গতবার আমাদ পাশের ফ্ল্যাটের আন্টি শুরু করেন টুথপিক দিয়ে লিফটের বোতাম টেপা আর টুথপিকটা কাগজে মুড়িয়ে গার্বেজ ক্যানে ফেলে দেয়া। পরে সেটা গোটা হাওসিঙের হাজার তিন চার লোক করতে শুরু করে। টিস্যু পেপার বা কাগজ ব্যবহার ও ভাল অব্যেস।
এলিভেটর বাটন থেকে কেস ছড়ানো বেশ কয়েকটা স্টাডিতে বলেছে। তবে আমি হলেও গ্লাভসের বদলে একটা কাগজ জড়িয়ে দেওয়া প্রেফার করতাম, তারপর কাগজ ফেলে দেওয়া। আমি আমার প্রোজেক্টের লোকজনকেও তাই বলি, অটো কি গাড়িতে ফিল্ডে যেতে হলে হ্যান্ডেল ওভাবে ধরতে, কমন দরজার হ্যান্ডল ট্যান্ডল ও। যতটা হয় পা দিয়ে ঠেলতে বলি। চায়না বা সাউথ কোরিয়াতেই কোথাও দেখিয়েছিল, ডান হাতের বদলে বাঁহাত ব্যবহার করার অভ্যেস করা, এসব কাজে। কারণ বাঁ হাত চোখে মুখে নাকে ডানহাতিরা কমই দেন।
অমিত
আমারও কোভিশিল্ড, কাল সেকেন্ড ডোজ নেব। চারদিন পেটে খুব গ্যাস ও ব্যথা ছিল। ঘুমোতে পারিনি।
সেকেন্ড ডোজ নেয়ার তারিখ রোগীর ইচ্ছাধীন। এটা ওনার ডাক্তারই স্পষ্ট করে দেবেন।
অমিত
ঠিক বলেছেন ভাই। টাক পড়ল আর সুপ্রিম কোর্টের বারো বছরের পেন্ডিং কেস ইউনিয়ন জিতল এবং আমাদের পেনশন শুরু হল। এখন বই কিনতে বা কাউকে খাওয়ানোর ব্যাপারে মেয়েকে বলতে হয়না।
শরস্মৈপদী থেকে আত্মনেপদীর মজাই আলাদা। অপু যদি আরও আগে বলত!
আচ্ছা একটা পার্সোনাল কথা জিগাই যদি কারোর রিসেন্ট সিমিলার অভিজ্ঞতা থাকে। আমার শ্বশুর মশাই কোভিশিল্ড নিয়েছেন ৭-৮ সপ্তাহ আগে। নেওয়ার পর থেকেই পেটের গন্ডোগোল বেশ বেড়ে গেছে। এমনিতে তার সেরকম অত কিছু ছিলনা । গত হপ্তায় কলকাতা ফোর্টিস এ ডাক্তার দেখালে তিনি বেশ কিছু টেস্ট দিলেন। যদিও উনি বললেন ভ্যাকসিনের সাথে হয়তো কোনো সম্পর্ক নাও থাকতে পারে কিন্তু সমস্ত টেস্ট রেজাল্ট না আশা অবধি সেকেন্ড ডোজ টা না নিতে।
এদিকে কালকে ওনার সেকেন্ড ডোজ। না নিলে আবার কবে ডেট পাবেন একটু টেনশনে পড়ে গেছেন। কারণ দুটো ডোজ কমপ্লিট নাকরে ট্রাভেল করতে চিন্তা করছেন। এদিকে ট্রাভেল করাটাও জরুরি।
কেও কি ডেট পোস্টপন করে আবার জলদি ফিরতি ডেট পেয়েছেন ? বা কারোর চেনাশোনার মধ্যে কি এই ধরণের সিম্পটম দেখেছেন ?
পাই রিস্ক মিনিমাইজ করা ভালো, তবে এটাতে ভালোর চেয়ে সব মিলে খারাপের পরিমাণ বেশি বলেই মনে হয়। সারফেস থেকে ছাড়ানোর চান্স প্রায় নেই বললেই হয়, ওদিকে এতো প্ল্যাস্টিক, অ্যাসোসিয়েটেড খরচ ইত্যাদি। এর চেয়ে বুথে ঢোকার আগে এবং পরে হাতে স্যানিটাইজার দিলেই অনেক সহজে সামলানো যেত।
ভাববেন না রঞ্জনদা। টাক হলে নাকি টাকাও হয়। আপনার আচ্ছে দিন সমাগত প্রায়।
একজন লিখেছে। ১৭ দিন বাদে সিম্পটম আসছে! :(
-----
কোভিড, সতর্কতা এবং আমরা
আমরা সেই গত মার্চ মাস থেকেই বেশ সতর্কতার সঙ্গে দিন কাটাচ্ছিলাম। কাজের লোক ছিলোনা নভেম্বর মাস অবধি। এর মধ্যে কোথাও বেড়াতে যাইনি। আমার এক কাজিন ব্রাদার-এর ফ্যামিলি ছাড়া কারো সাথে দীর্ঘ্য মেলামেশাও করিনি। তবে আমাদের থেকে বেশি সতর্ক পরিবার দেখেছি। আর আশেপাশে বেশিরভাগই কম-সতর্ক লোকজনই চোখে পড়ে।
আমরা বাজার গেলে মাস্ক পরেই যাই। মাস্ক দিয়ে নাক-মুখ যথার্থ ভাবে ঢাকি। আমরা স্যানিটাইজার নিয়ে বাইরে যাই। লিফ্ট বা কোথাও হাত লাগলে তৎক্ষণাৎ হাত স্যানিটাইজারে ভিজিয়েনি। বাইরের জিনিস বাজার থেকে এনে এক জায়গায় তিন দিন ফেলে রাখি, ধরি না। হাত, পা সাবান দিয়ে ধুয়ে, জামা ছেড়ে তবে চেয়ারে বসি। সবজি ফল সব সোডা দিয়ে ধুয়েনি। যাইহোক তবু আমাদের বাড়ি কোভিড এসেছিলো এবং গত একমাস ধরে আমাদের সাথেই রয়েছে।
অসতর্কতার মধ্যে আমাদের ছেলে পার্কে যেত, বাড়িতে কাজের লোক আসত, দু-তিন মাসে একবার দাদা-বউদি আসত ( তাও আসেনি অনেক দিন) । এর মধ্যে ছেলেকে আর দুপুরবেলা রাখা যাচ্ছিল না। তিনি দুপুরে ঘুমান না । আমার মিটিং থাকে ওই সময়েই । এক দিন মা-বাবার পাগল পাগল অবস্থা দেখে ডে-কেয়ারের খোঁজ করলাম। ইন্টারনেট দেখে ফোন লাগালাম। যে মহিলা ফোন ধরলেন তাঁর সর্দি, জ্বর হয়েছে। পরদিন ডে-কেয়ারে কথা বলতে গিয়ে দেখলাম ওই ভদ্রমহিলাই কথা বলবেন। উনি মুখের উপর কাশ ছিলেন, সম্ভবত সেখান থেকেই কভিডের বীজ ঘরে আনয়ন।
উপরক্ত ঘটনার দিন দশেক পর থেকে বাবার কাশি গলা ব্যাথা শুরু হয়। তার দিন সাতেক বাদে বাবা টেস্ট করেন। বাবার কাশি ছাড়া আর কোনও সমস্যা ছিল না। যেদিন সাম্পেল নিতে আসে সেদিন থেকেই বাবা ভালো হয়ে যান। কিন্তু টেস্ট-রেসাল্ট পসিটিভ আসায় আমরা ঘর বন্দি হয়ে পরি। সোসাইটিতে কেউ কোনও হেল্প করতে এগিয়ে আসেনা । খুব কষ্ট করে কদিন যায়, শেষের দিকে নিজেরা বেড়িয়ে বাজার যেতে বাধ্য হই । ইতি মধ্যে নাইট কারফিউ শুরু হয়ে গেছে। রাতের অন্ধকারে আর বেড়িয়ে কোনও লাভ হায়না। এদিকে দিনে বেরোলে সোসাইটিতে প্রবলেম। আমারা কোনও ভাবে দিন গুণে গুণে প্রায়ে ১৭ দিন শেষ করে আনছি এরমধ্যে মায়ের জ্বর এলো।
মায়ের জ্বর-জারি সাধারণত হয় না। প্যারাসিটামল খেয়েও জ্বর কমার নাম নেই। এদিকে মুম্বাইয়ের অবস্থা তখন এতটাই খারাপ বাড়িতে স্যাম্পেল নিতে আসার লোক নেই। ল্যাবগুলি ফোন ধরছে না। বেগতিক দেখে মাকে নিয়ে যাওয়া হল কাস্তুরবা ID হাসপাতালে। লাইন দিয়ে বসে থেকে বেড ফাঁকা হতে বয়স-জনিত কারণে জায়গা পাওয়া গেলো । মাকে ভর্তি করে বাবা যখন বাড়ি ফিরলেন তখন আমার জ্বর এসে গেছে।
সেদিন প্রথম ছেলে আমাকে ছাড়া ঘুমাল। সারারাত জেগে ছিল। পাশের ঘর থেকে দাদু-নাতির গল্পের আয়য়াজ আসছিল। তারপরের দিনগুলো কিভাবে কাটল সে সব ইতিহাস। যাইহোক আমরা সবাই এখন ভালো আছি।
এখনও ছেলে দাদুর সাথেই ঘুমায়। আরও এক সপ্তাহ। কভিডের কষ্টের থেকেও অনেক বেশি কষ্ট এই আইসলেসন। বিভিন্ন রকমের আইসলেসন। সোসাইটির থেকে পরিবারের আইসলেশন, মায়ের থেকে ছেলের আইসলেসন। বাজার করতে না পারা। অনলাইনে এখন আর সব কিছু পাওয়া যাচ্ছে না মুম্বাইতে।
উকুনও হল, টাকও হল। অপুর তো যাকে বলে ডবল জিত হল। ঃ-)
অমিত
অপু অভিশাপ দিল যে!
"রঞ্জন তুমি 'দুষ্টু লোক,
তোমার মাথায় উকুন হোক"!
আমি খ্যাস খ্যাস করে বড় বড় বাঁকা নখে চুলকোতে থাকলাম। মৃত উকুন এবং চুল হেমন্তের শিশিরের মতন ঝরতে থাকল। হাতে রইল টাক, সিম্পুল।
সেইজন্যেই তো ওই তিনজনের বৈপিত্রেয় ভাই।
স্লেপনির তো লোকির ছেলে, ওদিনের ঘোড়া। সেই দেওয়াল বানাতে আসা দানবের ঘোড়ার সাথে ।
অভ্যু, এটা দেখ। এবার ঘরের ভিতরে বুথে যেখানে সবাই একটা জায়গাতেই আংুল দিচ্ছেন, সেখানে রিস্ক তো মাপা হয়নি, হলে বেশি হবারই সম্ভাবনা। স্যানিটাইজার হাতে তো দিচ্ছে সেই বেরনর পর। বোতাম টেপা আর বেরনর মধ্যেও কেউ আংুল চোখে টোখে দিতে পারেন। তাই এই ব্যবস্থাটা ভালই। বিশেষ করে যেখানে এত লোক জড়িত, এত বেশি কেস হচ্ছে।
Concentrations of infectious SARS-CoV-2 on outdoor surfaces could be expected to be lower than indoor surfaces because of air dilution and movement, as well as harsher environmental conditions, such as sunlight.
কেকে কেমন আছো তুমি?
কেকে, সেই আটপা ঘোড়াটা? স্লেইপনির ? তাকে চিনি।
আমি ভেবেছিলাম অঙ্গুর্বদার বুঝি আরো ছেলেমেয়ে ছিল কোনো দৈত্য স্পাউসের সঙ্গে, ইয়া ইয়া সব টিরেক্স, টেরোড্যাক্টিল ইত্যাদিরা। ঃ-)
টেকো মাথায় কি করে উকুন হয় ? উকুন পা পিছলে পড়ে যাবে তো।
চর্বিওয়ালা মাটন ঃ-)
না, আঙ্গোর্বদার আরো স্পাউস না তো। লোকীরই ছেলে সেই এক ভাই। তবু বৈপিত্রেয়। খুব ইন্টারেস্টিং গল্প তো সেটাও।
উফ চর্ব্য।
অপু
ঘুম থেকে ওঠ, তারপর তোমায় দেখাচ্ছি। আমাকে দুষ্টু লোক বললে? তাই বোধহয় আমার মাথায় উকুন হয়ে টাক পড়েছে। সত্তর বছরের ভরা যৌবনে।
মনীষায় আবার গেলে কম: ভবানী সেনের অরবিন্দের দর্শনের ক্রিটিক বইটা যদি পাও তাহলে তুলে নিও। পিলিজ। আমার ঠিকানা বলে দেব।
আর মহামারীর অবসানে কলিকাতা যাইব এবং তোমার পছন্দের চর্বি চোষ্য লেহ্য পেয় উপলব্ধ করাইব।
বৈপিত্রেয় ভাইবোনও ছিল? অঙ্গুর্বদার আরও স্পাউস ছিল? বেশ স্বাধীন স্বাধীন সিস্টেম বলতে হয় তাহলে ইয়োটেনহাইমে। এই তিনটে ছেলেমেয়েকে এমনি এমনি ছেড়ে দিল, কোনো বাধা দিল না অঙ্গুর্বদা ও তাঁর সৈন্যরা, এটা দেখে বেশ ইয়ে লাগছিল। তারপরে মনে হল হয়তো ভেবেছে ছেলেমেয়েরা নিজেরাই মোকাবিলা করুক, দেখা যাক কতটা শক্তি হয়েছে।
ওদের নিয়ে খোঁজ করতে গিয়ে একটা বেশ ইন্টারেস্টিং জিনিস পেলাম, ঈশির ভানীর যুদ্ধ। এই দুই ট্রাইবের যুদ্ধে ঈশিরদের পুরুষ যোদ্ধাদের বিরূদ্ধে লড়ছিলেন ভানীরদের নারী যোদ্ধারা। এই যুদ্ধটা নিয়ে বিস্তর জানার আগ্রহ রইল।
হ্যাঁ, অনন্ত বাসুকীকে তো মন্দরে পেঁচিয়ে সমুদ্রমন্ত্থন অবধি করল। ঈশ, আবার পরে অশ্বিনীকুমারেরা বলে কি, আরে না হাড় ভাঙে নি, মাংস একটু থেতলেছে। কিছু হবে না, হাওয়া বদলে ঘুরে ফিরে এসো। সেই ঘুরতে ঘুরতেই তো তিনি গিয়ে ইডেনে দেখলেন আদম আর হবা একেবারে কিছুই না জেনে ঘুরে বেড়ায়। ঃ-)
অ্যান্ডর,
ছিলোই তো আরো ভাইবোন। বৈমাত্রেয়, বৈপিত্রেয়! আর সত্যি বাপু, দেবতাদের এই বুলি করা! সাপ দেখলেই এঁদের এই কিছুর গায়ে জড়িয়ে দেবার বাতিকটা কোত্থেকে এলো কেজানে। পৃথিবীর গায়ে জড়িয়ে থাকো, মন্দার পর্বতের গায়ে জড়িয়ে থাকো, আম্বা কম নয়!
২০০৩ এর পঞ্চায়েত ভোট কি কারুরই মনে নেই?
যা আড্ডা দিতে গিয়ে ভোর 6:25 হ য়ে গেল।
এইবার কাটি। একটু ঘুমোই।
এখানে তত ভ য়ঙ্কর ছিল না ফাস্ট ওয়েবের সময়। এখন কী হবে জানি না।
বাবা মা ভ্যাকসিন নিয়েছেন। আমি ল্যাদ জনিত কারণে এখন ও নিতে পারি নি :((((
অজিব দাস্তা
ব্রতীন করোনা আছে এখনো। আমাদের ভ্যাক্সিন নেয়া হয়ে গেছে।
ইয়ে বাহ | 172.82.134.66 | ১৭ এপ্রিল ২০২১ ২২:১২ - এনাকে একটু কোশ্নো ছিল যে ওনার গনহত্যার কমেন্ট এর প্রেক্ষিতে - জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস এর ১৪৮ জন মারা যাওয়াটাকে ঠিক কোন রকমের হত্যার ক্যাটেগরিতে ফেলা যায় -? তখন দিদি আবার অনেকের হাতের তামুক খাচ্ছিলেন কিনা।
আর কুলোকে তো এটাও বলে ২০১৮ পঞ্চায়েত ইলেক্শনেও নাকি কয়েকটা লাশ পড়েছিল এদিক সেদিক। অবিশ্যি ওরকম তো কতই হয়।
দু দি কেমন আছো গো? ওদিকে করোনা পরিস্হিতি কীরকম?
অভ্যু আর এটুজেড কোথায় গেল রে বাবা?এদের কোন সিরিয়াসনেস নেই আড্ডা মারায় :(((