এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • অধ্যাপক মাধব গ্যাডগিল : এক নিমগ্ন পরিবেশপ্রেমী

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৪২৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • অধ্যাপক মাধব গ্যাডগিল : এক নিমগ্ন পরিবেশপ্রেমী

    আম জনতার কাছে খুব পরিচিত একটি নাম নিশ্চয়ই নয়, তবে এই মুহূর্তে দুনিয়াজুড়ে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা আলোচনা করছেন এই নিরলস প্রকৃতি সাধকের কথা। এ বছর সারা দুনিয়ার যে ছ জন পরিবেশবিদ তথা প্রকৃতি সংরক্ষণ আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্বকে ইউনাইটেড নেশনস এর পক্ষ থেকে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়েছে ভারতের অধ্যাপক মাধব গ্যাডগিল হলেন তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। যেসব মানুষ নীরবে নিভৃতে প্রকৃতি ও পরিবেশের সেবা করছেন দীর্ঘদিন ধরে, যাঁদের নিরলস কর্মপ্রয়াসের ফলে পরিবেশের গুণমান তথা ভারসাম্য বজায় থেকেছে অনেকাংশে তাঁরাই এই স্বীকৃতির যথার্থ ভাগীদার। বৃহত্তর নাগরিক সমাজের ওপর এইসব মানুষদের কাজকর্ম গভীর ছাপ রেখেছে। তাই তাঁদের হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে বিশ্ব পরিবেশ রক্ষার সবথেকে বড় পুরস্কার, তাঁদের কাজের সেরা স্বীকৃতি Champions of the Earth Award । ভারতের অধ্যাপক মাধব গ্যাডগিল ছাড়াও এ বছর এই সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন –

    ১. ব্রাজিলের আদিবাসী উন্নয়ন সোনিয়া গুয়াজাজারা
    ২. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট আইনজীবী এ্যামি বোয়ার্স
    ৩. রোমানিয়ার পরিবেশ কর্মী গ্যাব্রিয়েল পাউন
    ৪. চীনের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ল্যু ক্যুই
    ৫. মিশরের উন্নয়ন কর্মী ইব্রাহিম এ্যাবোউলেইশ এবং অবশ্যই
    ৬. ভারতে পরিবেশ ভাবনার অন্যতম পথিকৃৎ অধ্যাপক মাধব ধনঞ্জয় গ্যাডগিল

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে অধ্যাপক গ্যাডগিলকে লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড বা জীবনকৃতি সম্মান প্রদান করা হয়েছে ইউ এন এর তরফে। কেন এমন বিরল স্বীকৃতি দেওয়া হলো এই বরেণ্য পরিবেশবিদ তথা ভারত সন্তানকে? আসুন আমরা পরিচিত হ‌ই এই মানুষটি ও তাঁর কর্মজীবনের সঙ্গে।

    অধ্যাপক মাধব গ্যাডগিলের জন্ম ১৯৪২ সালের ২৪ মে মহারাষ্ট্রের পুনেতে। সাবিত্রী বাঈ ফুলে ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পড়াশোনা বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে সোজা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে, তাঁর পি এইচ ডি স্তরের গবেষণার জন্য। ওখানেই ডিগ্রি লাভ। কিন্তু এসবই একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য।

    অধ্যাপক গ্যাডগিলকে বলা হয় পশ্চিমঘাট পর্বতমালার নজরদার, জীবন্ত বিশ্বকোষ। ভারতের পশ্চিম উপকূলীয় প্রান্তে অবস্থিত সাত সাতটি রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রসারিত এই সুদীর্ঘ পর্বতমালা জীববৈচিত্র্যের এক অমূল্য ভাণ্ডার। এই অতি সংবেদনশীল প্রাকৃতিক অঞ্চলের প্রকৃতি,বন্যপ্রাণ এবং মানুষের জীবনের সুস্থিতি ও বিকাশের জন্য অধ্যাপক গ্যাডগিল সুদীর্ঘ ছয় দশক ধরে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। আসলে সহ্যাদ্রি পর্বত তথা পশ্চিমঘাট পর্বত হলো পৃথিবীর ছত্রিশটি ঘোষিত বায়োডাইভার্সিটি হটস্পটের একটি। এইটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে মান্যতা পেয়েছে। এমন এক অঞ্চলের সংরক্ষণ কতটা জরুরি তা অবিবেচক রাষ্ট্রনেতারা উপলব্ধি করতে না চাইলেও অধ্যাপক গ্যাডগিল তাঁর ছাত্রাবস্থাতেই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন, আর তাই দীর্ঘ ছয় দশক ধরে তিনি সমানে পরিবেশ রক্ষার লড়াইয়ের ময়দানে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন বিশ্বস্ত সৈনিকের মতো।

    অধ্যাপক গ্যাডগিলের সবথেকে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান হলো পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পরিবেশ অবনমন মূল্যায়ন সংক্রান্ত গ্যাডগিল কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে সামগ্রিক পরিস্থিতির অনুপুঙ্খ পর্যালোচনা এবং পরামর্শ। ২০১০ সালে এই কমিশন গঠন করা হয় বিশ্ব উষ্ণায়ন, লাগাতার বেহিসাবি উন্নয়ন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে পশ্চিমঘাট পর্বতমালার জীব পরিবেশের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলেছে তা খতিয়ে দেখার জন্য। ২০১১ সালে গ্যাডগিল কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। তাতে স্পষ্ট করে সমগ্র পশ্চিমঘাট পার্বত্য অঞ্চলকে ইকোলজিক্যালি সেনসিটিভ এলাকা হিসেবে ঘোষণার স্বপক্ষে জোরদার দাবি জানানো হয়। বলা বাহুল্য গ্যাডগিল কমিশনের এই দাবি নিছক আবেগ প্রসূত কতগুলো সাদামাটা প্রস্তাব ছিল না, তা ছিল গভীর অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষণ সূত্রে লব্ধ জ্ঞান এবং ধারণার এক আশ্চর্য সুরতহাল রিপোর্ট।

    সামান্য কিছু মানুষের বাণিজ্যিক চাহিদার জন্য কীভাবে পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পরিবেশকে দিনের পর দিন ধ্বস্ত করা হয়েছে তার কথা এই প্রতিবেদনে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তুলে ধরা হলো। রিপোর্টে সুপারিশ করা হয় পাহাড় ভেঙে খণিজ আহরণ ,খাদান তৈরি, জলবিদ্যুৎ ও তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে,নচেৎ পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পরিবেশকে, তার অতুলনীয় প্রাণ সম্পদের বৈভবকে সুরক্ষিত রাখা কখনোই সম্ভব হবে না। কিন্তু আমাদের দেশে “চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী”। রিপোর্ট প্রকাশ পেলে সরকারের তরফ থেকে গেল গেল রব তোলা হলো এই বলে যে এর ফলে কর্মরত বিপুল সংখ্যক মানুষের দৈনন্দিন রুটি রুজির জোগানে টান পড়বে। এদেশে পরিবেশ নিয়ে গভীরভাবে ভাবনার কথা একদমই ভাবা হয়না। ফলে গ্যাডগিল কমিশনের রিপোর্ট বাইরে এলেও সরকারের তরফ থেকে সেই সুপারিশ বা পরামর্শগুলোকে কোনো ভাবেই কার্যকর করা হয়নি। সাম্প্রতিক ওয়েনাড়ের বিপর্যয় চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে গ্যাডগিল কমিশনের সুপারিশকে মান্যতা না দেওয়ার ফল কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে। অধ্যাপক গ্যাডগিল অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছিলেন যে বহুযত্ন করে,নানা বিষয়ের খুঁটিনাটি বিচার করেই সুপারিশগুলো করা হয়েছিল কমিশনের পক্ষ থেকে। কিন্তু সেগুলো রূপায়ণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ‌ই নেওয়া হয়নি। পরম আশাবাদী অধ্যাপক মাধব গ্যাডগিল এতো কিছু দেখার পরও মুক্ত মনে বলতে পারেন – “ I can certainly feel happy for standing up and writing such a report, which nobody ever writes.” প্রকৃতি পরিবেশের প্রতি কতটা দায়বদ্ধতা থাকলে একজন মানুষ এমন কথা লিখতে বা বলতে পারেন ভাবলেই শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে যায়।

    ১৯৮৬ সালে তাঁর নেতৃত্বেই প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতের প্রথম বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ - নীলগিরি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ,যা এই মুহূর্তে দেশের মধ্যে বৃহত্তম। তাঁর গবেষণার কেন্দ্রে রয়েছে স্থানীয় মানুষজনকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের কল্যাণে পরিবেশকে সংরক্ষণের উপায় খুঁজে বের করার তাগিদ। ব্যাঙ্গালুরুর বিখ্যাত গবেষণা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এ “সেন্টার ফর ইকোলজিকাল সায়েন্সেস” তাঁর‌ই হাতে তৈরি। সমাজের একেবারে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষদের মধ্যে থেকে তিনি তাদের সমস্যাগুলোকে বোঝার চেষ্টা করে গেছেন। পরম অনিশ্চয়তায় ভরা এক সময়ের বুকে দাঁড়িয়ে অধ্যাপক গ্যাডগিল বনবাসী আবাসিক জনগোষ্ঠীর মানুষদের কাছে এক গভীর বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। ঐ অঞ্চলের বনবাসী, কৃষিজীবী, মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি ঘাট সংলগ্ন অঞ্চলে পরিবেশ রক্ষার কাজে নিয়োজিত সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য ও পরিকল্পকদের কাছে সমান ভাবে আদরণীয় মানুষ হিসেবে পরিচিত অধ্যাপক গ্যাডগিল।

    ভারত সরকারের পক্ষ থেকে দেশের এই কৃতী সন্তানকে বারংবার পুরস্কৃত করা হয়েছে। পেয়েছেন পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ সম্মান সহ দেশবিদেশের নানান পরিবেশ সম্মান। আর এবার পেলেন সর্বশ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক পরিবেশ সম্মান - চ্যাম্পিয়ন্স অফ দ্যা আর্থ সম্মান। নিজের মুখে নিজের কথা বলতে তীব্র অনীহা রয়েছে তাঁর মধ্যে। তবুও যখন একজন স্বভাব বিজ্ঞানী হিসেবে বলেন -- “আমি বিজ্ঞানী হিসেবে নিজেকে পরিপূর্ণ বলে মনে করি কেননা আমি মানুষের প্রতি, বিশেষ করে সমাজের একেবারে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষদের প্রতি সংবেদনশীল হতে পেরেছি। আমি আমার কাজের মাধ্যমে যে স্বপ্নগুলোকে লালন পালন করেছি, দিক নির্দেশিকা দিয়েছি আজ সেই ভাবনা পথেই ভবিষ্যৎ গড়ার কাজ চলছে। একজন বিজ্ঞানী হিসেবে এটা আমাকে প্রভূত আনন্দ দেয়।”

    পশ্চিমঘাট পর্বতমালার প্রতি নিবেদিত প্রাণ একজন মানুষ হলেন অধ্যাপক মাধব ধনঞ্জয় গ্যাডগিল। পর্বতের খুব কাছে থেকে শুনেছেন পর্বতের আত্মকথা, তার সুখ দুঃখের আখ্যান। সহ্যাদ্রি তাঁর বন্ধু, তাঁর আত্মার আত্মীয়। আর হয়তো তাই নিজের আত্মজীবনীর শিরোনাম দিয়েছেন, “A Walk Up the Hill.” নিজের একান্ত জীবনকথাতেও জড়িয়ে রেখেছেন সেই পর্বতমালাকেই যা তাঁকে পূর্ণতা দিয়েছে। বিরাশি বছরের এই তরুণ এখনও স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্ন দেখান আমাদের। আর তাই কস্তুরীরঙ্গন কমিটির ভ্রান্ত একপেশে রিপোর্ট তাঁকে ব্যথা দেয়। তবে এতেই তিনি ভেঙে পড়েন না বরং একরকম হাসতে হাসতেই বলেন – “ I am a durable optimist and hopeful that this progress will continue to gather pace.”

    ভালো থাকবেন গ্যাডগিল স্যার। ভালো থাকবেন। মাথার ওপর ছাতা হয়ে থাকা আপনার মতো মানুষের যে আজ বড়ো প্রয়োজন আমাদের। প্রণাম।

    এখানে ক্লিক করুন


    ঋণ স্বীকার
    অধ্যাপক মাধব ধনঞ্জয় গ্যাডগিল স্যারের কাজকর্মের কথা ছাত্রাবস্থা থেকেই আমার জানা ছিল। তবে তাঁর সাম্প্রতিক স্বীকৃতির বিষয়ে জানতে সংবাদপত্রের পাতায় নজর দিতে হয়েছে। সংযোজিত ভিডিওটি ইউনাইটেড নেশনস এর প্রচার চিত্র থেকে নেওয়া হয়েছে পাঠকদের মানুষটি সম্পর্কে জানতে সুবিধা হবে ভেবে। সকলের কাছে অশেষ ঋণী হয়ে র‌ইলাম।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পলি মুখার্জি | 2405:201:8000:b11b:6178:23fc:4c2c:***:*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:০২540146
  • অসামান্য এক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ। অধ্যাপক গ্যাডগিলকে আজ আমাদের বড়ো প্রয়োজন। স্যারকে প্রণাম।
  • সৌমেন রায় | 202.142.***.*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:১০540156
  • প্রণাম জানাই মহান মানুষটিকে।ধন্যবাদ জানাই লেখককে।
  • রাজীব দাশ | 202.142.***.*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:৪৪540160
  • দারুন। নিরালস সৈনিক প্রকৃতি KE রক্ষা করার ।প্রণাম 
  • Aditi Dasgupta | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:৪২540178
  • মাধব গ্যাডগিলের কথা, তাঁর কাজের কথা যত আলোচনা হয় ততো ভালো। কিন্তু এখন পরিবেশবিদ বিজ্ঞানী, শিল্পী দের নিরলস সাধনা ও প্রাপ্তির সংবাদগুলি সংবাদ মাধ্যমেই নেহাত দায়সারা কর্তব্য পালন হয়ে দাঁড়িয়েছে। খুব ভালো লাগলো লেখাটি। ওনার বইটির বাংলা অনুবাদ হয়েছে: চড়াই পথের চারণিক। সুখপাঠ্য।
  • শর্মিষ্ঠা লাহিড়ী। | 2405:201:8016:6b:5d27:60ae:b54b:***:*** | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:৩০540179
  • মাধব ধনঞ্জয়  গ্যাডগিল স্যারের নিরলস পরিবেশ সচেতনতার কর্মকান্ডের কথা জানতে পেরে সমৃদ্ধ হলাম। আশাকরি আরও অনেক উত্তরসুরী এই পথে পদচারণা করবে। তবে ই তার মহান প্রচেষ্টা কে সন্মান জানানো হবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন