এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • করোনার দিনগুলিতে...

    পিনাকী মিত্র লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ১৫ মার্চ ২০২০ | ৩২৬৭ বার পঠিত
  • এই টইটা কিন্তু করোনা বিষয়ক বৈজ্ঞানিক আলোচনার জন্য নয়। এটা খুললাম মেনলি এই করোনার সময়ে লোকজনের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা, সুখ, দু:খ বা এমনকি মজাও শেয়ার করার জন্য। পৃথিবীর নানা প্রান্তের লোকজন আছেন। নানারকম অভিজ্ঞতা, যার অধিকাংশই নতুন, অপরিচিত, সেসবের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। সেসব লিখুন হাত খুলে। প্যানডেমিকের টুকরো টাকরা ছবি রয়ে যাক গুরুর পাতায়, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 162.158.***.*** | ১৫ মার্চ ২০২০ ১৭:৩১730032
  • Farha Kazi | ১৬ মার্চ ২০২০ ০৪:৪২730048
  • আমরা হানিমুনে ইতালি গেছিলাম। প্রথমে ভেনিস, তারপর রোম-ফ্লোরেন্স-মিলান হয়ে জার্মানী।
    এখনো অবধি আমার দেখা সবথেকে উষ্ণ ব্যবহার পেয়েছি ইতালিতেই। রোমে যার বাড়িতে পেয়িং গেস্ট হিসাবে ছিলাম তিনি রাত দশটায় ঐ শীতের মধ্যেও এসে চাবি দিয়ে গেছিলেন...ভালো করে সব বুঝিয়ে দিয়ে গেছিলেন।
    আমরা রোমে সাতদিন ছিলাম। বড়োদিনের দিন ভ্যাটিকান থেকে বাড়ি ফিরে দেখি টেবিলে সুন্দর করে সাজানো বড়োদিনের উপহার...কেক আর ওয়াইন... ।
    ওখান থেকে আমরা ফ্লোরেন্স গেলাম। ফ্লোরেন্স আর পিসার মাঝামাঝি একটা জায়গায় আমরা ঘর নিয়েছিলাম। ল্যান্ডলর্ড ও লেডি তাদের সন্তান এবং ছোট্ট সাদা কুকুর নিয়ে আমাদের জন্য স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন।
    তখন আমি নতুন ইউরোপে... গরম থেকে ঠান্ডায় আসার ফলে পায়ে খুব যন্ত্রণা হচ্ছিলো...এমন অবস্থা যে পেন কিলার খেয়ে ঘুরতে হতো। স্টেশনে আমাকে খুঁড়িয়ে চলতে দেখে আমার হাত থেকে ব্যাগ পত্তর নিয়ে ওনারা বইতে শুরু করে দেন। কোনো ওজর আপত্তি শোনেননি।
    সত্যি কথা বলতে আমি এইরকম অভ্যর্থনা গোটা ইউরোপে কোথাও পাইনি...কোত্থাও না।
    তারপর মিলান এলাম। মিলানের ল্যান্ডলেডিও আমাদের সঙ্গেই থাকতেন। আমরা জানতাম না উনিও ওখানেই থাকবেন। প্রথমে আমাদের পছন্দ হয়নি বিষয়টা। তারপর ওনার ব্যবহার দেখে সেই অপছন্দের ব্যাপারটা কেটে গেলো। সেটা ছিলো থার্টি ফার্স্টের রাত। ওনার বাড়িতে বন্ধুদের নিয়ে ছোট্ট জমায়েত ছিলো। আমাদের যোগদান করতে অনুরোধ করেন। বন্ধুদের সাথে আলাপ করিয়ে দেন। আমাদের অন্য প্ল্যান ছিলো বলে সেটা করা হয়নি। ফিরে এসে দেখি ঘরে সাজানো নিউ ইয়ারের উপহার।
    ইতালির মানুষেরা হৈচৈ করতে পছন্দ করেন... মানুষের সঙ্গ পেতে পছন্দ করেন। অত্যন্ত মজাদার হুল্লোড়বাজ মানুষ। ইতালিকে দেখে মনে হবে উন্নত ছোট্ট ভারত (তবে অবশ্যই খারাপ দিকগুলো বাদ দিয়ে)।
    এরা আঁকতে ভালোবাসে... খেতে ভালোবাসে... নাচতে গান গাইতে ভালোবাসে...
    বন্ধুদের সাথে হুল্লোড় করতে ভালোবাসে... এরা অতিথি পরায়ণ... এরা মানুষকে সাহায্য করতে পছন্দ করে। এরা নিজেদের দেশ নিয়ে খিল্লি ওড়াতে একবারও ভাবে না।
    আমাদের বন্ধু কাম তৌসিফের ইতালিয়ান কলিগ দিনরাত নিজের দেশ নিয়ে খিল্লি ওড়ায়। তাতে তার দেশের প্রতি ভালোবাসা বা দায়িত্ব কিন্তু এত টুকুও কমে না।
    তাই যখন খবরের কাগজগুলোতে দেখছি কিভাবে Quarantine হয়েও মানুষগুলো গান গাইছে... আনন্দ করছে... সবাই একসঙ্গে একে অপরকে সাহায্য করছে একটুও অবাক হইনি।
    এরা এইরকমই... দুর্যোগের দিনে কিভাবে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন থেকেও উদযাপন করা যায়, একে অপরের পাশে থাকা যায়, সাহস যোগানো যায় তার উদাহরণ হয়ে রইলো।
    হয়তো এখন তাদের সরকারকে পরিকাঠামো এবং অন্যান্য সমস্যার কারণে বেশ কিছু কঠিন নিষ্ঠুর সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে তারপরেও তারা যেভাবে একে অপরের পাশে আছে সেটা দেখার মতো।
    জীবনের সবথেকে কঠিন দিনেও যারা সব কষ্ট ভুলে গান গাইতে পারে, নাচতে পারে তারা সব প্রতিকূলতাকে জয় করবে বলেই বিশ্বাস রাখি।
    সঙ্গীতজ্ঞ এলটন জনের মতো করেই বলি "I love places that have an incredible history. I love the Italian way of life. I love the food. I love the people. I love the attitudes of Italians."
    বেসিক্যালি আই লাভ ইটালি অ্যাজ আ হোল প্যাকেজ।
  • π | ১৬ মার্চ ২০২০ ০৮:২০730051
  • কোলকাতার একজন নার্স লিখেছেন, " কেমন একটা হচ্ছে শরীর মন জুড়ে। হাসির আড়ালে লুকানো চিন্তাগুলো বেরিয়ে আসছে বারবার। মেয়েটা বড্ডো ছোটো এখনো। ভয় নয়, চিন্তা হচ্ছে খুব।
    এই যে আরেক সিস্টার, এক মায়ের লেখা......

    যেনো কাউন্টডাউন চলছে। মৃত্যুর পদধ্বনি শুনছি। খবর দিকে তাকিয়ে ,বাড়ছে সংখ্যা প্রতিদিন ।তার সাথে পাল্লা দিয়ে গ্রাস করছে মৃত্যুভয় ।হ্যাঁ, আমাদের ও মৃত্যু ভ য় আছে। যদিও থাকতে নেই ।
    আমাদেরও ইমিউনিটি সবকিছুর ঊর্ধ্বে নয়। আমাদেরও শরীর আর পাঁচটা মানুষের মতই।

    সময় কি সত্যিই কম হাতে ?আমি ,তুমি, বা কেউ? মৃত্যুর থাবা কি তেড়ে আসছে? মানুষের অজ্ঞতা ,অকর্মণ্যতা, অযোগ্যতা আর অপদার্থ তার ফল ভুগতে হয় আমাদের। যে দেশে হাসপাতালে ,ট্রেনের বাসের জানলায় ,প্লাটফর্মে, মাঝ রাস্তায় কফ থুতু ফেলাটা মানুষ জন্মগত অধিকার বলে মনে করে। ডাক্তার সিস্টার সামনে আসলেই কাশির দমক দেখিয়ে রোগের গুরুত্ব বোঝাতে চায় ,মানুষের মুখে থুতু ছিটিয়ে কথা বলাটা যাদের অভ্যাস ,হাত ধোয়া যাদের কাছে বাতুলতা , যারা মাস্ক কপালে তুলে বিড়ি খেয়ে আবার মাক্স পরে, সেই পোড়া দেশে এভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলে তার পরিণাম কি ভয়াবহ হতে পারে তা অনুমান করা যায়।

    সপ্তাহ ঘুরতে ঘুরতে বদলে যেতে পারে চিত্রটাই তাই প্রিয়জনকে আগলে রেখো ।সেরে নাও শেষ আলিঙ্গন' ,শেষ চুম্বন ।এরপর হয়তো শুধুই এয়ার হাগ। শেষ দেখা, শেষ কথা ,শেষ কাজটুকু করে নেওয়া যাক ।কি জানি রাত পোহালেই খবরের শিরোনামে মৃতদের তালিকার কতজন সিস্টারের নাম নথিভুক্ত হবে ।অথবা প্রিয়জনকে ছেড়ে কোয়ারেন্টাইন।সবাই পালাতে পারবে।সবাই পারবে দায় এড়াতে।শুধু সিস্টারের সম্ভব নয় এক মিটার দূরত্ব রক্ষা করা।এবার অন্তত বুঝুন আমাদের সততাই আপনাদের সুস্থ্যতার কারণ।আমরা ভালো নেই।"
  • ইতালি থেকে | 162.158.***.*** | ১৬ মার্চ ২০২০ ১১:০২730055
  • একজন ইতালিয়ান ডাক্তার লিখছেন:

    আমাদের দেশে এখন ঘটে চলছে ভয়াবহ এক ট্রাজেডি। বৃদ্ধ রোগীরা মারা যাবার আগে চোখের পানি ফেলছেন। কাছের মানুষদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যাবার সৌভাগ্যও তাদের নেই। তারা একা একা মরতে চাননি, কিন্তু তাদের বিদায় জানাতে হচ্ছে ক্যামেরাকে। তারা সজ্ঞানে, সমস্ত কষ্টকে সহ্য করতে করতে মরে যাচ্ছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বামী ও স্ত্রী একই দিনে মারা যাচ্ছেন। বৃদ্ধ দাদা-দাদি, নানা-নানীর তাদের নাতিদের মুখ শেষবারের মতও দেখতে পাচ্ছেননা। এই রোগ flu-র চাইতেও ভয়াবহ। বিশ্বাস করুন, flu'র চাইতে অনেক ভিন্নরকমের অসুখ এটি। এই রোগকে দয়া করে তাই flu বলবেননা। জ্বর অসম্ভব বেশি। রোগীর দম এমনভাবে বন্ধ হয়ে আসতে চায় যেন সে ডুবে যাচ্ছে। রোগীরা হাসপাতালে আসতে চায়না। শুধু একটু অক্সিজেন পাবার জন্য তারা বাধ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এই রোগের বিরুদ্ধে খুব সামান্য কিছু ওষুধ কাজ করে। আমরা সাহায্য করার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি, কিন্তু সবকিছুই নির্ভর করছে রোগীর অবস্থার উপর। বৃদ্ধ রোগীরা এই রোগের সঙ্গে যুদ্ধে পেরে উঠছেননা।

    আমরা কাঁদছি। আমাদের নার্সরা কাঁদছে। সবাইকে বাঁচিয়ে তুলবার সামর্থ্য আমাদের নেই। চোখের সামনে মেশিনে তাদের জীবন থেমে যেতে দেখছি প্রতিদিন। প্রচুর রোগী আসছে। অতি দ্রুত আমাদের আরও বেড প্রয়োজন হবে। সবার একই সমস্যা। সাধারণ নিউমোনিয়া। প্রচন্ড শক্তিশালী নিউমোনিয়া। আমাকে বলুন কোন flu এই ট্রাজেডির জন্ম দেয় ?

    এই Flu অত্যন্ত সংক্রামক। এই ভাইরাসটি একেবারেই অন্যরকম। কোন কোন মানুষের জন্য ভয়ংকর। আমাদের দেশে ৬৫ উর্দ্ধ বৃদ্ধদের প্রায় প্রত্যেকের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিংবা কোন না কোন রোগ রয়েছে। কোন কোন তরুণদের জন্যও এই রোগ ভয়ংকর। এইসব তরুণ রোগীদের দেখলে কোন তরুণই নিজেকে নিয়ে নিশ্চিন্ত বোধ করতে পারবেনা।

    আমাদের হাসপাতালে কোনো সার্জারি আর হচ্ছেনা। বাচ্চাদের জন্ম, চোখের অপারেশন, কিংবা ত্বকের চিকিৎসা। সার্জারি রুমগুলো ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রূপান্তর করা হয়েছে । সবাই যুদ্ধ করছি কোরোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে। প্রতি ঘন্টায় রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলছে। ক্রমাগত হাতে আসছে টেস্ট রেজাল্ট। সব পজিটিভ। পজিটিভ। পজিটিভ!

    সব রোগীর একরকমের কমপ্লেইন:
    অসম্ভব জ্বর।
    শ্বাস কষ্ট।
    কাশি।
    ডুবে যাবার মত দমবন্ধ অনুভূতি।

    প্রায় সবাই ইনটেনসিভ কেয়ারে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কেউ কেউ অক্সিজেন মাস্কের নিচেও শ্বাস নিতে পারছেননা। অক্সিজেন মেশিন এখন সোনার চাইতেও দামি।

    বিশ্বাস করতে পারছিনা, কি দ্রুত এসব ঘটে গেল! আমরা সবাই ক্লান্ত। কিন্তু কেউ থামতে চাইছিনা। সবাই মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ করে চলছি। ডাক্তাররা নার্সদের মত অবিরাম কাজ করে চলছেন। দুই সপ্তাহ ধরে আমি বাসায় যাই না। আমার পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের জন্য আমি শংকিত। সন্তানদের সঙ্গে ক্যামেরা ব্যবহার করে কথা বলছি। মাঝে মাঝে আমি স্ত্রীর ছবির দিকে তাকিয়ে কাঁদি। আমাদের কারো কোন দোষ নেই। যারা আমাদের বলেছিল এই রোগটি তেমন ভয়ংকর নয়, সমস্ত দোষ তাদের। তারা বলেছিল এটি সাধারণ এক ধরনের Flu । কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আর এখন অনেক বেশি দেরি হয়ে গিয়েছে।

    দয়া করে ঘরের বাইরে বের হবেননা। আমাদের কথা শুনুন। শুধুমাত্র ইমার্জেন্সি কারন ছাড়া ঘর থেকে বের হবেননা।
    সাধারণ মাস্ক ব্যবহার করুন। প্রফেশনাল মাস্কগুলো আমাদের ব্যবহার করতে দিন। মাস্কের অভাবে আমাদের স্বাস্থ্যও ঝুঁকির মুখে। কোন কোন ডাক্তার এখন আক্রান্ত। তাদের পরিবারের অনেকেই জীবন ও মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাই নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করুন। বয়স্ক পরিবার পরিজনকে ঘরে থেকে বের হতে দেবেননা। আমাদের পেশার কারণে আমরা ঘরে থাকতে পারছিনা। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা আমাদের রোগীদের বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা নিজেদের শরীরে অসুখ ও ভগ্নহৃদয় নিয়ে ঘরে ফিরছি। যাদের বাঁচাতে পারছিনা তাদের শরীরের কষ্ট কমানোর চেষ্টা করছি। কাল সব ঠিক হয়ে গেলে আমাদের কথা সবাই ভুলে যাবে। আমরা ডাক্তারদের এইটাই পেশা। তাই মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।

    এই রোগ আপনাকে না ছুঁলেও সাবধানে থাকুন। জনসমাগম থেকে দূরে থাকুন। সিনেমায় যাবেননা, মিউজিয়ামে যাবেননা, খেলার মাঠে যাবেননা। দয়া করে বৃদ্ধ মানুষগুলোর দুঃখ অনুভব করার চেষ্টা করুন। তাদের জীবন আপনাদের হাতে। এবং আপনারা আমাদের চাইতে বেশি মানুষের জীবন বাঁচাতে সক্ষম। আপনিই তাদের রক্ষা করতে পারেন।

    লেখাটি শেয়ার করুন। শেয়ার করুন যেন সমস্ত ইতালি এই চিঠিটি পড়তে পারে। সমস্ত কিছু শেষ হবার আগেই যেন পড়তে পারে ।

    Italy
    Be Gavatseni hospital
    Dr. ডানিএলে Machini

    অনুবাদ ঃঃ শামিমা গুলজার
  • S | 162.158.***.*** | ১৬ মার্চ ২০২০ ২০:১৯730064
  • এক সপ্তাহ পর থেকে ক্লাস অনলাইন হওয়ার কথা ছিল। নতুন সার্কুলার অনুযায়ী আজ থেকেই হয়ে গেল।
  • lcm | 172.68.***.*** | ১৭ মার্চ ২০২০ ০২:৪০730068
  • Coronavirus Shelter-In-Place: Bay Area Residents In 6 Counties Ordered To Stay Home

    SAN FRANCISCO (CBS SF) — Bay Area residents across six Bay Area counties will be told to “shelter in place” until early April, according to an announcement from county officials expected Monday.

    The order to all residents in Alameda, Contra Costa, Marin, Santa Clara, San Mateo, San Francisco to stay home and keep away from others as much as possible over the next three weeks, beginning at 12:01 a.m. Tuesday.

    https://sanfrancisco.cbslocal.com/2020/03/16/coronavirus-shelter-in-place-bay-area-residents-6-counties-ordered-stay-home/

    যাই দেখি --- চাল/ডাল/আলু/রুটি/ডিম -- কি পাওয়া যায় দেখি
  • | 172.69.***.*** | ১৭ মার্চ ২০২০ ১০:৫৯730072
  • ১) গত সপ্তাহ অবধি লোকজন কুলকাল ছিল। শুধু সুশীলা আন্টি হঠাৎ গত মঙ্গলবার থেকে দুইদিন N95 মাস্ক লাগিয়ে কাজে এলো। কি না ছেলে বলেছে। দুদিন পরে আবার খুলেও ফেলল, কারণ টানা দুদিন পরে থাকায় মাস্কের পরিধি বরাবার বেজায় চুলকানি আর র‌্যাশ বেরিয়েছে।
    তো মাস্ক ব্যবহারবিধি নিয়ে ছোট সেশান নিলাম।

    ২) গত সপ্তাহের মাঝামাঝি শোনা গেল পাশের ক্যাম্পাসে একটি দুবাই ফেরত পরিবার নেগেটিভ ডিটেক্টেড, কিন্তু ডাক্তার কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেছে ১৪ দিন, তা তারা সেসব না মেনে জিম আর স্যুইমিং পুল অ্যাকসেস করেছে। ওদিকে দুবাইতে তাদের ঠাকুর্দা আর খুড়ো-ঠাকুর্দা নাকি করোনাতেই মারা গেছেন। লোকজন প্যানিকড হয়ে বলে ফ্যামিলিটাকে ঐ ক্যাম্পাসে আর আশেপাশের সবকটা ক্যাম্পাসে ব্যান করা হোক। যাই হোক তাদের নাকি ধরেবেঁধে বাড়ির ভেতরে ঢুকিয়ে বলা হয়েছে বেরোলেই আর ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সিসিটিভি দেখে কারা ওদের সময় বা পরে জিম অ্যাকসেস করেছে আইডেন্টিফাই করে তাদের টেস্টের জন্য পাঠানোপ হবে।

    ৩) বিগবাস্কেট দেখলাম খাম আর পলিথিন পাউচ ব্যবহার করছে কাল থেকে ক্যাশ অন ডেলিভারির ক্ষেত্রে। খামে করে টাকা দাও আর পলিথিনের পাউচে খুচরো ফেরত নাও। ডেলিভারি বয়রা মাস্ক গ্লোভস ইত্যাদি পরেও আসছে।

    ৪) আজ সক্কাল সক্কাল শুনলাম আমাদের ক্যাম্পাসের ১৮ নম্বর টাওয়ারে নাকি একজনের পজিটিভ এসেছে। কাল রাতে নাকি সন্ধ্যেয় রিপোর্ট আসার পর তাকে নাইডু হাসপাতালে নিয়ে গেছে। নাইডু হাসপাতালই এখানকার একমাত্র করোনা টেস্ট আর ট্রিটমেন্টের জায়গা।

    ৫) আপিস বেরোবার সময় দেখি থমথমে পরিস্থিতি। সমস্ত গৃহসহায়িকারা দল বেঁধে বেরিয়ে যাচ্ছে। নাকি একটা নয় আসলে দুটো কেস পজিটিভ। মনে হচ্ছে গুজবের সাম্রাজ্য বিস্তার শুরু হয়েছে।
  • π | ১৭ মার্চ ২০২০ ১১:১৩730073
  • সেকি পুনেতে তোমাদের ওখানে ICMR-NIv ন্যাশানাল ইন্সিটিউট অব ভাইরোলজি, সারা দেশের ্টেস্ট এটারই আন্ডারে হচ্ছে, সব কনফার্মেশনও Oখানেই। এটাই দেশের নোডাল সেন্টার।   আর এত কেস আসছে, তোমাদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম দিচ্ছেনা কেন ?

    https://icmr.nic.in/sites/default/files/upload_documents/COVID_19_Testing_Laboratories.pdf

  • π | ১৭ মার্চ ২০২০ ১১:১৭730074
  • এছাড়া,
    24X7 call centre is active for responding to queries on ncov2020. Anyone seeking information can call on the number 011-23978046
  • pi | 162.158.***.*** | ১৭ মার্চ ২০২০ ১৪:২৪730082
  • এই লেখাটি স্পেনের করোনা আক্রান্ত একজনের।
    --------------------------
    হ্যালো, আমি এখন আমার করোনাভাইরাস কোয়ারান্টাইনের চতুর্থ দিনে স্পেনের বার্সেলোনা থেকে লিখছি। এই বার্তা সবার জন্য- পরিবার, বন্ধুবান্ধব, প্রাক্তন সহকর্মী (অথবা দুনিয়ার যেই হোন না কেন)। দয়া করে এই ভাইরাসকে গুরুত্বসহকারে নিন। আমি এখন আপনাদের জানাবো এখানে কী ঘটছে এবং দেরী করার ফলাফল কী হতে পারে। আমি আশা করবো যে এটা আপনার সব ধরণের জোকস আর টয়লেট পেপার নিয়ে করা মিম বাদ দিয়ে, আপনাদের এখন কাজ শুরু করতে সাহায্য করবে।

    স্পেনে এক সপ্তাহ আগে, আমরা করোনাভাইরাস নিয়ে শুধুমাত্র কথাবার্তা বলেছি। আমাদের কিছু কেইস ছিলো, কিন্তু সেটা তেমন খারাপ মনে হচ্ছিলো না। আমরা ইতালির দুরবস্থা দেখছিলাম আর বলছিলাম, 'এখানে এমন কিছু হবেনা'। কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। মানুষজন সবাই সপ্তাহের ছুটির দিনে বাইরে যাচ্ছিলো, জিমে যাচ্ছিলো, কাজে যাচ্ছিলো, স্কুলে যাচ্ছিলো। ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোকে কোন গুরুত্ব দেয়া হয়নি।

    মাত্র ১ সপ্তাহ পরেঃ স্পেন এখন ইমার্জেন্সি অবস্থায় আছে। ভাইরাসটি এখানে এসেছে এবং সারা দেশকে ছিঁড়েখুঁড়ে খাচ্ছে। আমার করোনাভাইরাস আছে। আমার বন্ধুদের আছে। বাচ্চাদের বাবা মায়েদের আছে। শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, ব্যবসায়ী, গবেষক, রাজনীতিবিদ, বাসচালক সবাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। মাত্র কয়দিনে, আক্রান্তের সংখ্যা কয়েকশ থেকে এক লাফে হাজার ছাড়িয়ে গেছে। হাসপাতাল এবং ক্লিনিক সবকিছু ভর্তি, তিলধারণের জায়গা নেই, কর্মী এবং সরঞ্জাম দ্রুতে শেষ হয়ে যাচ্ছে। শত শত ডাক্তার, নার্সকে করোনাভাইরাস আক্রমণ করেছে এবং তারা কোয়ারান্টাইনে আছেন। যারা ভালো আছেন, তারা সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা একটানা কাজ করে যাচ্ছেন। শুধু বয়স্ক বা অসুস্থরা নন, সব বয়সের মানুষের চিকিৎসার প্রয়োজন হচ্ছে। একেকটা দিন যাচ্ছে আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলছে আর পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।

    মাত্র ১ সপ্তাহে করোনাভাইরাস স্পেনকে ধরাশায়ী করে ফেলেছে এবং চরম খারাপ পরিস্থিতি এখনো আসা বাকী। এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের হার স্পেনে সবচাইতে বেশী এবং স্পেনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সামনের সপ্তাহের শুরুতেই এই সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে যেটা এখনের দ্বিগুণ। শুধুমাত্র কালকেই সংক্রমণের সংখ্যা দেড় হাজারের উপর বেড়েছে। এখনি যদি স্বাস্থ্যসেবার সিস্টেম ভেঙ্গে পড়ে তাহলে আগামীতে কী হবে? আমরা ইতালিতে আমাদের বন্ধুদের জিজ্ঞাসা করতে পারি, যেহেতু তারা আমাদের চেয়ে এক সপ্তাহ এগিয়ে। হাসপাতালে অল্প কয়েকটি সিটের বিপরীতে হাজারের উপর মানুষ চিকিৎসা নিতে আসছে। ডাক্তার এবং নার্সদের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে তারা কাদের বাঁচাবেন আর কাদের মারা যাওয়ার জন্য ফেলে রাখবেন। কারণ রোগীর সংখ্যা এত বেশী হারে বাড়ছে যে পর্যাপ্ত ওষুধ, কর্মী, এবং জায়গা নেই। স্প্যানিশ সরকার দেখতে পারছে যে আমরা ইতালিকে অনুসরণ করছি এবং চাপ শুরু হয়েছে দেরিতে পদক্ষেপ নেয়ার মাশুল দেয়ার।

    সব স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গণজমায়েত এবং খেলাধুলা সব বাতিল করা হয়েছে। রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে, দেশের সব অঞ্চল লকডাউনে আছে। সব শহর এবং গ্রাম কোয়ারান্টাইনে আছে। মুদি আর ওষুধের দোকান ছাড়া সব দোকান, রেস্টুরেন্ট, বার সবকিছু বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মানুষ যাতে রাস্তায় বের হতে না পারে সেজন্য রাস্তায় পুলিশ ঘুরছে। সারা দুনিয়া এখন ঝুঁকিটা দেখতে পেয়ে স্পেন থেকে যাওয়া সব বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।

    চিন্তা করুন, এই পদক্ষেপ গুলি মাত্র এক সপ্তাহ আগে নিলে এবং মানুষের মনোভাব পাল্টানো গেলে এখন পরিস্থিতি একদমই অন্য রকম হতো।

    আশা করছি এখান থেকে আপনি কিছু শিখতে পেরেছেন। বাসায় থাকুন এবং সাবধান হোন। এখনো শুরু না করলে আজ থেকে শুরু করুন। আপনি পরিবর্তন আনবেন। সবাই সাবধানে থাকুন।

    - ফাতেমা রুমি।

    কার্টেসিঃ Md Amir Hossain
    ঋণ স্বীকার : Al Bakky Al myzan
  • | ১৭ মার্চ ২০২০ ২১:৫৩730105
  • কাল থেকে তিনদিন পুণের সমস্ত দোকান বন্ধ রাখার আদেশ দিয়েছে। এতে আবার পিম্পড়ি চিঞ্চওয়াড় পড়বে কিনা সেটা বোঝা যাচ্ছে না।,

    কাল থেকে সাতদিন সমস্ত সরকারি আপিস বন্ধ রাখার আদেশ দিয়েছে।

    মুম্বাই এয়ারপোর্টে রেড লিস্ট আর অ্যাম্বার লিস্টের দেশ থেকে আসা লোকেদের হাতে ভোটের কালি দিয়ে স্ট্যাম্প দিয়ে দিচ্ছে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনের। এরকম হাতে ছাপ লোক ঘুরতে দেলহলে হেল্পলাইনে কল করতে বলা হয়েছে
  • S | 162.158.***.*** | ১৮ মার্চ ২০২০ ০৪:২৬730112
  • আজ সকাল বেলা ইমেল এসেছে যে এসেনশিয়াল লোকজন ছাড়া কাউকে ইস্কুল যেতে হবেনা। ফ্যাকাল্টিরা এসেনশিয়াল নয়। তবু গেলাম। ছাত্রদেরকে স্কাইপে ক্লাস নেব। যথাসময়ে স্কাইপ কাজ করেনা, মাইক্রোফোন অফ। আইটির কাছ থেকে হেল্প নিলাম। অনেক কঠিন সমস্যার সমাধান হয়ে গেল, কিন্তু তাও মাইক্রোফোন অফ। তারপর দেখা গেল স্কাইপকে অ্যাক্সেস দেওয়া নেই। ততক্ষনে ক্লাসের প্রায় ১ ঘন্টা হয়ে গেছে। সবাইকে বললাম যে আজ তো দেখলে কি হল, পরের দিন তাহলে এই সময়ে উপস্থিত থেকো।

    কাজের কাজ করেছি যে ইস্কুল থেকে একটা ছোটো হোয়াইট বোর্ড, শার্পিজ, আর একটা ডাস্টার নিয়ে এসেছি। বাড়ি থেকেই কাজ হয়ে যাবে।
  • | ১৮ মার্চ ২০২০ ১৪:৪১730118
  • এ না দিয়ে পাল্লাম না

  • pi | 162.158.***.*** | ২১ মার্চ ২০২০ ১৫:২৫730179
  • সুদূর ফ্রান্স থেকে Sourav Mukherjee লিখছেন -

    #করোনা_সচেতনতা (যাদের মরতে ভয় লাগে তাদের জন্য)

    চীন, ইরান, ইতালি তারপর ফ্রান্স। আমি এখন ফ্রান্সের যে জায়গাটায় বসে আছি সেই জায়গাটা সমস্ত দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রয়েছে। প্যারিসের দক্ষিণে একটা জমজমাট জায়গা। জমজমাট ছিল একসময়, এখন আর নেই।

    আমার সামনে কাঁচঢাকা জানলা, জানলার কাঁচ প্রায় পাঁচদিন ধরে খুলিনি। জানলার ওপারে ব্যালকনি যেখানে না গিয়ে গিয়ে রেলিংয়ে ধুলো জমে গেছে। ব্যালকনির পরে রাস্তা। দক্ষিণ প্যারিস ও শহরতলীর মূখ্য রাস্তা যেখান দিয়ে সর্বক্ষণ গাড়ি, বাইক, সাইকেল আর মানুষের ভিড় লেগে থাকতো। সিগন্যাল লাল হলে সারি সারি গাড়ির লাইন পড়ে যেত। জানলার ঠিক ওপারে ব্যস্ত রেল স্টেশন, সর্বক্ষণ মানুষজনের ভিড় লেগে থাকতো। গোটা রাস্তা জুড়ে রেস্তোরাঁ, ছোট বড় খাবারের দোকান যেখানে সন্ধ্যে হলেই লোক গমগম করতো। সব জায়গায় এখন নিস্তব্ধতা। যেন রাত দেড়টা বাজে, হয়তো বা আরও গভীর।

    যে দুএকজনকে দেখা যাচ্ছে তাদের মুখ ঢাকা মাস্কে। গাড়ি যাচ্ছে না বললেই চলে, হ্যাঁ যাচ্ছে কিছু অ্যাম্বুলেন্স আর পুলিশের গাড়ি। মানুষ চাইছে মানুষের থেকে দূরে থাকতে। জানলার বাইরে তাকালে মনে হচ্ছে সায়েন্স ফিকশনের কোনো হলিউডি সিনেমা দেখছি। যে মানুষটা আগের সপ্তাহেও নিজের চাকরি বাঁচাতে ব্যস্ত ছিল, প্রেম বাঁচাতে ব্যস্ত ছিল, সম্মান বাঁচাতে ব্যস্ত ছিল সে এখন শুধু ব্যস্ত নিজের প্রাণ বাঁচাতে।

    ফ্রান্স গভর্নমেন্ট যুদ্ধকালীন অবস্থা জারি করেছে। গ্রোসারি আর ফার্মাসি ছাড়া সব দোকান বন্ধ। কয়েকঘন্টা লাইন দিয়ে একপ্যাকেট পাউরুটি পাওয়া যাচ্ছে। এমার্জেন্সি খাবার বা ডাক্তার দেখানো ছাড়া কেউ বাইরে বেরোতে পারছে না। বেরোলেও গভর্নমেন্ট থেকে দেওয়া একটি ফর্ম ফিলআপ করে সঙ্গে রাখতে হবে। রাস্তায় টহলরত পুলিশ দেখতে চাইছে, সন্তোষজনক উত্তর না পেলে ১৩৫ ইউরো ফাইন অথবা জেল।

    সকালে আমার ঘরের ঠিক নিচেই গাড়ি থেকে নামলো একজন মহিলা ও তার বছর দশেকের ছেলে। এখনো অবধি বাইরে ওই দুটি প্রাণীর দেখাই পেয়েছি। দুজনেরই মুখে সাদা মাস্ক। চোখে আতঙ্ক। অ্যাপার্টমেন্টের কর্মচারীরা ছুটিতে চলে গেছে। হোটেলের বেশিরভাগ ঘর খালি হয়ে গেছে। ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ঘরের দরজা বন্ধ করার লোকটুকু পর্যন্ত নেই। দিনের পর দিন খোলা পড়ে আছে।

    পাশের দেশ ইতালির অবস্থা আরো খারাপ। কবর দেওয়ার লোক পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। ইতালিতে এক একদিনে পাঁচশোর কাছাকাছি লোক মারা যাচ্ছে। ইরানে গণকবর খোঁড়া হচ্ছে। যতদিন চীনে এরকম হচ্ছিল, খবর পাচ্ছিলাম উহান প্রদেশ উজাড় হয়ে যাচ্ছে ততদিন ইউরোপে বসে ভারতে বসে আমরা সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কিছুই করিনি। তাই আজ ইউরোপের এই অবস্থা। মাত্র একমাসের ব্যবধানে। এখন আমাদের দরজার দাঁড়িয়ে আছে মারণরোগ। মানুষ বিষাক্ত, বাতাস বিষাক্ত, হয়ত বা শরীরও বিষাক্ত হয়ে গেছে এতক্ষনে। জানতে না দিয়েই।

    না আতঙ্ক ছাড়ানোর জন্য লিখছি না। ইতালি যে ভুল করেছিল ভারত সে ভুল যেন না করে। শুধু টিভি বা খবরের দর্শক হয়ে নয়, কিছু করার আবেদন এটা। হোয়াটস্যাপ বা ফেসবুকের ভুয়ো খবর নয়, বরং সচেতনতা ছড়ান। পরিসংখ্যান বলছে ভারতে মাত্র দুই সপ্তাহ যদি আমরা ঘরবন্দি হয়ে থাকি তাহলে আমাদের অবস্থা ইতালি বা ফ্রান্সের মত হবে না। ইতালি ইরান ফ্রান্স অনেক দেরিতে করেছে, ভারতীয়দের হাতে এখনো কিছুটা সময় আছে। দুই সপ্তাহ ঘোরা-বেড়ানো বা অদরকারি কাজগুলোকে মুলতুবি রাখুন। একসপ্তাহ ছুটি কাটান ঘরে বসে, অযথা দোকান বাজার ছোটাছুটি করে নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না। এই এক দু সপ্তাহ খুব গুরুত্বপূর্ণ। দুসপ্তাহ পর হয়ত সেলফ কোয়ারেন্টাইনের আর কোনো প্রয়োজনীয়তাই থাকবে না। প্রকোপ একেবারে কমে যেতে পারে, নইলে হয়ত ঘরে বসে বসেও আক্রান্ত হতে পারেন।

    আসুন, আমরা আগামী দু-সপ্তাহ মাত্র তিনটে কাজ করি। বেশি না, তিনটে কাজ-

    #এক, বাইরে বেরোনো বন্ধ করে দিই। বন্ধ মানে বন্ধ। পাড়ার দোকানটুকুও নয়। আত্মীয় বন্ধু প্রতিবেশী কারোর বাড়ি যাবেন না, তাদেরও নিজের বাড়িতে ডাকবেন না। যেখানে ভিড় বেশি, কুড়ি জনের বেশি লোক জমায়েত হয়েছে সে জায়গা এড়িয়ে চলুন, সে শপিং মল হোক কি ধর্মীয় স্থান। দুসপ্তাহ সেদ্ধ ভাত খেয়েই চালিয়ে নিই। চাল-ডাল-আলু-পেঁয়াজ মজুত আছে এতদিনে। বিরিয়ানি মশলা কিনতে না বেরোনোর প্রতিজ্ঞা করি।

    #দুই, সাধারণ হাইজিন মেনে চলি। খাবার আগে বা এবং ঘন্টায় অন্তত একবার করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলি। নাকে-মুখে হাত যথাসম্ভব কম দিই।

    #তিন, "আমি একা কি করব? সবাই তো মানছে না" - এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন। আপনার মাধ্যমে যদি একজনও ক্ষতিগ্রস্থ হয় সে হল আপনার প্রিয়জন। বাবা-মা-স্বামী-স্ত্রী-সন্তান। যার সঙ্গে আপনি দিনের বেশিরভাগ সময় কাটাচ্ছেন তাকে আপনিই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন না তো? বয়স্ক মানুষ ছাড়াও যাদের হাইপ্রেসার, সুগার, হার্টের অসুখ, কিডনি, ক্যান্সার বা অন্য কোনো সাধারণ ক্রনিক রোগ আছে, করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে এলে তাঁদেরও মৃত্যুর হার কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

    তিনটে বিষয়, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল বাইরে না বেরোনো। কতদিন না বেরিয়ে সম্ভব? ঠিক দু-সপ্তাহ। আপনি হয়ত স্ট্রং, সাধারণ ফ্লুয়ের উপসর্গও নেই। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও আপনি ঠিক সুস্থ হয়ে যাবেন। কিন্তু চোদ্দদিনের মধ্যে আপনি যদি কোন অন্য মানুষের সংস্পর্শে আসেন তাহলে তাঁর জীবন বিপন্ন হতে পারে। এটা ভেবে শিক্ষিত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ যদি এটুকু মেনে চলে তাহলেই আমরা নিরাপদ থাকব।

    আসুন দেখিয়ে দিই, প্রথম বিশ্বও যেটা পারেনি, আমাদের গরিব দেশ সেটা করে দেখিয়েছে।

    #বিঃদ্রঃ : ভাইরাল করে বিখ্যাত হবার কোনো ইচ্ছেই নেই। হয়ত এই গ্রূপে এটা লেখাও উচিত নয়। কিন্তু একসাথে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য লেখাটা সার্কুলেট হওয়া জরুরি। প্রয়োজনে কপি পেস্ট করে ছড়িয়ে দিন।
  • pi | 162.158.***.*** | ২১ মার্চ ২০২০ ১৫:২৫730180
  • সুদূর ফ্রান্স থেকে Sourav Mukherjee লিখছেন -

    #করোনা_সচেতনতা (যাদের মরতে ভয় লাগে তাদের জন্য)

    চীন, ইরান, ইতালি তারপর ফ্রান্স। আমি এখন ফ্রান্সের যে জায়গাটায় বসে আছি সেই জায়গাটা সমস্ত দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রয়েছে। প্যারিসের দক্ষিণে একটা জমজমাট জায়গা। জমজমাট ছিল একসময়, এখন আর নেই।

    আমার সামনে কাঁচঢাকা জানলা, জানলার কাঁচ প্রায় পাঁচদিন ধরে খুলিনি। জানলার ওপারে ব্যালকনি যেখানে না গিয়ে গিয়ে রেলিংয়ে ধুলো জমে গেছে। ব্যালকনির পরে রাস্তা। দক্ষিণ প্যারিস ও শহরতলীর মূখ্য রাস্তা যেখান দিয়ে সর্বক্ষণ গাড়ি, বাইক, সাইকেল আর মানুষের ভিড় লেগে থাকতো। সিগন্যাল লাল হলে সারি সারি গাড়ির লাইন পড়ে যেত। জানলার ঠিক ওপারে ব্যস্ত রেল স্টেশন, সর্বক্ষণ মানুষজনের ভিড় লেগে থাকতো। গোটা রাস্তা জুড়ে রেস্তোরাঁ, ছোট বড় খাবারের দোকান যেখানে সন্ধ্যে হলেই লোক গমগম করতো। সব জায়গায় এখন নিস্তব্ধতা। যেন রাত দেড়টা বাজে, হয়তো বা আরও গভীর।

    যে দুএকজনকে দেখা যাচ্ছে তাদের মুখ ঢাকা মাস্কে। গাড়ি যাচ্ছে না বললেই চলে, হ্যাঁ যাচ্ছে কিছু অ্যাম্বুলেন্স আর পুলিশের গাড়ি। মানুষ চাইছে মানুষের থেকে দূরে থাকতে। জানলার বাইরে তাকালে মনে হচ্ছে সায়েন্স ফিকশনের কোনো হলিউডি সিনেমা দেখছি। যে মানুষটা আগের সপ্তাহেও নিজের চাকরি বাঁচাতে ব্যস্ত ছিল, প্রেম বাঁচাতে ব্যস্ত ছিল, সম্মান বাঁচাতে ব্যস্ত ছিল সে এখন শুধু ব্যস্ত নিজের প্রাণ বাঁচাতে।

    ফ্রান্স গভর্নমেন্ট যুদ্ধকালীন অবস্থা জারি করেছে। গ্রোসারি আর ফার্মাসি ছাড়া সব দোকান বন্ধ। কয়েকঘন্টা লাইন দিয়ে একপ্যাকেট পাউরুটি পাওয়া যাচ্ছে। এমার্জেন্সি খাবার বা ডাক্তার দেখানো ছাড়া কেউ বাইরে বেরোতে পারছে না। বেরোলেও গভর্নমেন্ট থেকে দেওয়া একটি ফর্ম ফিলআপ করে সঙ্গে রাখতে হবে। রাস্তায় টহলরত পুলিশ দেখতে চাইছে, সন্তোষজনক উত্তর না পেলে ১৩৫ ইউরো ফাইন অথবা জেল।

    সকালে আমার ঘরের ঠিক নিচেই গাড়ি থেকে নামলো একজন মহিলা ও তার বছর দশেকের ছেলে। এখনো অবধি বাইরে ওই দুটি প্রাণীর দেখাই পেয়েছি। দুজনেরই মুখে সাদা মাস্ক। চোখে আতঙ্ক। অ্যাপার্টমেন্টের কর্মচারীরা ছুটিতে চলে গেছে। হোটেলের বেশিরভাগ ঘর খালি হয়ে গেছে। ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ঘরের দরজা বন্ধ করার লোকটুকু পর্যন্ত নেই। দিনের পর দিন খোলা পড়ে আছে।

    পাশের দেশ ইতালির অবস্থা আরো খারাপ। কবর দেওয়ার লোক পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। ইতালিতে এক একদিনে পাঁচশোর কাছাকাছি লোক মারা যাচ্ছে। ইরানে গণকবর খোঁড়া হচ্ছে। যতদিন চীনে এরকম হচ্ছিল, খবর পাচ্ছিলাম উহান প্রদেশ উজাড় হয়ে যাচ্ছে ততদিন ইউরোপে বসে ভারতে বসে আমরা সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কিছুই করিনি। তাই আজ ইউরোপের এই অবস্থা। মাত্র একমাসের ব্যবধানে। এখন আমাদের দরজার দাঁড়িয়ে আছে মারণরোগ। মানুষ বিষাক্ত, বাতাস বিষাক্ত, হয়ত বা শরীরও বিষাক্ত হয়ে গেছে এতক্ষনে। জানতে না দিয়েই।

    না আতঙ্ক ছাড়ানোর জন্য লিখছি না। ইতালি যে ভুল করেছিল ভারত সে ভুল যেন না করে। শুধু টিভি বা খবরের দর্শক হয়ে নয়, কিছু করার আবেদন এটা। হোয়াটস্যাপ বা ফেসবুকের ভুয়ো খবর নয়, বরং সচেতনতা ছড়ান। পরিসংখ্যান বলছে ভারতে মাত্র দুই সপ্তাহ যদি আমরা ঘরবন্দি হয়ে থাকি তাহলে আমাদের অবস্থা ইতালি বা ফ্রান্সের মত হবে না। ইতালি ইরান ফ্রান্স অনেক দেরিতে করেছে, ভারতীয়দের হাতে এখনো কিছুটা সময় আছে। দুই সপ্তাহ ঘোরা-বেড়ানো বা অদরকারি কাজগুলোকে মুলতুবি রাখুন। একসপ্তাহ ছুটি কাটান ঘরে বসে, অযথা দোকান বাজার ছোটাছুটি করে নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না। এই এক দু সপ্তাহ খুব গুরুত্বপূর্ণ। দুসপ্তাহ পর হয়ত সেলফ কোয়ারেন্টাইনের আর কোনো প্রয়োজনীয়তাই থাকবে না। প্রকোপ একেবারে কমে যেতে পারে, নইলে হয়ত ঘরে বসে বসেও আক্রান্ত হতে পারেন।

    আসুন, আমরা আগামী দু-সপ্তাহ মাত্র তিনটে কাজ করি। বেশি না, তিনটে কাজ-

    #এক, বাইরে বেরোনো বন্ধ করে দিই। বন্ধ মানে বন্ধ। পাড়ার দোকানটুকুও নয়। আত্মীয় বন্ধু প্রতিবেশী কারোর বাড়ি যাবেন না, তাদেরও নিজের বাড়িতে ডাকবেন না। যেখানে ভিড় বেশি, কুড়ি জনের বেশি লোক জমায়েত হয়েছে সে জায়গা এড়িয়ে চলুন, সে শপিং মল হোক কি ধর্মীয় স্থান। দুসপ্তাহ সেদ্ধ ভাত খেয়েই চালিয়ে নিই। চাল-ডাল-আলু-পেঁয়াজ মজুত আছে এতদিনে। বিরিয়ানি মশলা কিনতে না বেরোনোর প্রতিজ্ঞা করি।

    #দুই, সাধারণ হাইজিন মেনে চলি। খাবার আগে বা এবং ঘন্টায় অন্তত একবার করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলি। নাকে-মুখে হাত যথাসম্ভব কম দিই।

    #তিন, "আমি একা কি করব? সবাই তো মানছে না" - এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন। আপনার মাধ্যমে যদি একজনও ক্ষতিগ্রস্থ হয় সে হল আপনার প্রিয়জন। বাবা-মা-স্বামী-স্ত্রী-সন্তান। যার সঙ্গে আপনি দিনের বেশিরভাগ সময় কাটাচ্ছেন তাকে আপনিই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন না তো? বয়স্ক মানুষ ছাড়াও যাদের হাইপ্রেসার, সুগার, হার্টের অসুখ, কিডনি, ক্যান্সার বা অন্য কোনো সাধারণ ক্রনিক রোগ আছে, করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে এলে তাঁদেরও মৃত্যুর হার কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

    তিনটে বিষয়, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল বাইরে না বেরোনো। কতদিন না বেরিয়ে সম্ভব? ঠিক দু-সপ্তাহ। আপনি হয়ত স্ট্রং, সাধারণ ফ্লুয়ের উপসর্গও নেই। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও আপনি ঠিক সুস্থ হয়ে যাবেন। কিন্তু চোদ্দদিনের মধ্যে আপনি যদি কোন অন্য মানুষের সংস্পর্শে আসেন তাহলে তাঁর জীবন বিপন্ন হতে পারে। এটা ভেবে শিক্ষিত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ যদি এটুকু মেনে চলে তাহলেই আমরা নিরাপদ থাকব।

    আসুন দেখিয়ে দিই, প্রথম বিশ্বও যেটা পারেনি, আমাদের গরিব দেশ সেটা করে দেখিয়েছে।

    #বিঃদ্রঃ : ভাইরাল করে বিখ্যাত হবার কোনো ইচ্ছেই নেই। হয়ত এই গ্রূপে এটা লেখাও উচিত নয়। কিন্তু একসাথে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য লেখাটা সার্কুলেট হওয়া জরুরি। প্রয়োজনে কপি পেস্ট করে ছড়িয়ে দিন।
  • | ২২ মার্চ ২০২০ ১২:৩৬730182
  • আমি যখন এ অঞ্চলে প্রথম আসি তখন পাশাপাশি তিনটে কমপ্লেক্সের অধিকাংশ টাওয়ারের নির্মাণ চলছিল, লোকজন বিশেষ থাকত না নির্মাণকর্মীরা ছাড়া। তাদের ছুটি থাকত রোববার, তখন এইরকম চুপচাপ থাকত চারদিক। আজ ৭ বছর পরে আবার সেইরকম নিঃশব্দ সব। শুধু একটা ছোট পরিবর্তন। এখানে এসেছিলাম সময় পাহাড় ফাটিয়ে তৈরী হওয়া আবাসনগুলোর ধারেকাছে সবুজের নামোনিশানা ছিল না কোথাও। এই ক'বছরে গ্রিন আর্মির পক্ষ থেকে আমরা যা গাছ লাগিয়েছি আর লালনপালন করেছি তাতে বেশ কিছু সবুজ প্যাচ তৈরী হয়েছে এদিক ওদিক, সেইসব গাছে পাখিরা বাসা বেঁধেছে। তাই আজ কিছু ছোট পাখির কিচমিচ শোনা যাচ্ছে।

    খবরের কাগজ আসে নি কারণ সকাল ৭টা থেকে নাকি মোদিজি গ্যাস ছাড়বে' তাই বেরন চলবে না। আমার পাপীমন এইটা শুনে হ্যা হ্যা করে হাসলাম খানিক।

    রান্না করতে করতে দরজা খুলেছিলাম। সামনের বাড়ির বৌটি জিগ্যেস করল কী রাঁধছ গা?
    - মুসুরডাল, আলু পিঁয়াজভাজা, রুই মাছের ঝোল আর দইমুরগী।
    - ননভেজ খেলে সমস্যা হপবে না? মাছ ত তাও ভাল কিন্তু মুরগী?
    - আরে না না খাদ্য দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি দেখো নি? কদিন আগের কাগজ টেনে দেখালাম।
    - এহ হে আজ পাব কোথাও?
    - নাহ আজ আর আবে না। কাল সক্কাল সক্কাল freshtohome এ অর্ডার কোরো কিম্বা ডানজো তে দেখো।
  • প্রতিভা | 14.***.*** | ২২ মার্চ ২০২০ ১৫:০৩730198
  • আমাদের একদিনও ঘরে থাকা দায় ! জনতা কার্ফুর উপযোগিতা কী তাই নিয়ে সন্দিহান হলেও একদিনের ট্রায়াল হিসেবে নেওয়াই যায়। কিন্তু বারো থেকে পনের-র সব বাচ্চা খালি রাস্তায় ক্রিকেট খেলতে নেমে পড়েছে। এমন হৈ হৈ যে বারান্দায় গিয়ে দেখলাম। খুব আনন্দ ওদের শরীর থেকে ঝরে পড়ছে।
    কিন্তু আমার ভয় করছে। বল তো একটাই, ব্যাটও। হাত থেকে হাতে ফিরছে।ওরা শ্রমজীবী নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। অন্যদিন মাঠে খেলে, আজ আনন্দে রাস্তায়।

    ওপরের প্রতিবেশী বললেন পুলিশ ডাকি। কিন্তু দিদি বলে দিয়েছেন জোর করে নয় এই বিবেচনায় ডাকলেন না।
  • π | ২২ মার্চ ২০২০ ১৫:১৩730199
  • কিন্তু এরকম কোন সিচ্যুয়েশন হলে পুলিশ প্রশাসনকে খবির দেওয়া যায়, দিতে বলছে। আমাদের আবাসনের ঘটনায় পুলিশকে খবর দেওয়া য়েছিল, পুলিশ ওই লন্ডন ফেরত ব্যক্তিদের ( আমার খুবই পরিচিত, নিজেরা মেডিকাল প্রফেশনে, আর কী বলি!) ঘরে থাকার কড়া নির্দেশ দিয়ে গেছে শুনলাম। পুরো আবাসনে আতনক এখন। বেশিরভাগই বয়স্ক মানুষ, আমার মা বাবার মত
  • S | 108.162.***.*** | ২২ মার্চ ২০২০ ১৫:২২730200
  • এই সমস্যা সবদেশেই আছে। লোকে লকডাউনকে ভ্যাকেশান ভেবে ফেললে মুশকিল বাড়বে।
  • | ২২ মার্চ ২০২০ ১৭:৫৫730202
  • আমাদের এখানে থালা ঘন্টা কাঁসর শাঁখ ঘন্টা ভুভুজেলা পটকা হাত্তালি বারান্দার রেলিঙ পেটানো এবং চীৎকার!!!
    উফ তুলোটাই কিনি নি আর...
  • π | ২৩ মার্চ ২০২০ ১৩:৫৮730221
  • স্বর্ণেন্দুর লেখা।

    আমার দেশ:
    বাড়িতে বাসন মাজতে ঘর মুছতে একজন কাজ করতে আসেন৷ তাঁকে আসতে হবে না বলে দিয়েছিলাম আমরা গতকাল ফোন করে৷

    ঘটনা ১: আজ সকালে তিনিই ফোন করে বললেন আসছি৷ ( বলা বাহুল্য, তিনি মাস হিসেবে পারিশ্রমিক পান, এই আসতে হবে নার জন্য আমাদের বাড়িতে তাঁর কোন আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা নেই তা তিনি স্পষ্টভাবেই জানেন৷ আমরা আবারো গতকাল বলেছিলাম৷ বা হয়তো বলা বাহুল্য নয়, আজকের দিনে কমন সেন্স খুবই আনকমন বস্তু৷ মাসে চারটে ছুটির কড়ার বলে এই পরিস্থিতিতেও নাকি বহু বাড়ির কাজের ক্ষেত্রে উনি বস্তুত উইদাউট পে, আজ্ঞে হ্যাঁ, এমন 'শিক্ষিত' 'মানুষ'ও আছেন আমাদেরই চারপাশে৷) আসতে জিগ্যেস করলাম কি ব্যাপার, বললেন আমাদের দুটো বাড়ি পরে এক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা থাকেন, তাঁদের রান্না-ওষুধ খাওয়ানোর কোন লোক নেই, তাঁকে ওনাদের জন্য আসতেই হত৷ আগেই জানতাম, উনি ওই বাড়ির একমাত্র কেয়ারগিভার, ভুলে গেছিলাম৷ রাস্তায় পুলিশকেও সে কথা বলেই এসেছেন৷

    সরকারী ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না থাকলে লকডাউন যে সহায়-সম্বলহীন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য কি, স্কুল পাশ না করা ভদ্রমহিলা আমায় মনে করিয়ে দিয়ে গেলেন৷

    ঘটনা ২: কথাপ্রসঙ্গে তিনিই বললেন লোকে কি পাগল হয়ে গেছে? কালকে বাড়িতে থেকে তালি দিতে, থালাবাসন বাজাবার কথা ছিল, রাস্তায় নেমে একসাথে বাজী ফাটাবার,ঘন্টা বাজানোর নয়৷ আবারো, ভদ্রমহিলা স্কুল পাশ করেন নি৷
    মোদিফায়েডরা কিন্তু করেছেন৷ স্কুল-কলেজে শিক্ষার আমাদের দেশে শ্রেণী আছে, ভীষণভাবেই আছে৷ অশিক্ষার নেই৷
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন