এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ডাঃ শীতল ঘোষ : ওনাকে নিয়ে আরও একটা

    Siddhartha Mukherjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১২ নভেম্বর ২০২০ | ৪৬৮৪ বার পঠিত | রেটিং ৪.৮ (৪ জন)
  • আমরা যারা ওনাকে চিনতাম... প্রায় কিছুই চিনতাম না ওনাকে।

    কেউ পড়েছি ওনার কাছে। কেউ আবার পরীক্ষা দিয়েছি। অনেকেরই আবার বিভিন্ন হাসপাতালে - ক্লিনিকে ওনার হাউস-স্টাফ, রেজিস্ট্রার কিংবা Associate Consultant হিসেবে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে।

    বলা হয় ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের পরে নাকি অমন Clinical Acumen ও অগাধ পান্ডিত্য আর বেশী চিকিৎসকের ছিল না। ক্লাসে পড়াতেন এবং বেডসাইড ক্লিনিকে শেখাতেন এক্কেবারে নিজস্ব ঘরানায় । শ্লেষ-স্যাটায়ার- ব্ল্যাক হিউমার মিলিয়ে-মিশিয়ে যে মেডিসিন পড়ানো যায়.... আর কে জানতো?

    সক্কলকে "আপনি" বলে সম্বোধন করতেন বলেই হোক বা আপাত-রূঢ় বাক্যপ্রয়োগের জন্যই হোক - কেউই খুব আপন ভাবতে পারতো না এই বিরল প্রতিভাধর মানুষটিকে।

    কত যে গল্প চালু আছে "স্যার" কে নিয়ে! তার সত্যাসত্য মেলানোর সাধ্য কারো নেই -- যেমন বহুক্ষেত্রে সাধ্য ছিলনা তার তথাকথিত 'Satanic Satire' এর মর্মোদ্ধার করা!

    আপনি হয়তো ওনাকে কখোনো দেখেন নি... চেনেন না। আমি... আমার মতো অনেকে... ওনাকে অবশ্য দেখেছি বহুবছর -- তবে, ওই যে বললাম, চিনি নি।

    ডাক্তার শীতল ঘোষ কে চিনবেন-বুঝবেন আপনি! ও মশাই, সাহস তো কম নয় আপনার !



    রুগী প্রথমবার দেখাতে এসেছেন ।
    নাম, ধাম, পেশা জেনে লিখে নিলেন খসখস করে।
    এরপর...
    "বিড়ি, সিগারেট চলে নাকি?"
    রুগী বললেন -- হ্যাঁ।
    মুখ দিয়ে চুকচুক শব্দ করে বললেন -- "কেন যে খান!"
    এরপর...
    "টুংটাং করেন... মানে মদটদ খান?"
    রুগী বললেন -- না ।
    মুখ দিয়ে আবার চুকচুক শব্দ করে বললেন --
    "কেন যে খান না! বউ বকে, তাই?"

    ডাঃ শীতল ঘোষ ।



    দক্ষিণ কলকাতার পাঁচতারা হাসপাতাল।
    শীতল বাবু "রাউন্ডে" বেরিয়েছেন, সঙ্গে একদল ছোট-মেজো-বড় ডাক্তার। রাউন্ডের সময় রুগীর বাড়ির লোকেদের দেখলে উনি বিলক্ষণ বিরক্ত হতেন। তো, সেদিন লম্বা করিডোরের অন্য প্রান্তে দেখেন একজন জড়সড় মানুষ শুকনো মুখে দাঁড়িয়ে আছেন।
    কাছাকাছি পৌঁছে জোর বকুনি দিতে যাবেন -- মানুষটি হাতজোড় করে বললেন --
    "ডাক্তার মুখার্জি স্যারকে কোথায় পাবো, ডাক্তারবাবু?"
    শীতলবাবু জুনিয়র ডাক্তারদের দিকে একবার তাকিয়ে ভদ্রলোকটিকে বললেন -- "ও মশাই, মন্দিরে যান.. মন্দিরে যান। উনি দেবতা তো, মন্দিরে থাকেন।"
    এরপর ... ভদ্রলোকের কাঁধে হাত রেখে একজন হাউস স্টাফকে বললেন -- "ওনাকে স্পেসালিটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। দেবতা ডাক্তারবাবুর ঘরের সামনে বসিয়ে দিয়ে আসুন। আর হ্যাঁ, রিসেপশনে বলবেন, শেতল ঘোষ বলেছেন, ওনাকে যেন এক নম্বরে কথা বলিয়ে দেওয়া হয়।"

    ডাঃ শীতল ঘোষ ।



    একবার বেশ নামী এক ডাক্তারবাবু ডাঃ শীতল ঘোষের কাছে তাঁর এক রোগীকে রেফার করলেন স্পেশালিস্ট ওপিনিয়নের জন্য।
    নার্সিং হোমে ভর্তি রুগীকে শীতলবাবু সময়মত দেখতে গেলেন।
    তারপরের সংলাপ অনেকটা এই রকম।

    সদ্য পাশ করা অতি-সপ্রতিভ আরএমও RMO)-কে, যিনি আবার সকল "মেডিকেল টার্ম" ই সংক্ষিপ্ত করে বলায় অভ্যস্ত, উনি জিগ্যেস করলেন :

    "বলুন তো মশাই, কি হয়েছে?"
    RMO: স্যার, CAD

    "বাহ! তা কিছু পরীক্ষা-নিরিক্ষা.. ইনভেস্টিগেশন হয়েছে? "
    RMO: স্যার, CAG

    "বাহ, বাহ! তা কি পাওয়া গেল?"
    RMO: স্যার, TVD

    ডাঃ ঘোষ : "ও!"
    RMO: স্যার, আপনি কি কিছু advice দেবেন?

    "ভিজিট যখন নেব advice তো দেবই। হ্যাঁ, লিখুন - SGE. DG."

    এটা কিন্তু RMO র মাথার ওপর দিয়ে স্কোর বোর্ড পার করে সোজা ছক্কা!

    সন্ধ্যেবেলা কন্সাল্ট্যান্ট ডাক্তারবাবুও কিছু না বুঝে স্যারকে ফোন করলেন।

    "স্যার, আপনি তো পেশেন্ট দেখে গেছেন, কিন্তু আপনার advice টা যদি আর একবার বুঝিয়ে বলেন...."

    ডাঃ ঘোষ : "ও! ওটা আপনাদের RMO সাহেব বোঝেন নি বুঝি? ওটা হল গিয়ে -- শীতল ঘোষ এসেছিলেন। দেখে গেলেন।"

    ডাঃ শীতল ঘোষ ।



    ওনার রসবোধের তুলনা ছিল না। যদিও তার মধ্যে হয়তো নিজে বুঝেসুঝেই ক্ষেপামির ফোড়ন দিতেন।

    ডাঃ শীতল ঘোষ সম্পর্কে অনেক গল্প চলে আসছে। তার মধ্যে দু-একটা এরকম।

    তখন মোবাইল প্রায় ডুমুরের ফুল। ল্যান্ডলাইন ভরসা। বার তিরিশেক চেষ্টার পর বাড়ির পরিচারকের কন্ঠের - "বাবু কাল দেখা করবেন। হাওড়া চেম্বারে। সকাল আটটা " - শোনার পর রুগির যেন লটারি পাওয়ার আনন্দ।

    যদিও পরে জানা গেল, পরিচারকের গলা খোদ তাঁরই। অমনই অদ্ভুত খেয়াল !

    উনি হাওড়ায় বসতবাটির চেম্বারে পেশেন্ট দেখতেন। যথারীতি ডাক্তারবাবুকে দেখানোর জন্য ভোর থেকেই বিশাল লাইন পড়ত। উনি মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে জনৈক লাইনধারীকে জিজ্ঞাসা করলেন - " আপনারা কাকে দেখাবেন?" ভদ্রলোক ডাক্তারবাবুর নাম বললেন এবং এটিও জানাতে ভুললেন না --"লোকে বলে পাগলা ডাক্তার। অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া ভীষণ ঝকমারি।"
    পাজামা-শার্ট পড়া লোকটি বললেন - "শীতলবাবু কি এখন বাড়ি আছেন? সম্ভবত নেই। "
    বলেই নিজে হাঁটা দিলেন।
    একেবারে বলবার মত চরিত্র।

    'হাওড়ার বিধান রায়'-কে নিয়ে যত 'মিথ' মৃত্যুর এত দিন পরেও গুলবাগিচায় দোল খেয়ে চলেছে, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বোধহয় একমাত্র খোদ ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়। অবশ্যই সেগুলি সারবত্তাহীন এবং সত্যের থেকে ডজন যোজন দূরবর্তী। যেমন --
    'একমাত্র কন্যা অপ্রকৃতিস্থ। বিপত্নীক। তিনি নাকি ঘোর সুরাসক্ত। তার ওপর মস্তিষ্কেরও কমবেশি বিচ্যুতি...।'
    'রোজ বমি। কিছুতেই সারাতে পারে না কলকাতার কোনও ডাক্তার। দেড় বছর ধরে বাড়িতে প্রেসক্রিপশনের পাহাড় জমিয়ে অবশেষে এলগিনের চেম্বারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট।'
    ‘ওষুধ কী দিলেন?’
    ‘দশটা একটাকাওলা ট্যাবলেট। আর খুঁটিয়ে শুনলেন কোন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। ট্যানারির রাস্তাটা বদলাতে বললেন। সঙ্গে বললেন, হলুদ আর নীল রংটা না পরতে। এক হপ্তাও গেল না। বমি বন্ধ ! মাইরি বলছি ! ‘

    'গাড়ি থামিয়ে ডাব খাচ্ছিলেন। ডাবওয়ালা কে ডেকে বললেন - ওরে, তোর লিভার তো 'লিভ' নেবে এবার। কাল পরশুই মারা যাবি রে। লোকটি তাপ্পর ঠিক দুদিন বেঁচে ছিল।'

    'একবার রামরাজাতলা বাজারে গেছেন উনি। একজন শাক কিনবেন। ডাক্তারবাবু বললেন - এটা কিনবেন না। আমি মড়ার গন্ধ পাচ্ছি। অনেক বলার পর শাক বিক্রেতা স্বীকার করলেন এই শাক শ্মশানের ধার থেকে তোলা। '

    হাইলি সাসপিশাস, মশাই !



    শাদা রঙের গাড়ি ছিল বিশেষ পছন্দের (সর্বশেষ সংস্করণের মেডিসিনের টেক্সবই এবং এক প্যাকেট বাদামভাজা মেশানো লাল মুড়ি - তাঁর সর্বক্ষণের সহযাত্রী) আর শাদা সাফারি স্যুট, শাদা জুতো, বুকপকেটে একগন্ডা কলম আর ছবি তোলাতে চূড়ান্ত অনাগ্রহ -- এই ছিল তাঁর হলমার্ক। ছবি তোলার কথায় বলতেন - "রঞ্জন রায় ছাড়া অন্য কারো কাছে ছবি তোলাই না আমি।"
    (কি বুঝলেন? Roentgen ray অর্থাৎ X Ray ছাড়া ওনার অন্য কোন ছবি তোলা যাবে না!)

    তিনি ছাত্রদের পড়িয়েছেন প্রাণ ঢেলে, ভালোওবেসেছেন নিজস্ব ধারায়। রুগিদের হৃদয়ে ভয়ে-শ্রদ্ধায়-বিশ্বাসে জ্যোতির্ময় অধিষ্ঠান লাভ করেছেন।

    তাঁর প্রাক্তন কৃতি ছাত্রছাত্রীদের স্মৃতির ঝুলি আজও ভরা র‍য়েছে অজস্র নীলকান্ত মণি আর সূর্যমুখী হিরের দ্যুতিতে।

    শুনবেন নাকি দু-একটি ?

    ***

    "স্যার, আমায় বলেছিলেন, বলুন দেখি আপনাকে বললাম গল স্টোন। আপনি বললেন সিপিএম। কি দাঁড়াল?"

    তখন এসএফআই করতুম। চোরের মন পুলিশ পুলিশ। আমতা আমতা করছি দেখে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন,
    "অ মশাই, তিন রকমের গল স্টোন হয়। কোলেস্টেরল, পিগমেন্ট আর মিক্সড।"



    আউটডোরের ইনপুট এইটি।

    "ডাক্তারবাবু, ফল খেতে পারব?
    — হ্যাঁ পারবেন।
    — ফলের রস করে খাব?
    — হ্যাঁ তাও পারবেন।
    — কোন ফলের রস?
    — সুপুরির রস খাবেন দুবেলা।"



    আরেকজন মনে করালেন, বেরাদার, সেইটা বল!

    -- "অ মশাই, Percussion (বুকে পিঠে আঙুল দিয়ে ঠুকে শব্দ শোনা) করে দেখ্যান তো। বাহ, বাহ! পলা, গোমেদ.... আর অর্শও আছে! আপনি তো মহাপুরুষ! থাক, আর ঠুকবেন না।"
    ছোকরার আঙুলে সীসার (lead) আঙটি ছিল যে! ঠিক দেখেছেন মাষ্টারমশাই।
    Astro শাস্ত্রীরা অর্শের জন্য যে ওইটি প্রেস্ক্রাইব করেন।

    উনি নিজেই বলতেন --
    "শেতল ধরে ফেলে না। ফেলে দেয় কথায় কথায়।"
    শেতল স্যার দুবেলা গঙ্গা পারাপার কি এমনি করতেন!



    "একবার ইমারজেন্সিতে রাতে বারান্দার মেঝেতে জায়গা পাওয়া অচৈতন্য রুগীর lumber puncture করছি হাঁটু গেঁড়ে। উনি রাতের রাউন্ডে এলেন। আমাকে বললেন, ছেড়ে দিন মশাই। উনি মারা যাবেন। মেনিঞ্জাইটিস হয়ে ছিল। ঘন পুঁজ বেড়িয়েছিল spinal fluid থেকে।"



    একবার উনি বেড সাইড ক্লাস নিচ্ছেন। যেমন হয় আর কি, রুগী বা মাষ্টার কাউকেই দেখা যাচ্ছে না। একপাল ছাত্রছাত্রীদের ভীড়। এমন সময় মেডিসিনের দাপুটে হেডস্যার ঐ ভীড় দেখেই হয়ত অনুসন্ধানে এসেছিলেন। তবে শীতল বাবুর গলা শুনে ত্রস্ত পায়ে (উনি একটু খুঁড়িয়ে হাঁটতেন) চলেও যাচ্ছিলেন।
    ডাঃ শীতল ঘোষের চোখকে ফাঁকি দেওয়া ওনার কম্ম নয়। ডেকে আনলেন, বললেন, স্যার এনার হার্টের একটা ভাল্ব লিক করছে, আমরা কেউই ধরতে পারছি না। আপনি একটু ধরে দিন স্যার। সেদিন কোনমতে উদ্ধার পাবার পর (গলার স্টেথো কানে লাগানোর সাহস হয় নি) খোঁজখবর নিয়ে তবেই ওনার ওয়ার্ডে আসতেন।



    ওনার বেসরকারি পর্যায়ের একটা কিসসা শোনাই। পাঁচতারা হাসপাতালের জন্মদিন।
    সিংদরজার সামনে ফুল বালিকা অতিথিদের গোলাপ দিচ্ছেন। আমি পৌঁছেছি মাত্র। দেখলাম শেতল স্যার এসে পাশে দাঁড়ালেন। দুজনেই গোলাপ নিলাম। আমি ভোম্বলের মতো দাঁড়িয়ে রইলাম। আর উনি... নাকের কাছে গোলাপ ঠেকিয়ে বেধড়ক লম্বা একটি শ্বাস টানলেন। তারপর আমার দিকে তাকিয়ে ডাক্তার শীতল ঘোষ সুলভ মন্তব্য করলেন -- "ও মশাই, মালিকের গোলাপ তো... গন্ধ দেরীতে বেরোবে।"



    মেডিসিনের অগ্রজ অধ্যাপক মণিকুমার ছেত্রী একটি চিকিৎসা সংক্রান্ত সেমিনারে অধ্যাপক শীতল ঘোষকে প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতার আধারে "অশ্বিনী কুমার" বলে অভিহিত করেন। শীতলবাবু সেই মুহূর্তে উঠে দাঁড়ালেন। তারপর অশেষ শ্রদ্ধায় প্রফেসর ছেত্রীর হাতখানি ধরে বললেন - "কথাটি তো অশ্বিনীকুমার-দ্বয়! আপনার পান্ডিত্যে মুগ্ধ হয়ে আমি সেই কলেজের দিন থেকে 'দাদা' বলি। তাই আমি আর আপনি দুজনেই অশ্বিনীকুমার।"
    শ্রদ্ধা যেন এক অন্যতর মাত্রা পেয়েছিল সেদিন।



    মাস্টারমশাই মেঘমুলুকে পাড়ি দিয়েছেন অনেকদিন হলো। সে...ই ২০০৬ সালের ১০ই অক্টোবর। মৃত্যুকালে একাশি বছর বয়স হয়েছিল তাঁর।
    জন্মসাল যদিও বা জানা যায়, জন্মতারিখটি আবার শেতল ঘোষোচিত স্যাটায়ারের তবকে মুড়ে রেখেছিলেন।
    আলিপুর অঞ্চলে প্রায় পাশাপাশি দুটি বড়সড় হাসপাতালের কন্সাল্টেন্ট ছিলেন। একবার আমাদের সকলকে বলরাম মল্লিকের ইয়াব্বড় সন্দেশ খাওয়ালেন শিবরাত্রির দিন। বললেন - " আমার জন্মদিনের মিষ্টি খান! ও মশাই, শেতলকে আশীর্বাদ করবেন কিন্তু হাত খুলে।"
    প্রতিবেশী বন্ধুদের সে কথা গর্বভরে বলেছিলাম। তারা তো অবাক! বলেছিল - " সে কি রে! স্যার তো আমাদের কার্তিক পূজোর দিন শ্রীহরির ল্যাংচা খাইয়েছিলেন, জন্মদিন বলে!"
    আরেকজন প্রবাদপ্রতিম মেডিসিনের অধ্যাপক ও আমার পিতৃবন্ধু ডাঃ পঞ্চানন মৌলিক সেই কাহিনী শুনে বড় আশ্চর্য হয়ে ছিলেন। বলেছিলেন - "আমাদের তো একবার ভূত চতুর্দশীর দিন 'বার্থডে ট্রিট' দিয়েছিল অনাদি কেবিনের মোগলাই পরোটা খাইয়ে! কি কান্ড !"



    Prof Sital Ghosh is Dead.
    Long Live Prof. Sital Ghosh.

    এমন মাস্টার মশাইয়ের স্মৃতির অমেয় ঝাঁপি খুলে বসতে কোন শিক্ষক দিবসের দিনক্ষণ অপ্রয়োজনীয়। তাই এক অর্বাচীন ডাক্তারের অপটু গদ্যে অন্তরের শ্রদ্ধা রইল তাঁর স্মৃতির প্রতি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Bhudeb Sengupta | ১২ নভেম্বর ২০২০ ১৪:৪৭100035
  • ডাক্তার শীতল ঘোষ নিজের জীবনকালেই মিথ হয়ে উঠেছিলেন।তার কাহিনী বড়ই দরদ ভরে লিখেছেন বন্ধুবর ডাক্তার মুখার্জি। ধন্যবাদ এরকম একটি অনবদ‍্য স্বাদুু রম‍্যরচনা উপহার দেবার জন্য।

  • সিদ্ধার্থ মজুমদার | 103.77.***.*** | ১২ নভেম্বর ২০২০ ১৬:১২100050
  • খুব ভালো লাগলো।  ডা. শীতল ঘোষের নাম টুকুই জানতাম। আপ নার লেখায় অসাধারণ একজন মানুঢ এবং সফল চিকিৎসকের কথা জানতে পারলাম।  খুব নিপুণ ভাবে এঁকেছেন ডা. ঘোষের ছবিটি।

  • piyali Banerjee | 2402:3a80:ab6:eae9:0:48:11bd:***:*** | ১২ নভেম্বর ২০২০ ১৬:৪৩100052
  • এরকম আরো জানতে চাই।এত আন্তরিক  কথন পাঠ করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য লেখক ও প্রকাশক কে ধন্যবাদ

  • Mitali Bera | ১২ নভেম্বর ২০২০ ২০:৩৫100062
  • আবারও মুগ্ধ হলাম।

  • দেবীপ্রসাদ ঘোষ | 202.142.***.*** | ১৩ নভেম্বর ২০২০ ০০:৩২100073
  • সিদ্ধার্থ বাবু  ওঁর সাহচর্য পেয়েছিলেন ছাত্র হিসাব এবং পরবর্তীতে একই জীবিকায় থাকার সুবাদে। আমি সামান্য হলেও কিছু পরিচয় পেয়েছিলাম ওঁর প্রজ্ঞার, রোগী বা রোগী সংক্রান্ত কারণে। 


    বাবা ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী । উনি দ্বিতীয়বার যখন আমাদের বাড়ীতে আসলেন, এবার বাবাকেই দেখতে। ঢুকেই বললেন "স্বাধীনতা সংগ্রামীর বাড়ী তো" আসলে প্রথম বার আমাকে দেখতে এসে "তাম্র ফলক" দেখে জেনেছিলেন , বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী।


    যাই হোক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বাড়ী থেকে বেরিয়ে বললেন " না , বাবা  ওঁর mitotic lever", নিদানপত্রে কিছু পরীক্ষার কথা লিখেছিলেন। বললেন পরীক্ষা গুলো করে শিয়ালদহর কাছে যে chember এ বসতেন সেখানে পরীক্ষার report নিয়ে দেখা করতে।


    গেলাম সেখানে। report এ তো লেখাই ছিল, উনি fee নিলেন না । আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম "gall bladder CA হলো secondary হলো leverএ  এর মধ্যে জানান দিল না তো?Silent gall bladder CA হয়?" উনি বললেন " কী বই পড়েছেন? কী করেন ?" বললাম "Baily and Love , পেশায় engineer."


    উনি, সম্ভবতঃ 'জন' বলে যে ব্যক্তি সহকারীর কাজ করতেন , তাঁকে বললেন ভিতরের ঘর থেকে তিন volume এর একটা বই নিয়ে আসতে , বইগুলো পাবার পর বললেন" Bily Love কত দিয়ে কিনেছেন? এ বইএর একটা volume এর দাম আপনার বই এর তিনগুণ" বলে প্রতি বই যায়গা মত খুলে লাল পেন্সিল দিয়ে যায়গায় যায়গায় ঢ্যাঁড়া দিয়ে এগিয়ে দিয়ে বললেন "পড়ুন"। অপেক্ষা করলেন , পড়লাম, তারপর বললেন "5 percent case এ  silent gall bladder CA হয়, দেখলেন তো!"


    বিস্মিত হয়েছিলাম,  চটজলদি unerring reference দেবার ক্ষমতায় । কী পড়াশুনা বাব্বাঃ।

  • Piu Mukherjee | 2409:4060:181:7c8b::1d92:***:*** | ১৩ নভেম্বর ২০২০ ১২:৪৬100116
  • দারুন লাগলো .....

  • Prativa Sarker | ১৩ নভেম্বর ২০২০ ১৩:১০100118
  • বেঁচে থাকলে বেশ হতো। রোগবালাইয়ে সঠিক চিকিৎসা পেতুম।

  • সমরেন্দ্র নাথ সেনগুপ্ত | 2401:4900:3149:67f0:921f:ee12:84c0:***:*** | ১৩ নভেম্বর ২০২০ ১৩:১৩100119
  • সাল বা কোন হাসপাতাল - কিছুই এখন মনে নেই। কারন ঘটনা কি আমার কোনো এক বন্ধুর কাছ থেকে শুনেছিলাম। তাই সত্যি বা মিথ্যা - এ বিতর্ক অবান্তর।


    হাসপাতালের করিডোরে একটি মাঝ বয়সী মানুষ কানের যন্ত্রনায় ভীষন কাবু হয়ে কিঞ্চিত ছটফট করছে। মেডিকেল সাইন্সে র ধন্বন্তরী শীতল ঘোষ নিজস্ব চেম্বারের পথে। হটাৎ মানুষ টি কে দেখে দাঁড়িয়ে গেলেন। ভাবলেন মাত্র ৫ সেকেন্ড। রোগীর সঙ্গে র মানুষ টিকে বললেন যে কিছু পাকা কাঁঠালের কোয়া নিয়ে আসতে। হ্যা তখন কাঁঠালের মরশুম ছিল। এই পরামর্শ দিয়েই উনি ওঁর চেম্বারের দিকে হাঁটা দিলেন।


    সঙ্গে র মানুষ টি কিছুক্ষণ পর কাঁঠালের কোয়া নিয়ে এসে ডাক্তার ঘোষ কে দেখতে না পেয়ে জনৈক হাসপাতাল কর্মী কাছে থেকে জেনে ডাক্তার বাবুর সাথে চেম্বারে দেখা করলেন।


    ডাক্তার বাবু বললেন যে দুটি কোয়া যে কানে ব্যাথা হচ্ছে সেখানে যেন চেপে ধরে রেখে ওঁর জন্য অপেক্ষা করতে। উনি দশ মিনিট পর যাবেন।


    যেরকম বলা সেরকম কাজ এবং রোগীর ব্যাথা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। রোগী আখের তুলনায় বেশি কষ্ট পাচ্ছ। ঠিক দশ মিনিট পর ডাক্তার বাবু এলেন ও কানের ওপর থেকে কাঁঠালের কোয়া দুটো তুলে নিলেন। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন যে কি হয় - কি হয়।


    কাঁঠালের কোয়া তুলতে দেখা গেল যে একটা মৌমাছি বেড়িয়ে এলো। ধীরে ধীরে রোগীর যন্ত্রনা র উপশম হোল।


    এই হোল আমাদের সবার প্রিয় শেতল ঘোষ।

  • manimoy sengupta | ১৩ নভেম্বর ২০২০ ১৩:৪১100121
  • বড় অল্প হল যে । আরো লিখুন। 

  • Samiran Ray | ১৪ নভেম্বর ২০২০ ১৫:১৭100203
  • এ তো মনে হচ্ছে যেন কিংবদন্তী ডাক্তারের কল্পলোকের গল্পকথা।।


    মতামত গুলো পড়ে জানার পরিধি আরো সমৃদ্ধ হল।।

  • sm | 2402:3a80:ab8:a3c:0:55:84ab:***:*** | ১৪ নভেম্বর ২০২০ ১৬:০২100204
  • কিছু শোনা গপ্পো আছে।


    এক, ভদ্রলোক এলেন শীতল ঘোষ কে দেখাতে।তখন কার দিনে ধরা যাক ,বিরাট ফি -- দেড়শো টাকা! 


    ভদ্রলোক দুটি একশো টাকার নোট দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।ডাক্তার বাবু , টাকা পকেটে ঢুকিয়ে কোন কিছুতে মগ্ন হয়ে গেছেন।


    মিনিট দু তিন পর,ভদ্রলোক কে জিগলেন,দাঁড়িয়ে কেন? 


    ভদ্রলোক আমত আমতা করে বললেন,ডাক্তার বাবু  পঞ্চাশ টাকার চেঞ্জ টা? 


    ওহ এই ব্যাপার।এই নিন।বলে একটি একশ টাকার নোট দু টুকরো করে,হাতে একটি টুকরো ধরিয়ে দিলেন।


    পাগলা শীতল কে  কি ই বা বলা যায়!


    দুই, বহু বছর পর এক বেসরকারি হাসপাতালে,এক পুরাতন ছাত্রের সঙ্গে দেখা।


    তীক্ষ্ণ স্মরণ শক্তির অধিকারী,শীতল ঘোষ মেধাবী ছাত্র টিকে এক মুহুর্তে চিনতে পারলেন।


    কি করা হয় এখন?


    স্যার  নিউরোলজি তে ডি এম করেছি।


    প্র্যাকটিস কেমন চলছে? 


    ওই,একরকম।


    চুরি করতে জানেন? 


    মানে! 


    কিছু না।মায়ের গয়না কিছু চুরি করে বিলেত চলে যান।এম আর সি পি করে এসে প্র্যাকটিস শুরু করুন। বলেই হন হন করে হাঁটা দিলেন।


    তিন ,


    ওয়ার্ডে রাউন্ডে এসেছেন শীতল বাবু।দুর থেকে দেখলেন দুজন জুনিয়র ডাক্তার একটি বৃদ্ধ রোগীর রাইলস টিউব পড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।গলদ ঘর্ম অবস্থা।কিন্তু বার বার ট্রাই করে ও টিউব গলায় ঢোকাতে অসমর্থ হচ্ছে।


    শীতল বাবু নিঃশব্দে পিছনে এসে গম্ভীর গলায় বললেন। ওমনি করে কষ্ট দিয়ে মারার কি দরকার।একেবারে গলা টিপে দিলেই হয়।


    বলেই,কাছে এসে আস্তে আস্তে কেমন করে টিউব ঢোকাতে হবে নির্দেশ দিতে থাকলেন।এবার এক চান্সেই সাফল্য।


    চার,রাউন্ডে বেরিয়েছেন ডাক্তার ঘোষ।পিছনে জুনিয়র ডাক্তার,স্টুডেন্ট, লেকচারার, এর বিশাল লেজ।


    ওদিক থেকে আসছেন হেড ডিপ।তাঁর পিছনে ও অনুরূপ আর একটি বিশাল লেজ। হেড ডিপ শৌখিন লোক।গলায় হালকা পাউডার।গায়ে দামী পারফিউম এর সুগন্ধ।


    করিডোরে, মুখো মুখি দুটি লেজ।কুশল বিনিময়।তার পর ধীরে ধীরে দুদিকে চলে যাওয়া।


    দুদিকে চলে যাবার  মুহুর্তে,শীতল বাবুর মোক্ষম কমেন্ট,জুনিয়র দের দিকে তাকিয়ে!


    হেমামালিনি গেলেন!

  • reeta bandyopadhyay | ১৫ নভেম্বর ২০২০ ২২:৫৭100259
  • আমার ঝুলিতে দুটি গল্প আছে, এই সুযোগে তা পরিবেশন করি। ষাটের দশকের মাঝামাঝি জ্বর এ ভুগে একসা হতে হতে মা আমাকে নিয়ে ডাক্তার বাবুর শেয়ালদা চেম্বারে হাজির.....কয়েকবার যাতায়াতের সুবাদে ওঁর সহকারী আমাকে চিনে গেছিলেন, আমাকে পাশের দরজা দিয়ে ঢুকিয়ে  টুলে বসিয়ে দিতেন।এরপর আর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হত না। ছোট হবার হরেক সুবিধা।


    এমনি একদিন সবে আমাকে উনি কিছু জিজ্ঞাসা করেছেন, উওর দিতে যাব এমন সময় দরজা খুলে হন্তদন্ত হয়ে এক রোগী ঢুকেই হাউমাউ করে বলে উঠলেন, 'ডাক্তার বাবু আপনি তো আগের বার ৫০ টাকা ফি নিয়েছিলেন, এবারে যে ১০০ দিলাম, কিছু তো ফেরত দিলেন না। দাঁড়ান বলে ড্রয়ার এর ভিতর থেকে একটি১০০ টাকার নোট বার করে, মাঝখান থেকে ছিড়ে আদ্ধেকটা লোকটির হাতে ধরিয়ে দিলেন।সহকারী এসে হতভম্ব  ভদ্রলোককে কোনমতে ঠেলেঠুলে বাইরে। এ আমার নিজের চোখে দেখা অভিজ্ঞতা।


    পরের অভিজ্ঞতা অনেক পরিণত বয়সে। আশী পেরোনো শাশুড়ির হিমোগ্লোবিনের মাত্রা তলানিতে, ওনার ছেলে অন্য শহরে কর্মরত, বাড়িতে বৃদ্ধ শশুর আর দুটি বাচ্চা।রাত আটটায় আমি এলগিন রোডের চেম্বারে, হাতে রক্তের রিপোর্ট।এক ঝলক চোখ বুলিয়ে বললেন, এখনি ভর্তি হতে হবে...৪  এ নেমে গেছে... রক্ত দিতে হবে।


    উদ্বেগ উত্তেজনয় মুখ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল, আপনি ইয়ার্কি পেয়েছেন? এত রাতে আমি একা কি করে এই কাজটা করব? আপনি বুক করে দিন, ওরা আপনার কথা শুনব। আমার দিকে খানিকটা অবাক হয়ে তাকিয়ে থেকে ফোন তুলে কোঠারীতে নিজের পরিচয় দিয়ে আমার শাশুড়ির নামে বেড বুক করে দিলেন।


    সে রাতে আমি লোকজন জোগাড় করে ভর্তি করতে পেরেছিলাম।আমার শাশুড়ির যে Myelodysplastic anemia হয়েছিল তা ওনার diagnosis ...ওনার চিকিৎসায় অনেকদিন বেঁচে ছিলেন।


    সেদিন আমার অভব্যতাকে ক্ষমা করে উনি আমার অসহায় অবস্থায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, কখনো ভুলতে পারবনা সে কথা। একই মানুষকে আমি ভিন্ন রূপে দেখেছি ।

  • Snehasis | 42.***.*** | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:০৬516225
  • ছোট বেলায় ও অনেক গল্প শুনেছি। বড় হয়ে এমন এক জনের সাথে পরিচয় হয় যার মায়ের মৃত্যু দিনটি উনি তিন দিন আগেই নির্ধারণ করেছিলেন ।s
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন