মহারাষ্ট্রে বিজেপি হুলিয়ে জিতেছে, আর ঝাড়খণ্ডে গোহারা হেরেছে। মহারাষ্ট্রে বিজেপির প্রচারের একটা বড় অংশ ছিল তাদের 'লড়কি বহিন" প্রকল্প, যাতে ২১ থেকে ৬৫ বছরের মহিলা, যাঁরা কিছু আর্থসামাজিক অবস্থার ক্রাইটেরিয়া মিট করবেন, তাঁরা মাসে ১৫০০ টাকা করে পাবেন। এ হচ্ছে সেইরকমের প্রকল্প, যাকে পয়সাওয়ালা ডানপন্থীরা সোশ্যাল মিডিয়াতে "freebie" বলে গাল পাড়েন, যে গাল আজকাল পশ্চিমবঙ্গের ট্যাঁকভারী বামপন্থীরাও দিচ্ছেন মমতার বিভিন্ন প্রকল্পকে। আর সেটা এই বাস্তবের মুখে দাঁড়িয়ে, যেখানে শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, সমস্ত ভারতের অধিকাংশই আর্থিক অনটনে ... ...
বাংলার সোশাল মিডিয়াতে গণপরিবহন নিয়ে কথাবার্তা বিশেষ শুনি না। কোভিডের সময়ে সরকারী বাস-ট্রেন বন্ধ ছিল, লোকজন কয়েকটা বেসরকারী দূরপাল্লার বাসে বাদুড়ঝোলা হয়ে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং করছিল, তখনও খুব বেশী আওয়াজটাওয়াজ শুনিনি। এমনকি, বেসরকারীকরণের আপাত বিরোধী বামেরাও বেশী ট্যাঁ-ফো করেন না, সম্ভবত এ রাজ্যে সরকারী গণপরিবহন ব্যবস্থা লাটে ওঠার পেছনে তাঁদের ভূমিকা সামনে এসে যাবে বলেই। আমাকে নিয়মিত বাসে যাতায়াত ... ...
'অরাজনীতি'র আক্ষরিক অর্থ ধরে খুব সহজেই বলে দেওয়া যায় যে কথাটার কোনও মানে হয় না। অনেকে সেই কথা তুলেই 'অরাজনীতি'র বিরোধিতা করেন। কিন্তু, অরাজনীতি কথাটা যাঁরা সদর্থক অর্থে ব্যবহার করেন, তাঁরা সচরাচর অরাজনীতি বলতে অদলীয় বোঝেন। এবং, 'অদলীয়' আন্দোলন কোনও গুণের কাজ নয়, এই কথাটা জোরগলায় বলার লোক কমে আসছে। অধিকাংশ আন্দোলনই, কিছুদূর গড়ালে, একটা সংগঠন তৈরী করে, যেটা আন্দোলনের ... ...
ওনার ছাতি ছাপ্পান্ন ইঞ্চি হলেও দেশের বেশীরভাগের ছাতিতে বেশী মাংস নেই সেটা চোখ খোলা রাখলেই দেখা যায়, বিশ্ব ক্ষুধা সূচক ২০২৪ শুধু সেটাকে কনফার্ম করল। আমাদের মিডিয়া এসব আজেবাজে খবর দিয়ে পুজোর মেজাজ বিগড়োতে চায় না। অপুষ্টি একজনকে আজীবনের মত প্রতিবন্ধী করে। ভারতে stunting আশঙ্কাজনক অবস্থায়। সেখানে রাজ্যে মিড-ডে মিলে দৈনিক বরাদ্দ শিশুপিছু সাতটাকার মত। পাবলিক সার্ভিসের দাবিতে আজকাল আন্দোলন-টান্দোলন হয় না। স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে বেসরকারি পকেটে ... ...
ট্রাম তো আগের সরকার - বর্তমান সরকার মিলে শেষ করে দিয়েছেন আর ট্রামডিপোর জমি প্রোমোটারকে বেচে দিয়েছেন। যে অল্প কটা পড়ে আছে, সেই জমিটুকু আর যেন প্রোমোটারের হাতে না যায়, তার জন্যে আমাদের চেষ্টা করা উচিত। শহরে সবুজ প্রায় শেষ। ওই জমিতে গ্রিন স্পেস হোক। আর কত শ্রাদ্ধ হবে শহরটার?ইউরোপে অল্পদিন ছিলাম, সেখানে প্রায় প্রতি ব্লকে বড় পার্ক, খেলাধুলো, এক্সারসাইজ করার জায়গা ... ...
একটা কথা শুরুতেই স্পষ্ট করে বলা উচিত - জেনেরিক ড্রাগ খারাপ, নন-জেনেরিক ড্রাগ ভাল, ব্যাপারটা আদৌ এরকম নয়। নন-জেনেরিক ড্রাগেও প্রচুর দুনম্বরী পাওয়া গেছে, আবার অনেক জেনেরিক ড্রাগ খেয়েই প্রচুর রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কথা হচ্ছে ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটগুলো কি কড়া ভিজিল্যান্সে আছে কি না। আনন্দবাজার দেখার অনেকদিন আগে থেকেই দেখা যাচ্ছে, ওরকম কিছু নয়।২০২৩ সালে ভারতে ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স আইন পরিবর্তন করার বিল, যেটার নাম হাস্যকরভাবে 'জন বিশ্বাস বিল', পাস হয়। সে নিয়ে আনন্দবাজার, এবিপি আনন্দ কেউই খুব একটা মাথা ঘামায়নি, যদিও নিউজলন্ড্রি, ধ্রুব রাঠীরা কথা তুলেছিলেন। পুরনো আইন অনুযায়ী, নিম্নমানের ওষুধ বেচলে অন্তত একবছরের জেল। পরিবর্তিত আইন অনুযায়ী, জেল ... ...
২০২১ সালে গ্রাউন্ডজিরো ওয়েবসাইটে আর জি কর হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের একটি আন্দোলন নিয়ে এই প্রতিবেদনটি বেরোয়। হাসপাতাল সুপার, প্রিন্সিপ্যাল সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন না করে 'সিলেকশন' করা, হাউসস্টাফশিপ দেওয়া নিয়ে দুর্নীতি করার,হস্টেলের সমস্যাকে উপেক্ষা করার ইত্যাদি। আন্দোলন করায় ছাত্রদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ কেরিয়ার শেষ করে দেবার হুমকিও দিয়েছে বলে ... ...
১লা সেপ্টেম্বর আর জি করের ঘটনায় জাস্টিসের দাবিতে 'নাগরিক উদ্যোগে' একটি মহামিছিল ছিল কলেজস্ট্রিট থেকে ধর্মতলা। ধর্মতলায় যখন মিছিল ঢুকছে, তখন দেখা গেল ধর্মতলায় বিজেপির ধর্ণামঞ্চ, বিজেপি মাইকে তারস্বরে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস', 'একটাই দাবি - পদত্যাগ' ইত্যাদি বলে চ্যাঁচাচ্ছে। এমতাবস্থায় মিছিলের কী করণীয়? নিশ্চয়ই বিজেপিবিরোধী স্লোগান দেওয়া? মাইক হাতে উদ্যোক্তারা ঠিক করলেন, একদমই নয়। মিছিলের একাংশ বিজেপির স্লোগানেই গলা ... ...
এসব পশ্চিমবঙ্গে নামার আগেই টুক করে পোস্ট করে নিই - বিজেপির মত বিষ ভারতীয় রাজনীতিতে এই মুহূর্তে আর নেই। নতুন সোশ্যাল মিডিয়া পলিসি অ্যাপ্রুভ করেছে উত্তরপ্রদেশের ক্যাবিনেট, যাতে অ্যান্টিন্যাশনাল পোস্ট করলে তিন বছর থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন জেল অবধি হতে পারে বলে বলা হয়েছে। বাকস্বাধীনতা জিনিসটার মূল্য বা চর্চা দুই-ই এদেশে কম, ফলে এধরণের বিষাক্ত রাজনীতির প্রতিবাদ খুব যে দেখব ... ...
কোনও আন্দোলন কোন দিকে যাবে, তা বোঝার একটা দিক হল সেই আন্দোলনের কী দাবি। 'Justice for Tilottama' গোছের কথার অনেক মানে হতে পারে। কেউ মনে করতে পারেন অভিযুক্তকে ধরে এনকাউন্টার করে দেওয়া হচ্ছে জাস্টিস। কেউ ভাবতে পারেন, সুষ্ঠু তদন্ত হচ্ছে জাস্টিস। কেউ অন্য কিছু ভাবতে পারেন। একের কাছে যা জাস্টিস, অন্যের কাছে তা-ই ইনজাস্টিস হতে পারে। ফলত আন্দোলনের দাবি ভাসা ভাসা কথা না হয়ে স্পষ্ট হওয়া ... ...