Manali Moulik কে?
Manali Moulik কী? ◆ বর্তমানে 'নারীবাদ' , 'নারীমুক্তি', 'নারীক্ষমতায়ন' ইত্যাদি শব্দগুলি আমাদের অতি পরিচিত। লেখাটির শিরোনাম দেখে বোঝা যাচ্ছে, এটা সেরকমই বিষয়ের উপর ভিত্তি করে রচিত। তবে নারী-সংক্রান্ত প্রশ্নে অযথা আনাড়িপনা এখানে উপস্থাপন করা হয়নি। বরং সংক্ষিপ্ত চেষ্টা করা হয়েছে উত্তর-অনুসন্ধানের। ◆প্রাককথন◆ বর্তমানে নারী বিষয়ক তত্ত্ব ও তথ্য যেমন বহুলভাবে গবেষণায় উঠে আসছে, তেমনই শিক্ষাক্ষেত্রে women studies, gender studies, comparative gender studies, women power and politics ইত্যাদি পাঠ্যবিষয় হিসাবে উঠে এসেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আমি একজন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। সুতরাং এই লেখাটিতে ... ...
খবরের কাগজ আর টি.ভি.তে বড়ো করে জানানো হলো, 'নির্দিষ্ট ডেসিবেলের উপরের মাত্রার শব্দবাজি ফাটানো নিষিদ্ধ। ধরতে পারলে মামারা পেটাবে, কয়েকদিন মামাবাড়ির আদরও হতে পারে। তাই তাই তাই, নিষিদ্ধ বাজি ফাটাতে নাই। ভাগ্নেরা সব সাবধান, (ভাইপোদের কথা বলা হচ্ছে না।)"অথচ শ্যামাপূজায় বাজি ফাটিয়ে আমোদ-আহ্লাদ করা হবে না তাই কি হয়? যে শ্যামাঙ্গী মাতা মহাকালের বুকে পা রেখে দাঁড়িয়েছেন আর হাতে ধরেছেন বরাভয়মুদ্রা, কাল স্তব্ধ যাঁর সামনে তাঁর পুজোতে অন্ধকার থেকে মুক্তির জন্য আলোর উৎসব করাই চলে, কিন্তু বেমক্কা শব্দ করার কী সম্পর্ক তা আমার বোধগম্য নয়। বাজি, শব্দবাজির তান্ডবে মানুষসহ অবলা পশুপাখিদের (মানুষও খুব সবল নয় ) বিপদে ফেলার কারণটাই বা কী? ... ...
সুতরাং এটুকু বোঝা গেলো যে, ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দের মহাবিদ্রোহের ব্যর্থতার পর শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরকে বার্মামুলুকে নির্বাসন দেওয়ার পর মুঘল-সাম্রাজ্যের নিভু-নিভু সূর্য অস্তমিত হলো। তবে ইতিপূর্বে ১৭০৭ খ্রিষ্টাব্দে ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর মাধ্যমেই একপ্রকার মুঘল সাম্রাজ্য শেষ হয়ে গিয়েছে বলে যে ঘোষণাটি করা হয়, তার নেপথ্যের কারণ অনুসন্ধানেই এই লেখাটির অবতারণা। পূর্ববর্তী পর্বগুলিতে দেখানো হয়েছে, বর্তমান নৈতিকতার সাপেক্ষে কীভাবে অতীত বিশ্লেষণের ধারা পরিবর্তিত হয়। তাই ব্যক্তিকেন্দ্রিক জাতীয়তাবাদ যখন বাদশাহকেই সাম্রাজ্যের একমাত্র রক্ষাকর্তা বলে দেখাতো, তখনকার আলোচনা হয়েছে। সঙ্গে এটাও দেখানো হয়েছে ... ...
প্রিয় আত্মম্ভর আত্মময় আমি, তোমাকে সম্বোধনে এপর্যন্ত দুবার ত্রুটি হলো। জানি না, নিজেকে চিঠি লেখা যায় কিনা,আর গেলেও 'আমার আমি' কে 'তুমি' সম্বোধন করা আত্মমননশীল কথোপকথনে হতে পারে, পত্রালাপে তা সম্ভব কি? অজস্র ত্রুটির পর এও এক অনুযোগ।তবু তুলে নিয়েছি কলম এবং সরিয়ে রেখেছি ইত্যবসরে কাজললতা ও কুঙ্কুমের পূর্ণপাত্র। জানালার শার্সিতে এলিয়ে পড়েছে সুতির শাড়ির আঁচলের মতো রোদের ফালি, আর আমার নীলাম্বরীর আঁচলে হাজার বুটির সোনালী ... ...
ইতিহাসকে দেখার জন্য প্রকৃতপক্ষে হাতের কাছে কয়েকটা চশমা রাখার প্রয়োজন। একেকটির স্বচ্ছতা একেকরকম, একেকটি দিয়ে একেকরকমভাবে ইতিহাসকে দেখা যায়। কোনো চশমা অনেকটাই ঝাপসা হয়ে এসেছে, কোনোটার বা ঔজ্জ্বল্য অমলিন রয়েছে। একই ইতিহাসকে দেখার জন্য নিত্যনতুন রকমের চশমাবদল করাটাই ঐতিহাসিকের কাজ। আসলে এবার তো আসার কথা উইলিয়াম মোরল্যান্ড ও উইলিয়াম আরভিনের কাজের আলোচনায়, তাহলে ধান ভানতে শিবের গাজন গাওয়া কেন? কারণ মুঘল যুগের প্রশাসনিক কাঠামো তথা সংস্কৃতিকে দেখার পদ্ধতির বিবর্তনটাও এখানে বোঝার জিনিস। যাক, যা বলছিলাম। উইলিয়াম মোরল্যান্ডের কাজের বিষয় হলো মুঘল ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা এবং প্রশাসনিক কাঠামো। বৃহত্তর সাম্রাজ্যকে ধরে রাখতে জমির ভাগ কীভাবে করা হতো, রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ও হিসাব কেমন ... ...
জুলিয়াস সিজার গর্বভরে বলেছিলেন, 'Veni, Vidi, Vici.' অর্থাৎ কিনা 'আসিলাম,দেখিলাম,জয় করিলাম।' ভারতের ক্ষেত্রে শোনা যায় ১৫২৬ খ্রিষ্টাব্দে ইব্রাহিম লোদীর পরাজয়ের মাধ্যমেই একচ্ছত্র মুঘল শক্তি তাদের রাজত্ব কায়েম করে।অবশ্য বাবরের 'সন্ততি' মোটেও স্বপ্নে থাকেনি, শেরশাহ তাঁকে বেশ বিপাকে ফেলেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে মুঘলদের কেন্দ্রীয় শাসন ও সাম্রাজ্যবিস্তারের প্রক্রিয়া ছিলো ব্যাপক ও সুদূরপ্রসারী। অর্থাৎ মুঘলবাহিনীর আক্রমণের সামনে অন্যান্য শক্তিগুলি 'ঝড়ের পাখি'-র মতো উড়ে ... ...
[২৫.১২.২০২৪ -এর রচনা। আজ এখানে তাকে উপস্থাপিত করলাম] এখন মেঘেঢাকা পথে ছুটে চলেছে হরিণে টানা শ্লেজগাড়িটা। উপহারের থলি খুঁজতে খু ঁজতে প্রত্নপ্রাচীন চোখ তুলে বৃদ্ধটি ভাবেন --"আজকাল আর তেমন শিশুসুলভ উপহারের চাহিদা নেই।শিশুরা সব পৃথিবী থেকে কোথায় গেল?"আরো কয়েকটা তারাঢাকা রাস্তা অতিক্রম করলো হরিণগুলো।অ্যান্ড্রোমেডা নক্ষত্রপুঞ্জকে পার্কস্ট্রীট ভেবে কিছুটা বোকাই বনে গেলেন তিনি! স্বাধীন কলকাতার উপর দিয়ে মুক্ত বিহঙ্গের মতো উড়তে উড়তে বৃদ্ধটির চোখে বাষ্প ঘনিয়ে আসে।স্বাধীনতার চিঠি, বিষাদ মুক্তির চিঠি "দারুণ একটা দিন দিও সান্তা!" লিখতে লিখতে বড্ড পরিচিত হয়ে উঠেছে এই শহর।.. প্যাগানদের বৃহৎ পাঠাগারের মতো কলেজস্ট্রীটশীতের কুয়াশায় আড়মোড়া ভাঙছে।জন্মক্ষণ থেকে আঁধার বয়ে নিয়ে চলা মানুষগুলোউষ্ণতা খোঁজে ফুটপাতের বালি-ধূলোতে।হরিণের গতিবেগে কি হঠাৎ জাগতিক পরিবর্তন এসেছে? অবাক হলেন বৃদ্ধটি।ক্রিসমাসের ... ...
|| ১ || বিগত কয়েকঘন্টা ধরে ঘরটা ছেয়ে আছে অগুরু ধূপের চড়া গন্ধে। আত্মীয়স্বজনদের মৃদুগুঞ্জন চলছে, দোতলা বাড়িটার শ্যাওলা ধরা বারান্দায় কিছু মানুষের আনাগোনা, হাঁকডাক। একটি মৃদু ফুঁপিয়ে ওঠা কান্নার সুর যেন ধূপের পাকানো ধোঁয়ার মতো কেঁপে কেঁপে উঠে আবার মিলিয়ে যাচ্ছে। খুব সন্তর্পণে ওঠা সেই কান্নার সুরটা কাজের মেয়ে ঝর্ণার। কমলাদেবীকে শেষযাত্রায় চন্দন দিয়ে সাজানোর সময়ে ঝর্ণা কেঁদে উঠেছিলো, "এবার থিকে আমি কাকে মা বলে ডাকবো গো?" তারপর যথাবিহিত নিয়ম চলাকালীন চান্দেরী শাড়ি পরিহিতা এক আত্মীয়া ঠোঁট টিপে হাসলেন,"আহা, যাদের মা তেনাদের সাত সমুদ্দুর তেরো ... ...
"ইচ্ছা করো দেহান্তর পেতে? তুমি কি আসবে রূপ ধরে? তোমাকে শুধিয়ে লিখি তাই, প্রেম আসে প্রেতলোক যেতে?" ...... বিষ্ণু দে [প্রেম মানবজগতের এক বিচিত্র অনুভূতি, এক বিস্ময়। তেমনই প্রেতাত্মা নিয়ে রয়েছে নানামুনির নানামত। অতৃপ্ত প্রেত কি আছে? তাদের অস্তিত্ব কি সত্যি হয়? তবে প্রেম যে যুগে যুগে নির্দিষ্ট কারো জন্যই জেগে থাকে এমনটা তো হামেশাই শোনা যায়। প্রেতাত্মার ধারণা নিয়েও যেমন বিতর্ক আছে তেমনই প্রেম ফিরে ফিরে আসতে পারে কিনা তাও চিন্তার বিষয়। শুদ্ধ হৃদয় কি পারে কোনো ... ...
[ প্রতিদিন রাতে পৃথিবী নিস্তব্ধ হলে জেগে থাকার যন্ত্রণা যাদের আছে, তারা সম্ভবতঃ স্থির চোখের স্ট্রীটলাইটের সঙ্গে নীরব কথোপকথন করে থাকেন? এটিও তেমন একটি নিদর্শন] রাত এখন দুটো দশ...না, দুটো বেজে বারো মিনিট? তুমি এখনো জেগে কেন স্ট্রীটলাইট? আমার তো ঘুম আসেনা ঘুম আমার প্রেমিক নয়। তুমি কেন এতো একা? তুমি এখনো জেগে কেন, স্ট্রীটলাইট? রাত এখন দুটো কুড়ি নাকি একুশ-বাইশ মিনিট? আমার মস্তিষ্ক জর্জরিত।. ঘুম আসছে না তোমারও, স্ট্রীটলাইট? আমার চোখে ক্লান্তজল শুকিয়ে মরা নদী তোমারও অনিদ্রা নিত্যসঙ্গী নয় যদি তোমার চোখও কেন আমার মতোই লাল? ঘুমোবে না? আমাদের নিত্যসঙ্গী এই ... ...