এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • একাদশ শ্রেণীতে ট্যাব প্রদান প্রসঙ্গে

    Sandipan Majumder লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ জুলাই ২০২৪ | ১৯৩৪ বার পঠিত
  • একাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের ট্যাব দেওয়া নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল।

    আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রথম পাতার এক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল ট্যাবের পেছনে ১৫০০ কোটি টাকা খরচ না করে শিক্ষার উন্নতিকল্পে আর কী কী করা যায় ? এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মনে হয়েছিল মিড ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি। মনে পড়ে যাচ্ছিল, বোধহয় গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে একমাসের জন্য ছাত্রছাত্রীদের বরাদ্দ বৃদ্ধি করে রাজ্য সরকার যখন এক পিস করে চিকেন আর ফল দিয়েছিল তখন বাচ্চাদের মধ্যে কেমন সাড়া পড়ে গিয়েছিল। যদিও একমাসের ব্যাপারটা ভোটজোগাড়ের নির্লজ্জ প্রহসনই ছিল। কিছুদিন আগে একটা ফোটো চোখে পড়েছে অনেকের যেখানে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রান্তিক এলাকায় অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা মিড ডে মিল খাচ্ছে স্কুলে আর সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা সেই দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এই টাকার একটা ভগ্নাংশ খরচ করেই তাদেরকে মিড ডে মিলের আওতায় আনা যেত।

    মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রিক একটি গ্রুপে এই নিয়ে বিতর্কে এক তৃণমূলপন্থী প্রগতি শীল ব্যক্তি (প্রগতিশীল, কারণ উনি এ পি ডি আর করেন) মন্তব্য করলেন, ইনটারনেট থেকে কি শুধু বড়লোকের বাচ্চারাই শিখবে ? সত্যিই দেখলাম প্রগতিশীলরা সবসময় শ্রেণীর ব্যাপারটা মাথায় রাখেন। যেমন এটা যদি রাশিয়া হত আর স্কুলে ভদকা দেওয়া হত , তাহলে উনি সেটাকে সমর্থন করে বলতেন, ভদকা কি শুধু বড়লোকের বাচ্চারাই খাবে ?

    কেউ যদি ভদকার সঙ্গে মোবাইল বা ট্যাবের তুলনায় আপত্তি করেন তাহলে আমি তাদের সঙ্গে একমত হব। কারণ সত্যিই ভদকার সঙ্গে মোবাইল বা ট্যাবের কোনো তুলনাই চলে না কারণ দু এক পেগ ভদকার তুলনায় মোবাইল বা ট্যাব অনেক বেশি বিপজ্জনক।

    তাহলে ঐ প্রগতিশীল ব্যক্তি যেমন বলছিলেন, তেমনি ইনটারনেট থেকে কি শেখা যায় না ? কেন যাবে না, গুটিকতক সাত্ত্বিক প্রকৃতির লোক নিশ্চয়ই আছেন যাঁরা ইনটারনেট থেকে শুধু জ্ঞান আহরণ করেন। বাকি আমার, আপনার মত বেশির ভাগ তামসিক প্রকৃতির লোক নেট থেকে শুধু মজা নিয়েই কাটিয়ে দিই ঘন্টার পর ঘণ্টা। এ মজার প্রকারভেদ থাকতে পারে — কেউ হয়ত পুরোনো বাংলা গান শুনছেন, কেউ সেলিব্রিটিদের রিল দেখছেন, কেউ প্রিয় খেলোয়াড়ের ক্লিপিংস দেখছেন, কেউ হোয়াটসঅ্যাপে ‘চেপে রাখা ইতিহাস’ পড়ে শিহরিত হচ্ছেন, কেউ ইনকগনিটো ট্যাব খুলে, বিনে পয়সার ভিপিএন ব্যবহার করে বা না করে পর্নোগ্রাফির থরে থরে সাজিয়ে রাখা সফটকোর আর হার্ডকোর সম্ভার দেখছেন। মোট কথা জ্ঞানের জন্য ইনটারনেট ব্যবহার রিসার্চ লাইব্রেরীর বাইরে কাউকে করতে দেখেছি বলে মনে পড়ে না। অবশ্য গুগল করে ইনফরমেশন কালেক্ট করতে দেখেছি। যাইহোক ইনফরমেশনকে তো আর নলেজ বলে না । আর সেই ইনফরমেশন ঠিকঠাক পেতে গেলেও কিন্তু যেটা লাগে সেটা হল ইংরেজী ভাষায় মোটামুটি জ্ঞান।

    মোবাইল সম্পর্কে এই ব্রহ্মজ্ঞানটুকু ছিল বলেই আমার ছেলেকে টুয়েলভ পাস করার আগে আমি মোবাইল কিনে দিইনি এবং আমার পরিচিত কোনো অভিভাবককেও দেখিনি কিনে দিতে। তাদের অবশ্য ডেস্কটপ কম্পিউটার ছিল প্রত্যেকের কিন্তু তাতে নেট সংযোগ ছিল না এবং সেগুলো গেম খেলার কাজেই বেশি ব্যবহৃত হত। কিন্তু আজকে সরকারী স্কুলের কোনো অভিভাবক যদি সিদ্ধান্ত নেন যে পড়াশোনার ক্ষতির থেকে বাঁচাতে সন্তানকে দ্বাদশ শ্রেণী পাস করার আগে মোবাইল বা ট্যাব দেবেন না, সরকারী নীতিতে তাঁর সেই সিদ্ধান্তে ভেটো পড়ে গেল। শুধু তাই নয় আর্থিক ভাবে অসচ্ছল পরিবারের ওপর চাপল নেট রিচার্জ করার বাড়তি চাপ হিসেবে মাসিক অন্তত পাঁচশ টাকার খরচ।

    তাহলে বিদ্যালয় শিক্ষায় ইনটারনেটের ব্যবহার কি কোনো সুফল দিতে পারে না ? দিতেও পারে হয়ত গুটিকয় খুব এগিয়ে থাকা ছাত্রছাত্রীদের কাছে। তাদের জন্য বিদ্যালয়ের লাইব্রেরীতে কয়েকটি ডেস্কটপ কমপিউটার ইনটারনেট সংযোগ সমেত দিয়ে দিলেই হয়, যদি অতটা বাড়াবাড়ি রকমের পরিকাঠামো উন্নতির দরকার হয় আদৌ।

    তাহলে এত এত ছাত্রছাত্রী ইনটারনেট সমেত ট্যাব নিয়ে কি করবে ? মজা করবে যে মজাগুলোর উল্লেখ ওপরে করেছি। তবে একটা বড় অংশ মুলত পর্ণগ্রাফি দেখবে।মনে রাখতে হবে তাদের বয়স সবে পনের কি ষোল। মনে আছে ইলেভেনে পড়ার সময় কেউ একজন একটা রগরগে থ্রিলার নিয়ে ক্লাসে এসেছিল – নিক কার্টারের সাগর সহেলীর ফাঁস। ক্লাস ভর্তি ভালো ছেলেদের পড়া সেদিন মাথায় উঠেছিল। আর এখন তো অডিও ভিস্যুয়াল। না, পর্ণগ্রাফির বিরুদ্ধে কোনো নৈতিক যুক্তি আমি এখানে দিচ্ছি না। কিন্তু মুশকিল হল ইনটারনেটে এর অসীম সংগ্রহ ওই বয়সে অ্যাডিকশনের জন্ম দেয় এবং প্রচুর সময় নষ্ট করায়। তাই পৃথিবীর যেসব দেশে পর্ণগ্রাফি লিগাল, সেখানেও আঠার বছর বয়সের আগে তারা যাতে অ্যাকসেস না পায় সেটা দেখা হয়। তাছাড়া আমাদের দেশের সমাজব্যবস্থায় যেখানে যৌনতা এখনও একটা প্রকাশ্যে অনালোচিত ট্যাবু সেখানে অপ্রাপ্তবয়স্ক কেউ এসব দেখে অপরাধবোধ বা ধর্মীয় কারণে পাপবোধে ভুগতে পারে। তখন পড়াশোনা যেটুকু হচ্ছিল সেটুকুও মাথায় উঠবে। আর জেনে রাখুন শুধু করোনার সময় ভারতে যে সহস্রাধিক সফটকোর বা হার্ডকোর পর্ণগ্রাফি তৈরি হয়েছে (শিল্পা শেঠীর স্বামী রাজ কুন্দ্রার গ্রেফতারি মনে আছে নিশ্চয় ) সেগুলোও এখনো নেটে সহজলভ্য। আর এসবের ঠিকানা মোবাইল বা ট্যাবের কয়েকটি বাটনচালনার দ্বারাই উপলব্ধ যেটার সন্ধান নন- ডিজিটাল আপনি না জানলেও আপনার ডিজিটাল সন্তান নিশ্চয়ই জানবে।

    পড়াশোনা কি হবে জানিনা। এরা ছাব্বিশে ভোটার হলে ঠিক জায়গাতেই ভোট দেবে এটুকু অন্তত অনুমান করা যায়। ওই বলে না, যাবৎ জীবেৎ, সুখং জীবেৎ...
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • স্টু গা | 103.244.***.*** | ২৫ জুলাই ২০২৪ ২২:০৪535338
  • তিনোদের খিস্তি করেছি সেটা কি বানান করে লিখে দিতে বলছেন? দিলাম। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা গোটাটাই গত চোদ্দ বছরে চ'কারান্তের একশেষ করে গাধার ইয়েতে পাঠানো হয়েছে। 
     
    তাবলে সিপুয়েমের আমলে সরকারি চাকরি দেওয়ার সময় মোটেও আনুগত্যের রং দেখা হত না, এসব বলার চেষ্টা করে আর লোক হাসানোর মানে হয় না। 
     
    বিজেপিকেও চাট্টি খিস্তি করে যাই, নইলে তো আবার চাড্ডি বলে দেগে দেবেন। ভারতবর্ষের যেটুকু মান ইজ্জত আর হায়ার এজুকেশনে কোর ফিল্ডে এক্সেলেন্স ছিল,  এখন আইআইটি গুলোকে বৈদিক বিজ্ঞানএর আখড়া করে আর গোবর গোচোনা নিয়ে গবেষনার ফান্ডিং করে, পুনরাপি দেশের সর্বোৎকৃষ্ট ইন্সটিটিউশনগুলোর মাথায় চাড্ডি ইন্সটলেশনের প্রক্রিয়া শেষ হলে  কফিনের শেষ পেরেকটা ঠোকাও হয়ে যাবে।
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ২৫ জুলাই ২০২৪ ২২:১০535341
  • যথার্থই। তবে আমার মতে সিপিএমের সময়ের থেকে এখন আরও বেশি হাঁড়ির হাল হয়েছে শিক্ষার। বাকি যা বললেন , তা নিয়ে কোন দ্বিমত নেই।
  • . | ২৫ জুলাই ২০২৪ ২২:২৬535343
  • কিন্তু মূল তর্কটাতো হচ্ছিল যুবকযুবতীদের হাতে ট্যাব দিলে সেটাতে তারা চুটিয়ে পর্নো দেখবে, পড়াশুনো করবে না — এই নিয়ে।
    আপাত আধুনিক অথচ চুড়ান্ত রক্ষনশীল বুড়োরা যুবকযুবতীদের হাতে ট্যাব মানেই পর্নো দেখার খুল্লমখুল্লা অধিকার — এইরকমের ইকুয়েশন করছেন।
    হাতে স্মার্টফোন বা কম্পিউটার লযাপটপ থাকলেও এরকম খোঁড়া অজুহাত দেওয়া যেত।
    তারপরে জিনিসটা তিনো-বাম-চাড্ডি হয়ে গেল কেন, এটা চরম আল্টিমেট ব্যাপার। পুরো গরুর রচনা।
    আসলে "আমার সন্তান সব পাবে, তোমরা সেসব পাবে না, পেলেও পাবে কম কম" মানসিকতা।
    গরীবের সন্তানরা ট্যাব পাচ্ছে, তারাও সুযোগসুবিধা পেলে ভাল পড়াশুনো করবে, প্রতিযোগিতায় লড়বার জন্য প্রস্তুত হতে পারবে, সেইটে মন থেকে চাই না। সমান সমান সুযোগ ওরা পাবে না, কম কম পাবে।
  • dc | 49.207.***.*** | ২৫ জুলাই ২০২৪ ২৩:১১535348
  • স্টু গা, আপনি ১০ঃ০১ এ যে প্রশ্নগুলো করেছেন তার প্রায় কোনটারই উত্তর আমি জানিনা, কারন পবতে শিক্ষাক্ষেত্রে কি হচ্ছে তার কিছুই জানি না। আমি ইন জেনারাল বললাম যে ক্লাস টুয়েলভ অবধি ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় মোবাইল, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ ইত্যাদির বেশী ব্যাবহার করা উচিত না। এই আর কি। 
  • এলেবেলে | ২৫ জুলাই ২০২৪ ২৩:৫৪535358
  • বিষয়টা যখন পশ্চিমবঙ্গের স্কুলশিক্ষার সঙ্গে জড়িত এবং এ বিষয়ে যেহেতু আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আছে, তাই দু-চার কথা লিখেই ফেলি।
     
    ১. এই ট্যাব প্রদান এ রাজ্যে প্রথম শুরু হয় কোভিডের সময়। সরকারি খরচ ছিল ছাত্রপিছু ১০ হাজার টাকা। সে টাকা দিয়ে ১০ লাখ ছেলেমেয়ে ট্যাবই কিনেছিল, এমন অভিযোগ তাদের চরম শত্রুও করতে পারবে না। টাকাটা ছিল তাদের মোচ্ছব করার উপাদান। ট্যাব কেনার একটা রসিদ সংশ্লিষ্ট স্কুলকে দিতে হত/হয় বটে, কিন্তু সে রসিদ পাড়ার দোকানে বিনা পয়সাতেই মেলে। কিন্তু এর সাহায্যে তারা ওই বছরে পড়ে ফাটিয়ে দিয়েছিল, এমনটা নয়। এর ডিভিডেন্ড সরকার পায় ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে। বিশেষত ১৮-র লোকসভায় বিজেপির চমকপ্রদ উত্থানকে আটকাতে এই আঠারো বছর বয়সী ভোটারদের তিনোমুখী করার জন্য এটি চমৎকার চাল হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।
     
    ২. হাতে সরকারি ট্যাব পাওয়ার পরে ছেলেমেয়েরা পানু দেখে, এতটা নাইভ আর তারা নেই। ক্লাস নাইন থেকেই প্রচুর প্রাইভেট টিউটরের কাছে তারা পড়তে যায়। ফলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য তাদের অভিভাবকরাই বরং এমন একটি ডিভাইস কিনে দিতে বাধ্য হন, যাতে পানু দেখা আর রকেট সায়েন্স থাকে না। 
     
    ৩. প্রায় প্রতিটা স্কুলেই ইলেভেন তো বটেই, এমনকি ক্লাস নাইন-টেনের ছেলেমেয়েরাও ফোন নিয়ে আসে। স্কুলের তরফে দু-চারদিন লোকদেখানো ধরপাকড় অভিযান চলে বটে, কিন্তু সেই বাজেয়াপ্ত করা ফোনগুলো মানে মানে তাদের হাতে ফিরিয়ে দিয়ে প্রধান শিক্ষক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। 
     
    ৪. প্রথমে ভাবা গিয়েছিল অতিমারির বছর দুটোতেই বুঝি এই প্রথা চালু থাকবে। কিন্তু সরকার যখন বুঝতে পারে এটা তাদেরকে ফি বছর ভালো ডিভিডেন্ড দিচ্ছে, তখন তারা এর ফায়দা তুলতে দ্বিধা করেনি। এবারে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হিসাবে যুক্ত হয়েছে মাধ্যমিক পাস করে স্কুলে ভর্তি হলেই কড়কড়ে ১০ হাজার টাকার হাতছানি।
     
    ৫. এখন রাজ্যের একটি মাধ্যমিক কিংবা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলও ব্রডব্যান্ড-সহ কম্পিউটার ছাড়া এক পা-ও এগোতে পারে না। সারা বছর ধরে এত কিসিমের জিনিস বিভিন্ন সরকারি পোর্টালে আপলোড করতে হয় যে এ ভিন্ন গতি নেই। কাজেই স্কুলে নেট সংযোগ ও দু-চারটে কম্পিউটার কিনলেই সমস্যার সুরাহা হতে পারে, ব্যাপারটা এমন গোল-গোল নয়। ওটা আছে এবং দির্ঘদিন ধরেই আছে।
     
    ৬. কলা কিংবা বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রদের ট্যাব ছাড়া চলবেই না, ব্যাপারটা এমনও নয়। আর যদি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রদের সেটা এতটাই প্রয়োজনীয় হত, তাহলে ২০১৯ পর্যন্ত তারা এই সরকারি দানছত্র ছাড়া পড়াশোনাটা কোন যাদুমন্ত্রে করেছিল? নাকি তারা সর্বভারতীয় পরীক্ষাগুলো দেয়-টেয়নি কিংবা দিলেও তাতে সফল হয়নি।
     
    ৭. কলকাতার কথা আলাদা কিন্তু এখনও বাংলার অধিকাংশ মফস্‌সল শহরে উমা-র বিজ্ঞান বিভাগের টিউটররা প্রধানত সেই শহরের অভিজ্ঞ স্কুল শিক্ষক। কাজেই উচ্চশিক্ষার জন্য যে কেউ ট্যাব প্রয়োজনীয় মনে করেই পারেন কিন্তু সেটা অত্যাবশ্যক নয়। অন্তত এখনও নয়। যেহেতু আলোচনার মূল প্রেক্ষিত সরকার পোষিত স্কুল, তাই এখানে ইমি-র উল্লেখ অবান্তর।
     
    এই ট্যাব আসলে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি। ক্লাস নাইনে যেমন একজন ছাত্র বা ছাত্রীর সাইকেল থাকা সত্ত্বেও সে একটা সরকারি সাইকেল পায় (এবং পাওয়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সেটা পাঁচ-সাতশো টাকায় বিক্রি করে দেয়), ঠিক তেমনই একটা ফোন থাকা সত্ত্বেও সে ইলেভেনে উঠলেই মোচ্ছব করার জন্য সরকারের তরফে ১০ হাজার টাকা পায়। খুব ছোট থেকেই সে দুটো জিনিসের সঙ্গে পরিচিত হতে থাকে - বিনি মাগনায় সরকারি পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার ওপর ন্যায়সঙ্গত অধিকার অর্জন এবং সীমাহীন সরকারি দুর্নীতি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানলাভ।
  • r2h | 192.139.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২৪ ০০:০৩535359
  • এলেবেলে এইটা ভালো ধরেছেন।
    ট্যাব দেওয়া আর ট্যাবের জন্য দশ হাজার টাকা দেওয়া - দুটো জিনিসের মধ্যে অনেক ফারাক।

    আর পানু টানু ও আর আজকাল এমন কি দুর্লভ। দেখতে চাইলে পাঁচটা বন্ধুবান্ধব খুঁজে পাওআ যাবে এমনিতেই।
    নির্দোষ বেড়ালের রিল দেখাতেই যা অ্যাডিকশন হয় তার কাছে কোথায় লাগে পানু। আর নানাবিধ ভুয়োবিজ্ঞান, ধর্মীয় উস্কানী - এইসবের কন্টেন্ট পানুর থেকেও ক্ষতিকর হতে পারে কখনো কখনো। পানুটা তেমন কোন বড় ব্যাপার বলে মনে হয় না।

    আজকের দিনে প্রতিযোগিতার বাজারে টিঁকে থাকতে গেলে ডিজিটাল মাধ্যমের সঙ্গে পরিচিতি বড়ই দরকারি বলে মনে করি। প্রিভিলেজড অংশ এমনিতেই সেসব পেয়ে যায়। যারা পায় না, তারা কীভাবে পেতে পারে ও কাজে লাগাতে পারে, সেইটা খুব গুরুতর চিন্তা বলে মনে করি।
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২৪ ০০:০৬535361
  • ট্যাব পেয়ে ১৮ বছর বয়সী স্টুডেন্টরা কেউ তিনোমুখী হয়েছে বলে তো বাস্তব অভিজ্ঞতা ,ভোটের রেজাল্ট কোনটাই বলে না। তরুণ ভোটাররা ৯৯% বিজেপি সমর্থক , বাকি ১% বাম সমর্থক। স্টুডেন্টদের বা তরুণ ভোটারদের মধ্যে তিনু সমর্থক কেউই প্রায় নেই। এলেবেলেদার অভিজ্ঞতা কী , জানি না অবশ্য 
  • dc | 2a02:26f7:d6c4:6805:0:199c:4c08:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২৪ ০০:১২535363
  • আচ্ছা, এলেবেলের পোস্ট পড়ে পবর অবস্থা কিছুটা জানলাম। ধন্যবাদ :-)
  • এলেবেলে | ২৬ জুলাই ২০২৪ ০০:২৬535364
  • কৌতূহলী দেখলাম উমা দিয়েছেন ১৪ সালে। কিন্তু তাতেই আপনি বুঝে গেলেন যে 'তরুণ ভোটাররা ৯৯% বিজেপি সমর্থক , বাকি ১% বাম সমর্থক'? তা হবে! এবারে মেয়েদের অভিজ্ঞতাটা একবার শুনে নিন। একদম নিজে কানে শোনা অভিজ্ঞতা। মেয়েরা উমা পাস করে কলেজে ভর্তি হয় এবং ঠিক ততদিনই ক্লাস-ফ্লাস করে যতদিন না কন্যাশ্রীর ২৫ হাজার টাকাটি বাগাতে না পারে। তারপরে তাদের টিকিটিও দেখা যায় না। অতঃপর তাদের অভিভাবকরা বিয়ের ব্যাপারে উদ্যোগী হতে শুরু করেন। তখন দরকার পড়ে রূপশ্রীর ২৫ হাজার টাকা বাগানোর। এটা আবার পাকা বাড়ি থাকলে মেলে না। কিন্তু তারা তো ছোট থেকেই সীমাহীন দুর্নীতির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। তাই অফিসারকে পার্শ্ববর্তী একটি কাঁচা বাড়ি বা টালির ছাদওয়ালা বাড়ি দেখিয়ে সেটাকে নিজের বাড়ি বলে চালানো হয়। তিনো নেতাদের সঙ্গে দহরম-মহরম থাকলে অফিসারকে হাজার পাঁচেক কাটমানি দিতে হয়। খেল খতম। একটি মেয়ে এভাবে মাত্র দু বছরের মধ্যে সরকারি ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে। তার পরে লক্ষীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করে। তাদের তিনো না করলে চলে? নারী জাগরণ হচ্ছে বলে কথা! তাও ঐক্যশ্রীর দুর্নীতির কথা উহ্যই রাখলাম।
  • তনুশ্রী হালদার | 103.5.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২৪ ০১:৪০535365
  • সত্যিই তো, মেয়েদের ওয়েলফেয়ার স্কীমে সরকার টাকা ঢালছে দেখলে কোন পুরুষের না হিংসেয় বুক ফাটে! সে বামপন্থীই হোক আর রামপন্থীই হোক।
     
    ওয়েলফেয়ার স্কিমের টাকা নেওয়াকে একদল ভাবে ভিক্ষে নেওয়া, অন্যদল ভাবে আত্মসাৎ করা। 
     
    তাদের এলেবেলে সমর্থকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় কেঁদে বেড়ায় আহা কেন তারা ভোট পায়না, ওদিকে তিনোরা নাকি টাকা বিলিয়ে ভোট কিনছে।
  • স্টু গা | 103.244.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২৪ ০১:৪২535366
  • . | ২৫ জুলাই ২০২৪ ২২:২৬
    না, মূল লেখার শেষ লাইন দেখলেই বুঝবেন, লেখকের মূল প্রতিপাদ্য বিলাপটি হচ্ছে : কেন ২০২৬ এ নতুন ভোটারদের ভোটও তিনোরাই পাবে। বাকিটা ওই তিনো সরকারের প্রবর্তিত ওয়েলফেয়ার পলিসি মাত্রেরই  নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট আলোচনার দায়ে বা দায়িত্বে। 
     
    মাধ্যমিক পাস করে উচ্চমাধ্যমিক পড়তে স্কুলে ভর্তি হওয়ার ডিভিডেন্ট হিসেবে সরকারের তরফে দশ হাজার টাকা দেওয়া তো খুবই ভালো কথা। কোনো রাজনৈতিক দল বুক ঠুকে বলার সাহস রাখে যে তারা ক্ষমতায় এলে এই স্কিম তুলে দেবে? কন্যাশ্রী রূপশ্রী ঐক্যশ্রী তুলে দেবে? বড়জোর বলতে পারে প্রয়োগে স্বচ্ছতা ও দুর্নীতিমুক্ত ডিস্ট্রিবিউশন আনবে, কাটমানি খাবে না -- এই তো?
     
    মোচ্ছব করার জন্য টাকা পাওয়ার কথা এমনভাবে বলা হচ্ছে যেন বাপ-মা-গার্জিয়ান ইলেভেনে ওঠা স্টুডেনটিকে ব্যাঙ্ক থেকে টাকাটা তুলে হাতে দিয়ে বলেন যা ফুত্তি কর, আর পাড়ার দোকান থেকে একটা ভুয়ো রসিদ নিয়ে স্কুলে জমা করে দিস।
     
    ঠিক এই লাইনে আলোচনা করে ভিক্ষা, দান, ভাত ছড়ানো ইত্যাদি আঙ্গিকে তিনো সরকারের ওয়েলফেয়ার স্কিমগুলোকে খিস্তি করার থুতু অতিসমর্থকদের চাটতে সিপুয়েম পার্টি হাইকমান্ড লাইন বাধ্য করেছিল। ভোটের পরে বেরোনো সে ভিডিও গুরুতেই আছে। সৈকত বন্দ্যো তার ট্রান্সক্রিপ্ট করে পোস্টও করেছিল। তারপরেই যে যার লক্ষ্মীর ভান্ডার সংক্রান্ত খিল্লি ও খিস্তির পোস্টগুলি "অনলি মি" করে ফেলেন।
     
    একটু আগেই  যা বলেছি --"এখনি আরেকজন এসে লিখে যাবে ২০০০ সালে ইন্টারনেট খায় না মাথায় দেয় না জেনেই IIT তে ১,২,৩ আদি সমস্ত র‍্যাঙ্ক হয়েছিল বাচ্চাদের।" সেই লাইনে পোস্ট যথারীতি পড়েছে আর কি। লকডাউন ব্যপারটাকে সস্নেহে ভুলে যেতে পারলেই যেন ভালো হয়, যেন তার এফেক্টও কিছুই হয়নি। একটা মিনিমাম জিনিস ভেবে দেখলেও তো হয় যে ২০১৯ সালের আগে নিজেকে যে পরিমাণ লাইব্রেরি যেতে হত বা বই কিনতে হত, তা কি কিছুই কমেনি এই কয় বছরে ডিজিটাল টেকস্ট কনটেন্টের বাড়বাড়ন্তে?
     
    বইপত্র, টেকস্ট ও রেফারেন্স, এমনকি গল্পের বইও, যেহারে দাম বেড়ে মহার্ঘ্য বস্তুতে পরিণত হচ্ছে তাতে ইকোনমিক পিরামিডই ক্রমশ মেরিট পিরামিডের প্রিকার্সার হয়ে দাঁড়াবে। এই হায়ারার্কি ভাঙতে পারে একমাত্র টেকনোলজির ইন্টারভেনশন।  সেখানে আবার প্রেজুডিস আর পলিটিক্সের আগল লাগানো চলছে।
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২৪ ০২:০৭535369
  • @এলেবেলেদা
    ব্যাপারটা এত সহজ না। আপনি শিক্ষক বলে আপনার অভিজ্ঞতা অবশ্যই মূল্যবান, সেটা সম্মান জানিয়েই বলছি, আমি এই প্রজন্মের হওয়ায় আর নিয়মিত এই প্রজন্মের স্টুডেন্ট পড়ানোয় আমি এটা কিছুটা জোর দিয়েই বলতে পারি, ১৮-৩০ এই বয়সীরা ৯৯% বিজেপি ভোটার। মোটের ওপর তাঁরা বিশ্বাস করে বিজেপি দুর্নীতিবাজদের টাইট দিচ্ছে, বিজেপি বাংলায় এলে বাংলা সিলিকন ভ্যালি হবে, মোদীজী ভারতকে জগতে শ্রেষ্ঠ আসনে বসিয়েছেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে টাইট দিয়েছেন। 
    নিম্নবিত্ত মেয়েদের ভোট তৃনমূলে পড়লেও পড়তে পারে, কিন্তু নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত মেয়েদের ভোট বিজেপিতেই পড়ছে। তারও কারণ আছে। 
    ওয়েলফেয়ার পলিটিক্স একটা ইলেকশনে প্রভাব ফেলে। তাঁর পরের ইলেকশনে তাঁর জৌলুস থাকে না। নাহলে ২০১৫ তে কন্যাশ্রী চালু করে ২০১৯ এই তৃণমূল ৩৪ থেকে ২২ এ নামত না। 
    নতুন প্রজন্মের ভোটাররা পুরো বিজেপিমুখী হচ্ছে। সংগঠন ছাড়া বিজেপি এত ভোট পাচ্ছে, তাঁর পিছনে এটাও একটা কারণ।
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২৪ ০২:১৩535370
  • আর একটা বিষয় আমি জানতে চাইছি, যে ফর্মে যে সরকারই ভাতা দিক না কেন, তা নিয়ে আপত্তি থাকার কারণ কী? রাষ্ট্র তো জনগণের থেকে ট্যাক্স নেয়, অথচ জনগণের শিক্ষা, চিকিৎসা, জীবিকা কোনটারই দায়িত্ব নেয় না, নিজেদেরটা নিজেদেরই বুঝে নিতে হয়। সেক্ষেত্রে সরকারকে চাপ দিয়ে জনগণের জন্য যত বেশি প্রকল্প আদায় করা যায়, ততই তো ভাল। দুর্নীতিমুক্তভাবে প্রকল্প বন্টনের দাবি উঠতেই পারে, কিন্তু জনগণের হাতে টাকা আসার বিরোধীতা করার মানে কী? জনগণ সেই টাকা নিয়ে মোচ্ছব করবে, এই অভিযোগটা প্রকল্পের বিরোধীতা করার ভ্যালিড পয়েন্ট হতে পারে কি? তাহলে তো একই যুক্তি মাইনে আটকে দিয়ে সরকার বা কোম্পানি দেখাবে, যে কর্মীরা মাইনের টাকা মদ খেয়ে ওড়াতে পারে!!!
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২৪ ০২:১৬535371
  • আর একটা কথা, ক্লাবে টাকা দেওয়া বা ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে টাকা দেওয়ার বিরোধীতা অবশ্যই করা উচিত। ওটা কোন ওয়েলফেয়ার নয়।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:f163:df9f:bedb:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২৪ ০২:২৩535372
  • ক্লাবে বা ধর্মীয় উৎসবে টাকা দেওয়া ওয়েলফেয়ার নয় কেন? কেনিসিয়ান বুস্ট তো বটে।
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২৪ ০৩:২৪535373
  • তরুণরা ভাবছে ভারতকে জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসনে বসিয়েছেন আর হেথা হোথা যত পাজি আছে সবগুলোকে টাইট দিয়েছেন? ফেসবুকে নানা গ্রুপে খুব তর্কাতর্কি দেখি এইসব নিয়ে, কিছু বুঝে উঠতে পারি না। সন্দেহ একটা হত যে তরুণরা হয়ত এরকম ভাবছে। এখন ক্লিয়ার হল। অনেক ধন্যবাদ, কৌতূহলী।
    শ্রেষ্ঠ আসনের ব্যাপারটা কি অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য? জিডিপি? নাকি প্রযুক্তির যেমন কিনা চন্দ্রযান, মঙ্গলযান?
  • . | ২৬ জুলাই ২০২৪ ১১:১৪535379
  • ওয়েলফেয়ার ভাতা দরকার। 
    নানান দেশেই নানানরকম ভাতা চালু আছে।
    আমার এই দেশে সন্তান বড়ো না হওয়া অবধি শিশুভাতার সুবিধা প্রত্যেকে পান। এতে অন্যায় নেই।
     
  • এলেবেলে | ২৬ জুলাই ২০২৪ ১৯:৪৫535386
  • প্রথমে তক্কোটা হচ্ছিল ট্যাব দেওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে। পাক্কা এক পাতা আলোচনা চলার পরে জানা গেল সরকার কাউকেই ট্যাব-ফ্যাব দেয় না, দেয় ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা। এবারে সবাই যে যাঁর মতো আগের আলোচনাকে গিলে ফেললেন! তখন ব্যাপারটা দাঁড়াল সোশ্যাল ওয়েলফেয়ারে। এখানেও বিষম গণ্ডগোল! 
     
    কেউ ভাবলেন সিপিএমের এলেবেলে সমর্থকদের কথা যারা তিনো কেন এত ভোট পেল/পাবে বলে কেঁদে বেড়ায়। কেউ পুরুষদের হিংসেয় বুক ফাটা দেখতে পেলেন। তো কেউ তরুণ প্রজন্মের ১০০% বিজেপির ভোটার - সে সম্পর্কে নিঃসন্দিহান হলেন। কেউ আরও এক কাঠি এগিয়ে ভেবে বসলেন বারো ক্লাসের পড়ুয়ারা বাবা-মায়ের এতই বাধ্য যে তারা যতক্ষণ 'ইলেভেনে ওঠা স্টুডেনটিকে ব্যাঙ্ক থেকে টাকাটা তুলে হাতে দিয়ে বলেন যা ফুত্তি কর, আর পাড়ার দোকান থেকে একটা ভুয়ো রসিদ নিয়ে স্কুলে জমা করে দিস' ততক্ষণ সেসব অকাজ-কুকাজ তারা ভুলেও করে না। এক এক করে আসি। শেষ থেকে শুরু করি বরং।
     
    আসলে পুরোটা না জানলে ইলেভেনে পড়া পড়ুয়ার বাপ-মা ব্যাঙ্ক থেকে টাকাটা তোলার অধিকারী হন বটে এবং নির্দেশও দিতে পারেন! কিন্তু অ্যাকাউন্ট তো খোলা হয় ছাত্রছাত্রীদের নামে এবং সেটাও ইলেভেনে নয়, বরং অনেক আগেই। সেই টাকা তোলার অধিকার কেবল তাদের বাবা-মায়েরই থাকে বুঝি?
     
    যতদূর জানি, এ রাজ্যে উমাতে পড়ে প্রায় ৪০% সংখ্যালঘু পড়ুয়া। তাদের জন্য সরকারি তরফে মাইনরিটি স্কলারশিপ (সেখানে লুকিয়ে থাকা ঘাপলার কথাটা না হয় চেপেই গেলাম) দেওয়া হয়। তো ৯৯% নতুন ভোটার বিজেপির ভোটার হলে এই ৪০% সংখ্যালঘু ভোটও বিজেপিরই পাওয়ার কথা। তা তারা পায় কি? উফ, অঙ্ক কী কঠিন!
     
    না, নারীরা ওয়েলফেয়ার স্কিমে টাকা পেলে পুরুষদের বুক ফাটার কিছু নেই। বুক ফাটেওনি। কেবল সেই টাকাটা পাওয়ার ক্ষেত্রে জড়িয়ে থাকা দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে মাত্র।
     
    খুব স্পষ্টভাষায় জানিয়ে রাখা যাক, আমি সিপিএম, তিনো বা বিজেপি - কোনও দলেরই সমর্থক নই। এমনকি এলেবেলে সমর্থকও নই। কাজেই এই ভাতার জন্য কাদের ভোট বাড়ল কিংবা কমল সেই নিয়ে বিন্দুমাত্র কান্নাকাটি নেই। সব দলই ভোটমুখী কিছু কর্মসূচি নেয়, কারও সেটা সফল হয় কারও ব্যর্থ।
     
    এই যে সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার স্কিম নিয়ে এত কথাবার্তা হল, কিন্তু কই কেউ তো মিড ডে মিলের ক্ষেত্রে সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা বললেন না। সেটা সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার স্কিম নয়? কন্যাশ্রী কিংবা ঐক্যশ্রী নিয়ে কোনও আপত্তি নেই, সাইকেল দেওয়া নিয়েও নেই কিন্তু ফি বছর ১০০০ কোটি টাকা ট্যাব বিলানোর নামে অনর্থক অপচয়ের ব্যাপারে তীব্র আপত্তি আছে। ওই টাকার অর্ধেক খরচ করলেই নবম থেকে দ্বাদশের ছাত্ররা অনায়াসে মিড ডে মিল পেতে পারে এবং মিড ডে মিলের সহায়িকাদের মাসিক বেতনও কিঞ্চিৎ ভদ্রস্থ হতে পারে। সরকারের প্রায়োরিটি তাহলে কী হওয়া উচিত।
     
    প্রসঙ্গত, স্কুলে চলা প্রত্যেকটি ওয়েলফেয়ার স্কিমই (কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী বাদে) যে পরোক্ষে শিক্ষক ও পার্শ্বশিক্ষকদের ধারাবাহিক বঞ্চনার টাকায় চলে, এ কথা শুনলে অনেকে ফের রে রে করে তেড়ে আসতে পারেন। আচ্ছা শিক্ষকদের নাহয় বাদই দিলাম (তারা তো বুর্জোয়াজির অন্যতম স্তম্ভ, সরকারের নজর তো প্রান্তিকদের দিকে), পার্শ্বশিক্ষকদের বেতনের ব্যাপারটা আর কবে ভাবা হবে?
     
    আরও একটা কথা, ইদানীং বেসরকারি স্কুলের প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর নামও বাংলার শিক্ষা পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাদের জন্য মিড ডে মিল বাবদ টাকা বরাদ্দ হলেও স্কুলগুলোতে মিড ডে মিলের ব্যবস্থা নেই। এই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথায় যায়? ৪৩ হাজার ক্লাবপিছু পুজোবাবদ ৮৫ হাজার টাকা অনুদানে? দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের জন্য ২০৫ কোটি টাকার সরকারি দানছত্রে? নাকি কালিঘাট মন্দিরের সংস্কার বাবদ ১৬৫ কোটি টাকা অপচয়ে? আচ্ছা, এগুলোও কি ওয়েলফেয়ার স্কিমের অন্তর্গত?   
  • dc | 2a02:26f7:d6cc:6805:0:e745:e23d:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২৪ ২০:২৪535387
  • "এই যে সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার স্কিম নিয়ে এত কথাবার্তা হল, কিন্তু কই কেউ তো মিড ডে মিলের ক্ষেত্রে সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা বললেন না"
     
    এটাই তো আমি বলার চেষ্টা করছি! :-) যে, ট্যাবের পেছনে খরচ না করে সরকার বরং শিক্ষকদের পেছনে, ছাত্রদের পেছনে, পরিকাঠামোর পেছনে খরচ করুক। তবে হ্যাঁ, আমি এটা পুরো ইন্ডিয়ার জন্যই দরকারি মনে করি, শুধু পব না, কারন পবর ব্যাপারটা খুব একটা জানি না। 
  • dc | 2a02:26f7:d6cc:6805:0:da53:e327:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২৪ ২০:৩২535388
  • পবতে যে ট্যাব না দিয়ে দশ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেটাও জানতাম না। তামিল নাড়ুতে কিন্তু এরকম হয় না, এখানে স্টুডেন্টদের সরাসরি ল্যাপটপ দেওয়া হয়, ক্যাশ না। যদ্দুর জানি কর্ণাটকেও তাই। 
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২৪ ২০:৪৪535389
  • @এলেবেলেদার পুরো মন্তব্যটাই গুরুত্বপূর্ণ , শুধু দুটো বক্তব্য আছে।
    ১)ছাত্রদের ৪০% সংখ্যালঘুর মধ্যে ৮-১০% বিজেপিকে ভোট দেয়।আর সংখ্যাগুরু ৬০% এঁর মধ্যে প্রায় পুরোটাই। দুটো যোগ করলে ৭০% মত। আসলে আমি বলতে চেয়েছিলাম সংখ্যাগুরু ফ্যামিলির ৯৯% বিজেপিকে ভোট দেয়। (ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে ,একেবারে নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েরা ,ছেলেরা নয়, তৃণমূলকে দিলেও দিতে পারে)এখানে আমি আপনার সাথে একমত , আমার বলার ভুল হয়েছিল।
    ২) একটাকে বন্ধ করে একটা দিতে হবে ,এই ন্যারেটিভেই আমার আপত্তি। কেন ট্যাবের টাকা বন্ধ করে মিড ডে মিল এঁর পিছনে খরচ করতে হবে? ট্যাবও দিক , মিড ডে মিলও দিক। কেন পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করে কন্যাশ্রী দেবে?পার্শ্ব শিক্ষকদেরও সহ শিক্ষকদের সমান বেতন দিক ,সাথে কন্যাশ্রীও দিক। বলবেন টাকা কোথায় পাবে? সোজা হিসাব দিচ্ছি ,পুজোর ক্লাবের জন্য টাকা বিলোনো বন্ধ করলেই পাবে। ভাইপো সহ সোনার চেন পরে ঘুরে বেড়ানো তিনু নেতাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করলেই পাবে। রাজ্যের জন্য বরাদ্দ কেন্দ্র থেকে আদায় করলেই পাবে। তাঁর জন্য পারলে শিল্পপতিদের ওপর ট্যাক্স বসাক। কিন্তু বেতন এবং ওয়েলফেয়ার কিচ্ছু বন্ধ করা চলবে না , এমনকি একটা ওয়েলফেয়ারকে অন্য ওয়েলফেয়ার বন্ধ করার অজুহাত হিসাবে দেখানো এবং ভাবাও চলবে না।
    ৩) আমি একমাত্র রূপশ্রী প্রকল্পের বিরোধী। হ্যাঁ , এটার সরাসরিই বিরোধী। পিতৃতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের উচিত মেয়েদের বিয়ের চাপ থেকে বাঁচানো। কারণ , মেয়েদের কাছে বাড়ি থেকে বিয়ের চাপ একটা থ্রেট । তাই মেয়েদের বিয়ের জন্য টাকা দেওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করে ওই টাকা বিবাহিতা অবিবাহিতা নির্বিশেষে ১৮-৩০ বছর বয়সী মেয়েদের ভাতা দেওয়া এবং ফ্রি লেডিস হস্টেল দেওয়া চালুর দাবি উঠুক। 
    এলেবেলেদা হয়তো বলবেন , স্বপ্নে পোলাওয়ে ঘি ঢালছি , কিন্তু আমার বক্তব্য , দাবি ঠিক জায়গায় তুলতে হবে।তৃণমূলের মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের দালালি , পিতৃতান্ত্রিক রূপশ্রী প্রকল্প , তোলাবাজি , এগুলোর বিরুদ্ধে থাকতে হবে। কিন্তু প্রকল্প মানুষের প্রাপ্য । সেগুলোর বিরোধীতা করা অনুচিত। এতে মানুষই বঞ্চিত হবে। 
      
  • | ২৬ জুলাই ২০২৪ ২০:৫২535392
  • এই জেন জিএর ৯৯% বিজেপী বা  একটু কমে এখন ৭০% হল এর সোর্স কোথায় পাব?  ইলেকশান কমিশানের সাইটে আছে? 
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২৪ ২১:০৫535393
  • না না ,এটা আমার আন্দাজ স্রেফ। এঁর পিছনে কোন তথ্যগত স্টাডি আছে কিনা জানি না। ইমফ্যাক্ট ,বাংলার ইলেকশন এঁর খুঁটিনাটি নিয়ে একাডেমিক স্টাডি হয় কিনা , সেটা আমারও জানার কৌতূহল আছে। তবে ,আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই বলছি। 
  • | ২৬ জুলাই ২০২৪ ২১:১২535395
  • অ।
    তা স্যাম্পল সাইজ কত? ৫০০? ১০০০? 
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২৪ ২১:১৪535396
  • না ,অতটা হবে না। 
  • dc | 2a02:26f7:d6c4:6805:0:b68a:fe2a:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২৪ ২১:২৪535397
  • এগুলো গুরু / কৌতুহলি / NRO র মনগড়া ডেটা। 
  • এলেবেলে | ২৬ জুলাই ২০২৪ ২১:২৫535398
  • ডিসিজনাব, আপনি আজকাল আর আমার মন্তব্য মন দিয়ে পড়ছেন না! এই টইয়ে আমার মন্তব্য শুরু হয়েছে কাল ২৩:৫৪-য়, তারপরে গোটা আলোচনাটা ওয়েলফেয়ার স্কিমের দিকে ঘুরে গেছে। সেখানে আপনার কোনও মন্তব্য আমার চোখে পড়েনি এবং বাকিরা মিড ডে মিল নিয়ে রা কাড়েননি।
     
    কৌতূহলী, আসলে মাইক্রো লেভেলের অবজার্ভেশনকে ঝট করে ম্যাক্রো লেভেলে ট্র্যান্সফার করলে এমনটা হয়ে থাকে। আপনি যে সংখ্যাগুরুদের কথা আপনার অবচেতনে পুষে রেখেছিলেন, সেটা আপনার মন্তব্য থেকেই বুঝেছি। সেটা যে ভুল ছিল, এই সৎ স্বীকারোক্তির জন্য ধন্যবাদ।
     
    ২০০৪ সালে মানে ঘোর বাম আমলে পার্শ্বশিক্ষকদের মাসিক বেতন ছিল ২ হাজার টাকা। ২০ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের বেতন দাঁড়িয়েছে কম-বেশি সাড়ে ১২ হাজার টাকায়। এর পরেও আপনি আপনার পোলাওয়ে ঘি ঢালবেন কি না, সেটা আপনার ব্যাপার।
     
    আর মিড ডে মিলের সহায়িকাদের বেতনের কথা শুনলে মুচ্ছো যেতে পারেন, তাই আর ও প্রসঙ্গে গেলাম না।
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২৪ ২১:৩৪535399
  • এলেবেলেদা শেষে যা বললেন ,তাঁর সাথে একমত। 
    আর আপনারা ইউথদের বিজেপি মুখী হওয়ার ব্যাপারটা জানেন না ,এতে কিছুটা অবাকই হলাম। যাই হোক ,একটা ছোট কথা বলে শেষ করি। চাকুরি প্রার্থীদের সবচেয়ে বড় ফেসবুক গ্রুপ বেঙ্গল কম্পিটেটিভ ক্যানভাস। সেখানে সদস্য সংখ্যা ৫ লাখের মত। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি বছর চাকরির ভেকেন্সি কমানো নিয়ে পোস্ট করে দেখুন ,আমার মন্তব্যের ভিত্তি আছে কিনা নিজেরাই বুঝে যাবেন। মোদী চাকরি দিচ্ছে না এটা বললে চাকুরী প্রারথীরাই রে রে করে তেড়ে আসে। এরকম দিন ভারতে বা বাংলায় আগে এসেছে কিনা জানি না। যাই হোক ,আমার ধারণা যদি ভুল হয় , বা আপনাদের কাছে যদি অন্যরকম কিছু তথ্য বা অভিজ্ঞতা থাকে , তাহলে তো ভালই।
  • | ২৬ জুলাই ২০২৪ ২১:৩৮535401
  • @dc  ২৬ জুলাই ২০২৪ ২১:২৪
    হুঁ
  • dc | 2a02:26f7:d6c1:6805:0:82a7:7292:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২৪ ২২:০২535402
  • এলেবেলে, সত্যিই আপনার পোস্ট মন দিয়ে পড়তে পারিনি, তার জন্য বড়ো করে সরি চাই :-) আসলে একটা কাজে চেন্নাই এর বাইরে এসেছি। তবে এই টইতে প্রথম থেকে আমিও ট্যাবলেটের বদলে সরকারের শিক্ষাক্ষেত্রে ভূমিকা কি হওয়া উচিত সেটাই বলার  চেষ্টা করেছি। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন