এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  স্বাস্থ্য

  • “অন্ধ বিশ্বাসের উপনিবেশ” – কয়েকটি পর্যবেক্ষণ

    ডঃ জয়ন্ত ভট্টাচার্য
    আলোচনা | স্বাস্থ্য | ১৯ জুলাই ২০২২ | ১১১০৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৪ জন)
  • জুলাই মাসের ১৬ তারিখে (২০২২) একটি বহুল প্রচারিত বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে “অন্ধ বিশ্বাসের উপনিবেশ” (লেখক স্থবির দাশগুপ্ত) শীর্ষক উত্তর-সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে। প্রবন্ধটিতে কর্পোরেট মিথ্যাচার ও দুর্নীতি, কোভিড টিকার মাঝে লুকিয়ে থাকা “নির্মিত অন্ধ বিশ্বাস”, কর্পোরেট পুঁজি কিভাবে ডাক্তার-বিজ্ঞানী-সাধারণ মানুষ নির্বিশেষে (সম্ভবত জনস্বাস্থ্য কর্মীদের এ তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে) সবার ক্ষেত্রে মানসিক উপনিবেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয় এবং এরা কর্পোরেটদের তৈরি করা তথ্যের নির্বিচার ব্যবহার করে এক ধরণের মানসিক দাসত্বের শিকার হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা কিভাবে কর্পোরেটদের হাতের ক্রীড়নক হয়ে ওঠে এবং, সর্বোপরি, রাষ্ট্রের তরফে কোনভাবেই “লোকস্বাস্থ্যের নীতিমালা, নৈতিকতা ও ন্যায্যতা রক্ষা করা অসম্ভব” বলে “প্রস্তাবিত চুক্তি ও প্রকল্পগুলোর বিরুদ্ধে স্রেফ ‘না’ বলা ছাড়া” আর কোন রাস্তা আমাদের সামনে নেই – এরকম পরস্পর-সংযুক্ত বিভিন্ন ধর্মী বিষয়কে স্বল্প পরিসরে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাওয়া হয়েছে।

    জুলাই মাসের ১৬ তারিখে (২০২২) একটি বহুল প্রচারিত বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে “অন্ধ বিশ্বাসের উপনিবেশ” (লেখক স্থবির দাশগুপ্ত) শীর্ষক উত্তর-সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে। প্রবন্ধটিতে কর্পোরেট মিথ্যাচার ও দুর্নীতি, কোভিড টিকার মাঝে লুকিয়ে থাকা “নির্মিত অন্ধ বিশ্বাস”, কর্পোরেট পুঁজি কিভাবে ডাক্তার-বিজ্ঞানী-সাধারণ মানুষ নির্বিশেষে (সম্ভবত জনস্বাস্থ্য কর্মীদের এ তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে) সবার ক্ষেত্রে মানসিক উপনিবেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয় এবং এরা কর্পোরেটদের তৈরি করা তথ্যের নির্বিচার ব্যবহার করে এক ধরণের মানসিক দাসত্বের শিকার হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা কিভাবে কর্পোরেটদের হাতের ক্রীড়নক হয়ে ওঠে এবং, সর্বোপরি, রাষ্ট্রের তরফে কোনভাবেই “লোকস্বাস্থ্যের নীতিমালা, নৈতিকতা ও ন্যায্যতা রক্ষা করা অসম্ভব” বলে “প্রস্তাবিত চুক্তি ও প্রকল্পগুলোর বিরুদ্ধে স্রেফ ‘না’ বলা ছাড়া” আর কোন রাস্তা আমাদের সামনে নেই – এরকম পরস্পর-সংযুক্ত বিভিন্ন ধর্মী বিষয়কে স্বল্প পরিসরে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাওয়া হয়েছে।

    লেখাটির মাঝে কিছু সত্য আছে। আবার সত্যকে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে লেখকের নিজের মর্জিমাফিক বিজ্ঞান ও জনস্বাস্থ্যের ব্যাপারে অনেক কিছুই বলা হয়নি, দুয়েকটি বিষয় এবং প্রধানত ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালের অ্যাসোসিয়েট এডিটর (“বরিষ্ঠ সম্পাদক” নন, সত্যের খাতিরে বললে) পিটার দোশীর একটি বা দুটি প্রবন্ধকে হাতিয়ার করা হয়েছে। এর বাইরে অসংখ্য গবেষণাপত্র আছে ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল, ল্যান্সেট, নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন-এর মতো আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মান্য জার্নালগুলোতে। এবং এ জার্নালগুলো কর্পোরেটদের টাকায় নিয়ন্ত্রিত হয়না। এসব জার্নালে স্বাধীন গবেষণাপত্র ছাপা কর্পোরেট ফান্ডিংয়ের বদান্যতা ছাড়া। যদি বিজ্ঞানের এই স্বাধীন পরিসর না থাকে তাহলে বলা ভালো – প্রপঞ্চময় এ কর্পোরেট বিশ্বে কেউ স্বাধীন নয়। স্বাধীন হওয়া সম্ভবও নয়, “জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া” ফুটিয়ে না দিলে।

    এখানে একবার স্মরণ করে নেওয়া ভালো – যখন বিভিন্ন রকম সাক্ষ্যপ্রমাণ, উপাত্ত বা সম্ভাবনা থেকে শুধুমাত্র নিজের অনুকূলে বা পক্ষে যায় এরকম উপাত্ত, প্রমাণ বা সম্ভাবনাকেই বাছাই বা নির্বাচন করা হয় তখন যে হেত্বাভাস বা অনুপপত্তি (অর্থাৎ ভ্রান্ত যুক্তি) সংঘটিত হয়, তাকে যুক্তিবিদ্যায় পক্ষপাতদুষ্ট বাছাই বা ইংরেজি ভাষায় চেরি পিকিং (Cherry picking) বলা হয়। পক্ষপাতদুষ্ট বাছাই ইচ্ছাকৃতভাবে বা অজান্তেই হতে পারে। তবে জনবিতর্কে এই ভ্রান্তি একটি বড় সমস্যা।

    আমি শুরু করি আলোচিত প্রবন্ধের প্রধান বা একমাত্র হাতিয়ার পিটার দোশীদের প্রবন্ধটি দিয়ে – “Covid-19 vaccines and treatments: we must have raw data, now - Data should be fully and immediately available for public scrutiny”। প্রবন্ধটি ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে ১৯ জানুয়ারি, ২০২২-এ প্রকাশিত হয়েছিল। প্রবন্ধের সহ-লেখক ছিলেন আরও ২ জন – ফিওনা গডলি এবং কামরান আব্বাসি, কেবলমাত্র পিটার দোশী নয়।

    স্থবির দাশগুপ্তের প্রবন্ধে ব্যবহৃত সমস্ত তথ্যই আহরিত হয়েছে এই একটি প্রবন্ধ থেকে, এর অতিরিক্ত কোন প্রবন্ধ থেকে নয়। এমনকি ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালের (এখন থেকে বিএমজে) পূর্বোদ্ধৃত প্রবন্ধে ব্যবহৃত শব্দবন্ধও ব্যবহার করা হয়েছে দাশগুপ্তের আলোচিত প্রবন্ধে। দোশীর প্রবন্ধে বলা হয়েছিল “মেমরিজ আর শর্ট”। দাশগুপ্তের প্রবন্ধে এর বাংলা করে বলা হল – “কিন্তু লোকস্মৃতি ক্ষণস্থায়ী”। বিএমজের প্রবন্ধে বলা হয়েছিল – “Pharmaceutical companies are reaping vast profits without adequate independent scrutiny of their scientific claims. The purpose of regulators is not to dance to the tune of rich global corporations and enrich them further; it is to protect the health of their populations. We need complete data transparency for all studies, we need it in the public interest, and we need it now.” এ কথাগুলো ভিন্ন স্বরে এবং বিশেষ আঙ্গিকে বঙ্গীকরণ হয়েছে দাশগুপ্তের প্রবন্ধে।

    ১৯ জানুয়ারি, ২০২২-এ বিএমজে-তে দোশীদের প্রবন্ধটি প্রকাশের পরে ২৪ জানুয়ারি একটি সংশোধনী প্রকাশিত হয়। এখানে বলা হয় – “This editorial by Peter Doshi and colleagues (BMJ 2022;376:o102, doi:) originally stated that the Medicines and Healthcare Products Regulatory Agency (MHRA) has “stopped posting information released in response to freedom of information requests on its website.” The online version has been corrected to say that MHRA’s posting is delayed, not stopped completely. MHRA posted no additional freedom of information requests on its website between 14 August and 28 December 2021. Since 29 December, however, it has posted a selection of materials for responses from July to September.” অর্থাৎ, প্রবন্ধটির একটি ছোট সংশোধনী প্রকাশের প্রয়োজন পড়লো।
    বিজ্ঞানে এরকম ঘটাই তো স্বাভাবিক। কোন একজন মানুষ বা সংস্থা কিংবা জার্নাল বা গোষ্ঠীর কাছে একমাত্র সত্যের কোন লুকনো হীরক খনি নেই। এখানে কোন তত্ত্ব বা ধারণা বা পরীক্ষালব্ধ ফলাফল পেশ করা হয়। আন্তর্জাতিক মহলে বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা এ নিয়ে চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ করেন। পরিণতিতে, গৃহীত হয় কিংবা পরিবর্তিত বা বাতিল হয়। এভাবেই বিজ্ঞান এগোয়।

    পিটার দোশীর আরেকটি প্রবন্ধের যৌক্তিক এবং বৈজ্ঞানিক ভিত্তিকে প্রশ্ন করে বিএমজে-তে অন্য একটি প্রি-প্রিন্ট প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল “Comment on the BMJ opinion of the associate editor Peter Doshi about “Pfizer and Moderna’s 95% effective vaccines—we need more details and the raw data” শিরোনামে ফেব্রুয়ারি, ২০২২-এ। লেখকেরা হলেন ভিয়েনা ইউনভার্সিটির পদার্থবিদ্যার দু’জন অধ্যাপক - Dieter Suess এবং Florian Slanovc। আরেকজন ছিলেন Sabrina Dorn, যাঁর অ্যাকাডেমিক পরিচয় দেওয়া হয়নি। তাঁদের প্রবন্ধের সিদ্ধান্ত ছিল – “In summary, we conclude that Peter Doshi’s claim contradicts any reasonable assumption about the false negative rate of the used PCR tests. Furthermore, his argument that false negative tests due to an increase in the false negative rate decrease the reported efficacy of the phase III study, does not hold in principle if in both groups the PCR tests show the same false negative rate.”

    দাশগুপ্তের প্রবন্ধে অন্তর্লীনভাবে রয়েছে, কোভিড টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন – কারণ সমস্ত ট্রায়াল কর্পোরেটদের নিয়ন্ত্রিত, তাদের তৈরি ভূতুরে লেখকেরা (ghost writers) এসব গবেষণাপত্র লেখে এবং বিভিন্ন বিখ্যাত, প্রথমসারির জার্নালে প্রকাশিত হয়। আর আমাদের মতো চিকিৎসক-বিজ্ঞানী-সাধারণ মানুষের দঙ্গল মানসিক উপনিবেশের প্রভাবে চোখ বন্ধ করে এগুলোকে গিলে নিই।

    বিএমজে-তেই ২৭ এপ্রিল, ২০২২-এ প্রকাশিত হয়েছিল “Public health impact of covid-19 vaccines in the United States: observational study” শীর্ষক গবেষণাপত্র। ৭ পৃষ্ঠার এই গবেষণাপত্রে বলা হয় – “In addition to individual level benefits, we observed that vaccines protect communities against severe disease and infection. Higher coverage of vaccines seemed to confer greater levels of community benefits ... Vaccines should be deployed strategically with public health and social measures based on ongoing levels of transmission.” সহজ কথা হল, ভ্যাক্সিন তৈরির নেপথ্যে পূতিগন্ধম, কদর্য কার্যকলাপকে মনে রেখেও টিকার কার্যকারিতা নিয়ে কথা বলা যায় ৩টি স্তরে – ব্যক্তির উপকার, কমিউনিটির উপকার এবং পাবলিক বা জনস্বাস্থ্যের উপকার।

    এর আগে বিএমজে-তে (১৭ মার্চ, ২০২১) প্রকাশিত হয়েছিল “Vaccinating the world against COVID-19: getting the delivery right is the greatest challenge” শিরোনামের প্রবন্ধ। এতে খুব স্পষ্ট ভাষায় বলা হল – “Protecting the global community from the COVID-19 pandemic is not ‘rocket science’, it is much harder than that. Timely delivering the COVID-19 vaccine to the global population will require a strategic all-of-government approach, and an unprecedented all-of-society approach that spans government and the private sector, crossing entrenched economic divisions between
    the Global North and South, as well as burgeoning antiscientific movements that threaten to scuttle dramatic advances before they can even be brought to market.”

    ল্যান্সেট-এ (১৩ জুলাই, ২০২২) প্রকাশিত হয়েছে সুদীর্ঘ গবেষণাপত্র “Effectiveness of a fourth dose of mRNA COVID-19 vaccine against all-cause mortality in long-term care facility residents and in the oldest old: A nationwide, retrospective cohort study in Sweden”। গবেষকদের কোন কর্পোরেট সংস্থা বা অন্য কেউ ফান্ডিং করেনি। এখানে বলা হল – “These findings suggest that a fourth dose may prevent premature mortality in the oldest and frailest even after the emergence of the Omicron variant, although the timing of vaccination seems to be important with respect to the slight waning observed after two months.”

    ল্যান্সেটে (২৩ জুন, ২০২২) প্রকাশিত হয়েছিল – “Global impact of the first year of COVID-19 vaccination: a mathematical modelling study” শিরোনামে গবেষণাপত্র। গবেষকদের ফান্ডিং এসেছিল Schmidt Science Fellowship in partnership with the Rhodes Trust; WHO; UK Medical Research Council; Gavi, the Vaccine Alliance; Bill & Melinda Gates Foundation; National Institute for Health Research; and Community Jameel প্রভৃতি জায়গা থেকে। এই ফান্ডিংয়ের উৎসকে কর্পোরেট ফান্ডিং বলা শক্ত। এখানে বলা হয় – “COVID-19 vaccination has substantially altered the course of the pandemic, saving tens of millions of lives globally. However, inadequate access to vaccines in low-income countries has limited the impact in these settings, reinforcing the need for global vaccine equity and coverage.”

    ১৫ জুলাই, ২০২২-এ ল্যান্সেট-এ প্রকাশিত হয়েছে “ Vaccine effectiveness of one, two, and three doses of BNT162b2 and CoronaVac against COVID-19 in Hong Kong: a population-based observational study”। এদের ফান্ডিংয়ের উৎস হল "কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন ইভাল্যুয়েশন প্রোগ্রাম" এবং "চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর জোগানো অর্থ – কর্পোরেট পুঁজি নয়। প্রবন্ধের সিদ্ধান্ত – “Third doses of either BNT162b2 or CoronaVac provide substantial additional protection against severe COVID-19 and should be prioritised, particularly in older adults older than 60 years and others in high-risk populations who received CoronaVac primary schedules. Longer follow-up is needed to assess duration of protection across different vaccine platforms and schedules.”
    মোদ্দা কথা হল যে প্রায়-ব্যতিক্রমহীনভাবে এবং কর্পোরেট প্রভাব ছাড়াও কোভিড ভ্যাক্সিন নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অতি বৃহৎ ট্রায়ালগুলো হচ্ছে এবং ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে।

    ১৫ জুলাই, ২০২১-এ নেচার-এ প্রকাশিত হয়েছিল “A long-term perspective on immunity to COVID”। এটি নেচারের আমন্ত্রিত গবেষণাপত্র ছিল। স্বাভাবিকভাবেই কোন ফান্ডিংয়ের প্রসঙ্গ আসেনি। এই স্টাডিতে বলা হয়েছিল – “In evaluating vaccine efficacy, we should not expect the high antibody concentrations characteristic of acute immune reactions to be maintained in the memory phase. It is an old misconception”।
    ক্লিনিকাল এথিক্স জার্নালে (মার্চ, ২০২২) প্রকাশিত হয়েছে (কোন ফান্ডিং ব্যতিরেকে) “How to continue COVID-19 vaccine clinical trials? The ethics of vaccine research in a time of pandemic”। গবেষণাপত্রে সিদ্ধান্ত হিসেবে জানানো হল – “given that currently approved vaccines are clearly more effective than placebo in at least preventing the occurrence of symptomatic COVID-19, we argue that they should be used as controls in future studies, unless there are “compelling scientific reasons to use placebo” which should be clearly identified and documented.”

    কোভিডকালে জনস্বাস্থ্য এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা



    নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন-এ (আগস্ট ৫, ২০২১) হার্ভার্ড T.H. Chan School of Public Health, Boston-এর তরফে প্রকাশিত প্রবন্ধটি ছিল “Fundamentals of Public Health — A New Perspective Series”। এ প্রবন্ধে বলা হয়েছিল – “The Covid-19 pandemic has awakened many physicians to the value of viewing wellness and disease through the lens of public health as well as that of clinical medicine ... a well-structured and adequately financed public health system would benefit all subpopulations — including children, among whom disparities in prevention and care have profound, life-long effects”। এখানেও কোন কর্পোরেট বদান্যতা ছিলনা।

    আমরা করোনা অতিমারির মৃত্যু মিছিলের সময়ে এবোলার সময়টিকে একবার স্মরণ করি। আইএমএফ এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের চাপে ১৯৯০-এর দশক থেকে শুরু হয় “স্ট্রাকচারাল অ্যাডজাস্টমেন্ট প্রোগ্রাম”। এর ফলে হাই-টেক যন্ত্রপাতি কেনা শুরু হয়৷ প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা একেবারে ভেঙ্গে যায়। যখন এবোলা শুরু হয়েছিল তখন স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে সামান্য গ্লাভস বা মাস্কও ছিলনা।

    কেনেথ শেরিল এবং ক্যারোলাইন সমারভিল তাঁদের “AIDS, Ebola, and Politics” প্রবন্ধে (আমেরিকান পলিটিক্যাল সায়ান্স-এর মুখপত্র পলিটিক্যাল সায়ান্স-এর ২০১৫ সালের জানুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত) বলেছিলেন যে সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়াতে গৃহযুদ্ধের ফলে এবোলা মারাত্মক চেহারা নেয় এবং এই গৃহযুদ্ধের প্রধান কারণ ছিল – “দুর্নীতি এবং কর্তৃত্ববাদী শাসন এবং তদুপরি ঠাণ্ডা যুদ্ধের পরিসমাপ্তিতে পশ্চিমী বিদেশী সাহায্য হারানো” এবং “আইএমএফ-এর তরফে স্ট্রাকচারাল অ্যাডজাস্টমেন্ট পলিসিসমূহকে চাপিয়ে দেওয়া।”
    এর ফলশ্রুতিতে কয়েক হাজার মানুষ এবোলায় অসহায়ভাবে মারা গেছে। মধ্যপ্রাচ্যে তেলের দখল নেবার জন্য আমেরিকা যুদ্ধের জন্য ব্যয় করেছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ম্যালেরিয়া নির্মূল প্রোগ্রামের জন্য বরাদ্দ ১০০ মিলিয়ন ডলার। আর এখন তো আমেরিকা চিনের সাথে “সখ্যের” অজুহাতে খোদ WHO ছেড়েই বেরিয়ে গেছে। যদিও সাম্প্রতিককালে আবার যোগ দিয়েছে।

    ১২ ডিসেম্বর, ১৯৯১, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ লরেন্স সামার্স একটি গোপন নোট তৈরি করে সহকর্মীদের মধ্যে বিলি করেন, মতামত চান। ১৯৯২-এর ফেব্রুয়ারি মাসে বিখ্যাত পত্রিকা The Economist নোটটি প্রকাশ করে দেয় “Let Them Eat Pollution (ওদেরকে দূষণ খেতে দাও)” শিরোনামে। নোটটির মোদ্দা কথা ছিল, ধনী বিশ্বের সমস্ত প্রাণঘাতী, দূষিত আবর্জনা আফ্রিকা বা কম উন্নত দেশগুলো তথা LDC (Less Developed Countries)-তে পাচার করতে হবে। এজন্য একটি স্বাস্থ্যের যুক্তিও দিয়েছিলেন সামার্স। তাঁর বক্তব্য ছিল আমেরিকার মতো দেশে ১,০০,০০০ জনে ১ জনেরও যদি দূষিত বর্জ্যের জন্য প্রোস্টেট ক্যান্সার হয় তাহলেও এর গুরুত্ব আফ্রিকার মতো দেশগুলোতে যেখানে ৫ বছরের নীচে শিশুমৃত্যুর হার ১০০০ শিশুতে ৫ জন তার চাইতে বেশি। এবং সেখানেই প্রথম বিশ্বের দেশের এই দূষণ পাচার করতে হবে, পাচার করতে হবে এই বিষাক্ত বর্জ্য। এরকম “চমৎকার ও অভিনব” ধারণার পুরস্কার হিসেবে ক্লিন্টন প্রশাসনে ৭ বছর U.S. Treasury Secretary পদে ছিলেন। সে মেয়াদ শেষ হলে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। এসব পুরস্কারের কথা থাক। সামার্স এখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বিডেনের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা।

    এরকম একটা প্রেক্ষিতে আমরা যদি স্বাস্থ্যের চোখ দিয়ে দেখি তাহলে সহজেই বুঝবো স্বাস্থ্যের জগতে দু’ধরনের নাগরিকত্ব (health citizenship) তৈরি হল। একটি পূর্ণ রাশি ১, আরেকটি ০। আধুনিক জাতিরাষ্ট্রের নাগরিকত্বও এরকম integer দেখা হয় – হয় ০ কিংবা ১। এখানে ভগ্নাংশের কোন জায়গা নেই। যেমনটা আজকের ভারতে এবং বিশ্বে দেখছি আমরা। স্বাস্থ্য নাগরিকত্বের প্রশ্নটিতে আমাদের মনোযোগ দেবার প্রয়োজন এ জন্য যে বিশ্ব স্বাস্থ্যের দুনিয়ায় একজন নাগরিক নৈতিকভাবে স্বাস্থ্যের সমস্ত সুবিধে ভোগ করার অধিকারী, “স্বাস্থ্য আমার অধিকার” এই শ্লোগানের বাইরে। এরকম স্বাস্থ্য নাগরিকত্বের অবস্থান থেকে মান্য জনস্বাস্থ্য গবেষক এবং দার্শনিক (যিনি social determinants of health-এর ধারণার প্রবক্তাও বটে) মাইকেল মার্মট প্রশ্ন করেন – “রোগীদের কেন চিকিৎসা করছো এবং যে পরিস্থিতিতে থেকে তাদের অসুখ শুরু হয়েছিল সেখানে আবার ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছ?” প্রশ্ন করেন সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানোর জন্য – “আমরা কি হয় ব্যক্তি চিকিৎসক কিংবা ডাক্তার-সমাজ হিসেবে যুক্ত হবোনা?” (“Shouldn’t the doctor, or at least this doctor, be involved?”) (The Health Gap, 2016) আমাদের কাছে সত্যিই কি এসব প্রশ্নের সদুত্তর আছে?

    নিওলিবারাল অর্থনীতি, অতিবৃহৎ বহুজাতিক সংস্থা, নিওলিবারাল অর্থনীতির বাহক ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন এবং পৃথিবীর বড়ো রাষ্ট্রগুলোর চাপে হু নিজের অবস্থান বদলাতে বাধ্য হচ্ছে। “সকলের জন্য স্বাস্থ্য”, “স্বাস্থ্য আমার অধিকার” এবং “সংহত প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা”-র ধারণা ১৯৭৮ থেকেই নিঃসাড়ে বদলাতে শুরু করে। প্রথমে আসে “সিলেক্টিভ প্রাইমারি হেলথ কেয়ার (বেছে নেওয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা)”, তারপরে এলো GOBI (growth monitoring, promotion of oral rehydration, promotion of breast feeding, immunization) এবং পরবর্তীতে খুব খোলাখুলি ভার্টিকাল বা রোগ-কেন্দ্রিক প্রোগ্রাম। কমিউনিটির অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি জীবন্ত ও সক্রিয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রোগ্রাম পরিত্যক্ত হল। এর বিষময় ফল আমরা এই অতিমারির সময়ে প্রত্যক্ষ করছি।

    যদি একটি উজ্জীবিত, প্রাণবন্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে আমরা গত প্রায় ৫০ বছর ধরে তিলেতিলে মেরে না ফেলে, একটি কাঠামো-সর্বস্ব ব্যবস্থা হিসেবে না রেখে যেমনটা ১৯৭৮-এর আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ঘোষণা করা হয়েছিল যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থাই হবে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রাথমিক ভিত্তি তাহলে একেবারে প্রাথমিক স্তরে আমরা করোনা আক্রমণের সময়ে “টেস্টিং, কনট্যাক্ট ট্রেসিং এবং আইসোলেশন”-এর কথা ভাবতে পারতাম। রোগী এবং সরকার উভয়েরই বিপুল খরচ বাঁচার সম্ভাবনা ছিল। আলমা-আটা সনদের ১০ নম্বর ধারায় যা বলা হয়েছিল তার মূল কথা ছিলো – পৃথিবীর দূরতম প্রান্তের স্বাস্থ্যের সুযোগহীন মানুষটির জন্যও প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা সুরক্ষিত করতে হবে এবং এজন্য স্বাধীনতা, শান্তি, দ্বিপাক্ষিক আলাপ-আলোচনা এবং নিরস্ত্রীকরণের নীতি গ্রহণ করতে হবে যার মধ্য দিয়ে একটি দেশের সুষম বিকাশের জন্য আরো বেশি মানবসম্পদ সৃষ্টি হতে পারে।

    এদেরকে কে বাঁচাবে? একমাত্র সক্রিয় ও জীবন্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা এদের বাঁচাতে পারে। যদি এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা না যায় তাহলে কোভিডে যত মানুষের মৃত্যু হবে তার চেয়ে বেশি মৃত্যু হবে এ রোগগুলোর জন্য। নেচার-এর “The Pandemic’s Future” (৬.০৮.২০২০) প্রবন্ধের শেষে মন্তব্য করা হয়েছে – “কোভিড-১৯ সংক্রামক ব্যাধির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে দিয়েছে কয়েক বছরের জন্যতো বটেই, এমনকি কয়েক দশকও হতে পারে।” বলা হয়েছে – “একটি সংক্রামক ব্যাধির হাত থেকে (পড়ুন কোভিড) মানুষকে রক্ষা করতে গিয়ে আরেক সংক্রামক ব্যাধিতে মানুষ মারা যাচ্ছে সেটা হল এমন এক শেষ হিসেব যা মানুষ কখনো চায়না।”
    কে দেবে এর উত্তর? রাষ্ট্র, রাজনৈতিক নেতারা কিংবা আক্রান্ত জনসাধারণ? সময় এবং ইতিহাস সেকথা বলবে।

    আসুন, আমরা প্রহর গণি! এই তমসার প্রহরকে চিরে দেখার চেষ্টা করি। কিন্তু অবশ্যই সমস্ত চিন্তা কর্পোরেট এবং রাষ্ট্র গ্রাস করে নিয়েছে এরকম ধারণার বেড়াজাল থেকে বেরোতে হবে। স্বাধীন বিজ্ঞানচর্চা এখনও হয়, হয়ে চলেছে। একে লঘু করা খুব ন্যায্য অবস্থান নয় – কি বিজ্ঞানের দিক থেকে, কি জনস্বাস্থ্যের অবস্থান থেকে।



    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৯ জুলাই ২০২২ | ১১১০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2401:4900:1f2b:e6cf:3c8f:d7d5:6772:***:*** | ২৯ জুলাই ২০২২ ১২:১৯510530
  • অভ্যুকে ধন্যবাদ, আর দেবাশিসবাবুর নাম বেশ কয়েকবার ভুল লেখার জন্য দুঃখিত। 
     
    "এবারের এই দ্রুত গতিতে রিসার্চ করে ভ্যাক্সিন বের করা, ট্রায়াল চালানো, প্রয়োগ করা - এ একেবারে অভাবনীয়। এটা পাবলিক/প্রাইভেট কোলাবোরেশনে হয়েছে।"
     
    এই অভাবনীয় সাফল্যের পেছনে একটা বড়ো অবদান আছে বিগ ডেটা মাইনিং আর অ্যানালিসিসের। ডেটা ক্যাপচার, স্টোরেজ, রিট্রিভাল, অ্যানালিসিস, আর রিপোর্টিং - এই সব কিছুরই অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে গত কুড়ি-পঁচিশ বছরে, ফলে বায়োলজি, মেডিসিন থেকে শুরু করে পাবলিক প্ল্যানিং, সায়েন্স রিসার্চ, সব কিছুই এখন অনেক বেশী ডেটা ড্রিভেন হয়ে যাচ্ছে, এটা আমার খুব ভালো লাগে :-)
  • জমা দাদা খরচ দিদি | 49.37.***.*** | ২৯ জুলাই ২০২২ ১৩:০৩510531
  • করোনা ভাইরাসের ঢেউ আর ঢেউ , অগুন্তি অগুন্তি ঢেউ আসতেই থাকবে। বিজ্ঞানীরা কি বলবেন জানা নেই , তবে মিডিয়া এটা মনে করিয়ে দেয় যে বিজ্ঞানীরা জানেন না আর কটা ঢেউ আসবে , তবে কতো কতো ফেইজে বুস্টার টিকা লাগবে সেইটা তারা নাকি জানে। ভ্যাক্সিনের ব্যাপারে পরিপাট্য নিখুঁত বিজ্ঞান , ভাইরাসের গতিবিধির ব্যাপারে অকথিত । জানিনা , কোন্ বিজ্ঞানীদের এসব বিজ্ঞান ব্যাখ্যা ,তবে, ক্ষতিকারক মিডিয়া কারুর স্বার্থে 'বিজ্ঞান' নামে এসবগুলো প্রচার করে। কারণ তাদের কাছে বিজ্ঞানটা ছুতো, ভ্যাক্সিন-ফার্মা তথা বিগ কর্পোরেটের বিজ্ঞাপন টা জরুরি।
    'নভেল' না হোক , 'আল্ট্রা নভেল' ভাইরাস আসতেই বা বাধা কোথায়! আমরা কি জিনপ্রযুক্তি দিয়ে তাকে ঠেকিয়ে দেবো? এই ভাবনাগুলো আসলে রুচির প্রশ্ন, সংষ্কৃতির প্রশ্ন। জিন-প্রযুক্তি দিয়ে 'বায়োটেক' সংস্থাগুলো এযাবৎ সাধারণের মঙ্গলের জন্যে তেমন কিছু করে উঠতে পারে নি। প্রথিতযশা জিন-বিজ্ঞানীরাই জানিয়েছেন জিন নিয়ে নাড়াচাড়ার সুদূরপ্রসারী ফল আজও অব্যাখ্যাত, এমনকি বর্ণনাও সম্ভব হয়নি; কোনদিন তা সম্ভব হবে কিনা কারোর আজও তা জানা নেই। তাহলে এই সাংষ্কৃতিক কুজ্ঝটিকায় আমরা কী করতে পারি!
    আমাদের বেছে নেবার সময় এসেছে।সার্বিক নজরদারির মধ্যে দিন গুজরানো,আর অন্যদিকে আছে ব্যক্তিস্বাধীনতা , নাগরিকদের ক্ষমতায়ন। একদিকে নজরদারির মধ্যে আমরা নিজ নিজ জাতিগর্ব নিয়ে উচ্ছল হতে পারি, আর অন্যদিকে সকল গর্ব,অহমিকা ঘুচিয়ে বিশ্বমানবের সঙ্গে ভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে পারি। কোনদিকে যাবো আমরা?
    বিদ্বজ্জনেরা অবশ্য বলতে পারেন , কি মুশ্কিল, এতো উষ্মা কিসের ? - যা যা করা হচ্ছে তা তো আসলে জনমানসের স্বাস্থ্যের উন্নতিকল্পেই ভাবা তো, তাঁদেরই কল্যাণকর্মে! এই যে এতো বড়ো ঐতিহাসিক অতিমারির মুখে পড়লাম,সেখানে রাষ্ট্র যদি আমাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করতো,তাহলে তো চারদিকে মৃত্যুর মিছিলে ভরে যেতো! ভাগ্যিস 'লকডাউন' হয়েছিল , ভাগ্যিস আমরা পথে বেরোয়নি, ভাগ্যিস ছ' ফুট অন্তর এঁকে দেওয়া গোল গন্ডীর মধ্যে আমরা দাঁড়িয়েছি , ভাগ্যিস সময়মতো জিনটিকা এসে গেছে । নইলে... স্বাস্থ্যই যদি ভঙ্গুর হয় স্বাধীনতা কোন্ কাজে লাগবে ! সামাজিক আর আর্থিক অসাম্য টসাম্য নিয়ে গুরুগম্ভীর আলোচনা নয় পড়ে রইল, পরে হবে , আপাতত রাষ্ট্রের সুবিবেচনায় আস্থা রাখাই ভাল। রাষ্ট্রকে অমন কংসরাজ না ভাবলেও তো চলে। সুস্বাস্থ্যের চেয়ে কি ব্যক্তিস্বাধীনতা বড়?
    দুটোর মধ্যে বেছে নিতে হলে আমরা তো সুস্বাস্থ্যকেই বেছে নেবো , নাকি ! 

    কিন্তু বেছে নেবার এই যুক্তিতে ফাঁক আছে। আসলে আমরা সুস্বাস্থ্য ও স্বাধীনতার মধ্যে বাছাবাছি করিনা - দুটোই আমাদের চাই। আমাদের কাছে সুস্বাস্থ্য যতটা জরুরি , স্বাধীনতাও ততটাই। কিন্তু করোনার তথাকথিত অতিমারি আমরা ব্যক্তিস্বাধীনতা জারি রেখেই অতিক্রম করতে পারি,তার নিদর্শনও আছে। জনমানুষের হাতে ক্ষমতা থাকলে তাঁরাই সুস্বাস্থ্যের দিশা দিতে পারেন, কেননা জনস্বাস্থ্য মানেই তাতে জনমানুষের অধিকার - তারই পছন্দ আর অপছন্দ। সত্যি যদি জনমানুষের ক্ষমতায়ন হতো , তাহলে আমাদের দেশে স্বাস্থ্য পরিষেবার এই মর্মান্তিক হাল হতো না। মানুষকে 'ভয়' দেখিয়ে , পুলিসের 'জুজু' দেখিয়ে 'স্বাস্থ্য পুলিস' তৈরি হয় , জনস্বাস্থ্যের মর্মবাণী সেই হেলমেটে ঢুকতে পারে না। বিজ্ঞানলব্ধ তথ্যগুলিকে জনমানুষের কাছে নিয়ে যাওয়াই প্রাথমিক কাজ। সেই কাজ না করে আমরা তাঁদের কাছে যাই 'সচেতনতা' বিলি করতে। তাঁরা ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে মনে মনে বলেন , 'বাপ্ রে , কী জ্ঞান' !
    সেই জ্ঞান যে শূন্য কলসি তা তো ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। যেখানে যত বেশি বিধিনিষেধ সেখানে তত বেশি হাহাকার। এখন তো গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যেখানে যত বেশি টিকার সমাহার সেখানে সংক্রমণও তার সঙ্গে তাল মেলাচ্ছে। অর্থাৎ নজরদারি আমাদের সুরক্ষা দেয়নি , কোথাও দেয় না। সে শুধু শাসনের একটা অস্ত্র হিসাবে কাজ ।
     
     
    তবে এখানে আপনারা কয়েকজন অতি চালাকি করে বিভিন্ন আই ডি দিয়ে ভিন্নমত কে পুরো মাস্তানি দেখিয়ে চুপ করিয়ে দিচ্ছেন। মাস্তানি দেখাতে গেলে কি কি করতে হয় ?
    একটা বাইনারি তৈরি করতে হয় । ভ্যাক্সিন কেউ না নিলে সে অপবিজ্ঞানের ধারক , অ-বাম বা অ-মার্ক্সীয় এরকম কিছু মত তৈরি করতে হয়। নিজেদের সংগঠনের মধ্যেও আপনারা‌ সম্ভবত এমনটাই করেন। ডিসেন্ট দের আক্রমণ করো।  আপনারা কোবাড গান্ধীর নাম শুনেছেন? পারলে তার কোভিড নিয়ে পলিটিক্যাল  এ্যানালিসিস গুলো পড়ুন। বা , আইনের দ্বারস্থ হয়ে অনেক বামই তাদের ব্যবহার করে সেই কলিন গঞ্জালভেস ও প্রশান্তভূষণের কথাগুলো শুনুন না! আইনি ঘাপলা করে জনগণকে কিভাবে বুরবক করা যায় , সেটা আপনাদের থেকে অনেকটাই বিশেষতঃ ওনারা ভাল বোঝেন। ঐদুজন এবং কোবাড গান্ধীও - বাম , ভীষণভাবে বাম। জানেন তো পৃথিবীর প্রধান  ধনীরা আপনাদের থেকে চালাক। তারা শুধু ডানপন্থীদের সমর্থন করে সমাজটাকে ফ্রাকচার করে না। কেমন? অতএব আর কি কি করে তাতে অধিকাংশ বামেরা এই কোভিড নামক রাষ্ট্রীয় ও অতিরাষ্ট্রীয় শিকার , সেখানে কোন কথা থাকবে না বামেদের। এটা লক্ষ্য কেন করেন নি রিসার্চ দাদুরা?
    দ্বিতীয়তঃ এই গোটা থ্রেডে এটা বোঝায় নি কেউ রে তারা ভ্যাক্সিন বিরোধী। 
    এটা আপনাদের ধূর্ত পন্থা যে তাকেও ননভ্যাক্সার বানাও। কোভিড ভ্যাক্সিনের ট্রায়ালে যে স্বচ্ছতা নেই সেটা তো সরকারের বিভিন্ন স্বাস্থ্য রেগুলেটরি বডি , বিভিন্ন আরটিআই গুলোর অসঙ্গতি থেকেই পরিষ্কার। এসব বুঝতে গেলে তো কারুর হিং লাগবে,ঝাল লেগে যাবে।তাই ওসব দিকেই মাড়ান না তাই আপনারা।
    ম্যান্ডেটরি ভ্যাক্সিনের বিরোধীতা করা যাবে না - এই রায়টা কি মানেন নাকি মানেন না?

    সবাই চেরি পিকিং করে। জয়ন্তবাবুও করেন। 
    এটাই স্বাভাবিক। আপনারা দু-তিনজনাও করেই চলেছেন। আর "ভিন্যমতের" মানুষদের অপমান করে চলেছেন। আপনি ১০ টা থিসিস (ওরে বাবা হ্যাঁ, পীয়র রিভিউ ই) দেবেন , তার পাল্টাও ১০ টা দেয়া যায় - এর থেকে কী প্রমাণ হয়? যেহেতু এতোদিনে এতো মানুষের এতো ক্ষতি - এই ন্যারেটিভ টা সামনে চলে আসে , এই ভয়ে আপনারা ভ্যাক্সিনের মাহাত্মগুণ বর্ণনার জন্য মারাত্মক ভাবে আঘাত করে কথা বলছেন কেউ কেউ। এগুলো "বদামি" নয়?
     
    তাই
    সরাসরি সজোরে  বলুন না -
    (বলুন?)

    ১) সুপ্রীম কোর্টের ম্যান্ডেটরি ভ্যাক্সিন নেওয়া যাবে না - এই জাজমেন্টটা দিয়ে সুপ্রীম কোর্ট ক্ষতি করেছে জনজীবনের। আমরা চাই ম্যান্ডেটারি , আরো জুলুম করে ভ্যাক্সিনেশন দেওয়ার অর্ডারই থাকা উচিত ছিল।
    ২) বলুন , ভ্যাক্সিন দেবার ক্ষেত্রে যে একেবারে কনসেন্ট এর আইনের বাপ-মা কে চুটকি মেরে সাবড়ে দিয়ে ভ্যাক্সিনেশন চলেছে ও চলছে এটা ঠিক পদ্ধতি। আহা, বলুন না ! নিজের স্ট্যান্ড টা ক্লিয়ার করুন না। 
    ৩) দেশে যতো অন্যায়ই হোক , সেই দিকে অন্ধ থেকে খালি ননভ্যাক্সারদের দাগিয়ে যাবো - এটাই একমাত্র ও আপাতত কাজ। বলুন এটা । কই, বলুন?
    ৪) WHO র প্যান্ডেমিক ট্রিটি কে মানছি ও যারাই এটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে ,তাদের বিরুদ্ধে সরব হবো। বলুন এটা।
    ৫) দরকারবোধে আবার লকডাউন প্রয়োজন হলে সমর্থন থাকবে , তাতে মানুষের মানবাধিকার ও রুটিরুজি ভোগে গেলেও। কারণ আগে সমাজটাকে বাঁচাতে হবে। বলুন এটা। 
    ৬) বলুন এটা রে আসন্ন নয়া স্বাস্থ্যবিল ,২০২২ যেটার ভিত্ তৈরি হয়েছিল ২০১৭ তেই - এই নামে - the public health ( prevention , control and management of Epidermics,bioterrorism and Disasters)bill,2017, যদিও এটা তখন আইন হয়নি বিভিন্ন চাপে। তবে এইবারে কিছু পরিমার্জন করে শীতকালীন অধিবেশনে পার্লামেন্টে এটি পাশ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই খবরটা রাখেন নাকি রাখেন না? ২০১৭ র খসড়া টা‌ পাঠাবো? এই বিলটি বাতিল করার দাবি তে থাকবেন না বলুন। কই, বলুন !
    ৭) বলুন কমিউনিকেবল জীবানু থাকলেই তা রিপোর্ট এ পজিটিভ থাকলেই সেটা অসুখ। সংক্রমণ থাকলেই রোগ - এই পুরোনো ধারণাটাকে মানতে পারছি না - এটা সজোরে বলুন।
    ৮) বলুন আরটিপিসিআর নিয়ে যা বলেছে সিডিসি যে এই টেস্ট ফ্লু ও কোভিড১৯ কে পার্থক্য করতে অসুবিধা করে - এটা ভুয়ো খবর , এসব এ্যান্টি ভ্যাক্সাররা ছড়াচ্ছে। বলুন এটা।

    -------------

    এরমধ্যে রেফারেন্স বাবু কোত্থেকে বিরাট একটি তত্ত্ব আমদানি করলেন লিঙ্ক দিয়ে দুদিন আগে দেখলাম। উ

    তারই একটা রেবিউটাল দিলাম। :- 

    REBUTTAL

    1.The study “Extending the susceptible-exposed-infected-removed (SEIR)
    model to handle the false negative rate and symptom-based
    administration of COVID-19 diagnostic tests: SEIR-fansy “ by Bhaduri et al 
    admits that the false negative tests are concern. It leads to inaccurate modelling of transmission bias. 
    If false negative is a probability, the false positive is also a probability which also vitiates the study. 
    When false negative is taken as a function of R0 or reproducibility number( as is done in this study) clearly leads to the bias of overestimating the cases.
    On the other hand if false positive cases are taken as function of R0 , there would have been undertastmating the cases.Therefore, the study is flawed with overestimating bias.
    2. What is the the definition of infection and case? Please refer to the Text book of Community Medicine that mere presence of disease causing pathogen is not infection. When the pathogen multiplies and invades our organ system, it is called infection. When infection is manifested with signs and symptoms, it is called a case. 
    Therefore, on the basis of a dubious RtPCR test that is touted to show the presence of genetic fragments, or much less reliable method of rapid antigen test or more vague method of CT scan of Chest when a asymptomatic and healthy individual with positive rtPCR or even negative rtPCR is counted as a case, it goes against the principles of infectiology and community medicine.

    3.As regards, the Carmen Drosten research paper that has claimed to have invented RTPCR method of detection of nCOVID19 virus, less is said is better. They adopted a completely fraudulent method of invention. In the research paper itself they admitted that they never saw the virus, they knew about this disease with uncommon pneumonia from social media only. They downloaded the calibrated gene sequence for testing kit from Gene bank. 
    The rtpcr for Covid 19 was so controversial that CDC has withdrawn on 31 Dec, 2021 the request for emergency approval od RTPCR for SARS COV 2. They suggested to adopt a “different test method that would effectively differentiate between SARS COV2 and influenza. It is a veritable admission on the part of CDC that  the RtPCR test could not differentiate between Covid 19 and influenza.

    The great minds who are citing this paper are requested to apply common sense before bungling with the basic principles of clinical as well as community medicine.
  • dc | 2401:4900:1f2b:e6cf:3c8f:d7d5:6772:***:*** | ২৯ জুলাই ২০২২ ১৩:১৪510532
  • এই রে, আবার ডিসক্লেমার দেবার সময় এসেছে laugh
     
    এই টইতে আমি একটাই নিক থেকে পোস্ট করেছি, অন্য কোন নিক থেকে না। 
     
    আমি একেবারেই আইডিওলজিকালি বাম বিরোধী, আর ইকোনমিক পলিসির দিকে থেকে প্রো ক্যাপিটালিস্ট আর প্রো কর্পোরেট। 
  • জুতোদা | 143.244.***.*** | ২৯ জুলাই ২০২২ ১৩:২৪510533
  • গর্বিত প্রো ভ্যাকসিন | 2a0a:4cc0:0:dd0::***:*** | ২৯ জুলাই ২০২২ ১৩:৩৭510534
  • প্রো ক্যাপিটালিস্ট, প্রো কর্পোরেট, প্রো বিগ ফার্মা, প্রো গ্লোবাল ওয়ার্মিং...
  • জুতো দ্য গ্রেট | 185.246.***.*** | ২৯ জুলাই ২০২২ ১৩:৪৬510535
  • কমরেড জুতো বোস | 84.17.***.*** | ২৯ জুলাই ২০২২ ১৪:৪৯510536
  • Debasis Bhattacharya | ২৯ জুলাই ২০২২ ১৬:৫০510541
  • পাগোল্টা অ্যাতোক্ষণ তবু খানিকটা ইন্টারেস্টিং ছিল, এখন বড্ডো বোরিং হয়ে যাচ্ছে ! 
  • কমরেড জুতো | 84.17.***.*** | ২৯ জুলাই ২০২২ ১৭:০৩510542
  • Monkey business.

    - If we claim that we have just had a devastating viral epidemic that occurs once every 200 years, then we should not see another very soon

    - According to medical science recovery from one viral illness ensures protection from all kinds of viral illnesses for a pretty long time. This is natural. Viral illnesses are about detoxification. Once that has taken place the body will not need another detoxification for a good period of time

    - Viral illnesses therefore cannot follow in quick succession unless there is some motive behind it 

    - In March 2021 a meeting was held in Munich under the aegis of the Nuclear Threat Initiative, that discussed a simulated monkey pox exercise. It predicted an outbreak in May 2022 that by 2023 would claim more than 27 million lives 

    - It discussed the response measures. Masking, isolation, quarantines, lockdowns, and vaccines. Sounds familiar? It warned that countries not resorting to these measures would witness unprecedented deaths. Recently the WHO has advised against having sex. So we sort of know where this is headed. The gay population is being targeted. People of African origin are not comfortable because the disease is supposed to be of African origin

    - Monkey pox, as described, is a self limiting disease. It does not have high mortality associated with it. So what are people going to die from?

    - The small pox vaccine had an unprecedented mortality rate. The Britishers in India used to send small pox data to the Queen in England. The mortality  figures were accompanied by the words, "mostly vaccinated"

    - The disease was first identified among monkeys in a laboratory at Copenhagen engaged in polio research. Laboratory animals subjected to novel drugs and vaccines are known to display a wide range of symptoms due to the toxicity 

    - Why was the disease highlighted? In the times of small pox it came in handy. To prove the efficacy of the vaccines the small pox that appeared after vaccination was being recorded in other names; chicken pox, measles, eczema. Monkey pox offered another option

    - It is very difficult to distinguish between the pox family diseases. Currently scientists are pointing out chicken pox and monkey pox are indistinguishable 

    - The C vaccines have led to various kinds of eruptive diseases; urticaria, autoimmune blistering disease, eczema, and psoriasis. It is immensely possible this is what is "monkey pox"

    - The WHO Emergency Committee voted against declaring this a emergency 9 to 6. Tedros declared it himself 

    So there you have it. Monkey business. Another opportunity to earn money and harass people.
  • কমরেড জুতোদা | 156.146.***.*** | ২৯ জুলাই ২০২২ ১৭:১৯510543
  • জিবন সেশ | 2601:5c0:c280:4020:8424:9928:3c07:***:*** | ২৯ জুলাই ২০২২ ১৮:১২510544
  • @জ-দা-খ-দিঃ এটা ইতিহাস পরীক্ষা নয় যে পাঁচ পাতা রচনা লিখলে মাস্টার খুশি হয়ে দশে আট দেবে। বলা হয়েছে ভ্যাকসিন গুরুতর অসুস্থতা আর মৃত্যুর রিস্ক কমাতে পারে। তার গাদা গাদা এভিডেন্স দেওয়া হয়েছে। আপনি পারলে কাউন্টার-আরগুমেন্ট নিয়ে আসুন। দশটা ফর-এ দিলে, দশটা এগেইন্সটে দেবে বলে যে হুহুঙ্কার দিতেছেন, দিন না। 

    অ্যাকুচুয়েলি, কাটান। দিতে হবে না। বরং জুতোবাবু যেমন মিম দিচ্ছেন দিয়ে যান। অ্যাট লিস্ট সিউডো-সায়েন্টিফিক হ্যাজের ভড়ং নেই, সোজা সরল মিমসেদ্ধ কপি-পেস্ট। একটু একঘেয়ে হয়ে গ্যাছে, তাই হেল্প করি ...  এইখানে দেখুন, অনেক উমদা উমদা মীম পাবেন কোভিড নিয়ে, https://www.reddit.com/r/HermanCainAward/ 

    আর সত্যি মাইরি, বিগ ফার্মা, বিগ কর্পো আরও বিগ কি কি আছে, বিগ দাড়িজি, বিগ বিশ্বমানব ... এরা কেউ শ্লা একটা ফুটো নয়া পয়সাও ছোয়াঁলো না এ জন্মে, আমাকেও না, আরও এই এতো পাবলিক হেলথ সেকটরের ওয়ার্কার যে দিবারাত্র জেগে কাজ করলেন তাঁদের-ও না। Cos2 π, খুব -ই  Cos2 π। 
     
    @পাইদিদিঃ হ্যাঁ, অনেক কাজ বাকি। এই জন্যেই তোমার নিয়মিত লেখা উচিত। 
     
     
     
     
     
  • জুতো মার্ক্স | 156.146.***.*** | ২৯ জুলাই ২০২২ ১৮:১৫510545
  • "করোনার ভ্যাকসিন ছমাসে বেরিয়ে গেছে। ওঃ, বিজ্ঞানের কি কেরামতি! এই বিজ্ঞানীরা এত পরিশ্রম করলেন বলেই না!! হুঁ হুঁ বাবা!!!"
     
    আর কদিন পর যখন ছ-সপ্তাহে মাংকিপক্সের ভ্যাকসিন বের হবে, তখন "যুক্তিবাদী"রা তাই নিয়ে লাফাবে। "ওঃ, ওঃ, বিজ্ঞান, বিজ্ঞান, কি দিলেন বিজ্ঞানীরা"!!! 
     
    কারুর মনে সামান্যতম প্রশ্নও জাগবে না। আরে মন থাকলে তো মনে প্রশ্ন। মাথা নেই তার মাথাব্যথা।
     
  • জুতাশ কারাট | 146.7.***.*** | ২৯ জুলাই ২০২২ ১৮:৩৭510546
  • Debasis Bhattacharya | ২৯ জুলাই ২০২২ ২১:৩৪510552
  • প্রথমে ভ্যাকসিন, তারপর লাশ। সিজোফ্রেনিয়ার নানা দশা। অবস্থার ক্রমশ অবনতি হইতেছে!
  • জয়ন্ত ভট্টাচার্য | 117.217.***.*** | ২৯ জুলাই ২০২২ ২১:৩৬510553
  • আমার লেখাটি নিয়ে যে পরিধিতে, যে চরিত্রের এবং বিচিত্র সমস্ত বিষয়ের ওপরে বিতর্ক এবং আলচনা-প্রতি আলোচনার ঝড় বয়ে চলেছে সে প্রেক্ষিতে আমার আরেকবার কিছু বলা দরকার বলে মনে করছি।
    (১) স্থবির দাশগুপ্তের প্রবন্ধ পাঠে অনেকেরই এটা মনে হওয়া স্বাভাবিক বিজ্ঞান চর্চার কোন স্বাধীন পরিসর বর্তমান পৃথিবীতে নেই - সবই সর্বশক্তিমান কর্পোরেট নিয়ন্ত্রিত। আমি লিখেছি - "এর বাইরে অসংখ্য গবেষণাপত্র আছে ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল, ল্যান্সেট, নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন-এর মতো আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মান্য জার্নালগুলোতে। এবং এ জার্নালগুলো কর্পোরেটদের টাকায় নিয়ন্ত্রিত হয়না। এসব জার্নালে স্বাধীন গবেষণাপত্র ছাপা কর্পোরেট ফান্ডিংয়ের বদান্যতা ছাড়া। যদি বিজ্ঞানের এই স্বাধীন পরিসর না থাকে তাহলে বলা ভালো – প্রপঞ্চময় এ কর্পোরেট বিশ্বে কেউ স্বাধীন নয়।" বিজ্ঞান তথা সমাজ তথা নাগরিক জীবনে যদি কোন মুক্ত পরিসর না থাকে তাহলে তো ধরে নিতে হয় আমরা "সকলি তোমারই ইচ্ছে"য় চলছি। সেখানে কেনই বা তৃতীয় পরিসর গড়ে তোলার জন্য লড়াই, কেনই বা নাগরিক পরিসর বৃদ্ধি করার লড়াই?
    সমগ্র বিতর্কে এ অংশটি একেবারেই অনুপস্থিত রয়ে গেল।
     
    (২) আমি লিখেছি - "বিজ্ঞানে এরকম ঘটাই তো স্বাভাবিক। কোন একজন মানুষ বা সংস্থা কিংবা জার্নাল বা গোষ্ঠীর কাছে একমাত্র সত্যের কোন লুকনো হীরক খনি নেই। এখানে কোন তত্ত্ব বা ধারণা বা পরীক্ষালব্ধ ফলাফল পেশ করা হয়। আন্তর্জাতিক মহলে বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা এ নিয়ে চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ করেন। পরিণতিতে, গৃহীত হয় কিংবা পরিবর্তিত বা বাতিল হয়। এভাবেই বিজ্ঞান এগোয়।" এই সাধারণ সত্য সম্পূর্ণ অপসৃত হল আলোচনার জগত থেকে।
     
    (৩) আমি লিখেছি - "আমরা যদি স্বাস্থ্যের চোখ দিয়ে দেখি তাহলে সহজেই বুঝবো স্বাস্থ্যের জগতে দু’ধরনের নাগরিকত্ব (health citizenship) তৈরি হল। একটি পূর্ণ রাশি ১, আরেকটি ০। আধুনিক জাতিরাষ্ট্রের নাগরিকত্বও এরকম integer দেখা হয় – হয় ০ কিংবা ১। এখানে ভগ্নাংশের কোন জায়গা নেই। যেমনটা আজকের ভারতে এবং বিশ্বে দেখছি আমরা। স্বাস্থ্য নাগরিকত্বের প্রশ্নটিতে আমাদের মনোযোগ দেবার প্রয়োজন এ জন্য যে বিশ্ব স্বাস্থ্যের দুনিয়ায় একজন নাগরিক নৈতিকভাবে স্বাস্থ্যের সমস্ত সুবিধে ভোগ করার অধিকারী, “স্বাস্থ্য আমার অধিকার” এই শ্লোগানের বাইরে। এরকম স্বাস্থ্য নাগরিকত্বের অবস্থান থেকে মান্য জনস্বাস্থ্য গবেষক এবং দার্শনিক (যিনি social determinants of health-এর ধারণার প্রবক্তাও বটে) মাইকেল মার্মট প্রশ্ন করেন – “রোগীদের কেন চিকিৎসা করছো এবং যে পরিস্থিতিতে থেকে তাদের অসুখ শুরু হয়েছিল সেখানে আবার ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছ?” প্রশ্ন করেন সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানোর জন্য – “আমরা কি হয় ব্যক্তি চিকিৎসক কিংবা ডাক্তার-সমাজ হিসেবে যুক্ত হবোনা?” (“Shouldn’t the doctor, or at least this doctor, be involved?”) (The Health Gap, 2016) আমাদের কাছে সত্যিই কি এসব প্রশ্নের সদুত্তর আছে?"
    পুনরায় বিবেচনার ভার পাঠকদের হাতে।
     
    (৪) আমি লিখেছি - "নিওলিবারাল অর্থনীতি, অতিবৃহৎ বহুজাতিক সংস্থা, নিওলিবারাল অর্থনীতির বাহক ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন এবং পৃথিবীর বড়ো রাষ্ট্রগুলোর চাপে হু নিজের অবস্থান বদলাতে বাধ্য হচ্ছে। “সকলের জন্য স্বাস্থ্য”, “স্বাস্থ্য আমার অধিকার” এবং “সংহত প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা”-র ধারণা ১৯৭৮ থেকেই নিঃসাড়ে বদলাতে শুরু করে। প্রথমে আসে “সিলেক্টিভ প্রাইমারি হেলথ কেয়ার (বেছে নেওয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা)”, তারপরে এলো GOBI (growth monitoring, promotion of oral rehydration, promotion of breast feeding, immunization) এবং পরবর্তীতে খুব খোলাখুলি ভার্টিকাল বা রোগ-কেন্দ্রিক প্রোগ্রাম। কমিউনিটির অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি জীবন্ত ও সক্রিয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রোগ্রাম পরিত্যক্ত হল। এর বিষময় ফল আমরা এই অতিমারির সময়ে প্রত্যক্ষ করছি।

    যদি একটি উজ্জীবিত, প্রাণবন্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে আমরা গত প্রায় ৫০ বছর ধরে তিলেতিলে মেরে না ফেলে, একটি কাঠামো-সর্বস্ব ব্যবস্থা হিসেবে না রেখে যেমনটা ১৯৭৮-এর আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ঘোষণা করা হয়েছিল যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থাই হবে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রাথমিক ভিত্তি তাহলে একেবারে প্রাথমিক স্তরে আমরা করোনা আক্রমণের সময়ে “টেস্টিং, কনট্যাক্ট ট্রেসিং এবং আইসোলেশন”-এর কথা ভাবতে পারতাম। রোগী এবং সরকার উভয়েরই বিপুল খরচ বাঁচার সম্ভাবনা ছিল। আলমা-আটা সনদের ১০ নম্বর ধারায় যা বলা হয়েছিল তার মূল কথা ছিলো – পৃথিবীর দূরতম প্রান্তের স্বাস্থ্যের সুযোগহীন মানুষটির জন্যও প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা সুরক্ষিত করতে হবে এবং এজন্য স্বাধীনতা, শান্তি, দ্বিপাক্ষিক আলাপ-আলোচনা এবং নিরস্ত্রীকরণের নীতি গ্রহণ করতে হবে যার মধ্য দিয়ে একটি দেশের সুষম বিকাশের জন্য আরো বেশি মানবসম্পদ সৃষ্টি হতে পারে।"
    জনস্বসাথ্য তথা পাবলিক হেলথ নিয়ে কেবলমাত্র কর্পোরেট চক্রান্ত (যদিও ভীষণ প্রকটভাবে রয়েছে) না খুঁজে আমরা  জনস্বাস্থ্যের বিবর্তন নিয়ে ভাবতে আরেকটু যত্নশীল, মনযোগী এবং অনুধ্যায়ী হলে আমাদের এবং বঞ্চিত, অবহেলিত এবং প্রান্তিক মানুষদের কিছুটা মঙ্গল হতে পারে।
     
    (৫) আমি সবশেষে বলেছি - "আসুন, আমরা প্রহর গণি! এই তমসার প্রহরকে চিরে দেখার চেষ্টা করি। কিন্তু অবশ্যই সমস্ত চিন্তা কর্পোরেট এবং রাষ্ট্র গ্রাস করে নিয়েছে এরকম ধারণার বেড়াজাল থেকে বেরোতে হবে। স্বাধীন বিজ্ঞানচর্চা এখনও হয়, হয়ে চলেছে। একে লঘু করা খুব ন্যায্য অবস্থান নয় – কি বিজ্ঞানের দিক থেকে, কি জনস্বাস্থ্যের অবস্থান থেকে।"
     
    আমার বিশ্বাস, যে কোন সংবেদী মানুষ কিংবা গবেষক কিংবা চিন্তাশীল জগত এ কথাগুলোর তাৎপর্য অনুধাবন করতে পারবেন।
  • dc | 2401:4900:1f2b:e6cf:3c8f:d7d5:6772:***:*** | ২৯ জুলাই ২০২২ ২২:০৯510554
  • "আমার বিশ্বাস, যে কোন সংবেদী মানুষ কিংবা গবেষক কিংবা চিন্তাশীল জগত এ কথাগুলোর তাৎপর্য অনুধাবন করতে পারবেন"
     
    অবশ্যই পারবেন। এই টইতে তিন চারজন অ্যান্টি ভ্যাক্সার নিজেদের অ্যাজেন্ডামতো পোস্ট করে চলেছেন, এমনিতেও তাতে পাবলিক হেলথ প্রোগ্রামের কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। 
  • যদুবাবু | ২৯ জুলাই ২০২২ ২২:৩০510555
  • "স্বাধীন বিজ্ঞানচর্চা এখনও হয়, হয়ে চলেছে। একে লঘু করা খুব ন্যায্য অবস্থান নয় – কি বিজ্ঞানের দিক থেকে, কি জনস্বাস্থ্যের অবস্থান থেকে।" -- সম্পূর্ণ সহমত। স্বাধীন বিজ্ঞানচর্চার দীপটি জ্বালিয়ে রাখাই আমাদের প্রাথমিক এবং প্রধান লক্ষ হওয়া উচিত। 

    p.s. আপনার প্রবন্ধটি খুব সুন্দর লেগেছিলো। সংযোজনটুকুও সুন্দর। তবে, সত্যি বলতে এই যা দেখছি একে 'বিতর্ক' বলতে কিঞ্চিৎ বাধছে। ঐ ডিসি যা বললেন, তাই। 
  • উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায় | 43.25.***.*** | ২৯ জুলাই ২০২২ ২২:৪২510556
  • আপনিও নিজের এ্যাজেন্ডা মতন পোস্ট করে চলেছেন। এবং জয়ন্তবাবুর এই পোস্টের সমর্থক সেজে সুবিধা নেবার চেষ্টা করেছেন। এভাবে চললে বলবো  ওই দাদা - দিদি ওয়ালা পোস্টটার উত্তরগুলো দিন। বাধ্য করবো না। উত্তেজিতও করবো না। খোঁচাতে চাইলে খোঁচাতে আমরাও পারি। জয়ন্তবাবু নিজের মূল প্রবন্ধের অবস্থানে কেন যে ভিন্ন লোক ভিন্ন অর্থ বুঝেছিলেন‌ , সেটা জয়ন্তবাবুর এই পোস্টে আরেকটু পরিষ্কার করে দেওয়াতে মনে হলো যে উনি বুঝেছেন যে তার মূল প্রবন্ধটা ধোঁয়াটে ছিল কিছুটা। তারজন্য জয়ন্তবাবুকে ধন্যবাদ।
  • Debasis Bhattacharya | ২৯ জুলাই ২০২২ ২৩:১৮510558
  • জয়ন্ত ভট্টাচার্য,
     
    আপনার মোদ্দা অবস্থানটি সম্ভবত এই যে, বৈজ্ঞানিক-প্রাযুক্তিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে স্বার্থের টানাপোড়েনজাত নানা বিচিত্র বিকৃতি ও বিচ্যুতি থাকলেও, তার মধ্যে জগতের মূলগত সত্য এবং মঙ্গল উভয়েরই বাস্তব এবং স্বাধীন অস্তিত্ব আছে। আপনার মূল পোস্ট-টি এ অস্তিত্বকে তুলে ধরতে চেয়েছে, এবং সেইহেতু স্থবির দাশগুপ্তর অবস্থানের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চেয়েছে, যেহেতু সেখানে এ অস্তিত্ব অস্বীকৃত হয়েছে। এবং স্বভাবতই, আপনি আপনার দীর্ঘ মন্তব্যেও সেই কথাটিই মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন। বলা দরকার, এই কথাসূত্রে অংশগ্রহণকারী অনেকেই, আমি সমেত, আপনার এ অবস্থানের দৃঢ় সমর্থক। কিন্তু, আপনার লেখার প্রেক্ষিতে ঘটে চলা এই বিতর্কে আপনার বার্তার এই মূল অন্তর্বস্তুটিই যে অস্পর্শিত থেকে গিয়েছে, এই মর্মে একটা আফশোসের সুর যেন আপনার মধ্যে টের পেলাম, যেটা সম্ভবত অনিবার্য ছিল না। বিতর্কটি খুঁটিয়ে নজর করলে বোধহয় আপনি একমত হতেন যে, এখানে আসলে ঠিক ওই বিষয়টিই চর্চিত হয়েছে, অর্থাৎ, বিজ্ঞানের স্বার্থান্বিষ্টতা বনাম বস্তুনিষ্ঠতা --- যদিও কিঞ্চিৎ মোটাদাগে এবং চিৎকৃত ও আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে। বৈজ্ঞানিক বিতর্ক এভাবে হওয়াটা অস্বস্তিকর, ঠিকই। যেমনটি আপনার কাছে, ঠিক তেমনটিই আমি এবং আমার মত অনেকের কাছেও। কিন্তু, এখানে যা পরিস্থিতি, তাতে এ বিতর্ক বোধহয় একমাত্র এভাবেই হতে পারত। এবং, আমার ধারণা, এটা অন্তত মন্দের ভাল। এ বিতর্ক এই পোস্ট-টিকে অনেক বেশি দৃশ্যমান করে তুলেছে, যেটা এভাবে ছাড়া হতে না-ও পারত। আমার মতে, আনন্দবাজারের মত প্রভাবশালী গণমাধ্যমে প্রকাশিত লেখার বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর সকলের কাছে পৌঁছতে গেলে আপনার লেখাটির বহুল প্রচার প্রয়োজনীয় ছিল, এবং সে উদ্দেশ্য এ প্রক্রিয়ায় খানিকটা হলেও সাধিত হয়েছে। আরও ভালভাবে এটা হতে পারত, সন্দেহ নেই। কিন্তু, যা হল সেটাও বোধহয় খুব বেশি খারাপ কিছু না।
  • জয়ন্ত ভট্টাচার্য | 59.97.***.*** | ২৯ জুলাই ২০২২ ২৩:৩০510559
  • দেবাশিসবাবু সহ সবাইকে ধন্যবাদ! 
  • মাও জুতোং | 89.34.***.*** | ৩০ জুলাই ২০২২ ১১:৩০510570
  • সাধারণ নাগরিক | 2a0b:f4c0:16c:7::***:*** | ৩০ জুলাই ২০২২ ১৬:৪২510576
  • তাহলে এই দীর্ঘ তর্কযুদ্ধে কারা জিতলেন?
    নিঃসন্দেহে ভ্যাকসিন  কোম্পানির চিয়ার লিডাররা জিতলেন। তাদের পারফরম্যান্সে আমরা দারুণ খুশি হলাম।
    আমরা জেনে আরো খুশি হলাম মাঙ্কি পক্সের ভ্যাকসিন ইতিমধ্যে ই স্বীকৃত হয়ে রয়েছে। আশা করছি পেশাদার চিয়ার লিডাররা শীঘ্রই আমাদের অনুপ্রাণিত করতে বাঁদর নাচন এবং ছুচোঁর কেত্তন শুরু করবেন।

    সাধারণ নাগরিক
  • সাধারণ নাগরিক | 2405:8100:8000:5ca1::a4:***:*** | ০১ আগস্ট ২০২২ ১২:২৩510651
  • সাধারণ নাগরিক | 2405:8100:8000:5ca1::113:***:*** | ০১ আগস্ট ২০২২ ১২:৩৫510652
  • dc | 2401:4900:1f2a:11e:247c:cae7:8dcd:***:*** | ০১ আগস্ট ২০২২ ১২:৫১510653
  • ভারতে এই যে ছোটদের ভ্যাক্সিনেশান পলিসি চালু আছে বেশ কিছু অসুখের বিরুদ্ধে, এটা বেশ ভালো ব্যপার। জন্ম থেকে বছর দশেক বয়স অবধি নিয়ম করে ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়। এটা আমাদের পাবলিক হেল্থ পলিসির একটা ভালো দিক। 
  • উরিশ্লা | 2405:8100:8000:5ca1::15b:***:*** | ০৩ আগস্ট ২০২২ ০৯:০২510706
  • ভ্যাকুদের জন্য নতুন সুযোগ। দৌড়ান, দৌড়ান, ফস্কে না যায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন