মানে মেলা খেলা এসব হয়ে গেলে একধারসে অনেকে ইনফেক্টেড হলে তাড়াতাড়ি পিক এসে যাবে।
যত লোক ইনফেক্টেড হবে, আন ইনফেক্টেড লোকের সংখ্যা তত কমবে, ফলে নতুন ইনফেকশনের সম্ভাবনা কমবে।
অরিন | 161.65.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২১ ১৫:২০478468রঞ্জনবাবু, সুরজিত ভাল্লা মশাইয়ের পরিচয় দেবার জন্য ধন্যবাদ। আসলে গত এক বছরে কোভিড মহামারী এবং তার সংক্রমণ সংক্রান্ত প্রচুর ধারণাকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে, তার মধ্যে একটা মস্ত লাভ, কোভিডের মডেলিং এ অনেকটা পরিবর্তন এসেছে। এনার লেখাটি আমি একটু আগে ইণ্ডিয়ান একসপ্রেস সাইটে পড়লাম। লেখাটা থেকে একটি ব্যাপার স্পষ্ট, ইনি মহামারী এবং তার ডাইনামিক্স নিয়ে বিচার বিবেচনা করেন নি, এবং কোভিড কে ফ্লু এর ছকে ফেলে অর্থনীতির টাইম সিরিজের পরিপ্রেক্ষিতে বিচার করছেন, এতে সুবিচার করা হচ্ছে না।
আপনি যদি কোভিডের বিশ্বব্যাপী প্যাটারন লক্ষ করেন, ভারতে তো বটেই, নজর করবেন যে, সব জায়গায় জনসংখ্যা অনুযায়ী বা জনঘনত্ব অনুযায়ী কোভিড ছড়ায় না, তার প্রসারের অদ্ভুত কিছু নিয়ম আছে। প্রায় ২০% আক্রান্ত মানুষ ৮০% সংক্রমণের জন্য দায়ী। এঁরাই সুপারস্প্রেডার। পরিভাষায় কোভিড যে ভাবে সংক্রমিত হয়, তার প্যাটার্ণ এখন বোঝা যাচ্ছে ওভারডিসপারশন, অর্থাৎ অল্প সংখ্যক মানুষ অধিক সংখ্যায় সংক্রমণের জন্য দায়ী, এইভাবেই ক্লাসটার তৈরী হয়, এবং অসুখটি দ্রুত সমপ্রসারিত হতে থাকে। অর্থাৎ, মারী নিয়ন্ত্রণে দ্রুত আনতে গেলে সুপারস্প্রেডারদের দ্রুত চিহ্নিত করে সরিয়ে ফেলতে হবে, নাহলে কঠোরভাবে উৎস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে (যে কারণে মাস্ক)।
মেলার বা ইলেকশন রালির প্রচুর সমস্যা, সবচেয়ে জটিল সমস্যা , রালীতে সুপারস্প্রেডারদের থাকার সম্ভাবনা সাধারণ জায়গার তুলনায় অনেকাংশে বেশী, তার ওপর এরোসল স্প্রেডের একটা বড় সূত্র উচ্চস্বরে কথা বলা।
দুঃখের বিষয়, এই পরিমাণ সংক্রমণ হলে যেটা অবশ্যম্ভাবী পরিণতি, ভারতে তাই হচ্ছে, নতুন আরেকটি স্ট্রেন বেরিয়েছে।
জনসমাগম বন্ধ করে ক্লাসটার যতদিন না ভারতের বা রাজ্যের স্বাসথ্য দফতর নিয়ন্ত্রণ করবেন, ততদিন কিন্তু ভারতে অন্তত, করোনার হাত থেকে রেহাই নেই। ভ্যাকসিনে কিছুটা কাজ হয়ত হবে, তবে হার্ড ইমিউনিটি দূর অস্ত।
de | 14.139.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২১ ১৫:১৬478467রেস্তোরাঁ এখনো ঝাঁপ নামিয়ে অনেক খোলা - সমস্ত পার্লার ঝাঁপ বন্ধ করে চলছে - ওখানে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের কথায় - করোনা হলে মরতেও পারি, বাঁচতেও পারি - কিন্তু কাজ না থাকলে না খেয়ে তো এমনিতেই মরে যাবো - একবার লকডাউনে সব পুঁজি খতম! বলার বিশেষ কিছু নেই - মুম্বইয়ের সাধারণ মানুষ বেশ মরিয়া এই ব্যাপারে - মাস্ক এখন সবাই পড়ছে, কিন্তু বাড়িতে বসে কেউ থাকতে চায় না!
de | 14.139.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২১ ১৫:১১478466মুম্বইতে প্রধান ভুল লোক্যালট্রেন চালু করা - স্টেশন গুলোর্তে কুম্ভমেলার সমান ভিড় হয়! এছাড়াও সেই দশেরা-দীপাবলী থেকে শুরু করে কাগজে-কলমে নিয়ম থাকলেও মোচ্ছব তো পুরোই হয়েছে। এছাড়া শপিং মল, সিনেমা হল - উপচে পড়া হাট - বাজার - কুম্ভ কি আর একটা রে ভাই!
হতেই পারে। মুম্বই বাইরের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি কানেক্টেড। আকাশ আর জলপথে।
মুম্বইয়ে এসি ঘর রেস্তোরাঁ এসবে ভাল সংখ্যায় ক্লোজড ডোর পার্টিও হয়েছে শুনেছি।
মুম্বাই বন্দর থেকেও নাকি ছড়িয়েছে এক সহকর্মী গম্ভীর গলায় জানিয়েছিল গত শুক্কুরবার।
মহারাষ্ট্রে বাড়ার একটা বড় কারণ, মিউটেটেড স্ট্রেন ওখানেই বেশি আসা ও ছড়ানো। কারণ ইন্টারন্যাশানাল ফ্লাইট মুম্বই থেকেই সবচেয়ে বেশি।
অরিন
সুরজিত ভাল্লা আগে নীতি আয়োগের সদস্য ছিলেন। অ্যাপলায়েড ইকনমিস্ট। প্রতি লেখায় স্ট্যাটিসটিকসের যুক্তি থাকে।গতবছর দেখিয়েছেন গ্রামীণ শ্রমিকদের রিয়েল ওয়েজ নাকি বেড়েছে।
এবার মহারাষ্ট্রের ও বঙ্গের ডেটা দিয়ে বলছেন ইলেকশন প্রচার কোভিড ছড়ানোর কারণ নয়। আমার ধারণা এই মডেলের লার্কিং ভেরিয়েবল হয়তো টেস্টিং মহারাষ্ট্রে বঙ্গের চেয়ে অনেক বেশি হওয়া।
সিংগল k | 2409:4060:6:987f:cebb:db02:232c:***:*** | ২২ এপ্রিল ২০২১ ১৪:০৬478461মেডিকেল কলেজে টীকাসঙ্কট কাটাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে-
তিনটি গার্ডরেলের গায়ে তিন ধরনের বৈধ টীকাপ্রাপকের নাম লিখে এবং সে দিন সেই ধরনের ক টি টীকা দেওয়া হবে সেটি লিখে ভোররাত্রে একাডেমী বিল্ডিং এর সামনে রাখাহচ্ছে। সকাল নটার মধ্যে তার সামনে দাঁড়ানো ঐ সংখ্যক লোককে প্রথমে টোকেন ও পরে টোকেনানুসারে টীকা দেওয়া হচ্ছে।
যে তিন ধরনের টীকাপ্রার্থীদের বৈধতা দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন--
১) কোভ্যাক্সিন প্রথম ডোজ।
২)কোভ্যাক্সিন দ্বিতীয় ডোজ।
৩)কোভিশীল্ড দ্বিতীয় ডোজ।
এর বাইরে অন্য কোন ধরনের টীকা গ্রহনেচ্ছু ব্যক্তিবর্গকে এন্টারটেন করা হচ্ছে না।
এদ্দিনে ভারতকে অন্য দেশরা সত্যি সত্যিই ভয় পেতে শুরু করেছে
PT | 203.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২১ ১৩:৩৯478459বিশ্বজিৎ রায় লিখছেন শঙ্খ ঘোষকে নিয়েঃ
https://epaper.anandabazar.com/imageview_55757_5540214_4_71_22-04-2021_4_i_1_sf.html
dc | 122.174.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২১ ১৩:৩০478458ভোট করলেও করোনা হবে, না করলেও করোনা হবে।
কুম্ভ করলেও করোনা হবে, না করলেও করোনা হবে।
তবলিগি করলেও করোনা হবে, না করলেও করোনা হবে।
এই হলো জীবনের সার সত্য। করোনাকে আপন করে নিন, কাছে টেনে নিন। তাহলেই দেখবেন করোনা আপনার বন্ধু হয়ে গেছে। সেজন্যই কবি বলেছেন, ও মাই লিটল প্রেটি ওয়ান, হোয়েন য়ু গনা গিভ মি সাম টাইম মাই করোনা।
Jattosab | 2401:4900:2e85:ea26:0:6b:ea4b:***:*** | ২২ এপ্রিল ২০২১ ১২:৫০478457মুম্বই এ কী হয়েছিল? ভোট না কুম্ভ?
