এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • আমার বিদেশের এককভ্রমণ - পর্ব ১

    Kriti Alam লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৮ মার্চ ২০২৫ | ৮৪ বার পঠিত
  • গত ১২-ই জুন, ২০২৩ টেক্সাস এর গরম উপেক্ষা করে চললাম রাজধানি অস্টিন এর দিকে। ইচ্ছা ছিল চার দিন এর জন্য শহরটা ঘুরে দেখব আর নিজের জড়তা কাটাব। দুপুরবেলা তিনটে নাগাদ বাস এ বসে পরলাম (বাস সেই ঠিক দিঘার বড় VOLVO AC Bus এর মতো) ও চললাম গন্তবের উদ্দেশে। বাসে লাগল প্রাই ছয় ঘণ্টা। গিয়ে পরলাম সেই রাত নয়টা নাগাদ। সবই প্রায় অন্ধকারময় হয়ে থাকা অবস্থায় ক্যাব বুক করে চললাম আমার হোটেল এর পথে। ড্রাইভার ভদ্রলোক আবার খুব বেশি ইংরিজি বোঝেন না এবং কথা বলে বুঝলাম উনি স্প্যানিশভাষী। ওই ভাষায় আমার আবার দু-একটা শব্দের বেশী দৌর নেই। ঘরে পৌঁছে সেদিনের মতো উত্তর-দক্ষিন মিশ্রিত থালির অর্ধেক খেয়ে সেদিনের মতো দিনের ইতি দিলাম। শুয়ে শুয়ে হাল্কা ঘাবড়ানো শুরু করলাম এই ভেবে যে একা এরাম ভাবে কোথাও কিছু সেরাম না ভেবে বেড়িয়ে পড়িনি। কিন্তু সবকিছুরই প্রথমবার হয় ভেবে নিজেকে সান্ত্বনা দিয়ে ঘুমাতে গেলাম।

    পরের দিন সকালে অস্টিন এর সকাল দেখব ও মার্কিন জলখাবার করব। গুগল ম্যাপে গন্তব্য দেখাচ্ছে ৪৫ মিনিট। ভাবলাম ভালই হল হেঁটে রাস্তা দেখতে দেখতে যাই ভালই হবে। কিন্তু কোথায় কি, কিছু দূর চলার পর দেখলাম উষ্ণতা বেশ চরমে এবং তা আমার বর্তমান কর্মক্ষেত্রের চেয়ে বেশী। তাও কিছু লোকের সকালের জগিংগ করা দেখে আমিও ম্যাপ দেখে হাটা দিলাম। পথে অনেক লম্বা দূর্বাঘাস এর রাস্তা পেড়িয়ে এবং কিছু রাস্তা পরে কটা ফুড ট্রাক দেখে সেদিকে এগোলাম। মনে পড়ল কলকাতার রাস্তায় সকালের পেটাই-পরটা বা লুচি ঘুগ্নির দোকানগুলির কথা। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই যে যা মানুষের ভিড় তাতে সেরাম আর দাঁড়াতে ইচ্ছা করলো না এবং আরেক্টু এগিয়ে চললাম Austin Downtown (বলা যেতে পারে দার্জিলিং ম্যাল এর মতো যা আমেরিকার সব জায়গায় আছে)। Downtown এ মূলত সবই পাওয়া যায় তাই সেখান থেকে একটা ভ্রমন ভ্যানের গ্রুপ এর সাথে শহর ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল। সকালের প্রাতঃরাশে এখানকার pancake খেয়ে সম্পন্ন করে চললাম সেই ভ্যান এর কোম্পানির অফিসে। একজন হাফপ্যান্ট পড়া ভদ্রলোক (যার নাম পরে জানলাম Nick) অভ্যর্থনা জানাল । মোট আট জন লোক একটি ভ্যান এ বসে যাওয়া হবে এবং শহরের নানান দেখার জিনিসগুলো দেখানো হবে ও সাথে চলবে নিক এর কথোপকথন। আমি বেশ ওর পাশেই বসলাম আর ও বেশ সবাইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে জড়তা কমিয়ে শুরু করলো যাত্রা।

    প্রথমে অস্টিন এর ইতিহাস ও কিভাবে তার নাম City Of Waterloo থেকে অস্টিন রাখা হল। অস্টিন এর প্রতি রাস্তায় দেখা যাবে অনেক অঙ্কনচিত্র যা শহরের বিকাশ,সংগ্রাম ও তুলে ধরে ওখানকার শিল্পকলার এক বিশেষ দিকটাকে। অস্টিনের রাস্তাগুলির আলাদা গল্প আছে, কোনটার হাসির বা কনোটার কষ্টের। কিছু ভুতুড়ে গল্পের কথা ও শুনতে পেলাম ওখানকার কিছু রেস্তরাঁর। সব গল্পের মধ্যে শহরটিকে চিনতে রইলাম। তারপর যেই জায়গায় গেলাম সেটা হল টেক্সাস কাপিতল (Texas Capitol), যা হল টেক্সাস এর parliamentary office। কাপিতল এর সামনে দাঁড়িয়ে নিক বেশ অনেক কথা বলল এবং কিভাবে ওই বিল্ডিং দাঁড় করানো হল সেই বিষয় অনেক কথা শুনলাম। পড়ে সেখানে ঢুকে দেখলাম নানান মানুষের ছবি যারা টেক্সাসের উন্নয়নের কাজ করে এসেছেন বছরের পর বছর। সেখানের পর আমরা চললাম আরও কিছু মুরাল এবং কিছু বিশেষ ধরনের আকারে বানানো বাড়ি দেখলাম। অস্টিনে এসে এক বিখ্যাত মুরাল যা লোককে আপ্যায়ন এর জন্য তার সাথে ছবি তোলা ও বিদায়ের আগে মিষ্টিমুখের সাথে শেষ হল আমার অস্টিন যাত্রার প্রথম ভাগ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন