-"কী দেখিস ওগুলো ইউটিউবে? কোনো মাথামুন্ডু নেই। তাছাড়া ক্যারেক্টারগুলোর ছিরি দ্যাখো ! ড্যাবা ড্যাবা চোখ, ছোট্ট মুখ, প্যাংলা চেহারা, অদ্ভুত সব নানারঙের চুলের কাটিং, ঝলমলে ড্রেস আর ইচিং পিচিং লাফালাফি! অসহ্যকর!"
হ্যাঁ, কোনো অ্যানিমের এপিসোড চালিয়ে দেখতে বসলে বাড়ির বড়োদের থেকে এরকম মুখ ঝামটা প্রায় সবাই খেয়ে থাকে। ওয়ান পিস ; নাটুরো, লাইট ইয়োগামি বা চেইনশ' ম্যানের সঙ্গে পরিচিত নয় এমন Gen-z সদস্য পাওয়া কঠিন। আর শুধু জাপানি চিত্ররীতির অ্যানিমেটেড রূপ যার পোশাকি নাম 'অ্যানিমে' তার কথাই বা বলি কেন? চিত্ররূপ 'মাংগা' বিক্রির জন্য আজকাল কলকাতা বইমেলায় রীতিমতো 'মাংগা প্যাভিলিয়ন' তৈরী হচ্ছে। কয়েকবছর আগে পর্যন্ত মাংগা এককপি পেতে হাড়ে দুব্বোঘাস গজিয়ে যেতো। তাহলে মাংগার এই বাড়বাড়ন্ত কি মার্কিন প্রকাশনা সংস্থা হারপার কলিন্স, হ্যাচেট, ডিসি ইত্যাদির কোমর বেঁধে বিপণনের বাজারে নেমে পড়ার জন্য? নাকি বাজার অর্থনীতির জাদুকাঠি ছোঁয়ানোর অনেক আগে থেকেই 'মাংগা' নিজগুণে বেড়ে উঠেছিলো? জানার ইচ্ছে হতেই একটু ঘাঁটতে হলো প্রাচীন জাপানের ইতিহাস এবং অবশ্যই 'মাংগা' তথা অ্যানিমের জন্মবৃন্তান্ত।
◆ কোন্ পান খাওয়া যায় না? : উদীয়মান সূর্যের দেশ।
এই ধাঁধাটা ছোটো থেকে শুনে শুনে সবাই অভ্যস্ত। উত্তরটা এককথায় : জাপান। এশিয়া মহাদেশের এক সমৃদ্ধশালী দ্বীপরাষ্ট্র। অতীতকালের জাপান 'মুকাশি' নামে পরিচিত। মূল জাপানের ইতিহাস প্রায় দু'হাজার বছরের পুরোনো। সমস্যা হলো, এক্ষেত্রে অনেকসময়েই পৌরাণিক কাহিনী এবং ইতিহাস মিলেমিশে এক হয়ে গেছে। তাই পৌরাণিক কাহিনির আবহ থেকে খাঁটি ইতিহাসকে উদ্ধার করে আনা প্রাথমিক পর্বের ক্ষেত্রে প্রায় অসম্ভব। মনে করা হয়, জাপানের আদিসম্রাট জিম্মু ছিলেন সূর্যদেবীর অংশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের আগে পর্যন্তও জাপানের সম্রাটকে 'দেবতার অংশ' মনে করা হতো। তিনি ছিলেন সাধারণের চোখে সকলপ্রকার মানবিক প্রশ্নের উপরে। আদিসম্রাট জিম্মু জাপান ভূখন্ড শাসনের জন্য পৃথিবীতে প্রেরিত হলে দুঃখিত হয়ে পড়েন। মাতা সূর্যদেবী নাকি তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন, "বাছা, তুমি চিন্তিত হোয়ো না। পৃথিবীতে সবার প্রথমে আমি তোমার কাছেই উদিত হবো।" সেই থেকে জাপান উদীয়মান সূর্যের দেশ হিসাবে পরিচিত। জাপানের রাজবংশগুলির তালিকা দেখতে গেলে সর্বপ্রথম আসবে ইয়ামাতো বংশের ইতিহাস। এদের শাসনকাল সুদীর্ঘ তবে ৫৬৮ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দী পর্যন্ত ইতিহাস ও পৌরাণিক কাহিনী মিলেমিশে রয়েছে। খ্রিষ্টজন্মের সময় থেকে ইয়ামাতো বংশের ধারাবাহিক ইতিহাস কিছুটা পাওয়া যায়। চিন ও কোরিয়ার সঙ্গে দূরতম যোগাযোগ গড়ে ওঠে জাপানের, আগমন ঘটে চিনা লিপির। সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন ও বিকশিত হতে থাকে ধীরে ধীরে। তবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জাপানে বৌদ্ধধর্মের প্রবেশ ঘটে ৫৫২ খ্রিষ্টাব্দে। ততোদিনে কোরিয়ার পথ ধরে শিন্টোধর্মও প্রবেশ করে। প্রসঙ্গত বলি, শিন্টোধর্ম কিছুটা বীরধর্ম বা বীরাচারের সঙ্গে সংযোগপূর্ণ। এখানে কোনো বিগ্রহ বা নির্দিষ্ট দেবদেবী নেই। পরলোকগত পূর্বপুরুষ ও তাঁদের বীরত্বের প্রতি শ্রদ্ধা ও অবনতি জানানো এই ধর্মের মূলকথা। অষ্টম শতাব্দীর প্রথমভাগে এই ইয়ামাতো বংশ প্রাচীন 'নারা' শহরে রাজধানী প্রতিষ্ঠা করে। এটি পরবর্তী ৭৫ বৎসর স্থায়ী হয়। জাপানের আদিম লোকগাথা 'মান্নো - শু' এইসময়ে জন্মলাভ করে। তবে রাজধানীর স্থিরতা ছিলো না কোনোকালেই। অষ্টম শতাব্দীর শেষভাগে কিয়াটো শহরে রাজধানী স্থানান্তরিত হয়। পরের এক সহস্রাব্দী সেখানেই রাজধানী ছিলো। কিয়াটোর প্রাচীন নাম হলো 'হেইয়ান - কো', কারণ ততোদিনে সূচনা ঘটেছে হেইয়ান যুগের। এই যুগের সাহিত্য-সংস্কৃতির দিকে একটু ফিরে তাকাতেই হবে। এযুগের সুবিখ্যাত মহিলা কবি ছিলেন মুরাসাকি শিকিবু। যাঁর কালজয়ী রচনা 'গেনজি - সিনোগাতারি' । হেইয়ান যুগের রাজপুত্র গেনজি ও তাঁর অসংখ্য প্রণয়িনীকে নিয়ে রচিত এক রোমান্টিক উপন্যাস। ৮১১ খ্রিষ্টাব্দে রচিত হয় আরেক সাহিত্যকীর্তি 'তাকেতোরি মোনোগাতারি'। তবে সমাজে তো কেবল নিটোল সৃষ্টির যুগ চলতে পারে না, চলে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। তেমনই জাপানে এইসময়ে মিনামোতো ও তাইরা নামে দুটি আঞ্চলিক সামরিক শক্তির মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম চলছিলো। অবশেষে ১১৮৫ খ্রিষ্টাব্দে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর দান্নৌরার নৌ - যুদ্ধে তাইরা সম্প্রদায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। শুরু হয় মিনামোতো বংশের শাসন। এই বংশের শাসনকাল থেকে 'শোগুন' শাসন পরিচিত হতে শুরু করে। আসলে 'শোগুনাতে' বলতে বোঝায় প্রতিষ্ঠিত রাজধানী। আর যেসব জায়গায় এই 'শোগুনাতে' প্রতিষ্ঠিত হতো সেইনামেই পরবর্তী কয়েকটি যুগের পরিচিত হওয়ার একটি ধারা দেখা যাচ্ছে। যেমন, মিনামোতো নেতা ইয়ারিডোমো বর্তমানের টোকিওর অদূরে কামাকুরা নামক স্থানে 'শোগুনাতে' প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর থেকে জাপানে স্থাপিত হয় কামাকুরা যুগ (১১৮৫-১৩৩৩) এরপর ১৩৩৩ খ্রিষ্টাব্দে কিয়াটোর নিকট 'মুরোমাচি' নামক স্থানে লড়াকু সম্প্রদায় আশিকাগা একটি শোগুনাতে প্রতিষ্ঠা করে। মুরোমাচি যুগ স্থায়ী হয় ১৩৩৩ থেকে ১৫৭৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। শুরু হয় আবার ক্ষমতা দখলের লড়াই অর্থাৎ মুরোমাচি গৃহযুদ্ধ। প্রাণ ও রক্তক্ষয় থামিয়ে শান্তি আনেন সেনাপতি হিদেয়োশি তোয়োতোমি (১৫৯০ খ্রি.) ইতিমধ্যে আরেকজন সুদক্ষ যোদ্ধা ও বিচক্ষণ শাসকের আবির্ভাব ঘটে। ইনি হলেন ইয়েয়াসু তোকুগাওয়া। ১৬০৩ খ্রিষ্টাব্দে রাজধানীকে তিনি টোকিওতে সরিয়ে আনেন। থুড়ি, টোকিও নয় তো, এদো। তখন টোকিওর প্রাচীন নাম ছিলো এদো। তোকুগাওয়ার পরিচিতির আরো একটি কারণ আছে। তিনি ১৬৩৯ সালে সমগ্র পৃথিবীর চোখে জাপানকে আড়াল করেন। কেন? কারণ সাধের ইউরোপের সঙ্গে জাপানের পরিচয় মুরোমাচি যুগে। পোর্তুগিজদের আগমন দ্বীপরাষ্ট্রে ঘটে ১৫৪৩ খ্রিষ্টাব্দে। তারপর একে একে খ্রিষ্টান মিশনারী, জেসুইট, ইংরেজ, ওলন্দাজরা সব পিলপিল করে ঢুকে পড়লো। ব্যাস! বাণিজ্যের সঙ্গে সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র, নেশা, সুরাপান ইত্যাদি যতো বদ জিনিসের আগমন ঘটে গেলো। তোকুগাওয়া বুঝলেন, নিজেদের সমাজ ও সংস্কৃতি বিপন্ন। খ্রিষ্টধর্মকে নিষিদ্ধ করলেন আর বহির্বিশ্বের মুখের উপর জাপানের সদর দরজা বন্ধ করে দিলেন। তবে দুশো বছর যে জাপান কোনো কাজ করেনি তা নয়। বরং বলা যায় এইসময়টা 'আপনাতে আপনি বিকশি' জাপান নিজেকে অরো সাজিয়ে তুলেছিলো। সাইদাবুর (১৬৪২-৯৩) বিখ্যাত সব উপন্যাস ও চিকামাৎসু মনজেইমনের (১৬৫৩-১৭২৪) নাটক এসময়ের জাপানের চিরায়ত সাহিত্যকর্ম। তবে যুগসন্ধিক্ষণ বলতে হবে ১৮৫৩ খ্রিষ্টাব্দকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপতি কমডোর ম্যাথু পেরি চারটি যুদ্ধজাহাজ নিয়ে বেহায়ার মতো টোকিও উপসাগরে ঢুকে পড়লেন। ভীত শোগুন সরকার সই করে বসলো 'কানাগাওয়ার চুক্তি' (১৮৫৪ খ্রি) আমেরিকা মানেই এমন! হাড়মাস কালি করার জন্যই আগমন ঘটে এদের! ভয়েময়ে আমেরিকা - জাপান বন্ধুত্ব হলো। দেখে উৎসাহ পেয়ে রাশিয়া, গ্রেট ব্রিটেন, হল্যান্ড ও অন্যান্য ইউরোপীয় শক্তি প্রবেশ করলো। ফলে যা হওয়ার তাই হলো। ১৮৬৭ খ্রিষ্টাব্দে তোকুগাওয়া-শোগুনাতের পতন ঘটলো। একটা ভালো হলো, সামন্ততন্ত্রও অবলুপ্ত হয়ে গেলো। পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হরো রাজতন্ত্র। ১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দের এই ঘটনা 'মেইজি পুনরুজ্জীবন' নামে পরিচিত। সম্রাট মেইজির সমতুল্য ব্যক্তিত্ব পৃথিবীর ইতিহাসে খুব কমই আছেন। সে আলোচনায় পরে আসা যাবে। ওনার শাসনকাল ছিলো ১৮৬৮-১৯১২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত।তিনি রাজধানী কিয়াটো শহর থেকে স্থানান্তর করলেন 'এদো' তে। এদো - র নতুন নামকরণ হলো টোকিয়ো। এক্ষণে বলে রাখি, 'তো' মানে পূর্বদিকে। এবার যদি বলি, কিয়াটো হইতে পূর্বদিকে --- তাহলে হবে -- 'তো-কিও' অর্থাৎ পূর্বাঞ্চলীয় রাজধানী।
◆ 'মাংগা'-র জন্মকথা
ধুর ভাই ! রাজাগজার কথা পড়তে পড়তে তো বিরক্তি ধরে গেলো! অ্যানিমে আর মাংগার কথা গেলো কই? হ্যাঁ, যা বলছিলাম। 'মাংগা' শব্দের 'মাং' মানে 'হালকা চালে আঁকা' এবং 'গা' মানে 'ছবি'। অর্থাৎ 'মাংগা' বলতে বোঝায় হালকা চালে আঁকা হিজিবিজি ছবি। যা কিনা অতোটা সিরিয়াস নয়। এবার এই মাংগার উপর দুটি প্রাচীন জাপানি চিত্রকলার প্রভাব লক্ষণীয়। একটা হচ্ছে, উকিয়ো-ই (কাঠখোদাই করে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ছবি আঁকা) আরেকটি হলো ইমাকিমোনো (scroll বা পুঁথির কায়দায় গোল করে জড়ানো কাপড় একটির পর একটি খোলার মাধ্যমে গোটা কাহিনীটা বর্ণনা করা হয়) এটা অনেকটা বাংলার পটচিত্রের মতো। তা মেইজি যুগের জাপান আবার যখন পাশ্চাত্য শিল্পকলার দিকে আকৃষ্ট হয় তখন থেকে দ্বিতীয় যুদ্ধের আগে পর্যন্ত ইউরোপ ও আমেরিকার কমিকস জাপানের বাজার ছেয়ে ফেলেছিলো। যেমন রাইউচি ইয়োকোইয়ামার ফুকু-চান (চান অর্থে ছোট্ট ছেলে। যেমন শিন-চান ) সুহিতো তাকাগাওয়ার নোয়াকুরো এমন একটি মাংগা। তবে বর্তমানে আমরা যেগুলি দেখে অভ্যস্ত, সেই তুলনায় এগুলোকে সঠিক মাংগা কোনোভাবেই বলা যাবে না।
এবার দেখতে দেখতে লেগে গেলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। জাপান তখন অক্ষশক্তিতে। জার্মানির মিত্র। তাই ফ্রান্স ও আমেরিকা তার শত্রু। ইউরোপীয় কমিকসের জাপানে আসা স্থগিত হলো। ফলে জাপানি শিল্পীরা সম্পূর্ণ নিজস্ব বা দেশীয় বিষয় নিয়ে প্রকাশ করতে থাকলেন মাংগা। সৈনিকরা পর্যন্ত সেগুলি পড়ে যুদ্ধের অবসরে একটু শান্তি পেতো। কয়েকপাতার এই মাংগাগুলিকে বলা হতো 'আকাবন' । সাদাকালো গল্প ফুটিয়ে তোলার সঙ্গে হাফটোন রঙ হিসাবে এখানে লাল রঙ ব্যবহার করা হতো বলে এগুলি 'লালবই' নামেও পরিচিত। পাড়ার মুদির দোকানেও মাত্র কয়েকপয়সায় পাওয়া যেত আকাবন। আর অর্থবানদের জন্য মাংগার মোটা বই 'টাংকোবন'। মাংগার বিখ্যাত শিল্পী তেতসুয়া চিবা অথবা ওসামু তেজুকা তো এইসমস্ত এঁকে চলেছেন, অপরদিকে জন্ম নিলো 'কামিসিবাই ট্র্যাডিশন' বা কাগুজে নাটক। কাগজে পুরো নাট্যকাহিনীটি এঁকে গোরুর গাড়িতে চলমান লাইব্রেরীতে ঘুরে ঘুরে শিশুদের দেখিয়ে রোজগার। দারিদ্র্যের চরম অবস্থার সম্মুখীন হ য়েও এই কামিসিবাই শিল্পটিকে যারা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তেমনই দুজন হলেন ইয়োসিহিরো তাৎসুমি ও সানপেই সিরাতো।
◆ প্রকারভেদ : সব 'মাংগা' এক নয়।
১৯৫০ -এর দশক থেকে মাংগা নিজেকে মেলে ধরতে থাকে পতুন রূপে। এসময়ে বিভিন্ন কমিকস একত্রিত করে ১০০-২০০ পাতার মোটা বইয়ের মতো টাংকোবন প্রকাশিত হতে থাকে। ১৯৭০ থেকে বিষয়বস্তুগত ভিন্নতায় মাংগা সমগ্র বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। জাপানি যুবকদের কথা মাথায় রেখে 'শোনেন'মাংগার জন্ম। কোনো একটি খেলার প্রতি নায়কের তীব্র প্যাশন, প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই, খেলার খুঁটিনাটি ও দুর্দান্ত অ্যাকশন হলো এর উপজীব্য। মেয়েদের জন্য প্রেম ও রোম্যান্স - কেন্দ্রিক 'সোজো মাংগা' (প্রিন্সেস নাইট বা রিবন নো কিসি প্রথম সোজো অ্যানিমে) লিঙ্গনির্বিশেষে কোডামো অ্যানিমে (হাসিখুশি, বুদ্ধির খেলা ও মিষ্টি বাচ্চাদের নিয়ে কাহিনি। যেমন শিন-চ্যান, ডোরেমন ইত্যাদি) এছাড়া প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য রয়েছে 'সিনেন মাংগা'।
সে যাই হোক, হারপার কলিন্স, ডিসি, ইয়েন প্রেস, হ্যাচেট, del dey ইত্যাদির কল্যাণে মাংগা এখন ইউরোপ আমেরিকার ঘরে ঘরে ঢুকে গেছে। আর ভারতবর্ষ তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গের বিষয়বস্তুকে ভিত্তি করে জাপানি আঁকার ধা ঁচে মাংগা প্রস্তুতিও হয়ে থাকে।
সাধে কী আর বলে, একমাত্র শিল্পই পারে মহামিলন সম্ভব করতে। অ্যানিমে ও মাংগার থেকে তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ আর কীই বা হতে পারে?
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।