ক্লাস এইটের টিফিনের পরে ফিফ্থ পিরিয়ডে ইংরেজি ক্লাস। সেদিন মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরিয়েছে। আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি, এবারে কেমন হল। বড় গীতাদি আমাদের মন বুঝে, কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই সেই অনন্য ভঙ্গিতে ফল ঘোষণা করে দিলেন, 'ফিজিকাল সায়েন্সে লেটার এসেছে একঝুড়ি, লাইফ সায়েন্সে লেটার এসেছে দুঝুড়ি। লজিকেও ঝুড়ি পাঠানো হয়েছিল, খালি ফেরত এসেছে'। টেন পর্যন্ত দেখেছি, সিলেবাসের সঙ্গে সঙ্গে ইংরেজি গল্প, কবিতা, নাটক পড়ে শোনাতেন। সব কিছু ভালো করে শুনিও নি। আজ দেখি মেয়েদের শেখানোর ঐ চেষ্টাটা মনের মধ্যে গভীর রেখায় আঁকা আছে। বসে ভাবি, 'ছোটো হাসির ছোটো খুশির ফেলে দেওয়া' দিনগুলি যদি ফিরে পেতাম, কোটেশন লেখা রাফ খাতাটি যদি মন্ত্রবলে আবার ফিরে আসত, সত্যি বলছি দিদি, বুকে করে তুলে নিতাম। মুঠোফোনে খবর এলো গীতাদি আর নেই, শুধু RIP লিখে ছাড়তে পারলাম না। পঞ্চাশ পেরিয়ছি। কিছু প্রায়শ্চিত্ত তো করার দরকার আছে নাকি। দিদির উদ্দেশে কলমের নৌকোয় ভাসালাম আমার প্রণাম।
শারদা।
কত কী যে মনে পড়ল!!
একসঙ্গে ভাল আর খারাপ লাগার অনুভূতি কমই হয়!
এই সব ব্যক্তিগত গীতাদিরা আজন্ম ভালবাসায় বাঁচেন, সেল্যুট।
লেখাটি সম্পাদনা করে লাইন স্পেস ঠিক করে দিলে পড়তে আরও সুবিধা হয়।
আরো লিখুন