এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • [বাংলা] ছবির ব্যবসা

    দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ | ৫০৮ বার পঠিত
  • | | | | | | | |
    ছবির ব্যবসার ক্ষেত্রে মুক্তি পাবার পর প্রথম তিন দিন খুব গুরুত্ত্বপূর্ণ। অর্থাৎ প্রথম শুক্রবার , শনিবার এবং রবিবার। 
     
    আশি বছর আগে একটা হল থাকলে প্রতি শুক্রবার সন্ধেবেলা আগে থেকে কিছুই না জেনে দর্শকরা ঘুরতে ঘুরতে সেখানে গিয়ে দেখতেন কি ছবি চলছে  , তারপর টিকিট কাটতেন । এই সন্ধ্যেবেলার শো কেই বলা হত ম্যাটিনি শো এবং হলে যে তারকার ছবি হুলিয়ে চলত তিনিই হতেন ম্যাটিনি আইডল।  
     
    কিন্তু একসময় এক্স এবং ওয়াইরা বুঝতে পারলেন যে কোন ছবি এর পরের শুক্রবার মুক্তি পাবে সেটা আগে থেকেই দর্শকদের জানা জরুরি। সবার পাড়ায় বা যাতায়াতের পথে তো আর হল পড়ে না যে তিনি বুঝতে পারবেন কোন ছবি এর পর সেই হলে আসছে। 
     
    এটা সামলাতে প্রথমে হাতে আঁকা পোস্টার এল যাতে আসন্ন ছবি মুক্তির তারিখ এবং কে কে আছেন সেসব তথ্য দেওয়া থাকত। সেগুলো প্রথমে হলের আশেপাশের দেওয়ালে তারপর ধীরে ধীরে সারা শহরে লাগিয়ে দেওয়া হত। তারপর ছাপা পোস্টার , ফ্লেক্স ইত্যাদির আগমন। কাগজে দ্বিতীয় পাতায় কোন ছবি কোন হলে কোন সময় চলছে সেই তথ্য দেওয়া হতে লাগল এবং ছবির পোস্টার বিজ্ঞাপন হিসেবে দেওয়া হতে থাকল।  এই দুটোর পাশাপাশি আরো একটা উপায় ওয়াইরা মাথা থেকে বের করলেন - একটা ছবির শেষে আরো দুটো তিনটে আগামী ছবি যা তারা পরিবেশনা করবেন তার কিছু ঝলক দেখানো। মূল ছবির পিছনে এই ঝলকগুলো দেখানো হত বলে এর নাম ছিল 'ট্রেলার'। 
     
    কিন্তু এখানে সমস্যা হল , অনেক দর্শক যে ছবিটা দেখতে এসেছিলেন সেটা শেষ হলেই উঠে হল থেকে বেরিয়ে যেতেন , তারা জানতেনই না যে তার পরেও আগামী কয়েকটা ছবির ব্যাপারে খবর দেওয়া থাকবে। এটা লক্ষ্য করে ওয়াইরা ট্রেলারগুলো ছবির শুরুতেই জুড়ে দিতে লাগলেন, কিন্তু নামটা ভুলবশত 'ট্রেলার'ই থেকে গেল। 
     
    এখন ট্রেলারগুলো ছবি শুরুর আগে দেওয়া ছাড়াও টিভি চ্যানেল , ইউটিউব বা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া জলভাত। এর ওপরে এসে গেছে টিজার এবং মোশন পোস্টার। সাধারণত চিত্র তারকাদের জন্মদিনে বা নতুন ছবির শুটিংয়ের ঘোষণা হলেই এই দুটো জিনিস বাজারে ছেড়ে দেওয়া হয়। মোশন পোস্টার মানে ছবির পোস্টারে কিছু অ্যানিমেশন এফেক্ট যোগ করে একেবারে ছোট একটা পাঁচ সেকেন্ডের ভিডিও বানানো। টিজার হবে দৈর্ঘ্যে মোশন পোস্টারের থেকে একটু বড় কিন্তু ট্রেলারের থেকে ছোট। টিজার এমনভাবে বানাতে হবে যাতে তা দেখে ছবির গল্প কিছুই বোঝা যাবেনা , শুধু দর্শকরা 'টিজড' হবেন ছবিটা নিয়ে।এই দুটোর সঙ্গে অনেকসময় মূল ছবির কোনো সম্পর্কই থাকে না। হয়ত মোশন পোস্টারে একরকম অভিনেতা অভিনেত্রী বা পরিচালকের নাম দেওয়া হল কিন্তু ছবি বেরোনোর আগে দেখা গেল পরিচালক বদলে গেছে। 
     
    এতদূর ঠিকই ছিল , কিন্তু বাজারের নিয়মে একটা পণ্য বানালেই যে সেটা বিক্রী হবে তার কোনো মানে নেই। তাই নির্দিষ্ট টার্গেট অডিয়েন্সকে পণ্যটির সম্পর্কে জানানো এবং প্রথম তিন দিন হলে টেনে আনা খুব জরুরি। ধরে নেওয়া যাক আজকে মঙ্গলবার এবং শুক্রবার আপনার প্রিয় নায়ক/নায়িকার কোনো ছবি হলে আসবে। আপনি কোনো কারণে ট্রেলারটা দেখেননি কারণ আপনি ইউটিউব ব্যবহার করেন না , ছমাস হলে গিয়ে কোনো ছবির ট্রেলার দেখেননি। অথচ ছবিটার ব্যাপারে জানলে আপনি প্রথম দিন প্রথম শোতে হলে যাবেনই । সেক্ষেত্রে আপনাকে কিভাবে ছবিটার ব্যাপারে এক্স বা ওয়াই জানাবেন ?
     
    এরকম একটা ছবি যে মুক্তি পেতে চলেছে সেটা আপনাকে জানানোর কায়দারই নাম ছবির প্রচার বা চলতি কথায় প্রোমোশন। এই ব্যাপারটা এত সূক্ষভাবে করা হয় যে আপনি বুঝতেই পারবেন না আসলে একটা ছবির প্রোমোশন চলছে। যেমন ধরুন আপনি ইউটিউব দেখেন না কিন্তু টিভিতে একটা কুইজ শো বা গানের রিয়ালিটি শো দেখেন। হঠাৎ শুক্রবার ছবি মুক্তির আগের বুধবার সেই কুইজ শোতে দেখবেন ছবির কলাকুশলীরা হাজির এবং তারা কুইজ খেলার পর বা গায়ককে দশে আট নম্বর দেবার পর একদম শেষে খুব মৃদু গলায় বলছেন - "পরশু আপনাদের সবথেকে কাছের প্রেক্ষাগৃহে আসছে তমুক , আমাদের নতুন ছবি । অবশ্যই দেখবেন কিন্তু। "
     
    বা ধরুন আপনি শুধু খবরের চ্যানেল দেখেন , দুপুরবেলা একটা বিশেষ সময়ে যখন আপনি ভাত খেতে বসে যে কোনো চ্যানেল চালাবেন দেখবেন শুধু নতুন ছবির খবরের স্লট চলছে। সেখানে সঞ্চালক/সঞ্চালিকারা রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে অভিনেতা অভিনেত্রীদের মজার মজার প্রশ্ন করছেন এবং উত্তর শুনে তাদের সঙ্গে খুব হাসাহাসি করছেন। খবরের কাগজে হঠাৎ দেখবেন কোনো নায়িকার সাক্ষাৎকার যে তিনি মিষ্টি দই খেতে ভালোবাসেন , সামনের বছর জানুয়ারি মাসে বিয়ে করছেন কিন্তু আগের মাসে দার্জিলিং কার সঙ্গে ঘুরতে গেছিলেন তা তিনি কিছুতেই সাংবাদিকের কাছে প্রকাশ করবেন না। আসলে বিয়েটা বা মিষ্টি দই প্রধান উপলক্ষই নয় , সবই ছবির প্রচারের অংশ। অথবা যে চ্যানেলে সারাদিন বোমা , গুলি , দুর্নীতির স্টিং অপারেশন চলে , একটা সন্ধ্যেবেলা হঠাৎ তারা নতুন ছবির কলাকুশলীদের নিয়ে একটা আধঘন্টার আসর বসিয়ে দিলেন। সেখানে আপনি দেখলেন পরিচালক কথার মাঝে হঠাৎ উপস্থিত একজন গায়ককে বললেন -'এবার একটা গান হয়ে যাক' । তিনচার কলি নতুন গান আপনি শুনে ফেললেন। এসব কান্ডকারখানা দেখেশুনে আপনি ছবিটার ব্যাপারে কৌতূহলী হয়ে উঠলেন এবং ঠিক করলেন ছবিটা শনিবার দিন দেখতে যাবেন। প্রোমোশন সফল হল। 
     
    সামাজিক মাধ্যমেও এই টার্গেটেড প্রোমোশন করা হয় 'ইনফ্লুয়েন্সার' বা 'কন্টেন্ট ক্রিয়েটর'দের মাধ্যমে । যেমন ধরা যাক এরকম প্রথম জন নানা খাবারের দোকানে খেয়ে মতামত দেন [ফুড ভ্লগিং] , দ্বিতীয়জন কোনো গান চালিয়ে তার সঙ্গে নাচেন এবং তৃতীয়জন 'মিম রিভিউ' করেন , তাদেরকে ডেকে একদিন এক্স বললেন তমুক ছবিটার একটু প্রোমোশন করে দাও। তারপর ফুড ভ্লগিং করতে গিয়ে প্রথমজনের সঙ্গে ছবির নায়কের হঠাৎ দেখা হয়ে গেল , নতুন ছবির গানের সঙ্গে দ্বিতীয়জনের নাচের ভিডিও এল এবং তৃতীয়জন ছবির ট্রেলারের কিছু মুহূর্ত কেটে তৈরী নতুন মিম নিয়ে তার বানানো ভিডিওতে খিল্লি করলেন । 
     
    এখানে সমস্যাটা হচ্ছে হয়ত আপনি শুধুই খেতে ভালোবাসেন কিন্তু হলে গিয়ে ছবি দেখেনই না। আপনি নতুন ভ্লগিংএর ভিডিওতে দেখলেন ভ্লগারের সামনে সবে খাবারের প্লেট এসেছে হঠাৎ নায়ক তার ফোনে অর্ডার করে রাখা খাবারের প্যাকেট নিতে দোকানে ঢুকে পড়লেন এবং আড্ডা জুড়ে দিলেন ভ্লগারের সঙ্গে। আপনি একটু বিরক্ত হয়ে ভিডিওটা তিরিশ সেকেন্ড এগিয়ে দিলেন। ততক্ষণে নায়ক খাবারের প্যাকেট নিয়ে বেরিয়ে গেছেন এবং ভ্লগার আবার বিরিয়ানির ভালো আলু সেদ্ধ হয়নি , এই অভিযোগ জানাচ্ছেন দোকান মালিককে। আপনি সেটা দেখতে দেখতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। এক্ষেত্রে ছবির প্রোমোশন সফল হল না। 
     
    প্রথম তিনদিন যথেষ্ট দর্শক হলে এলে মুখে মুখে তারা নিজেরাই ছবির প্রচার করে দেবেন । তার ওপর ভিত্তি করেই ছবি পরবর্তী ব্যবসা করবে। সঙ্গে থাকবে খবরের কাগজে বা সামাজিক মাধ্যমে ছবির রিভিউ , যা ভালো হলে আরো দর্শক দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে হলে আসবেন এবং ছবি ধীরে ধীরে পঞ্চাশ দিন , একশো দিনের লক্ষ্যমাত্রা পেরোবে। 
     
    অতিমারী পরবর্তীকালে একটা কথা প্রায়ই দর্শকদের মুখে শোনা যাচ্ছে - "টিকিটের দুশো টাকা , ট্যাক্সিভাড়া আরো দুশো টাকা দিয়ে হলে গিয়ে ছবি দেখে কি হবে? বরং একমাস বাদেই তো এটা ওটিটিতে চলে আসবে , তখন দেখে নিলেই তো হয়। " কথাটা ফেলে দেবার মতন নয় , একটা ছবি হলে দেখতে যদি চারশো টাকা খরচ হয় , সেই একই টাকায় ছমাস ধরে কয়েকশো ছবি সহজেই ওটিটিতে দেখা যায়। কিন্তু তাহলে এই স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলো কি করে ব্যবসা করে ? ক্রমশ প্রকাশ্য।  
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | |
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন