কূর্ম অবতার নরেশ জানা (এক) মাঝ রাতে নদীর পাড় ভাঙে কচ্ছপটি। গুটি গুটি নেমে আসে জঙ্গলের গহন পথে। এ সময় স্তব্ধ চরাচর। নিঝুম অন্ধকারে ঘুমায় জঙ্গল। ঘুমায় হাসদেও নদী। পায়ে আজকাল জোর মেলে না তেমন। ঘসা অভ্রের মতো চোখ। সে চোখে গ্রহণ লেগেছে বহুকাল। এতদিন বাঁচা ভালো নয়, তবু কেন বেঁচে আছে? এই ধ্বংসলীলা দেখতে হবে বলে? ওই যে দাগ দেওয়া হাজার হাজার গাছ, দাঁড়িয়ে আছে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে। তাদের ঝপাঝপ মাটিতে পড়ে ... ...
জাতীয় সঙ্গীত শুরু হলে ঋজু হয়ে যায় আমাদেরশিরদাঁড়া, আমরা সবাই সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে কণ্ঠ ছাড়ি। হতে পারে কারো কণ্ঠ সোচ্চার কারো বা অনুচ্চ, কেউ কেউ হয়ত শুধুই ঠোঁট নাড়ে কিন্তু গান করে সবারই হৃদয়। হয়ত সুর তান মেলেনা অনেকেরই কিন্তু হ্রদয় মিলে যায়। সে তখন না ব্রাহ্মণ, না যাদব, না দলিত। না হিন্দি ভাষী, না বাঙালি, না ওড়িয়া। না কংগ্রেস,না বিজেপি, না সিপিএম, না সিপিআই, না তৃণমূল, না ডট ডট ডট! ঠিক এই প্রথম স্বাধীনতার পর এই দেশ দেখছে সেই প্রাথমিক পরিচিতি, দ্য প্রাইম ... ...
“Better to live one day as a tiger Than a thousand years as a sheep ”............................................................পাঁচ মাস কুকুরের মত এক দুর্গ থেকে আরেক দুর্গে পালিয়ে বেড়ালেন মারাঠা হিন্দু কুলতিলক দ্বিতীয় বাজীরাও। ত্রয়োদশ পেশোয়া এই আশায় ছিলেন যে সিন্ধিয়া অথবা হোলকার কিংবা ভোঁসলে রাজারা তাঁকে সাহায্য করতে আসবেন। কিন্তু কেউ এলোনা! ১৮০২ সালেই ... ...
মহাপরিনির্বাণ .............,....................... রাজগেহ, পাটলিপুত্ত, বৈশালী হয়ে ভোগনগরার পথে পা বাড়ালেন মহাকারুণিক। লক্ষ্য অতি দ্রুত পাবা তে পৌঁছানো। পাবা ও কুশিনর তখন মল্লের দুটি মহানগরী। মল্ল, ষোড়শ মহাজনপদের একটি। মল্লদের বরাবরের অনুযোগ ছিল যে তথাগত তাদের সময় দেননা। তথাগতের প্রিয় জায়গা অবশ্যই রাজগেহ, ইদানিং এই রাজগেহতে বর্ষাবাস কাটাতে ভালোবাসেন তিনি। দ্বিতীয় প্রিয় জায়গা বৈশালী। আম্রপালি এখানেই ... ...
যদি কিছু তামা'রে শুধাও নরেশ জানা ১ ঠাকুর ঘরের কোষাকুষি, পাইলস দমনের 'অব্যর্থ উপায়' হিসাবে আড়াই প্যাঁচের আংটি আর অম্বল নিবারনের জন্য ছোট্ট কলস অথবা গ্লাস। এর বাইরে গেহস্থলিতে আজকাল আর তামার ব্যবহার দেখিনা সচরাচর। সব তামা যেন সরু কিংবা মোটা তার হয়ে ইনসুলিটার আবৃত হয়ে বিদ্যুৎ পরিবহনের কাজে কিংবা মোটরে কয়েলবন্দি। আজকের ভারতীয় ... ...