উইকিপিডিয়া বলছে, বামপন্থী রাজনীতি হচ্ছে সেই রাজনৈতিক অবস্থান বা কর্মকাণ্ড যা সামাজিক অসাম্য ও সামাজিক ক্রমাধিকারতন্ত্রের বিরুদ্ধে সামাজিক সাম্যকে গ্রহণ বা সমর্থন করে। এই রাজনীতি বিশেষভাবে সমাজে যারা অন্যের তুলনায় কম পায় বা সুযোগহীন থাকে তাদের ব্যাপারে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে থাকে অনেক অনেক বছর ধরে । বামপন্থার ব্যাপ্তি শুধু একটি অঞ্চল বা দেশ বিশেষে হলে কিংবা বামপন্থা শুধুমাত্র কোন থিয়োরি হলে এর সম্পর্কে বা এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আলোচনা করা যেত । বামপন্থা একটি মনন ও যাপন । তাই নিরলস ও নিরবচ্ছিন্ন যাপনচিত্র ও মনন শৈলী এর ভবিষ্যত ঠিক করে । তাও বিতর্কের খাতিরে যদি এ বঙ্গের বাম ভবিষ্যত ... ...
শুরুটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে দিয়েই করি। উনি একদা মন্তব্য করেছিলেন - " বাঙলা দেশে জন্মিয়াছে বলিয়াই যে সে বাঙালি তা নয়, বরং সে বাঙলা ভাষা ও সংস্কৃতির মধ্য দিয়া চিত্তলোকে যাতায়াত করিতেছে বলিয়াই, তাহারা বাঙালী " ... বলার উদ্দেশ্য এই যে বাংলা ভাষা বাঙালি অনেকদিন আগেই উচ্ছন্নে পাঠিয়েছে এটা প্রমাণিত, বাকি যেটা রইলো তা হল বাঙালি সংস্কৃতি। এই বাঙালি সংস্কৃতি যা নিয়ে কিনা বাঙালি গর্ব করতো, যা নিয়ে বিদেশ থেকে স্বয়ং অস্কার দেবতা সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে এ বঙ্গে এসে ... ...
দৈনন্দিন জীবনের সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর জীবনযাত্রা এখন সর্বজনীন। সোস্যাল মিডিয়া যদি সমাজের প্রতিচ্ছবি হয় তাহলে চলুন একবার দেখে নি এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সমাজের অন্তরের ছবি, আমজনতার ডেইলি লাইফ। মোবাইল স্ক্রল করতে করতে আপনার চোখে পড়তেই পারে রাতের আকাশে একঝাঁক আলোর ঝলকানি, মিসাইলের আলো, ছিন্ন ভিন্ন শহর, কিছু বাণিজ্যিক হিন্দি গানের দুই চার লাইন আর সাথে পোস্টদাতাদের কাতর আবেদন তার চ্যানেলকে সাবস্ক্রাইব করার। কিম্বা, কিছু কমবয়সী ছেলেমেয়েদের আর্মি পোশাকে যুদ্ধ সংলাপের ... ...
মাঝে মাঝে নিজেকে খুব দামী মনে হয় বুঝলেন। ক্ষমতা হীন কিন্তু দামী।যাঁরা জানেন না, তাদের নিজের পরিচয় নিজের পরিচয় দিয়ে নিই আগে।আপাদমস্তক বাঙালি আমি। বিএম আই দশের নিচে। পাতি চাকুরী করি। ইএমআই আর অম্বলে দিন গুজরান। আপনাদের মতই বছরে একবার রিলায়েন্স ট্রেন্ড বা মিন্ত্রা থেকে জামাকাপড় কিনি। খিস্তি মারি বাংলায়। বিরিয়ানীর চেয়ে ধের ভালো লাগে পান্তাভাত আর শম্ভুর চপ দোকানের পেঁয়াজীর সাথে আলু মাখা। পুজোয় প্যান্ডেল হ্পিং করি চুটিয়ে। গাড়ি ভাড়া করে ফ্যমিলি নিয়েই। ঈদে নামাজ পড়তে যাই। বড় করে ফেসবুক পোস্ট দিই - হ্যাপী ঈদ বলে ... ...
আমাকে পাষন্ড বলুন। গয়লাদের ঘরের মেয়ে। নাম ধরুন রিয়া। চার বোনের সব্বাইকে যদি সরকারি নিয়মে বিয়ের বয়সে বিয়ে দেওয়া যায় তাহলে রিয়ার বিয়ে হওয়া অবধি ওর বাবার বেঁচে থাকার চান্স প্রায় নেই। তাও বেচারি ১০ বছরে একটা মাত্র স্কুল সার্ভিস দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। সারাজীবন দ্বিতীয় হওয়া মেয়ে চাকরিটা পায়নি। ওরই বান্ধবী, দ্বিতীয় বারে উচ্চমাধ্যমিক পাশ ওর সামনেই নতুন শাড়িতে ইস্কুল যেত রোজ। পাশের ইস্কুলের মাস্টার হবু ... ...
খাঁদির একাত্তর হল এবছর। ওদের গেরামে মাসের বদলে বছর পেরোলে বয়স বাড়ে। শরীর বাড়লেও। খাঁদির শরীর যখন ওর বাপের কাঁধ ছুঁয়েছিল, তখন খাঁদি শুনেছিল ওটা তার ' বিয়া ' হবার বয়স। হয়েও ছিল। বুক বড় হবার আগেই ছানা কোলে চ্যাপ্টা বুকে শুনেছিল বিয়ার পর ম্যায়াছেনা দের বিয়ানোর সময়। আর একঘর ছাগল গরুর মাঝে হাজারটা খোশ প্যাচড়া গায়ে করে কবে থেকে এ সুখের জীবন কাটাচ্ছে, সে হিসেব ... ...
হাসি দেখলে আজকাল দুঃখ হয় বড্ড, হরিদাসীকে দেখে ... কেউ বলে হরি, কেউ দাসী। জঙ্গলের রাস্তাটা যেখানে ফর্সা হয় খানিক, সেখানে রোজ উদোম গায়ে পড়ে থাকে একবাটি মুড়ী নিয়ে। কাজে যাবার রাস্তায় দেখি রোজ। চোখের ইশারা ছাড়া কোনদিন কথা হয়নি। হওয়ার কথাও ছিল না। কয়েকদিন আগে তাড়াতাড়ি কাজের ছুটি পাওয়ায় ফেরার সময় সুযোগ হল।শুনলাম, বয়স আশির ওপর। শুনলাম, কেউ নাই দু কুলে। পাড়ার নাতবৌ তিনবেলা পেট ভরে। বদলে ছাগল দেখে সাঁঝবেলা অব্দি নাতবৌদের। সব কথা গুলো বললো মুখে হাসি নিয়ে। এতদিন মানুষ পড়ে বুঝেছি এরা মেকি হাসি হাসেনা খুব একটা। এই বয়সের বুড়ি দেখলে আমার আগের নানীর কথা ... ...
গ্রাম বাংলায় শীত আসে বড্ড লাজুক পায়ে। শহরের মত আড়ম্বর আর আলোক সজ্জার ট্রেন্ডি ফ্যাশনে নয়। আজও গাঁ পাড়ায় শীতরাণী আট পৌরে শাড়ি গায়ে বড্ড মমতায় জড়িয়ে রাখে শীতকে। রস ভর্তি খেজুর হাঁড়ি আর মখমলের শিশির ভেজা নরম ঘাসে কান পাতলেই এখনো বুঝি শোনা যায়, কেউ বলছে - ' সুপর্ণা, শীত এসেছে '... শীতকাল, খেজুর রস, নতুন গুর আর আগুন পোহানোর গ্রাম্য রীতির সঙ্গে সঙ্গে বছর পনেরো আগে পর্যন্ত অঙ্গাঅঙ্গী ভাবে জড়িয়ে ছিল ধুনুরির শব্দ।শীত এলেই ধুনুরিদের দিয়ে নতুন লেপ বা পুরনো লেপের জট ছাড়ানো উৎসবের চেহারা নিত ঘরে ঘরে। লাল নরম নতুন ... ...
খড়ের দামে পোষায় নি এবছর বিশু বাগদীর মায়ের। খাড়া নাকের লোকেরা বড্ড দেমাগী হয় শুনেছিলাম। দেখলাম বিশু বাগদীর মাকে। এই আলফাটা গরমে প্রধানমন্ত্রীর পিচঢালা রাস্তায় তিল শুকিয়ে বর্ষায় ভেঙ্গে যাওয়া নিজের ঘরের ছাউনি বাদে ছাগলের গু মুতে ভরে যাওয়া জায়গাটা ফর্সা করলো সারাদিন। তারপর বেরোলো পাড়ার উত্তর দিক ধরে। বাগদির মা কে আমি দাদি বলতাম। দাদি যত্ন করে আলুপোড়া খাওয়াতো ... ...
ঝাঁকুনি টা হঠাৎ করে লাগল …. শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান ..... বেশ ঘ্যাম নিয়ে মাইক্রোফোন ধরে রজনীকান্ত মার্কা পোজে দেব এর স্টাইলে টানা ২০ মিনিট সর্বপল্লী মার্কা ডায়ালগ বাজি করে জাস্ট স্টেজ এর চেয়ারটায় বসেছি… হঠাৎ করে চোখ গেল চার নম্বর বেঞ্চের এর কোনার দিকে … সদ্য কচি গোঁফ বেরোন class X এর দুই ছাত্র ... ...