খড়ের দামে পোষায় নি এবছর বিশু বাগদীর মায়ের। খাড়া নাকের লোকেরা বড্ড দেমাগী হয় শুনেছিলাম। দেখলাম বিশু বাগদীর মাকে। এই আলফাটা গরমে প্রধানমন্ত্রীর পিচঢালা রাস্তায় তিল শুকিয়ে বর্ষায় ভেঙ্গে যাওয়া নিজের ঘরের ছাউনি বাদে ছাগলের গু মুতে ভরে যাওয়া জায়গাটা ফর্সা করলো সারাদিন। তারপর বেরোলো পাড়ার উত্তর দিক ধরে। বাগদির মা কে আমি দাদি বলতাম। দাদি যত্ন করে আলুপোড়া খাওয়াতো ... ...
ঝাঁকুনি টা হঠাৎ করে লাগল …. শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান ..... বেশ ঘ্যাম নিয়ে মাইক্রোফোন ধরে রজনীকান্ত মার্কা পোজে দেব এর স্টাইলে টানা ২০ মিনিট সর্বপল্লী মার্কা ডায়ালগ বাজি করে জাস্ট স্টেজ এর চেয়ারটায় বসেছি… হঠাৎ করে চোখ গেল চার নম্বর বেঞ্চের এর কোনার দিকে … সদ্য কচি গোঁফ বেরোন class X এর দুই ছাত্র ... ...
রাত তিনটে, সেকেন্ড ফ্লোর। ঘুম আর আসবে না ধরে নিয়েই ধীমান বাথরুমের দিকে এগোয়। সুলেখা বেঁচে থাকার সময় খিটখিট করতো বেশ। মশারী তুলে বাথরুমে যাওয়ার সময় নাকি মশা ঢোকে বেশি। সে নিয়ে রোজ অশান্তি ছিল একসময়। এ শহর মানুষের চেয়ে বেশি মশাদের এ নিয়ে তর্কও হয়েছে বেশ কয়েকবার। তবে ওই যে, নামেই স্ত্রী, পুরুষদের সাধ্য কোথায় জিতবে। এমনকি করোনার সময়কালেও ইহ জগৎ ছাড়ের কম্পিটিশনেও ... ...
ছেলেটা… রোগা পাতলা হাড়জিরজিরে চেহারা। ধোঁয়ার চোটে চুপসে যাওয়া গাল। বারোমাস বাসস্ট্যান্ড থেকে একই বাসে পেছনের জানলার সাইডের সিট। কিসের যেন অপেক্ষা। বাসস্ট্যান্ড থেকে এল আই সি মোড়, মাত্র পাঁচ মিনিট, কে জানে আসে নাকি ? দেখতে ইচ্ছে করে রোজ… বাচ্চা তো, খুব বেশি হলে ইলেভেন হবে। কিছু বোঝে ... ...
(১) তখন সকাল, বাগদীপাড়া আর ধুনিয়াপাড়ার মাঝের যে মাঠটা সদ্য রক্তবন্ধ করে যৌবন হারিয়ে ধুঁকছে, তার ডানদিক বরাবর হেই মোটা পুরানো বটগাছটার নীচে লাশ হয়ে পড়ে থাকে লোকটা। নতুন আমদানি এ তল্লাটে। কুল, বংশ, মজহব সব অজানা। করুণা রুগী কেউ ফেলে গেছে ভেবে ধারেকাছে ঘেঁসেওনি কেউ অনেকদিন। জুম্মাবার রাস্তাদিয়ে যাবার সময় সেলিম চাচা লোকটার নেতিয়ে পড়া খতনার লিঙ্গ দেখে জাতভাই ... ...
সেকেলে রয়ে গেলাম এখনো। মেদিনীপুরে যেদিন শ্রীলেদার্স খুলেছিল তার কয়েকদিন পর কালো একজোড়া বুট কিনেছিলাম। স্পোর্টস সু পরার বয়স গেছে, তাই কালো বুটে ফর্মাল হওয়ার চেষ্টায়। তারপর ইতিহাস। গরমেই হোক কিংবা দু মাস স্কুল ছুটি, জুতো আর পরা হয়নি। আজ বের করে দেখলাম সাদা সাদা ছাতা পড়েছে জুতোয়, ঘরের পালিশে চকচকে হল না ভালো। ভাবলাম ট্রেনে করে যাওয়ার রাস্তায় করিয়ে নেব চকচকে করে পালিশ। ট্রেনে চেপেছি। হালকা দুলুনি ... ...
অনির্বানটা ডাহা মিথ্যেবাদী, বলে কিনা কোন লেহেঙ্গা ছিল না। ব্রেসলেটও নাকি দেখেনি। বলুন নতুন জামাই কি করে এরকম ডাহা মিথ্যে বলে, শুনুন তাহলে গোড়া থেকে বলি। পয়েন্ট ধরে ধরে। শুনবেন, মেয়ের বিয়ে বলে কথা। #পাটিপত্র :- নিখিল ঘটককে ... ...
আমাদের গ্রামে আজও বুধবার হাট বসে। গ্রামের হাট। বড় হাট। হাটের ঠিক পাশেই যেখানে বাঁশ ডালের ঝুড়ি গুলো নিয়ে কালো কালো পাথরের মত মেয়েগুলো বসে থাকে 20 টাকা জোড়া ঝুড়ি বিক্রি করার জন্য তার ঠিক পাশেই সালকু বসেছিল। দুটো মুরগি নিয়ে। দেশি মুরগি।খুব টেস্ট। চোখ গুলো পাথরের মত করে একের পর এক খদ্দের কে ফিরিয়ে দিচ্ছিল। কয়েকজন খদ্দেরকে তো বলেও দিল ‘বিক্রি করবোক নাই ... ...
- চিনির সাথে জল মিশিয়ে গরম করি। - একটু গাঢ় হলে বাসী ভাত মিশাই। - শক্ত হলে বাটিতে ভরি। গোল বাটিতে। - সকালে কেকের মত লাগে। - ছেয়েটো খুব পসন্দ করে। চটের হাটের স্টেশনে নেমে কিছুদূর হাঁটলেই গঙ্গা চা বাগান। তেরো বছরের ... ...
- " আমাদের গুলোর হবেনি কিছু ..." লোকাল গাড়িতে চারজন মাস্টার গাদাগাদি করে স্কুলের পথে। একজনের নতুন রেডমি ফোন। ফাইভ জি। আনন্দ তে রেজাল্ট এর আনন্দের খবর মুহূর্তে মুহূর্তে। কোচবিহারের চারজন, বোলপুরের দু জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে তিনজন এখনো পর্যন্ত। পাশের হার নাকি আই পি এল এর স্কোর বোঝা দায়। তার মাঝেই ফুট কাটলো এক সহযাত্রী হেসে - " আপনাদের স্কুলে কিছু হয়নি " ? চার মাস্টারের মুখ চাওয়া ... ...