উত্তরগোলার্ধ্বে শীতকাল শেষ হয়ে বসন্তের উঁকিঝুঁকি, দক্ষিণ গোলার্ধ্বে সবে শরৎ। বাইরে তাপমাত্রা এখনো গায়ে ছ্যাঁকা না দিলেও দোকানে জিনিষপত্র কিনতে গেলেই হাতে ছ্যাঁকা খাচ্ছেন গৃহস্থ। রোজার দিন শেষ হয়ে এলো প্রায়, গাজনের সন্ন্যাসীদের এখনো দিন কুড়ি চলবে। দু:খী মানুষ সুখী মানুষ উদাসীন মানুষেরা ঘোরেফেরে দোকান বাজারে। কেউ বাধ্য হয়ে কেউ বা শখে কেউ কেনে ঝোলা উপচিয়ে কেউ বা দেখেশুনে রাখে 'পরেরবার ঠিক দেখিস... ' ... ...
প্রত্যাশিত কোন রুট নয়, মামুন পাঠককে নিয়ে যান যেখানে সেখানে আর চমক তাঁর ভাষায় । অত্যন্ত সাবলীলভাবে গ্রাম থেকে শহরে পৌঁছে যান, যেন শ্রোতার কাঁধে হাত দিয়ে কথা বলছেন; মুহূর্তে বদলে যায় মুখের ভাষা। এই সুর তাল ছন্দ বদলে যায় অবলীলাক্রমে; ভাষা ও শব্দের ব্যবহারে তাঁর এই আশ্চর্য অধিকার দেখে ঈর্ষা বোধ করেছি মনে মনে। আমাদের চেনা পাঠের জগতে মামুন এনে দিয়েছেন এক নতুন আস্বাদ, এক নতুন দিগন্ত। তিনি আরও লিখুন, আমাদের নিয়ে যান এই বাংলার মনের প্রাণের গোপন গভীরে। ... ...
"অ্যাঁ! বলছ কি?", মহারাজ তো শুনেই হাঁ হয়ে গেছেন। "আমার সমস্ত কাণ্ড কারখানা বই হয়ে বেরুচ্ছে?" আমি বললাম, "হবে না, ছেনু মহারাজের এত রকম কান্ড কারখানা, সে এই ভুলভুলাইয়ায় চলে যাচ্ছে, তো ওই লাঠি খেলা দেখিয়ে আসছে, আবার পট করে কখন পক্ষীরাজের পিঠে চেপে শেয়ালদা ঘুরে আসছে, সেসব ঘটনা আর চেপে রাখলে চলবে, প্রজারা যে সেইসব গল্প শোনার জন্য ব্যাকুল।" মহারাজ মাথা চুলকে বললেন, "তা বই তো বেরুচ্ছে, কিন্তু কোত্থেকে?" -ওই যে পেঁচার ছবি-অলা পাব্লিশার আছে না গুরুচণ্ডা৯ বলে, যারা খুঁজে খুঁজে দারুণ দারুণ সব বই বের করে তারাই তো আপনার সব কাণ্ড কারখানা মলাটবন্দি করতে উঠে পড়ে লেগেছে। ... ...
উৎসবের এই অবকাশ আমাদের আরও গভীরে যাওয়ার পরিসর দিক। আমরা বোঝার চেষ্টা করি, বিচারব্যবস্থা কেন এত দীর্ঘসূত্রী? সাধারণ মানুষের অভিযোগকে বিচারপদ্ধতিতে নিয়ে আসার পথ এত জটিল কেন যাতে সমস্যাগুলি অভিযোগের স্তরেই আটকে থাকে চিরকাল? কেন প্রবল প্রতাপান্বিত রাষ্ট্রক্ষমতার সামনে ব্যক্তি একক নিঃসহায় পড়ে বিচারের দাঁড়িপাল্লাতে? পাশাপাশি প্রতিবন্যায় জল ছাড়ার আঙুল চালাচালির গভীরে বড়বাঁধের সমস্যাগুলি পরিবেশ ও রাজনীতি-অর্থনীতির দিক থেকে খতিয়ে দেখতে চাওয়ার ইচ্ছে ও থাকল। বড়বাঁধজনিত বন্যাপরিস্থিতি ও বিচারহীনতার ক্ষোভ উঠে আসুক এইবারের উৎসবের লেখায়। থাকুক বিচারহীনতার দুর্যোগ নিয়ে আমাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাগুলিও। ... ...
বগটুই গণহত্যাকাণ্ডের অব্যবহিত পরে কবি জয় গোস্বামীর লেখা কবিতা নিয়ে ‘দগ্ধ’ নামে একটি পুস্তিকা আমরা প্রকাশ করেছিলাম। বগটুই এবং তার পরবর্তীকালে আরও কয়েকটি নারীনির্যাতন, ধর্ষণ এবং হত্যার প্রতিক্রিয়ায় জয় গোস্বামী আরও কিছু কবিতা লিখেছিলেন। সেই সবকটি লেখা নিয়ে আমরা প্রকাশ করতে চলেছি আরেকটি বই – ‘নিজের বিরুদ্ধে’। পার্টি-প্রশাসন-পুলিশের হাতে আক্রান্ত অসহায় নির্যাতিতা এবং তার পরিজনদের দুরবস্থার এক দলিল হয়ে থাকবে এই কবিতাগুলি। এই লেখাগুলির প্রেক্ষিত সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা হলেও, পরিসর আরও ব্যাপ্ত। যে শাসনকাঠামোয় আমরা জীবন কাটাচ্ছি, তার সুযোগ-সুবিধাগুলি নিয়ে দুধেভাতে সংসার প্রতিপালন করছি, সেই কাঠামোর নৃশংসতা নিশ্চিতভাবে আমাদের নিজেদের দিকেও আঙুল তুলে দেয়- এই উপলব্ধির আয়না আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন কবি। ... ...
করোনা অতিমারীর আতঙ্কের মধ্যেই আরেকটা পুজো এসে গেল। বিগত পুজোয় আমরা দেখতে পেয়েছি লকডাউনের আঘাত কাটিয়ে সাধারণ পেশাজীবী মানুষের উঠে দাঁড়ানোর অসামান্য উদ্যম। এইবারেও পুজোর দিকে তাকিয়ে বসে আছেন অজস্র পেশার মানুষ, দুর্গা এলে যাঁদের ঘরে লক্ষ্মী আসবে। আমরা জানতে চাই, প্রকাশ করতে চাই সেই সকল পেশার কথা, কারিগর ও ব্যবসায়ীদের কথা, যাঁদের কর্মযজ্ঞে প্রাণ পায় আমাদের উৎসব। আর তার সাথে সেই উৎসবের আলো ছড়িয়ে দিতে চাই তাদের কাছেও, যাদের পুজো কাটবে নির্জন পরবাসে অথবা ভিড়ের থেকে বহুদূর নিভৃতবাসে। পুজোর গন্ধমাখা যা কিছু রাঙিয়ে দিতে পারে আমাদের এই দিনগুলো, হোক সে পুজোর গান, পূজাবার্ষিকী, পুজোর রিলিজ সিনেমা কি পুজোর নাটক। এমন সবকিছু, যার উপলক্ষ পুজো। এমন সবকিছু, যার গায়ে পুজোর গন্ধ মাখা। ৯ তারিখের মধ্যে guruchandali@gmail.comএ পাঠিয়ে দিন আপনার প্রবন্ধ- থিমঃ সব উৎসবেরই জন্যে। ... ...
জয়ন্তী অধিকারী, তথা কুমুদি গুরুচণ্ডালির সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন ওতঃপ্রোতভাবে। তিনি এখন স্মৃতি। তবু স্মৃতিস্তম্ভের স্থবিরতাকে ভালবাসিনি আমরা। চাইছি স্মৃতির চলমানতা। আমরা চাইছি, বাংলা অক্ষর বেয়ে বেয়ে পরের প্রজন্মেও পৌঁছে যান কুমুদি। তারা আমাদের কুমুদিকে চিনুক, ভালবাসুক, লেখা পড়ুক, পড়াক বন্ধুদের। কুমুদিও তাদের চিনতে চাইবেন -- বলাই বাহুল্য। এইসব অলীক চেনাজানাকে বাস্তব করতে গুরুচণ্ডা৯ শুরু করেছে বার্ষিক 'কুমুদি পুরস্কার' -- কিশোর কিশোরীদের বাংলা গল্প লেখার প্রতিযোগিতায়। ... ...