কাঁথা স্টিচ সপ্তাহ আর সুখময় দাদুর উন্মন কল্পনা : বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১৩৯৮ বার পঠিত | মন্তব্য : ৭
আজ ৬ই পৌষের নিদ্রাহীন রাতে, ৭ই পৌষ সকালের প্রার্থনায় অনুপস্থিতির জন্য তেমন মনখারাপ না হলেও, যে দেবতা অগ্নিতে, বনষ্পতিতে, চরাচরে ব্যপ্ত, তাঁর কাছে বা নিজেদের ই কাছে প্রশ্ন ঐ একটাই, যে প্রজন্ম আঘাত পেল, আঘাত পেয়েও স্বপ্ন দেখতে ভুললো না, আমরা ঠিক কতটা আত্মবিস্মৃত হলে , কতটা ক্ষমতালোভীর নৈকট্যের আকাংখায় নিমজ্জিত হলে, আজকে এই খানে এসে দাঁড়াতে পারি। উত্তরের খোঁজ টা সম্ভবত শুধু নিস্তব্ধ ভোরের একাকী স্তবে আটকে থাকবেনা, তাকে কলরব হতে হবে।
অশোক মিত্র (১৯২৮-২০১৮) : বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১০ মে ২০১৮ | ১৪৫৬ বার পঠিত | মন্তব্য : ৩
প্রাথমিক মুগ্ধতা কেটে যাওয়ার পরে, আমার অশোক মিত্রের লেখা খুব ভালো লাগতো না। তবে এটুকু স্বীকার করে নিচ্ছি, আমি তাঁর লেখাতেই সঞ্জয় ভট্টাচার্য্য, অরুণ কুমার সরকারদের কথা পড়েছি। শুধু এই জন্যেই তাঁকে মনে রাখা যায়। পরে যোগাড় করে কিছুটা পড়েছি, কিন্তু আধুনিক সমসাময়িক সাহিত্য চর্চা মানেই যে একেবারেই বহুল প্রচলিত পাঠকের রুচি নির্মাণে আগ্রহী সাহিত্য পত্রিকা, কিম্বা শুধুই ক্রুদ্ধ, সমান্তরাল অন্তর্মুখী অতি নাগরিক জগত তৈরি করে নেওয়া ছোটো পত্রিকার লেখা পাঠ নয়, তার যে একটা খোঁজ আছে, ইতিহাস আছে, এবং আধুনিকতা জিনিসটা যে একেবারে টুপ করিয়া পড়িল গোছের কৃষ্ণপ্রেমে নিবেদিত কদম্ব পুষ্প না, এই বোধটা যে কজনের লেখা পড়ে তৈরি হয়েছিল, অশোক মিত্র তাঁদের মধ্যে একজন।
পরাজয়ের একাকীত্ব, পরাজিতের বৃন্দগানঃ অসীম চট্টরাজের লেখা : বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৫ মার্চ ২০১৮ | ২২৪৫ বার পঠিত | মন্তব্য : ২৪
যদিও ২০০০ সাল নাগাদ প্রকাশিত হচ্ছে, গল্পগুলি পড়লে বোঝা যাচ্ছে আরো বছর পনেরো কুড়ি আগে লেখা। বোঝা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে বড় করে কৃষি বনাম শিল্প বিতর্ক শুরুর কিছুটা আগেই, অনেক পুরোনো একটি বিষয়ের অবতারণা করার প্রয়োজন অনুভব করছেন অসীম। বাঁকুড়া এবং বীরভূমের গ্রামে যাঁর পারিবারিক শিকড় রয়েছে, যিনি রাষ্ট্রায়ত্ত ভারী শিল্প নগরীতে বড় হচ্ছেন, তাঁকে শিল্পনগরের যন্ত্র এবং উৎপাদনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা জনজীবন, নতুন রকমের সমাজ এবং বিচিত্র মানুষকে নিয়েই তাঁর রোজগেরে বাস্তব, কিন্তু কৃষির সঙ্গে জড়িত মানুষ কী ভাবে যন্ত্র জিনিসটার মুখোমুখি হচ্ছেন, তার প্রায় কয়েকশো বছরের পুরোনো প্রায় শিল্প বিপ্লবের সময়কার সংঘাতটা তাঁকে ভাবাচ্ছে। বা বলা ভালো এক দেড় দশক পরেকার আমাদের রাজ্যের সম্ভাব্য সংঘাতও প্রতিভাত হচ্ছে।
হারাধন মন্ডলের গল্প তে দেখা যাচ্ছে, "হারাধন মন্ডল - দি ওয়েল্ডার, মেড ইন পাথরঘাটা - এ ভিলেজ নিয়ার শান্তিনিকেতন", বিচিত্র ঠোঁটকাটা আমোদ গেঁড়ে, হাতের কাজে উৎকর্ষের সীমানায় পৌছনো, ‘লোহায় লোহায় বিবাহ’ দেওয়া শ্রমিক, মুক্তধারার যন্ত্রবিদের মত যন্ত্রের জয়ের গান না গেয়েই প্রায় বিনা বাক্যব্যয়ে, শেষ পর্যন্ত ফিরে যা্চ্ছে তার গ্রামে। এবং বাসে গান গেয়ে পয়সা জোটানো বাউল, যে নিজে চিরায়ত জীবন দর্শন চর্চার বিশুদ্ধতার দাবী বিশেষ করছে না, গান বাঁধছে শুধু,
"চাগরি যদি করবি চাষা
আজব কলে বাঁধরে বাসা
চাষা পরাণ বলে বুদ্ধি খাসা
ফিরতে তোমার চাই জানা।"
অথচ বাউল ও হারাধন, দুজনেই যেন কোথাও একটা ভবিতব্যকে অস্বীকার করতে পারছে না, তাদের চোখের সামনেই "একপেট স্কিলড আনস্কিল্ড ওয়ার্কার নিয়ে বাস ছুটে চলে দুর্গাপুরের দিকে", সকলের ফেরার পথটি জানা আছে কিনা জানা নেই, বাস রাস্তার অবিশুদ্ধ বাউলের গানে সমাধান বিশেষ নাই।
মান্টো - বোল কি লব আজাদ হ্যায় : বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১৩ অক্টোবর ২০১৮ | ২৬৬৭ বার পঠিত | মন্তব্য : ২৬
অমৃতসরে তিরিশের দশকের আর পাঁচটা ভাবনা চিন্তা করা যুবকরা যখন ভগত সিং এবং বলশেভিক বিপ্লবের আগুনের আঁচ অগ্রাহ্য করতে পারছেন না, সেখানে মান্টোর তৈরী হয়ে ওঠার গল্পটা আমাদের দেশের অন্যান্য ভাষা সাহিত্যের আধুনিকতার সূচনাপর্বের পর্বের ছবির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। প্রচুর পড়ছেন, অসকার ওয়াইল্ড, চেকভ, পুশকিন, মপাসাঁ, হুগো। অমৃতসরেই সমাজবাদী 'মুসাওআত' পত্রিকায় কর্মরত আবদুল বারি আলিগ নামক এক সাংবাদিকের পাল্লায় পড়ে হুগো এবং অস্কার ওয়াইল্ড অনুবাদ করছেন, এবং বারি সাহেবের উদ্যোগে অমৃতসরেই এই সব অনুবাদ কিছু প্রকাশিত হচ্ছে ১৯৩৩-১৯৩৪ এর সময়টার মধ্যে। এর পরে টিবিতে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং আমাদের সৌভাগ্য যে সেরেও উঠছেন, কিন্তু তার পরে লাহোরে চলে যাচ্ছেন একটা পত্রিকার কাজ নিয়ে। সেখান থেকে নাজির লুধিয়ানভির আমন্ত্রনে 'মুসাবিরা' পত্রিকাটিতে কাজ করার জন্য বম্বে আসছেন ১৯৩৬ নাগাদ। এর পরে কিন্তু আবার ১৯৪২ নাগাদ দিল্লী চলে যাচ্ছেন রেডিওতে নাটক আর নানা স্ক্রিপ্ট লেখার কাজ নিয়ে, মন পড়ে থাকছে বম্বের বন্ধুদের কাছে।
মুক্তাঞ্চল কিম্বা : বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৯ মে ২০০৯ | ৯৪৫ বার পঠিত
একটা (লালগড়) নয়, দুটো (লালগড়, পার্বত্য দার্জিলিং) নয়, তিনটে(লালগড়,পার্বত্য দার্জিলিং,নন্দীগ্রামের কিছু অংশ) নয়, অনেকগুলো মুক্তাঞ্চল মাথায় করে বেঁচে আছি আমরা আপাতত:। একেকটা জগতে আরেকটা জগতের আলো বা বলা ভাল অন্ধকার ঢুকে পড়ার ভয়।
রাজনীতির জয়- পরাজয় আপাতত এক বিরাট মানবিক উদযাপনের মুখোমুখি : বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২০ জানুয়ারি ২০২০ | ৩৫৬২ বার পঠিত | মন্তব্য : ৯
উদ্দেশ্য আমার কাছে অন্তত খুবই স্পষ্ট ছিল। এন আর সি, সি এ এ এবং ছাত্র ছাত্রীদের উপরে পুলিশ তথা সরকার সমর্থক গুন্ডা দের হামলা ইত্যাদি নিয়ে সারা দেশে যে নানা প্রতিবাদ হচ্ছে, কলকাতায় থেকে তার যতটুকু আঁচ পাওয়া যায়, সেটা অনুভব করার , চাক্ষুষ করার চেষ্টা করা। এবং গুরুচন্ডালি তে লিখে ফেলা, যতটা পারা যায়।।
রাজনৈতিক সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে গণতন্ত্র - রঙ্গমঞ্চ না ইতিহাস রচনাক্ষেত্র : বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৮ এপ্রিল ২০২০ | ৩০৪৫ বার পঠিত | মন্তব্য : ২৪
এমনকি মহামারী-জনিত সম্পূর্ণ অভূত পূর্ব সংকট পরিস্থিতিতেও পশ্চিমবংগে রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের মধ্যে এক্তিয়ার প্রশ্নে রাজনৈতিক কুনাট্য ঘটেছে , এবং ঘটে চলেছে। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সমর্থক, স্থূল অর্থে আত্মপ্রচার এ আগ্রহী রাজ্যপালের কোন নিন্দাই যথেষ্ট না, এবং রাজ্য সরকার গুলোর ঘাড়ে সমস্ত কাজ ও নিন্দার ভার দেওয়ার পরিচিত কেন্দ্রীয় পরিকল্পনাটিও নতুন না। একই সংগে রাজ্য সরকারের সং্ক্রমণ এর তথ্য সংক্রান্ত বিষয়ে অযাচিত নিয়ন্ত্রন অবিশ্বাস্য মুর্খামি মাত্র। কিন্তু এই প্রসংগে মেডিয়ার ভূমিকা বা সংবাদ গ্রাহক হিসেবে আমাদের ভূমিকাটিকে কি একটু আয়নার সামনে দাঁড় করানো উচিত? গণতন্ত্রে ক্ষমতার চাপান উতোর এর নাটকীয়তার বিবরণ এবং চর্চা কি আমাদের সত্যিই কোন কাজে লাগছে?
জনগণ জানেন, আমরা জানি : ফারহা জিয়া : অনুবাদ - বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১৩ জানুয়ারি ২০০৮ | ১১৭৩ বার পঠিত
যথেষ্ট হয়েছে। কথা বলার, পরিষ্কার করে , জোর দিয়ে কথা বলার সময় হয়েছে। কারণ একটাই। আমরা, জনতা, জানি, ঠিক কোন পরিস্থিতিতে, ঠিক কোন ঘটনাক্রমের শেষ ধাপে গিয়ে, পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতাকে হত্যা করা হল।আমরা কিন্তু জানি এই দায়িত্ত্ব কাদের। বেনজির ভুট্টোর হত্যা ঠিক একক বা বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়। এই জাতীয় ঘটনার আদলের সঙ্গে আমাদের বিশেষ পরিচিতি তৈরী হয়েছে।
পুঁটিরানীর জন্য নয় : বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১৫ আগস্ট ২০০৮ | ১১৫২ বার পঠিত
ডোব্যারমান দাদু, স্প্যানিয়েল মাসি, কালীতলা ব্যায়াম সংঘের কাকু পিসিরা সকলেই দেখেছো সকাল সকাল কিচিমিচি করে মুখ ধুয়ে নিয়ে, কিরকম কেলগ দুধ খেয়ে কিরকম মাম্মার কাছে সুন্দ করে ঝুপু ঝুপু করে নিয়ে চুল আঁচড়ে দামুদাদার মাদিদুনের দেওয়া জামা পরে কিরকম সেজ্জে গুজ্জে নক্কি হয়ে পতাকা দিয়ে ইনজিপেনজি স্পাইদার খেলছে। খেলছে না? ঐ দ্যাকো টিভিতে মনমোহনদাদু কেল্লায় দাঁড়িয়ে নিজে নিজে পড়াশুনো কত্তে কত্তে মাইকে গান গাইছে, দেকেছো? কিসানো কি রুআফজা কে লিয়ে বলছে দেখেচো?
লুঙ্গি সংক্রান্ত বিতর্ক অবসানের অকরুণ কাহিনী : বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | গপ্পো | ০১ জুন ২০০৬ | ১১৬৪ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
যদিও এ সম্পর্কে নতুন তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন ছিল না, তবু সম্প্রতি অপিমোড-পুরনারী জনমত সমীক্ষায় আবার প্রমাণিত হয়ে গেছে, পুরুষের চেক লুঙ্গি , বর্ডার সহ বা ছাড়া, নতুন যুগের ব্যস্ত মহিলাদের অথবা ব্যস্ত অথচ কিছুটা নির্বাক যুগের মহিলা দের জীবনেও, শ্রেণী নির্বিশেষে, বিবাহ ও প্রাক বিবাহ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে গভীর বিতর্কের যন্ত্রনা ও তৎজাত মানসিক নি:সঙ্গতা ও অবসাদ বয়ে আনছে । প্রতিবাদ ও জমে উঠছে। এ প্রতিবাদ অনর্থক ট্রাফিক জ্যাম তৈরী করে না, পরীক্ষার্থীর, রুগীর, আপিসেচ্ছুক কর্মীর হয়রানি করে না।
নিকোলাস সারকোজির আফ্রিকা : আচিয়ে মবেম্বে (অনুবাদ - বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত)
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৩ জুন ২০০৮ | ১৪৩৯ বার পঠিত
গতবছর মাঝামাঝি সময়ে ফ্রান্সের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি নিকোলাস সার্কোজি, ডাকার বিশ্ববিদ্যালয়ে তরুণ ছাত্রছাত্রীদের সামনে একটি বক্তৃতা দেন। সার্কোজির রাজনৈতিক জীবনে বিতর্ক কোনদিনই কম পড়ে নি। তিনি গৃহমন্ত্রী থাকার সময়ে, ফ্রান্সে কৃষ্ণাঙ্গ অভিবাসীদের সমাজের "জঞ্জাল' ( ' rabble, scum or riff-raff(English) / voyous ,racaille(French) ' ) হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। তখন ফ্রান্সে রাষ্ট্রপতি ছিলেন চিরাক। এই মন্তব্যের জেরে রাস্তায় প্রচুর হাঙ্গামা হয়। জ্বলন্ত বা পোড়া গাড়ির ছবি দেশ বিদেশের সংবাদমাধ্যমে ছাপা হয়েছিল। সেই নিয়ে নতুন করে বর্ণ সংক্রান্ত বিতর্ক শুরু হয়।
সাম্প্রতিক কৃষি বিপণন আইন এবং কৃষক আন্দোলন : বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : কৃষি | ১৬ মার্চ ২০২১ | ১৬৯৮ বার পঠিত
পরিষ্কার করে নেওয়া দরকার, সংকলক হিসেবে আমার অকারণ নিরপেক্ষতার কোন ঘোড়ারোগ নেই। এই পরিস্থিতিতে আমার দার্শনিক অবস্থান সম্পূর্ণ ভাবে আন্দোলনকারী কৃষকের পক্ষে, আর আইনে, আইন প্রণয়ন পদ্ধতিতে প্রতিভাত সরকারি অবস্থানটির মধ্যেও আসলে খুব সুক্ষ্ম বিচার বিশেষ কিছু নেই, গোদা করেই কৃষিজাত বিপণনে বৃহৎ পুঁজির সার্বিক নিয়ন্ত্রণ তৈরিই অতি সংক্ষিপ্ত উদ্দেশ্য। অতএব নিরপেক্ষতার পরিসরের সংকোচন মূলত কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উদ্যোগেই হয়েছে, বাকিটুকু প্রতিক্রিয়া মাত্র।
নতুন কৃষি আইন ও কৃষকের প্রতিরোধ: সাম্প্রতিক আলোচনা সভার অনুলিখন - প্রথম পর্ব : বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : কৃষি | ১৬ মার্চ ২০২১ | ৩৮২৪ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
এপিএমসি ব্যবস্থায় মধ্যস্বত্বভোগীদের ভূমিকার কথা প্রায়ই উল্লেখ করা হয়। বলা হয় এদের ক্ষমতা অতিরিক্ত বেশি, এরাই মূল সুবিধাভোগী। মজাটা হল, এখন পশ্চিম উত্তর প্রদেশে তৈরি হতে শুরু করেছে এফ পি ও (ফারমার প্রডিউসার অরগানাইজেশন), এগুলি কোম্পানি হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে, যাদের নতুন করে ক্ষমতায়িত করা হয়েছে। যারা নাকি উৎপাদক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত কোম্পানি হবে এবং কৃষিজাত পণ্য ক্রয়ের কাজ করবে। বিহারেও ২০০৬ থেকেই এটা চলছে। কিছুই না, নতুন মধ্যস্বত্বভোগী তৈরি করা হচ্ছে মাত্র।
চলমান কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গে শমীক লাহিড়ীর সঙ্গে কথোপকথন : বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : কৃষি | ১৯ মার্চ ২০২১ | ৩৪৩৩ বার পঠিত | মন্তব্য : ২
কৃষক যে কম দাম পাবে, সেটাকে শুধু তার বিপদ হিসেবে দেখাটাই ভুল। সরষের তেলের দাম, বড় রিটেল প্লেয়াররা যেরকম দাম ঠিক করে দিচ্ছে, সেরকমই চলছে। এসেনশিয়াল কমোডিটি অ্যাক্ট এর তালিকা হ্রাস হবার ফলে ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স বস্তুটা সরকারি কর্মচারীরা কিসের ভিত্তিতে পাবেন? সেটি উবে যাবে না এরকম কোন গ্যারান্টি নেই। খাদ্য সুরক্ষা কি শুধু ফসল উৎপাদকের লাগে?
কৃষি ও পরিবেশ: বিজয় মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথোপকথন : বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : কৃষি | ২২ মার্চ ২০২১ | ৩৯৫৮ বার পঠিত | মন্তব্য : ৫
আমার একটা চেষ্টা থাকে, আমার পদ্ধতিতে কিছু বায়ো অর্গানিক বস্তু নষ্ট হলেও, কিছু যাতে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি হয়। কোন কোন মাঠে অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করি। কিন্তু মূল উদ্দেশ্য হল নানা ধরনের ডেটা জেনারেট করা। কোথাও কোন ডেটা নাই, পাঁচবিঘে জমিতে কতটা চুনোমাছ হতে পারে, কেউ বলতে পারে না। পুঁটি, মৈয়ে মাছে কতটা পুষ্টি কী আছে, তার কোন হিসেবও নেই কোথাও। গুণীন চ্যাটার্জি, মৃত্তিকা বিজ্ঞানী, কিছু কাজ করেছিলেন, কেঁচোর চাষ করেছিলেন, জমির উপকারে লাগবে বলে, ধান মাঠে মাছের চাষ কিছু করেছিলেন।
নতুন কৃষি আইন ও কৃষকের প্রতিরোধ: সাম্প্রতিক আলোচনাসভার অনুলিখন - দ্বিতীয় পর্ব : বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : কৃষি | ২৬ মার্চ ২০২১ | ৪১১১ বার পঠিত | মন্তব্য : ৪
গ্রামীণ জীবন ও কৃষি বিষয়ের প্রখ্যাত সাংবাদিক পি সাইনাথ এবং অর্থনীতিবিদ রতন খাসনবিশের বক্তব্যের সংক্ষেপিত অনুলিখন, রাইট টু এডুকেশন ফোরামের অনুমতিক্রমে প্রকাশ করা হল। এই আলোচনাসভাটি গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এবং মূলত বুদ্ধিজীবীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন, বিষয়টি রাজনৈতিক হলেও, অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তনে যে মতাদর্শের ভূমিকা থাকে তার অবশ্যম্ভাবী উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও, আলোচনাটি, বক্তাদের গুণেই দলীয়, বিশেষত নির্বাচনী রাজনীতির সঙ্গে খুব সম্পর্কিত কিছু হয়ে ওঠেনি।
দুইটি টাক একটি দাড়ি: বিজেপির জনসমর্থনের দাবির ঢক্কানিনাদ : বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | ভোটবাক্স : বিধানসভা-২০২১ | ০৯ এপ্রিল ২০২১ | ৩৭১৭ বার পঠিত | মন্তব্য : ১২
অর্থবল, মিথ্যাচার শেষ হাসি হাসবে নাকি আমাদের ভাষা, প্রগতিশীল ঐতিহ্যের, সহাবস্থানের অহংকার, আমাদের শিরদাঁড়া সোজা হবার পথ বেছে নেবে, তা সময়ে বোঝা যাবে, তবে দেশ জুড়ে বিজেপির পরাক্রমের তত্ত্ব খ্যাখ্যা হাস্যরবে পরিত্যাগ করুন। আর বিজেপি (আদি) ও বিজেপি (নব্য) সততার দাবি করলে, কাটমানির দুঃখ ভোলার জন্য তিনদিন বিশ্রাম নিয়ে, অট্টহাস্যের সঙ্গী উপযুক্ত ঘোড়া ভাড়ায় পেতে ময়দানে, ভিক্টোরিয়ার সামনে থেকে ঘুরে আসুন।
লুঙ্গি সংক্রান্ত বিতর্ক অবসানের অকরুণ কাহিনী : বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | ইস্পেশাল : নববর্ষ | ১৫ এপ্রিল ২০২১ | ২৬৯৮ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
প্রতিবেশী সবজে বা ক্যাটক্যাটে নীল চেক-লুঙ্গি যে শুধু পোষাক নয়, পুরোনো ঢাকার রিকসার মত একটা পশচাদমুখী, মধ্যযুগীয়, অন্ধকারাচ্ছন্ন মানসিক অবস্থা। সর্বস্তরের নতুন বাঙ্গালি নারী তাই পুরুষকে সাথে নিয়েই আর পিছিয়ে থাকতে রাজি নন। দৈনন্দিনে, সামাজিক অনুষ্ঠানে,সদর্থে খেলানো বা হাতে নেওয়া কুচি ধুতি বা নানা কাট পাজামারা তাই এগোচ্ছে।
কিছু কিছু প্রযুক্তি যেমন প্রগতির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে না, লুঙ্গিও পারলো না। দুটি সুবিধে কিন্তু ছিল। উত্থান সংক্রান্ত। প্রথমটি হল সম্প্রীতির আবহে খোলা আকাশের নীচে শিশিরে ভেজা গ্রাম বাংলায় প্রাত:কৃত্য। দ্বিতীয়টি হল ঘটনাচক্রে অনিচ্ছামৃত্যুর পূর্ব মুহুর্তে কোনো কোনো পুরুষের প্রাথমিক সামাজিক পরিচয় জেনে নেওয়ার সর্বজনীন সুবিধে। এই পদ্ধতি ১৯৪৬ নাগাদ মধ্য কলকাতায় আবিষ্কৃত হবার পর থেকেই জনপ্রিয়তার কারণে প্রায় জাতীয় ঐতিহ্য হয়ে উঠেছিল। অপিমোড-পুরনারীর বাচ্চা তথ্য সংগ্রাহক দের এতোটা জানার কথা নয়।
যাই হোক লুঙ্গির বিরুদ্ধে এই প্রবল জনমত প্রতিষ্ঠার পরের নয়, তার অল্প পূর্বের ঘটনা নিয়েই আমাদের সুশান্ত-অনিতার গল্প। তখনো সমাজে তর্ক চলছিল। বিবর্তনের গতি তখনো হয়তো কিছুটা সহমর্মী-শ্লথ ছিল।