র২হ | 49.206.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২১ ১২:৪০478456শংখ (লামা) দুয়েকবার অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় কলকাতা থেকে রেল ও সড়কপথে আগরতলা গেছিল। গোটা দিন চারেকের যাত্রা, ব্রডগেজ ন্যারোগেজ লাইন বদল, স্টেশন বদল, যত্রতত্র ভোজন করে পেটের পীড়া, হট্টমন্দিরে শয়ন এইসব। তার মধ্যে উগ্রপন্থীসঙ্কুল পাহাড়ি রাস্তায় মাঝে মাঝে বাসের গরম রেডিয়েটরে ঠান্ডা জল দিলে দুম ফট, রেডিয়েটর ফাটার আওয়াজে অত্যাধুনিক অস্ত্রধারী সেনাবাহিনীর দৌড়ঝাঁপ, সেসব নৈমিত্তিক ছিল ওই পথে। তো, ওইসব গল্প মাঝেমাঝেই হতো।
একবার এক যাত্রী গভীর ঘুমিয়ে, এমন সময় রেডিয়েটর ফাট, আগুন, যাত্রীদের আতঙ্কিত চ্যাঁচামেচি ও পলায়ন, ঘুমন্ত যাত্রী ঘুমিয়ে। সব থিতু হওয়ার পর ঘুমন্ত যাত্রী কষ্টে চোখ মেলে জিজ্ঞেস করলেন - "আগুন লাগসে নি? কই আগুন?" পাশের যাত্রী বললেন, "না না, আগুন না, একটু গরম পড়সে আরকি"। তখন ঘুমন্ত যাত্রী আবার ঘুমিয়ে পড়লেন।
আমার এই করোনা, বিজেপি এসবের উৎপাতের কালে ওই গল্পটা বারবার মনে পড়ে।
Amit | 121.2.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২১ ১১:৫০478455যারা জেগে ঘুমোয়, তাদের জাগানোর আশা এবার ছেড়ে দেওয়াই ভালো। এই বাজারেও সমানে ভক্তদের পোস্টিং চলছে কুম্ভ মেলা থেকে বা মোদির সভায় কোনো কোভিড ছড়ায়নি। সাহী স্নানে শুধু সাধুরাই স্নান করেছে আর ওরা সবসময় হিমালয়ে র মতো জায়গায় সোশ্যাল আইসোলেশনেই থাকে। কিন্তু তবলীগ ইচ্ছে করে ছড়াচ্ছিল গত বছর। এই পরিমান ঘৃণা যেখানে জমে আছে , সেখানে সুস্থ কথা বলতে গেলে মার্ খাওয়ার চান্স বেশি।
Abhyu | 47.39.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২১ ১১:৪৩478454ভিড়ে ঠাসা জনসভা থেকে কোভিড না ছড়ানোর কোনো কারণ আছে কি? এই বাজারেও যারা বর্তমান সরকারের কড়া সমর্থক তাদের কাছ থেকে কোনো কিছুর সৎ বিশ্লেষণ আশা করা যায় কি না, সেও একটা ভাববার ব্যাপার।
অরিন | 161.65.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২১ ১১:৩৯478453রঞ্জনবাবু, এটা ঠিক গমপার্ট্জ ডিসট্রিবিউশনের ব্যাপার নয়, কোভিডের একটা ওভার ডিসপারশন এবং নেগেটিভ বাইনোমিয়াল ডিস্ট্রিবিউশনের ব্যাপার রয়েছে যেহেতু দেখবেন অল্প সংখ্যক মানুষের সূত্রে বহু মানুষের সংক্রমণ হয়। যে কারণে হাইপারস্প্রেডারদের একটা সাংঘাতিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। অভ্যুরা ভাল করে বেঝাতে পারবে, হাতে সময় থাকলে লিখতুম কেন এই অবস্থায় মেলা এবং ইলেকশন রালি এত মারাত্মক। শনি রোববার হাতে সময় পেলে আরেকটু লিখব। সুরজিৎ বাবু না যার নাম করছেন, তিনি ঠিক কি বলেছেন?
সিএস | 103.99.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২১ ১১:৩২478452ভাল্লা মশায়ের লেখাটি পড়িনি। কিন্তু অমিত শা ক'দিন আগে বলেছিল, ওনার অবশ্য অঙ্ক কষার দরকার হয়নি, যে ভোটের সভার সাথে কোভিডের সম্পর্ক নেই। এখন জ্ঞানী সমর্থকরা বলছেন। কিন্তু যেটা বুঝতে পারছি না, যে একসাথে অনেক লোক মিলে সভা করে কোভিড না ছড়ালে, বাজার -দোকান - রাস্তায় ভিড় হলে কোভিড ছড়াবে কেন ?
পাই ও অভ্যু
তোমরা যা নিয়ে মিনিময় করছ তার সঙ্গে সম্পর্কিত তাই বলছি।
আজ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে ইকনমিস্ট সুরজিত ভাল্লা কিছু ডেটা এবং কথিত গোমপ্যাটজ কার্ভ দিয়ে দেখাতে চাইছেন যে ইলেকশন জনসভা রোডশো এসবের সঙ্গে কোভিিড ছড়ানোর স্পষ্ট সম্পর্ক নেই।
1 তাতে WHO র সারফেস টাচ, মাস্ক, লকডাউন নিয়ে স্ট্যান্ড বদলানোর কথা আছে। উনি বর্তমান সরকারের কড়া সমর্থক , কিন্ত নিজের কাজে বিশেষজ্ঞ। কাজেই এর হাইপোথিসিস নিয়ে খুঁটিয়ে দেখা যাবে কি?
2 এখানেও কি কোন লার্কিং ভ্যারিয়েবল আছে যা পরে প্রকাশ পাবে?
3 অথবা ওঁর মডেলে সেই P(X given Y) এর সঙ্গে P(Y given X) নিয়ে কনফিউশন?
সিএস | 49.37.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২১ ১১:০০478450নির্লজ্জের মত,
দিল্লীশ্বররা উড়ে এসে ভোটের সভা করছে।
সমর্থকরা বোমাবাজী আর মারপিট চালিয়ে যাচ্ছে।
ভাজপা নেতারা ওষুধ স্টক করছে।
de | 182.57.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২১ ১০:৫৬478449ভেরি সরি! নেটের অবস্থা এতো খারাপ যে কহতব্য নয়। এই পোস্টটা আজ সকালে পেয়েছি। রক্তের সন্ধানে, যদি কেউ হেল্প করতে পারেন, তাই এখানেও দিয়ে দিলাম।
কি ব্যাপার এটা ?
তবু তো শঙ্খ ঘোষ, উনার মেয়ে আর বিশ্বজিৎ রায়ের ষড়যন্ত্রের খবর অনেক চাড্ডি জানে না।
de | 182.57.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২১ ১০:৩৬478446
de | 182.57.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২১ ১০:৩৬478447
de | 182.57.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২১ ১০:৩৬478444
de | 182.57.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২১ ১০:৩৬478445
dc | 122.164.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২১ ১০:২২478443এতো লোক যে ভোট দিচ্ছে, এটা সত্যি আমার অবাক লাগে। গতোবারের ভোটে আমি তো স্রেফ ল্যাদ খেয়ে ভোট দিতে যাইনি। আর এবার তো ভয়ের চোটে ঘর থেকেই বেরোচ্ছি না, পাছে করোনায় ধরে! এমনিতেও লোকে কেন ভোট দেয় সেটা আমার কাছে একটা রহস্য।
জঘন্য বললেও কম বলা হয়।
Abhyu | 47.39.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২১ ১০:১৮478441টিকার শর্টেজ, অক্সিজেনের শর্টেজ...মানুষ যাবে কোথায়! এর মধ্যেও লোকে এদের ভোট দিতে পারে, এটা ভাবলে আর বিস্ময়ের অবধি থাকে না।