এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • মঙ্গলকাব‍্য ও মুঘল : বাস্তব চিত্রায়ণ ও কাগুজে বাঘের একটি সমীক্ষা

    Manali Moulik লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৭ অক্টোবর ২০২৫ | ৩২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • পর্ব ১ | পর্ব ২ | পর্ব ৩
    সুতরাং এটুকু বোঝা গেলো যে , ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দের মহাবিদ্রোহের ব‍্যর্থতার পর শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরকে বার্মামুলুকে নির্বাসন দেওয়ার পর মুঘল-সাম্রাজ‍্যের নিভু-নিভু সূর্য অস্তমিত হলো। তবে ইতিপূর্বে ১৭০৭  খ্রিষ্টাব্দে ঔরঙ্গজেবের মৃত‍্যুর মাধ‍্যমেই একপ্রকার মুঘল সাম্রাজ‍্য শেষ হয়ে গিয়েছে বলে যে ঘোষণাটি করা হয়, তার নেপথ‍্যের কারণ অনুসন্ধানেই এই লেখাটির অবতারণা। পূর্ববর্তী পর্বগুলিতে দেখানো হয়েছে, বর্তমান নৈতিকতার সাপেক্ষে কীভাবে অতীত বিশ্লেষণের ধারা পরিবর্তিত হয়। তাই ব‍্যক্তিকেন্দ্রিক জাতীয়তাবাদ যখন বাদশাহকেই সাম্রাজ‍্যের একমাত্র রক্ষাকর্তা বলে দেখাতো, তখনকার আলোচনা হয়েছে। সঙ্গে এটাও দেখানো হয়েছে যে ইতিহাসকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি হিসাবে মার্কসবাদের বিস্তার ও কাঠামোগত লেন্সের পরিবর্তন মুঘল ভূমিরাজস্ব ব‍্যবস্থা ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করথে শিখিয়েছিলো। মোরল‍্যান্ড ও আরভিনের গবেষণাপত্র যেমন উল্লেখ করে প্রশাসনিক কাঠামো ও সামরিক শাসনযন্ত্রের স্বরূপ, তেমনই হাবিব-আলি-চন্দ্রের গবেষণাসন্দর্ভ দৃষ্টিপাত করে রাজস্ব ও জমি কাঠামোর দিকে। এই শেষপর্বে অনুসন্ধানের বিষয়টি হলো মুঘলদের বৃহৎ সাম্রাজ‍্যের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে 'সংমিশ্রণের সংস্কৃতির' ভূমিকা। তিনটি মূল বিষয়ে নজর থাকবে 
     
          ১.  সাংস্কৃতিক সংমিশ্রণ
          ২. ভাষা ও সংযোগ
          ৩.  লিঙ্গগত ভূমিকা
     
    প্রথমেই নজর দেওয়া যাক এই সংস্কৃতির বিষয়টিতে। মহম্মদ জহিরউদ্দিন বাবরের পিতা ছিলেন তৈমুর লঙের বংশধর ও মাতা কুতলুগ নিগার খাতুন ছিলেন চেঙ্গিস খানের বংশের কন‍্যা। পরবর্তী মুঘল বাদশাহদের সময়ে সাম্রাজ্যের বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে নব‍্য ধারণা গ্রহণ ও সংযোগকে তাঁরা গুরুত্ব দিতেন। যেমন সংস্কৃত-দর্শন, সাহিত‍্য ও প্রাকৃত সাহিত‍্যসম্পদের বিষয়ে আগ্রহ হিন্দু ও জৈন পন্ডিতমহলে মুঘল শাসনকে গ্রহণযোগ‍্য করে তোলে। শাহী দরবারে নিয়মিত  তৈমুরি বংশমহিমা প্রচার, বাদশাহের ঐশ্বরিক ক্ষমতার স্তুতি, সুফি সাধনার আদর্শ মুঘল সাম্রাজ‍্যের বিশ্বব‍্যাপী বিস্তারের প্রেরণা ইত‍্যাদি আলোচিত হয়ে জনমানসে এক আলোড়ন তৈরী করে। তৎকালীন সমাজ এও বিশ্বাস করতো, ষোলো শতকের দিকে এক 'মাহদি'  বা ত্রাণকর্তার আবির্ভূত হওয়ার কথা, মুঘল বাদশাহই হলেন সেই ত্রাণকর্তা। এখন এই সাংস্কৃতিক আদান - প্রদান ও সংযোগের সর্বোচ্চ উদাহরণ হলো বাদশাহ আকবরের 'দীন-ই ই-ঈলাহী' এবং 'ইবাদতখানা'। উদ‍্যোগদুটি সর্বোপরি সাফল‍্য না পেলেও এর মাধ‍্যমে সে উদারতার উদাহরণ স্থাপিত হয়েছিলো তা ইতিহাসে বিরল। ইবাদতখানায় আলোচনা ও মতের বিনিময়ের ক্ষেত্রে সুফি সাধক, পন্ডিত, জৈন ও বৌদ্ধ সন্ন‍্যাসী, মৌলবী, খ্রিষ্টাদ পাদ্রীসহ নাস্তিকরাও অংশ নিতেন। বাদশাহের উপস্থিতিতে এইরূপ মতবিনিময় ও নিঃসংকোচ আলোচনা যার একমাত্র উদ্দেশ‍্য জ্ঞানলাভ, এ ধারণা সত‍্যিই বিরল। সমসাময়িক অটোমান সাম্রাজ‍্যে কি এই ঘটনা কল্পনাও করা যায়?
      অড্রি ট্রুশকের রচিত 'কালচার অফ এনকাউন্টার্স' -এ সার্বিক আলোচনার মাধ‍্যমে এটা বোঝা যায় যে দার্শনিক মতের বিনিময়, সাহিত‍্য-সঙ্গীত ও লোককথার আদানপ্রদানে কোথাও যেন মুঘলরা নিজেদেরকে সাম্রাজ‍্যের জনতার সঙ্গে একই সুতোয় বেঁধেছিলো। যা তাদের প্রশাসনিক কাঠামো, ভূমিরাজস্ব ব‍্যবস্থা ও সামরিক শক্তির উপরেও অন‍্যতম একটি শক্তিশালী দিক।
     
    দ্বিতীয়ত:, ভাষা বলতে কেবল দলিল-দস্তাবেজ ও লেখমালার ভাষাকে বোঝানো হয়নি। ফার্সি ভাষার উপর মুন্সিয়ানার জন‍্য স‍্যার যদুনাথ সরকার যেভাবে মুঘল-ইতিহাস রচনার একজন পথিকৃৎ হয়ে উঠেছিলেন, তাতে বোঝা যায় ভাষার প্রয়োজনীয়তা এক্ষেত্রে ঠিক কতোখানি । অথচ লেখ‍্য ভাষা ছাড়াও স্থাপত‍্য, চিত্রকলা ও শিল্পশৈলীর ভাষা ঠিক কী বলতে চাইছে তার মাধ‍্যমে মুঘল ইতিহাসের স্বরূপদর্শন সম্ভব। উদাহরণ হিসাবে 'মিনিয়েচার পেন্টিং', সে আমলের পোশাক ও গহনার কারুকার্য, অপূর্ব নির্মাণশৈলীর সব স্থাপত‍্য, বাগান (চাহারবাগ : পারস‍্য থেকে আমদানিকৃত বাগান করার পদ্ধতি) ইত‍্যাদির মাধ‍্যমে অধ‍্যয়ন করা সম্ভব।
     
    লিঙ্গগত ভূমিকার প্রশ্নটি নিয়ে সুবিশাল একটি পর্ব রচনা করা চলে। ড. রুবিলালের মতো প্রথমসারির গবেষকগণের সন্দর্ভের বিষয়ই তো তাই। তবে স্থান ও সময় - সংক্ষেপের জন‍্য সামান‍্যই উল্লেখ করতে হচ্ছে। প্রথমেই বলি, মুঘল দলিল-দস্তাবেজ, পুস্তিকা বা হাতে লেখা কোনো নথিপত্রের ভিত্তিতে আমরা শাসনব‍্যস্থাকে পর্যবেক্ষণ করি যা অনেকাংশেই পুরুষের লেখা। এতে সেই ইতিহাসকে পুরুষের চোখ দিয়েই দেখা হয়। বাবরের আত্মজীবনী তাঁর নিজের রচিত 'তুজুক-ঈ-বাবরি' যেভাবে উপস্থাপন করে, গুলবদন বেগমের 'বাবরনামা'  পৃথকভাবে সেই গল্প বলে। মুঘল শাহজাদাদের বেড়ে ওঠা, সাম্রাজ‍্যের নিয়মকানুন শেখা ও বিভিন্ন রাজন‍্যবর্গের সঙ্গে সমন্বয় ঘটানোর বিষয়ে নারীদের ভূমিকাটি উল্লেখযোগ‍্য। শৈশবেই পিতৃহীন মহামতি আকবরের বেড়ে ওঠায় বৈরাম খাঁর ভূমিকা ছাড়াও তাঁর মা হামিদা বানুর ভূমিকা অস্বীকার করা চলে না। পরবর্তী সময়ে 'নূরজাহান চক্রের' কথা তো কারো অজানা নয়। অজানা নয় বাদশাহ জাহাঙ্গীরের উক্তি,
    "এক পেয়ালা সুরার বিনিময়ে আমার সাম্রাজ‍্য আমার প্রিয়তমা পত্নীকে উপহার দিয়েছি।" 
    বিদেশী গবেষকদের রচনায় তো রীতিমতো বিস্ময় উঠে এসেছে আকবর-কন‍্যা জাহানারার প্রতাপ ও ঐশ্বর্য দেখে। এপ্রসঙ্গে মার্কুইস বার্নিয়ের রচিত স্মৃতিকথা অবশ‍্যপাঠ‍্য। প্রকৃত রচনাটির অনন‍্য তথ‍্যসমৃদ্ধ বাংলা  অনুবাদ হলো শ্রদ্ধেয় বিনয় ঘোষের 'বাদশাহী আমল'। সুতরাং লিঙ্গগত অবস্থানের ভূমিকাটি মুঘলদের সাম্রাজ‍্যের কাঠামোবিন‍্যাসে অস্বীকার্য নয়। এই মুঘল শাসনে 'পৌরুষ' -এর ধারণা কীভাবে শারীরিক গঠন, বীরত্ব,যৌনতা ও সমাজকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত ছিলো, তাও একটি সুগভীর বিষয়। রোজালিন্ড ও'হ‍্যানলন এবং আলি অনুশহরের নিষ্ঠাবান গবেষণা এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখ‍্য। 
    সামগ্রিক লেখার পর্বগুলির অনুসন্ধানের বিষয় ছিলো এই যে ইতিহাসের পরিবর্তনশীল ধারণা কীভাবে মুঘলদের ইতিহাস বিশ্লেষণেও কাজ করেছে। তাই কখনো ইতিহাসের গুণেই তা হয়ে উঠেছে লেভেয়াথান ও কখনো কাগুজে বাঘ। আসলে কোনকিছুকেই সরাসরি আলো বা আঁধার, শক্তিশালী বা দুর্বল বলে আদৌ চিহ্নিত করা যায় না। ইতিহাস তো সেদিক থেকে আরোই বহুমাত্রিক। সুতরাং, মুঘল শাসনের বিশ্লেষণে যেমন উঠে এসেছে একদা বাদশাহের ব‍্যক্তিত্ব, পরে শাসনযন্ত্র ও রাজস্বকাঠামো ও বর্তমানে সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের ধারণাগুলি। তেমনই পরিবর্তনশীল সময়ে গবেষণা নির্ধারণ করে দেয়, সম্পূর্ণ অন্ধকার সময় বলেও কিছু হতে পারে না। তারতম‍্য কেবল সেই মূল‍্যায়ণ কখন ও কাদের দ্বারা হচ্ছে, তার উপরেই নির্ভরশীল। পাঠকের শুধু এই বদলানো সুরটুকু বুঝে নিয়ে ইতিহাস অধ‍্যয়ন করা উচিত।
     
                                                                     (সমাপ্ত)
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    পর্ব ১ | পর্ব ২ | পর্ব ৩
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন