এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • নারী : প্রশ্ন ও বাস্তবের একটি সংক্ষিপ্ত সমীক্ষা

    Manali Moulik লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৪ নভেম্বর ২০২৫ | ৩৩ বার পঠিত
  • ◆ বর্তমানে 'নারীবাদ' , 'নারীমুক্তি', 'নারীক্ষমতায়ন' ইত‍্যাদি শব্দগুলি আমাদের অতি পরিচিত। লেখাটির শিরোনাম দেখে বোঝা যাচ্ছে, এটা সেরকমই বিষয়ের উপর ভিত্তি করে রচিত। তবে নারী-সংক্রান্ত প্রশ্নে অযথা আনাড়িপনা এখানে উপস্থাপন করা হয়নি। বরং সংক্ষিপ্ত চেষ্টা করা হয়েছে উত্তর-অনুসন্ধানের।

    ◆প্রাককথন◆

    বর্তমানে নারী বিষয়ক তত্ত্ব ও তথ‍্য যেমন বহুলভাবে গবেষণায় উঠে আসছে, তেমনই শিক্ষাক্ষেত্রে women studies, gender studies, comparative gender studies, women power and politics ইত‍্যাদি পাঠ‍্যবিষয় হিসাবে উঠে এসেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ‍্য, আমি একজন আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। সুতরাং এই লেখাটিতে তেমন জ্ঞানগর্ভ আলোচনা থাকবে না। নারীবাদের বিভিন্ন তরঙ্গ বা পুরুষতন্ত্রের বিস্তারিত গবেষণা-ভিত্তিক রচনা এটি নয়। Simone de Beauvoir, Kate Millett অথবা Shulamith Firestone রচিত বইগুলির নাম ও উদ্ধৃতিসহ আলোচনার জন‍্য বহু প্রখ‍্যাত লেখক-লেখিকা, গবেষক ও সর্বোপরি Google archive রয়েছে। এই রচনা কেবল কাঁচা-তথ‍্য ও প্রাঞ্জলতার আলোকে নারী-প্রশ্নের সমাধান খোঁজার জন‍্য। এ অনেকটা নুনের পুতুলের সাগর মাপতে যাওয়ার মতোই ব‍্যাপার, কিন্তু অজস্র প্রশ্ন মনে ভিড় জমালে তার সমাধান খোঁজার জন‍্য সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার সাহস একবার না একবার দেখাতেই হয়। তবে একজন নারী হিসাবে অগ্রগতির ইতিহাসের দিকে একবার ফিরে তাকাতেই হয়। কারণ একদিনে তো আর এই আলোর পথটুকুও অর্জন করা যায়নি। তাই বাকিকথায় আসার আগে একবার সেই পথ চলার ইতিহাসকে সংক্ষেপে দেখে নিতে হবে।

    ◆ আলো হতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী ◆

    এই রচনার উপজীব‍্য বিষয় যেহেতু নারী ও তার কথা, তাই নারী আন্দোলনের ইতিহাসের দিকে একবার দৃকপাত করা আবশ‍্যিক। এতো স্বল্প পরিসরে সবকথা আলোচনা করা সম্ভব নয়। তবে ' নারী' বলতে কাদের বোঝাবো সে প্রশ্নের সমাধান সত‍্যিই প্রয়োজন। সুখী গৃহকোণের হাতে দুগাছি বালা ও কপালে টিপ দেওয়া রাবীন্দ্রিক নারীরা , মেট্রোপলিটন জীবনের কর্মব‍্যস্ত নাগরিক নারীরা অথবা পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার রুক্ষ প্রান্তরে যে আমিনা-লক্ষ্মীমণিরা কঙ্কালসার শিশুকে নিয়ে খেটে মরছে -- অথবা তাদের সবাইকে এক বন্ধনীতে বেঁধে পথ খোঁজা যাবে কি কোনোদিন? যাইহোক, ১৮৪৮ খ্রিষ্টাব্দের Seneca falls movement -কে নারী আন্দোলনের সূচনাপর্ব হিসাবে ধরা যায়। সমগ্র ঊনবিংশ শতাব্দী ধরে প্রায় বিংশ শতাব্দীর মধ‍্যভাগ ছিলো নারীবাদের প্রথম তরঙ্গ। এটি মূলতঃ নারীর ভোটদানের অধিকার, রাজনৈতিক ও আইনি অধিকার সুনিশ্চিত করেছে। এরপর দ্বিতীয়, তৃতীয় ও অংশত চতুর্থ তরঙ্গ এসেছে। আগেই বলেছি, এটি নারীবাদী তত্ত্ব ও বিতর্কের সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ করার জন‍্য লেখা হয়নি। প্রকাশ‍্যে নারী নির্যাতন, নিয়মিত ধর্ষণ ও নক্ক‍্যারজনক ঘটনা নিত‍্য-নৈমিত্তিক ব‍্যাপার হয়ে উঠেছে যখন, তখন একটি পর্যবেক্ষণের চেষ্টা। 'পর্যবেক্ষণ' শব্দটি গালভরা হলেও আমার ব‍্যক্তিগত প্রচেষ্টালব্ধ ক্ষেত্রে এই পর্যবেক্ষণের পরিসর খুবই সীমিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুম, লাইব্রেরী থেকে নিজের টেবিল পর্যন্ত আমার দৌড়। অপ্রাসঙ্গিক হলেও কথাটা বললাম নাহলে পর্যবেক্ষণের নামে সত‍্যের অপলাপ করা হয়। যাইহোক, মূলতঃ এখানে নারী-সম্পর্কিত বিষয়ে পুরুষের বক্তব‍্য নয় বরং নারীদের নারী বিষয়ক মন্তব‍্যগুলিও বিচার্য। নীচে প্রাথমিকভাবে আমার চারপাশের মানুষদের কিছু উক্তি পরপর তুলে দিচ্ছি। তাঁদের প্রত‍্যেকেই একবিংশ শতকে বাস করছেন, বর্তমান নারী ধারণা জানেন। প্রতিটি উক্তির সঙ্গে বক্তার বয়স, লিঙ্গপরিচয় ও পেশার উল্লেখ দেওয়া আছে।

    ◆ বক্তা বলেন অল্প
    তবু ফুটে ওঠে চিত্রকল্প ◆

    ১) এখন আবার নারী স্বাধীনতার যুগ ! ভয়ের বিষয় সেটাই [পুরুষ (৪৮)। ব‍্যবসায়ী]

    ২) আজকাল বুঝলেন, বিয়ের পরেই একটা FIR করে রাখতে হবে ছেলেদের! কথায় কথায় আইনের দৃষ্টান্ত দেখানো ঘূচে যাবে তাহলে। [পুরুষ (৪৭)। সরকারী কর্মচারী]

    ৩) জানেন তো, এখন মেয়েরাই শয়তান। ডির্ভোস আর বিয়ে, বিয়ে আর ডিভোর্স। এটা একটা ব‍্যবসা এদের। [মহিলা (৫৫)।গৃহবধূ]

    ৪) সবকিছু পুরুষের মতো চাই? ওলিম্পিক আর কমনওয়েলথ্ গেমস্ থেকে মেয়েদের আলাদা বিভাগ তুলে দেওয়া হোক। এরপর মেয়েরা কটা মেডেল আনে সেটাও আপনাদের হিসেবে রাখবেন। [পুরুষ (৭২)। অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক]

    ৫) ক্লাসে যেতে একটু দেরী হলে কী হবে এমন? ওরা আগে দৌড়ে চলে যেতে পারে। ওরা ছেলে, তুই একটা মেয়ে। [মহিলা (১৬)। স্কুলছাত্রী]

    ৬) 'লিঙ্গভিত্তিক বৈষম‍্য' বলে নিজেদের অপদার্থতা আড়াল করা বেশ চালাকির ব‍্যাপার। [পুরুষ (৪৬) | সরকারী কর্মচারী]

    অর্থাৎ এপ্রকার 'মানসিক সাম্রাজ‍্যবাদ' কতোখানি জাঁকিয়ে বসে আছে তার পুনুরুল্লেখ নিষ্প্রয়োজন। লক্ষ‍্য করেছি, সাম্রাজ‍্যবাদ বললেই বাঙালির মধ‍্যে বেশ একটা ভাবান্তর দেখা যায়। অধুনা সাম্রাজ‍্যবাদ শুনলেই যা মনে পড়ে, তা হলো আমেরিকা। হয়তো কথাটা বলা আমার ধৃষ্টতা হবে, সেটা হলো আমাদের সঙ্গে আমেরিকার যতো ভাব ততো ঝগড়া। বাবা মায়ের সঙ্গে অনেক বিয়েবাড়িতে গিয়ে শুনেছি, 'পাত্র জুটিয়েছে দেখেছো একখানা? ছেলে আমেরিকায় থাকে?" অর্থাৎ যোগ‍্যতার সর্বোচ্চ মাপকাঠি আমেরিকায় থাকা। আবার কোনোদিন পালং শাকের দাম বাড়লে বলবো, "আমেরিকার ষড়যন্ত্র"। যাইহোক, আমেরিকার সাম্রাজ‍্যবাদ নয়, এখানে আলোচ‍্য বিষয় মানসিক সাম্রাজ‍্যবাদ।

    সাম্রাজ‍্যবাদ বলতে সহজভাবে বোঝায়, শক্তিশালী কোনো রাষ্ট্র কর্তৃক অপেক্ষাকৃত দুর্বল রাষ্ট্রের উপর সামরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্তৃত্বস্থাপন। তাহলে কোনো একটি অনভিপ্রেত বিষয় যদি স্বাভাবিক মননশক্তির উপর কর্তৃত্ব বিস্তার করে তবে তাকে মানসিক সাম্রাজ‍্যবাদ বলা ভুল হবে কি? 'নারী' ধারণাটিকে এভাবেই ব‍্যাখ‍্যা করা যায়। এখানে সিমোন ডি বেভ‍্যোয়ার উক্তি প্রণিধানযোগ্য, "No one is born but becomes a woman". এবিষয়ে একই রচয়িতার গ্রন্থ Second Sex এবং Betty Friedan রচিত 'দি ফেমিনাইন মিস্টিক' অবশ‍্যপাঠ‍্য হিসাবে পড়া যেতে পারে। সামান‍্যতম পরিসরে এই ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে দাঁড়িয়ে নারী প্রশ্নের সাপেক্ষে এই মানসিক পঙ্গুত্ব সৃষ্টির ধারণাটি আমি তুলে ধরতে চাই।

    ◆ বিকৃতি যখন নিয়ম ◆
    "When injustice becomes law, then resistance becomes duty."

    বিখ‍্যাত এই উক্তিটি আমাদের সবার পরিচিত। অন‍্যায় যখন নিয়ম হয়ে ওঠে, প্রতিরোধ তখন কর্তব‍্য হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু বিকৃতি যখন নিয়ম হয়ে ওঠে তখন কী কর্তব‍্য? 'নারী' অর্থে দুর্বল জীব, কোমল ও আত্মসমর্পণাত্মক হবে এটাই ছিলো সনাতন ধারণা। তাই ঘরের কোণে বসে তারা লজ্জা নিবারণ করবে এটা ছিলো সমাজের চাহিদা। এই gender stereotype ভেঙে একক মুক্তি ঘটেছিলো ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের কাছেপিঠে সময়কালে। আগেই বলেছি, প্রথম তরঙ্গের ধারণা বা ভদ্রমহিলাবাদীদের চিন্তন এর সঙ্গে যায় না। ৭০ ছিলো সম্ভবনার উজ্জ্বলতম দশক। তাই সমকালীন সাহিত‍্যে আমরা পেয়েছি অধ‍্যাপিকা, বিজ্ঞানী, দুর্দমনীয় মহিলা সাংবাদিক এমনকী গ্রাম‍্য স্বল্পশিক্ষিত বধূরও উচ্চকন্ঠের স্পষ্ট ঘোষণা। কবিতা সিংহ ও কেয়া চক্রবর্তীর নাম এপ্রসঙ্গে সর্বাগ্র‍গণ‍্য। মহাশ্বেতা দেবীর রচনাগুলি আবার কখনই কেবল নারীর গন্ডিতে সীমাবদ্ধ নয়। একটি বিন্দু থেকে শুরু হয়ে পুরুষ-সমাজ-রাজনীতি ও রাষ্ট্র পর্যন্ত ছুঁয়ে এসেছে তাঁর লেখনী। সম্ভবত সেজন‍্যই গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক তাঁর ছোটগল্পগুলির উপর deconstruction theory-র সপক্ষে অনুবাদ সাহিত‍্য রচনা করেছেন 'Imaginary map'. নব্বইয়ের দশক থেক এটূকু বোঝা গেলো যে, রাষ্ট্রকেন্দ্রিক প্রাতিষ্ঠানিকতার দিন ফুরিয়েছে। তাই সর্বময় রাষ্ট্রের পরিবর্তে এলো বিশ্বায়নের মায়াঞ্জন। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও মুক্ত বাণিজ‍্যের অর্থনীতি যেমন নতুন দিগন্ত খুলে দিলো, তেমনই কলেবরে বেড়ে গেলো শোষণকারী বৃত্তের ক্ষমতা ও প্রসার। 'নারীত্বের নিজস্ব বৈশিষ্ট্যগুলি হতেই পারে তার ক্ষমতায়নের পরিচয়', 'enjoy the difference ' ইত‍্যাদি স্লোগান বুঝিয়ে দিয়ে গেলো যে নারীর অধিকারের জন‍্য আর কাঠখোট্টা সংগ্রামের প্রয়োজনীয়তা নেই। আমরা ওসবের অনেক ওপরে পৌঁছে গেছি। আমার প্রশ্ন, কী দেখে এই সিদ্ধান্তে আসা গেলো? কেবল কলকাতা কি সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের প্রকাশ? সেই 'নতুন কিছু' দেখা দিলো স‍্যোশাল মিডিয়ার 'Girls corner' নামক পেজে। অযৌক্তিক সৌন্দর্যের বিজ্ঞাপন আর কুৎসিত জোকসের রূপে তার প্রকাশ বিষাক্ত করলো মননকে। আর বৈজ্ঞানিকভাবে যৌনশিক্ষা চালু করতে বললে যারা 'গেলো! গেলো!!" রব তোলেন তারা কিন্তু এসবের বিরুদ্ধে স্বর তুললেন না। তুললেও তা আর কেউ কানে তুলবে না। কারণ মন ও বুদ্ধির নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে অদৃশ‍্য শক্তির হাতে। তবু মানবসভ‍্যতায় বাধাবিপত্তির কালপর্ব যতো এসেছে, মানুষ নিজের বুদ্ধির জোরেই তা অতিক্রম করেছ। আজ তাহলে সেই অস্ত্রে শান দেওয়ার প্রয়োজনটাই আরো বেশী। ক্রমাগত সমাজমাধ‍্যমের পণ‍্যচক্রে পা না দিয়ে, পদাঘাতে stereotype কে চূর্ণ করার দিন হয়তো আমাদের সামনেই। তখন ক্লেদমুক্ত সকালে একজন নারী হিসাবে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করবে, " সবার উপরে মানুষ সত‍্য, তাহার উপরে নাই।"
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন