এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হৃদয়ঘটিত জোরাজুরি ও ছোরাছুরি

    Suvasri Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৮ আগস্ট ২০২৪ | ৪০৮ বার পঠিত
  • সম্প্রতি বর্ধমানে এক আদিবাসী তরুণীকে খুন করা হয়েছে। খুনের কারণ যত দূর জানা যাচ্ছে, প্রাক্তন প্রেমিকের প্রতিহিংসা। তরুণী সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন যা তাঁর প্রেমিকের গোঁসার কারণ। সেই গোঁসা বাড়তে বাড়তে এমন জায়গায় পৌঁছে গেল যে তিনি প্রাক্তনকে খুন করে দিলেন। এই ঘটনা আমাদের পশ্চিমবঙ্গের তবে এমন অপরাধ এ দেশের গ্রাম, মফস্বল, বড় বড় শহর থেকে প্রায়ই কাগজের শিরোনাম হয়।
     
    ব্যাপার হ'ল- প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক ভেঙে যে কেউ বেরিয়ে আসতেই পারে। প্রেমিক বা প্রেমিকা যেই এমন সিদ্ধান্ত নিক না কেন, সেটা তার ব্যক্তিস্বাধীনতা। এক সময় প্রেম ছিল বলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে সেই সম্পর্কে থেকে যেতে হ'বে নাকি? মনে রাখতে হবে, সম্পর্কের বিন্যাস যেমনই হো'ক না কেন, কেউ কারুর সম্পত্তি নয়। প্রেমিক প্রেমিকাও পরস্পরের ভালোবাসার মানুষ, সম্পত্তি নয়। তার ওপর কারুর প্রতি ভালোবাসা শেষ হয়ে যাওয়ার পর ভন্ডামি করে সেই সম্পর্কের মধ্যে থেকে যাওয়ার ভেতরে সততা বলে কিছু নেই। লোকদেখানো প্রেম পরস্পরকে কতটা মাধুর্য উপহার দিতে পারে? লোকের কথাকে কিসের ভয়? প্রেম ভেঙে গেল আশেপাশে এক দিন কী দু' দিন কথা হবে। তারপর ফিসফিস থেমে যাবে। কিন্তু প্রকৃত ভালোবাসাহীন, পারস্পরিক আকর্ষণের জাদু বিহীন সম্পর্ক আমৃত্যু টিকিয়ে রাখলে জুটির দু'জনেরই সারা জীবন মানসিক কষ্ট পাওয়া অবধারিত। 

    ভালোবাসার সম্পর্কে ঢোকার ইচ্ছা স্বতঃস্ফূর্ত। জোরজবরদস্তি করে ভালোবাসার সম্পর্কের ভিত গড়া যায় না। সম্পর্কের সূচনায় স্বতঃস্ফূর্ততা... সেটাকে আমরা সম্মান জানাতে পারি অথচ সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসার স্বতঃস্ফূর্ত সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারি না। ঘ্যানঘ্যান করি, ভয় দেখানোও হয়, তারপর আমাদেরই মধ্যে কেউ কেউ হাতে হাতিয়ার তুলে নেন যা সমস্ত কিছুকে শেষ করে দেয়। লক্ষ্যনীয় বেশিরভাগ সময় মেয়েরাই এই ধরণের প্রেম-খুনীদের শিকার হ'ন। সমাজের সহানুভূতিও ছেলেদের প্রতিই। ব্যতিক্রমী মানসিকতার লোকজন বেশি দেখিনি।  

    বাস্তবটা হ'ল - সে এখন প্রাক্তন, আর আমার কাছে ফিরবে না। এ কথা মেনে না নিয়ে উপায় নেই। যত দুঃখই হো'ক না কেন, মেনে নিতে হ'বে। গনগনে বাস্তবকে মেনে নেওয়া জীবনের অন্য নাম। কারুর প্রাণ কেড়ে নেওয়া কোনো সমাধান নয়। বহু শতক আগে মধ্যযুগে যা চলত, এখনো সেটাই চলবে কেন? কেন আমরা মানবীকে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গণ্য না করে মানবের ছায়া বলে ধরে নেব আজও, এই আধুনিক যুগেও? আসলে আমরা প্রযুক্তিতেই আধুনিক হয়েছি, ভেতরে ভেতরে বেশিরভাগ মানুষই এখনো সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতা থেকে বেরোতে পারেননি। 

    শহর অথবা গ্রাম, অল্পশিক্ষিত, বেশি শিক্ষিত এমন কী তথাকথিত প্রগতিশীল মানুষের অধিকাংশই এখনো মেয়েদের এগিয়ে যাওয়াকে বাড়াবাড়ি বলে মনে করেন। অথচ এঁরাই ছেলেদের ভুল-ঠিক সমস্ত পদক্ষেপকে সঠিক বলে মনে করেন। তাঁদের মতে, মেয়েদের মুখ থেকে "না" মানে ঔদ্ধত্য অথচ পুরুষদের যে কোনো বিষয়ে "না" বলার অধিকার সহজাত। কারণ সেই এক, মেয়েমানুষ পুরুষমানুষের চেয়ে নিকৃষ্ট প্রাণী..এমন ধারণা তাঁদের মননের এত গভীরে ছড়ানো যে শেকড়শুদ্ধু উপড়ে ফেলা অসম্ভব। হয়তো আরো অনেক, অনেক, অনেক দিন পরে উপড়ে ফেলা সম্ভব হ'বে। সমাজ সেই স্তরে পৌঁছনোর আগে অবধি অনেক মেয়েকে নিশ্চিত কঠিন মূল্য দিতে হ'বে। 

    এই রকম মানসিকতার দেশে মানুষের বিশেষত মেয়েদের Free Spiritকে সম্মান জানানো হয় না। মেয়ে হয়ে জন্মেছিস, এই সে দিন অবধি ঘরে বন্দী ছিলি, রান্না করা, সন্তান প্রসব আর কপালে জুটলে কোনো মতে ফেলাছড়ায় পাওয়া অল্প একটু অক্ষরজ্ঞান তোদের সম্বল ছিল। ক্রমে ক্রমে বাধা সরিয়ে সরিয়ে অনেক অনেক যুক্তিহীন সমালোচনা অগ্রাহ্য করে আজ না হয় তোরা লেখাপড়া শিখছিস, অনেক কিছু হচ্ছিস, আরো অনেক কিছু হওয়ার স্বপ্নও দেখছিস, আরো অনেক পথ হাঁটার স্বপ্নও দেখছিস; তাই বলে তোদের Free Spirit? স্বাধীন চেতনা তো শুধু আমাদের মানে পুরুষদেরই একচেটিয়া এবং চিরকাল তাই থাকবে। 

    এই নিয়ে এস তো রামদা, ছুরিছোরা যে যা পার! মেয়ে জাতটার স্বাধীনচেতনার ওপরেই কোপ বসিয়ে দিই।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Suvasri Roy | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১১:৫৩536547
  • এই লেখাটি আমি দেখতে পাচ্ছি না। বাকিরা দেখতে পাচ্ছেন কিনা জানান প্লিজ!
  • Suvasri Roy | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১৩:১১536561
  • গুরুচন্ডালী কর্তৃপক্ষ
    অনুগ্রহ করে একটু দেখবেন কেন এই লেখাটি দেখা যাচ্ছে না?
    উত্তরের অপেক্ষায় থাকলাম।
  • lcm | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১৩:১৪536562
  • লেখার মধ্যে যদি কোনো ইমোটিকন, ইমেজ আইকন (হাসির ছবির আইকন বা ঐ জাতীয় কিছু থাকে) তাহলে নাও আসতে পারে। আপনি লেখাটি আবার এডিট করে লিখতে পারেন।
  • Suvasri Roy | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১৩:১৬536563
  • এইটা একবার মনে হয়েছিল বটে তবে গুরুত্ব দিইনি। পরামর্শ দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ৷ 
  • Suvasri Roy | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১৩:২১536564
  • @lcm
    অফুরন্ত ধন্যবাদ। অাপনার পরামর্শ শুনে এডিট করলাম। এবার আমি দেখতে পাচ্ছি। অন্যরাও প্লিজ একটু জানান, দেখতে পাচ্ছেন কিনা। 
  • Suvasri Roy | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১৩:২৪536565
  • @পাপাঙ্গুল
    অনুগ্রহ করে জানান এখন দেখা যাচ্ছে কিনা৷ 
  • Suvasri Roy | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১৩:৩০536567
  • @পাপাঙ্গুল
    ধন্যবাদ। 
  • চিত্তরঞ্জন হীরা। | 2409:4088:9e14:365:45b7:2e13:5633:***:*** | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১৪:২৯536568
  • একটি গুরুত্বপূর্ণ লেখা। ভালো লেগেছে।
  • শমীক | 2409:40e0:1a:50cf:8000::***:*** | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১৪:৪৭536569
  • অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। বিশেষ করে রাজ্যে এখন মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে যে রকম আন্দোলন চলছে তার পাশাপাশি এই বিষয়টিও খুব গুরুত্ব নিয়ে দেখা দরকার। ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় ঘটনা যায় হোক মেয়েরাই ক্ষতির সামনে পড়েন। আপনি একেবারে যথাযথ ভাবে এর নেপথ্যের মানসিকতা ব্যাখ্যা করেছেন। আমরা সচেতন না হলে এরকম ঘটনা চলতেই থাকবে। এ রকম আরো লেখা চাই।
  • Suvasri Roy | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ২১:৫১536586
  • @ চিত্তরঞ্জন হীরা
    @শমীক
    পাঠপ্রতিক্রিয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। অফুরন্ত শুভেচ্ছা রইল। 
     
  • Suvasri Roy | ২০ আগস্ট ২০২৪ ০৬:০৩536671
  • @পাপাঙ্গুল
    অনুগ্রহ করে মতামত জানাবেন।
  • Subhas Ghosal | 2405:201:403a:4041:fd74:27a3:1311:***:*** | ২৬ আগস্ট ২০২৪ ০০:৫৫536848
  • এটা শুধুই পশ্চিমবঙ্গের সমস্যা নয়  , সারা পৃথিবী তেই ঘটে চলেছে , ঘটবেও ভবিষ্যতে. সমাজ এবং মানুষের চিন্তা ভাবনার আমূল পরিবর্তন দরক্কার .
     
    ভালো লাগলো বিষয় চয়ন। 
  • Suvasri Roy | ২৬ আগস্ট ২০২৪ ০৬:৩২536859
  • @Subhas Ghosal
    পাঠপ্রতিক্রিয়া পেয়ে ঋদ্ধ হ'লাম। নিঃসন্দেহে এই সমস্যা চিরকালীন ও সমগ্র বিশ্বের। Rejection বিষয়টাকে ব্যক্তি কিভাবে নেবে সেটার ওপর তার নিজের ভবিষ্যৎ জীবন নির্ভর করে। একে তো ভালোবাসা সব সময় দোতরফা হয় না ৷ দ্বিতীয়ত একটা সম্পর্ক বেশ কিছু দিন চলার পর কেউ বেরিয়ে আসতে চাইলে, তার সিদ্ধান্তকে অপরপক্ষের মেনে নেওয়া উচিত। কিন্তু অনেক সময় জোরজবরদস্তি এমন কী হিংসারও প্রয়োগ করা হচ্ছে। অথচ ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখলেই বোঝা যায়- এভাবে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায় না। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন