নবমোদি : হাট্টিম
বুলবুলভাজা | বাকিসব : মোচ্ছব | ২৭ অক্টোবর ২০১৮ | ১৩৯৭ বার পঠিত | মন্তব্য : ১১
১৯৯৫ সাল নাগাদ শুরু হলো চরম উত্তেজক অধ্যায় যাকে ভালো বাংলায় ক্লাইম্যাক্স বলে। সেপ্টেম্বরে গণেশ দুধ খেয়ে জানালেন আর দেরি নেই। অক্টোবরে ডিডিএলজে মুক্তি পেলো, আর ডিসেম্বরে পুরুলিয়ায় ঈশ্বর পুষ্পকরথ থেকে অস্ত্রবৃষ্টি করলেন। অন্যান্য অস্ত্রের সাথে ইউরেনিয়ামে রাঙানো একটা জাঙিয়াও পড়েছিলো, তার রং বলার জন্য একটি টক শোয়ের আয়োজন হয়। সেই লাইভ অনুষ্ঠানে সমস্ত জাতি গলার শির ফুলিয়ে বলে "রং দে মোহে গেরুয়া"। সমগ্র জাতি জাঙিয়া পরতে শুরু করে তাই ঈশ্বরকে উলঙ্গ হতে হয়। ঈশ্বর জাঙিয়াহীন দেখে দ্যাবাপৃথিবী একত্র হয়ে এক অপূর্ব আলখাল্লা রচনা করে, যার সুতো ইতালির আর বোতাম প্যালেস্টাইন থেকে আনা।
সরল দোল গতি : টিম
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ | ৯৫০ বার পঠিত
দোল অনেকরকম হয়। আপনি বাঙালি হলে একরকম, ভারতীয় হলে আরেকরকম। যদিও এইদুটো দোল, মানে কিনা একটা দোল আর একটা হোলি, আসলে দুটো-ই হোলি। একই ইয়ের এপিঠ-ওপিঠ আরকি। সেই দোলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং তাঁর দেখাদেখি যাবৎ মেনস্ট্রিম নায়ক-নাইকা ইতিউতি পিচকিরি ছোঁড়েন, আবির ছড়ান।
সমালোচনা বিষয়ে কয়েকটি অবান্তর কথা : হাট্টিমাটিম
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ১১ নভেম্বর ২০০৭ | ১১১৯ বার পঠিত
উচ্চশিক্ষিত(/তা) এবং সংস্কৃতিবান (/বতী) বাঙালীমাত্রেই সমালোচনা করতে ভালবাসেন। তাঁদের সমালোচনা যুগপৎ "ইরেজার' আর "শার্পনার'এর কাজ করে। ভন্ড, ক্লিশে, অপ্রয়োজনীয় লেখক-গায়ক-আঁকিয়েরা কখনো সমালোচনার দাপটে "ইরেজিত' হয়ে স্রষ্টা থেকে ভোক্তায় পরিণত হন। অন্যদিকে আবার কম ধারালো প্রতিভাবানেরা সমালোচনার শার্পনারে আরো চোখা হয়ে প্রবল বেগে পাঠক-শ্রোতা-দর্শককে নব নব সৃষ্টির খোঁচায় ব্যাকুল করে তোলেন। ধনের মত সমালোচনার-ও মূল ধর্মই হল, অসাম্য। সেখানে মুড়ি-মিছরি একদর হবার ভয় নেই মোটেই। প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য, এই প্রবন্ধে শুধু আ-মরি বাংলা ভাষার সাথে সম্পর্কিত সমালোচনা এবং কৃতি সমালোচকদের কথাই বলা হচ্ছে, অন্য ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে আমাদের মোটেই মাথাব্যথা নেই। মানে হল, হয় মাথা নেই অথবা ব্যথা নেই
একটি প্রমাণসাপেক্ষ কথোপকথন : হাট্টিমাটিম
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ০২ ডিসেম্বর ২০০৭ | ১১০৩ বার পঠিত
সেদিন হঠাৎ করেই ঘোড়াদার সাথে দেখা হয়ে গেল রাস্তায়। যাঁরা ঘোড়াদাকে চেনেন না, তাঁদের জ্ঞাতার্থে জানাই, ঘোড়াদা মোটেই ঘোড়া নন, এমনকি কোন চতুষ্পদ জন্তুর সাথেই তাঁর কোন সম্পর্ক নেই। যেদিন ঘোড়াদার জন্ম হয়, অনেক বছর আগে সেইদিনটিতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "গোরা" উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। ঘোড়াদার বাবা দিঘাইবাবু (এই নামের ইতিহাসও অতি প্রাচীন, পরে সময় করে কখনও বলা যাবে) রীতিমত সাহিত্যরসিক ছিলেন, "পিটুলিগোলা সাহিত্যসমাজ" এর বার্ষিক অধিবেশনে কান্নিক দে'র উত্তরাধুনিক কবিতা শুনে আবেগতাড়িত হয়ে মূর্ছা যাওয়ার মাধ্যমেই তিনি প্রথমবার প্রচারের আলোয় আসেন। ক্ষণজন্মা ছেলের নামকরণে দিঘাইবাবু কোন ঝুঁকি নেন নি।
খবর্দার (ডিসেম্বর ২৩) : হাট্টিমাটিম
বুলবুলভাজা | খবর : খবর্নয় | ২৩ ডিসেম্বর ২০০৭ | ১৩২০ বার পঠিত
যে সমস্ত জিনিসের দেখা শুধুমাত্র রূপকথাতেই পাওয়া যেত সেসবই একে একে আমাদের হাতে তুলে দিচ্ছে বিজ্ঞান। সম্প্রতি ম্যাসাচুসেটস এর কয়েকজন বিজ্ঞানী হাতে কলমে দেখিয়ে দিয়েছেন আরব্য রজনী খ্যাত জাদু গালিচা বাস্তব জীবনে বানানো যেতেই পারে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে খুব হালকা পলিমারের চাদরকে শক্তিশালী ইঞ্জিনের সাথে জুড়ে এর মধ্যেই ভাসিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে। অবিকল উড়ন্ত গালিচার মতই ঢেউ তুলে তুলে ভেসে থাকে এই বিশেষ পলিমারের চাদর, আর তরঙ্গের দিক অনুসারে এগিয়ে যায় ""চালকের"" ইচ্ছানুসারে কখনও জোরে, কখনও আস্তে। গতিবেগের সাথে সাথে বেড়ে যায় তরঙ্গের মাত্রা, তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে ঝাঁকুনি।
একটি প্রয়োজনীয় শ্রেণীবিন্যাস : হাট্টিমাটিম
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৭ জানুয়ারি ২০০৮ | ১০৬১ বার পঠিত
জীবনের যেকোনো ক্ষেত্রেই ধারাবাহিকতা খুবই প্রশংসনীয় গুণ। রাহুল দ্রাবিড় যেমন ক্রিকেটদুনিয়ায় ধারাবাহিকতার জন্য বিখ্যাত, রাজনৈতিক নেতারা যেমন ডিগবাজী , দুর্নীতি ও আলটপকা মন্তব্যের জন্য, তেমনি আমরা, যারা এমনিতে সাদা ও সিধে (মানে কালো ও বাঁকাদের মোটেই পছন্দ করি না), শ্রমজীবী ( মানে কিনা, অন্যের শ্রমের ওপর নির্ভর করে থাকি), এবং অতীব সাধারণ ( বিনয়টা লক্ষ্য করুন) মানুষ ( বায়োলজিকালি) বলে নিজেদের পরিচয় দিয়ে থাকি তাদেরও কিছু কিছু ব্যাপারে ধারাবাহিকতা অসাধারণ পর্যায়ে চলে যায়।
স্বপ্ন বেচার ছলে : হাট্টিমাটিম
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০২ মার্চ ২০০৮ | ১১৩০ বার পঠিত
রঘুনাথ ভালো ছবি আঁকতো। ধূসর পাহাড়, আঁকাবাঁকা নদী, সবুজ মাঠ আর নীল আকাশ বানিয়ে সেখানে একদলা লালপানা সূর্য বসিয়ে দিতো। চায়ের দোকানের ফাইফরমাস খেটে, সময় পেলে ওকে একটু আধটু পড়াতো সোনাদা, দোকানের মালিক। পড়াশোনা কতদূর হয়েছিলো জানা যায় নি। পড়াশোনা করেও তো কতজন গরীব থেকে যায়! তাই রঘু দুবাই চলে গেছে। সেখানে অনেক, অ-নে-ক টাকা। দু-তিন বছর কেটে গেলেই সেখানে সবাই গাড়ি কিনে নেয়, তারপর দামী লেদার জ্যাকেট পরে শাহরুখের মত কায়দা করে হাঁটে। কেন বোকার মত এই ভাগাড়ে পড়ে থাকবে?
আফ্রিকান শর্ট স্টোরিজ : জেরিম্যানের কথা ও অন্যান্য গল্প : হাট্টিমাটিম
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বই | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ | ১১০১ বার পঠিত
সম্প্রতি হাতে এলো আফ্রিকার ছোটগল্পের একটি সংকলন। বেশ পুরোনো বই, ১৯৭১ সাল নাগাদ প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়। আগে বলে নেওয়া যাক কি কি নেই আকিনতোলা কোলের একাত্তর পাতার এই গল্প সংকলনে। গল্পগুলোর সঠিক রচনাকাল দেওয়া নেই, প্রকাশকের কোন বক্তব্য নেই, লেখকের নিজের লেখা যৎসামান্য ভূমিকা দিয়েই সংক্ষেপে কাজ সেরে ফেলা হয়েছে। শুরুটা যেমন হঠাৎ করে, শেষটাও সেরকম। গল্পের শেষে কোন টীকা নেই, বইয়ের শেষে নেই কোন সূচক বা লেখক পরিচিতি। প্রসঙ্গত:, অগোছালো এই বইটি প্রকাশিত হয় Vantage Press থেকে।
অ্যাক্রস্টিক দড়াবাজি : একক, ফরিদা, টিম, হুতো
বুলবুলভাজা | কাব্য | ২২ অক্টোবর ২০২১ | ৩৩৮৬ বার পঠিত | মন্তব্য : ৯
অ্যাক্রস্টিকের সঙ্গে অ্যাক্রোব্যাটের শব্দগত মিল দেখে অভিধান খোলা গেল। তাতে অ্যাক্রোব্যাটের মানে লেখা আছে মল্ল, মত পরিবর্তনকারী, দড়াবাজিকর, ব্যায়ামবিদ, ঘনঘন দলপরিবর্তনকারী, রজ্জুনর্তক, ব্যায়ামকুশলী। শব্দের মিলটা কিছু না, তবে অ্যাক্রস্টিক লেখার সঙ্গে মল্লযুদ্ধ, দড়াবাজি, রজ্জুনর্তন, ব্যায়াম - এইসবের অল্প মিল আছে।
সমবেতভাবে মনে হল, পুজোর ফুর্তি, হাঁটাহাঁটি, জুতোয় ফোস্কা, বাঁকা এয়ারগানে বেলুন - এসব তো সুদূর, শব্দ, ছন্দ নিয়ে একটু রজ্জুনর্তনই না হয় হোক। ভাবের ঘরে চুরি হলে কী, আমাদের ভঙ্গীও কম নয়। পাঠক যদি আমোদ পান তাহলেই ধন্য।