হেলেনা নর্বার্গ-হজ, সোনম ওয়াংচুক এবং লাদাখের পরিবেশ ... ...
মাধব গ্যাডগিল আর রামচন্দ্র গুহ ‘ভারত’ আর ‘ইন্ডিয়া’ নামে অভিহিত করেছেন এই দুই বলয়কে। ইন্ডিয়া থেকে আসা পাখিপ্রেমীরা ভারতের লখাদের থেকে দূরেই থেকে যায়। শহুরে হুজুগে বাবু, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পক্ষীবিদ আর বনাঞ্চলের লখিন্দর, একই চরাচরে বাস করেও রয়ে যায় বহুদূরবর্তী পৃথক ভৌগোলিক বলয়ে। ... ...
সমস্যাটা হল ইন্টারমিটেন্সির। সৌর বিদ্যুতের কথাই ধরুন। ভোরবেলা থেকে সন্ধ্যা বেলা পর্যন্ত সূর্যের আলো আছে বলে সোলার প্যানেলগুলি না হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হচ্ছে, কিন্তু রাত হয়ে গেলেই তারা কার্যত অকেজো। কিন্তু বিদ্যুতের চাহিদা তো রাত্রেবেলাও থাকছে...... ... ...
হয়তো ২০৫০ এর আগেই বিশ্বজুড়ে ক্লাইমেট ক্রাইসিস এমন একটা চেহারা নেবে যে গোটা পৃথিবী আর সবকিছু লাটে তুলে এই বিপদ কি করে সামলানো যায় সেই দিকে ফোকাস করতে বাধ্য হবে! অর্থাৎ, Covid প্যান্ডেমিকের সময় যেমন সারা পৃথিবীর ডাক্তার, বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ, পুলিশ এবং আরো অনেকে এক হয়ে গিয়েছিলেন পরিস্থিতি সামাল দিতে, তেমনই আর একটা অবস্থা হয়তো আমরা আমাদের জীবদ্দশায় দেখতে চলেছি এই বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে। তবে ব্যাপারটা কিন্তু মোটেই সস্তা হবেনা। ... ...
এমনকি যা পরিস্থিতি আসছে তাতে ভবিষ্যতে প্রচণ্ড গরমে একেবারে হতদরিদ্র মানুষেরও সাময়িকভাবে আশ্রয় নেবার জন্য কিছু কিছু এয়ারকন্ডিশনড জায়গার ব্যবস্থা করতে হলেও আশ্চর্য হব না। তো, এই সময়ে লোকজনকে এসি ব্যবহারের এবং এসি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে উস্কোনো একটি অত্যন্ত বড় অসভ্যতা ছাড়া আর কিছু নয়..... ... ...
গ্রিনল্যান্ডের অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি সায়েন্স স্টেশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ওখানকার গ্রীষ্মকালীন গড় তাপমাত্রার বৃদ্ধি হয়েছে ১১° সেলসিয়াস! লাইনটা পড়ে যদি চমকে না গিয়ে থাকেন তাহলে আরেকবার ভালো করে পড়ুন....... ... ...
চীনকেও মুনাফাসন্ধানী,বাজারপন্থী, বৃদ্ধিপন্থী,পুঁজির পুনরুৎপাদক ব্যবস্থা থেকে সরে আসতে হবে। ‘সমাজতান্ত্রিক বাজার অর্থনীতি’র মত স্ববিরোধী দর্শন ছেড়ে মানুষের ন্যূনতম চাহিদার পরিপূরণে নজর দিয়ে ভোগবাদ, অপ্রয়োজনীয় উৎপাদন ও অপচয়ের অর্থনীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।মাও যুগের ‘এক কড়াই থেকে খাওয়ার নীতি’র কথা অনেকের মনে পড়তে পারে। হ্যাঁ, অনেক ক্ষেত্রেই সেই আদর্শের পুনরুদ্ধার কাম্য বটে। কিন্তু এ কেবল অতীতচারী পশ্চাদগমন নয়। মনে রাখতে হবে মাওয়ের সময় পরিবেশ নিয়ে আদৌ কোনো সচেতনতা ছিলো না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির বাস্তবতা অন্য রকম দাবী রাখছে চীনের শাসক ও জনগণের কাছে। এখন প্রশ্ন হল সেই দাবীর কোনো ভবিষৎ চীনে আছে কি? ... ...
বিংশ শতাব্দীর ফলিত সমাজতন্ত্রের ধারণায় পরিবেশচিন্তার বিশেষ কোনো গুরুত্ব ছিল না। কিন্তু আজ যখন প্রজাতিগত সংকটের সামনে দাঁড়িয়ে পরিবেশচিন্তাকে অগ্রাধিকার দিতে হচ্ছে তখন তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, উৎপাদন, প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার সবকিছুকে নতুন আলোয় দেখতে হচ্ছে। বহু বামপন্থী ধারণার পুনর্বিন্যাস তাই জরুরী হয়ে পড়েছে। পুঁজিবাদের অনুকরণ নয়, সম্পূর্ণ বিপরীত পথের সন্ধান না করতে পারলে পরিবেশ সংকট থেকে মুক্তির সন্ধান সম্ভব নয়। এর জন্য, মার্কস, বিশেষত পরিণত কার্ল মার্কসের লেখাপত্রের সন্ধান জরুরী। ... ...
করোনা ভাইরাসকে শুধু একটা রোগের কারণ হিসেবে দেখলে, তাকে পরিবেশের সংকটের অংশ হিসেবে না দেখলে সমস্যাটির প্রতি সুবিচার করা হয় না। আবার পরিবেশের সংকটকে কাটিয়ে উঠতে গেলে পুঁজিবাদী ধ্যানধারণার বাইরে তাকানো একান্তই আবশ্যক। ... ...
(আজ ৫ই জুন মঙ্গলবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এই বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে "Moving towards a plastic-free future", অর্থাৎ "প্লাস্টিকবিহীন ভবিষ্যতের দিকে অগ্রযাত্রা"। এই উপলক্ষে সাম্প্রতিক আলোচনায় আসা প্লাস্টিক নিয়ে বিভিন্ন রকম সমস্যা নিয়ে এই সিরিজটি লিখছি।) ... *সমুদ্রের তলদেশে প্লাস্টিক ... প্রথমেই যাচ্ছি জাপানের ইওসুকায় অবস্থিত Japan Agency for Marine- ... ...