকে ঘুরে গেছে। যদিও তাতে অতিরিক্ত পয়সা খরচ ছাড়া অন্য কিছু লাভ হয় কিনা কে জানে। 
  • Bhutanoya | ০২ মার্চ ২০২৫ ১৫:০৭541440
  • @দ
    একদমই, লোকজনের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়া ক্রিমিন্যাল অফেন্স। কৃষক আন্দোলনের সময়ে বিজেপি এক আন্দোলনকারীর ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিয়েছিল। আর এখন আমাদের 'ইন্টেলেকচুয়াল' শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। একে জেলে ভরাই উচিত। কিন্তু শুধু ওটুকুই বললে কিছুই হবে না, একটা ব্রাত্যর বদলে আরেকটা ব্রাত্য আসবে, যদি আদৌ জেল হয়। সরকারী পলিসি বদলে জোর না দিলে কিছু বদলাবে না।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০২ মার্চ ২০২৫ ২৩:১৯541443
  • সেই উইঙ্কল টুইঙ্কল ! সেই ব্রাত্য! এ তো দেখি উল্টো হয়েছে, বাল্মিকী থেকে রত্নাকর !
  • &/ | 151.14.***.*** | ০২ মার্চ ২০২৫ ২৩:৩৫541445
  • কৌতূহলীর কথায় মনে হল, এমনকি আমাদের অজপাড়াগাঁয়ের বাংলা বয়েজ স্কুল আর বাংলা গার্লস স্কুল দুটোই বেশ রীতিমতন ভালো স্কুল ছিল, শিক্ষিত মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেপুলেরা পড়ত। লাইব্রেরি, জল, খেলার মাঠ, গণবিজ্ঞান সংসদের সঙ্গে কোলাবোরেট করে স্কুলে বিভিন্ন সায়েন্স একজিবিশন করা, নানা সায়েন্স ট্যালেন্ট টেস্টে ছাত্রছাত্রী পাঠানো , স্টুডেন্ট'স সায়েন্স সেমিনার, কুসংস্কার দূরীকরণ আন্দোলনের কর্মীরা এসে স্কুলে অনুষ্ঠান করা, জ্যোতির্বিজ্ঞানে উৎসাহদানের জন্য বিজ্ঞানকর্মীরা টেলিস্কোপ নিয়ে এসে সেট করে স্টুডেন্টদের বিভিন্ন ইন্টারেস্টিং গ্রহ নক্ষত্র ওপেন ক্লাস্টার ইত্যাদি দেখানো --- এই ধরণের ব্যাপারগুলোও হত রেগুলার ক্লাস ইত্যাদির সঙ্গে।
    এখন সেই স্কুলের অবস্থা একেবারে অন্য। শিক্ষিত মধ্যবিত্ত দূরের কথা, তথাকথিত নিম্নবিত্তরাও ওখানে আর সন্তান ভর্তি করেন না। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়ারা আসে এখন, পড়াশুনো নামেমাত্র করতে পারে, মিড ডে মিল খেয়ে বাড়ি চলে যায়।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৩ মার্চ ২০২৫ ০০:০১541446
  • কিছুদিন আগে সোশাল মিডিয়ায় একটি লেখা খুব ঘুরছিল, ক্লাস এইটের পর থেকে আর মিড ডে মিল নেই সেই নিয়ে। এটা খুব অদ্ভুত! একই স্কুলে এই বাচ্চারা পড়ছে, ক্লাস নাইনে উঠেই দেখছে তাদের আর দুপুরের খাওয়া নেই, এটার যুক্তিটাই বা কী? মিড ডে মিলের টাকা যখন চারটে ক্লাসের জন্য আসে (ধরা যাক মাধ্যমিক স্কুল, ক্লাস ফাইভ থেকে শুরু), তখন আর দু'টো বছরের জন্য করা সম্ভব না?
  • geetashree koley | ০৩ মার্চ ২০২৫ ০৬:১৮541447
  • আমিও আখনা আর চারুশিলায় পড়েছি। সেই সময় ভালো সরকারি স্কুলে চান্স পাওয়াটা একটা বিশাল ক্রেডিট এর ব্যাপার ছিল। আর যারা প্রাইভেট স্কুলে পড়ত তাদের বলতাম " বেশি বেশি" 
  • কৌতূহলী | 103.249.***.*** | ০৩ মার্চ ২০২৫ ১৫:৫৪541464
  • বামফ্রন্ট সরকার এসে ক্লাস টুয়েলভ অবধি অবৈতনিক শিক্ষা করেছিল। এখন অবশ্যই ক্লাস টুয়েলভ অবধি মিড ডে মিল এবং পুষ্টিকর খাবারের দাবি তোলা উচিত। মিড ডে মিল এ বরাদ্দ নামমাত্র। এ নিয়ে কোন আন্দোলন দাবি কিছুই নেই। ইস্যুভিত্তিক আন্দোলন উঠেই গেছে। এখন হেট ক্যাম্পেন ভিত্তিক পলিটিক্সের রেকারিং ডেসিম্যাল চলে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন