এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • আমার বিদেশের এককভ্রমণ -পর্ব ২ 

    Kriti Alam লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৩ মার্চ ২০২৫ | ৯৭ বার পঠিত
  • প্রথম পর্ব | দ্বিতীয় পর্ব
    আগের পর্বের লেখায় যাত্রার শুরুটি করেছিলাম, দেখলাম আপনারা অনেকেই বেশ ভালোবাসা দেখিয়েছেন। আপনাদের মতামত অত্যন্ত জরুরি ​​​​​​​তাই ​​​​​​​ওটি ​​​​​​​দিতে ​​​​​​​বাঁধ সাধবেন না। এবার তার পরের ভাগটি নিয়ে চলে এলাম।

    নিক এর সাথে ভ্যানভ্রমণে অনেক আজগুবি জিনিস দেখলাম। টেক্সাস কাপিতল বাদে আরও অনেক জায়গা দেখে তাক লেগে যাওয়ার মতো। নিক অন্তত কমপক্ষে ১২ বছর ধরে এই কাজ করে আসছে। কথাবার্তা থেকে আরও বুঝলাম যে ও আগে একজন standup comic হতে ছেয়েছিল যা তার কৌতুক চেতনা থেকে বেশ ভালই বোঝা যায়। ঘুরতে ঘুরতে নিক নিয়ে গেল দাউন্টাউন এর কিছু বিশেষদর্শন বাড়ির উদ্দেশ্যে। প্রথম যেই বাড়ির দিকে নজর পড়ল তা হল Octopus House। এই বাড়ির বিশেষ দ্রষ্টব্য হল তার অক্টোপাস এর মতো বড় একটা গম্বুজ, সাথে দেওালে লাগানো নানা ধরনের সামুদ্রিক জন্তুর মূর্তি। তারপর দেখলাম এক বিশাল বাড়ি যা জানতে পারলাম একজনের নিজের সংরক্ষিত চিড়িয়াখানা। তার সামনে আবার একটা বড় জিরাফ এর মূর্তি যা আবার জানতে পারলাম যে বিশেষ এক সময় তে সে আবার প্রস্রাব করে। সেই জলপ্রপাত দেখার সুবর্ণ সুযোগ সেদিন আর হয়নি। তারপর সেই রাস্তা ভ্রমণ শেষ করে নিক নিয়ে গেল একটা ক্যাফে তে এবং সেখানে সবাই কে একটা করে কুকি উপহার দিল। তারপর ভ্যান যাত্রা শেষ হল এবং নিক সকল কে বিদায় জানানো স্বরূপ সবাইকে একটা করে কার্ড দিল এবং কিছু কথা বলে শেষ করল এই অস্টিন শহর এর ভ্রমণ।

    এবার আমি দেখলাম যে সময় সবে দুপুর ১২ টা অ ভাবলাম যে আরও কিছু দেখার আছে কিনা। গেলাম আবার সেই ভিসিটর সেন্টার এ এবং সেখানে জিজ্ঞাসা করলাম যে আরও কিছু দ্রষ্টব্য আছে কিনা। সেখানে জানতে পারলাম কিছু মিউজিয়াম এর কথা। একটি প্রকৃতির মাঝে এক পার্ক যার নাম Zilker Botanical Garden। ভাবলাম এই ছ্যাকান্ত গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে যাই একটু গাছের ছায়ার মাঝে। বুক করলাম ক্যাব আর চললাম সেই পার্ক এর পথে। যেখানে গিয়ে পড়লাম বেশ সুন্দর একটি জায়গায়। চারিদিকে বেশ সুন্দর সবুজ গাছ ও হাল্কা রোদ-ছায়ার মাঝে এক সুন্দর ছোট এক উদ্যান। গেট এ এন্ট্রি ফি দিয়ে পার্ক এর দিকে অগ্রসর হলাম, সাথে এদিক ওদিকের ছবি দিতে থাকলাম Instagram এ। পার্ক এর সবুজ সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে দীঘার অমরাবতী পার্ক এর কথা মনে পড়ল। তারপর আরেকটা জিনিস মাথায় আসতে ছিন্তায় পড়লাম যে ফোনে পর্যাপ্ত ডাটা আছে কিনা। সেটা ভুলে আরেকটু ঘুরে ও নানা ধরনের গাছ ও একটি ছোট্ট জলপ্রপাত দেখলাম যা কিছু ছোট পাথর এর মাঝ দিয়ে জিরি জিরি বয়ে চলেছে। বেশ সুন্দর মনোরম দৃশ্য। বেশ বহির্ভূত হয়ে দেখলাম রাজধানির মর্মস্থলে এই নিবিড় শান্ত উদ্যানবাটী। এই কঠোর গরমের শহরের মাঝে এক শীতল জায়গা যা সত্যি খুব মনোরম। এবার এক চক্কর দিয়ে গেলাম সেখানে ছোট্ট একটা আধুনিক কুটির এ যেখানে জল বা ছোট ছোট নানা ধরনের উপহার।

    এইবার সেই ভাবনাটা আবার এলো যে ফোনে পর্যাপ্ত ডাটা আছে কিনা, তার কারন আস্তে আস্তে দেখি যে নেট এর গতি কমে আসছে। তাছাড়া সকাল থেকেই জিনিসটার উপর অনেক অত্যাচার চলছে। কম্পানির অ্যাপ খুলে দেখলাম যা ভেবেছিলাম তাই, ডাটা একদম শূন্য হয়ে আছে। হাল্কা ঘাম মাথা হয়ে পিঠ বয়ে গেলো। এবার ভাবনা হল বাড়ি যাব কিভাবে। ভাগ্যক্রমে সেখানে ওয়াইফাই ছিল ও সেখান থেকে একটা ক্যাব আমার হোটেল উদ্দেশ্যে বুক করতে পারলাম। আমার খামখেয়ালিপনা কে কুর্নিশ জানালাম, ভাবলাম একবারও এর আগে কেন দেখে নিলাম না। আক্ষেপ টা এখানে যে আরও কিছু জায়গা ঘোরার ছিল কিন্তু সেটা আর হল না।

    অনেকেই বলবেন যে ডাটা ভরে নিলেই হয় ও আমি তাই করলাম কিন্তু কোন কারণবশতঃ আমার ডাটা ভরা হচ্ছে না। যাই হোক ক্যাব নিয়ে হোটেল এর দিকে যাত্রা করলাম, ভাবলাম যে ডাটা না থাকলে পরের দিন কিভাবে চলবে সেটা নিয়ে। ভাবনা নিয়ে হোটেল এ ফিরে এলাম। এক তো গরম তার উপর এই ভাবনা নিয়ে হাত মুখ ধুয়ে শীতল এসির হাওয়ায় মাথা ঠাণ্ডা করলাম। পেটের ডাক সারলাম সেই আগের দিন এর দক্ষিণ ভারতীয় থালির বাকিটা দিয়ে। খেয়ে দেয়ে আবার ডেটা ভরায় মন দিলাম। মনে আল্লাহ্‌র নাম স্মরণ করে ফোন রিস্টার্ট করতে দেখলাম সফল হয়েছি। এবার মাথা আরেকটু ঠাণ্ডা হতে কি কি ছবি তুললাম সেগুলির দিকে মন দিয়ে দেখলাম। একটু আক্ষেপ হল যে ডেটার বিষয়টা আগে দেখলে আরও ঘোরা যেত,কিন্তু বাইরের গরম কে দেখে মনের সান্ত্বনা দিয়ে একটু ভাতঘুম দিলাম।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    প্রথম পর্ব | দ্বিতীয় পর্ব
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন