এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৪০530703
  • :|: ২২:২৪, "দেশজুড়ে নিন্দের আশঙ্কা অনেক কম।" — এটা? এটা তো ফ্যাক্ট। মমতা ব্যানার্জি সরকার দেশ জুড়ে মারাত্মক নিন্দিত আরজি করের পরে। 
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৩৭530702
  • ডিসি, আক্ষরিক অর্থে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার অবস্থা উপদ্রুত অঞ্চল ছাড়া হয় না। কথা হচ্ছে সেটাকে সরকার ফেলার ছুতো হিসেবে ব্যবহার করা যেত কি না, আগে তুচ্ছ কারণেও হয়েছে। আর পশ্চিমবঙ্গে কেন ভারতে কোথাও টানা একমাস ধরে হাজারে হাজারে মানুষ রাস্তা দখল করে নি, এমনকি পুলিশ পারমিশন তোয়াক্কা করে নি, রাতভর রাস্তায় থেকেছে। সেই অবস্থানে পুলিশি আক্রমণ হয়েছে যুবভারতীতে, বারাসতে  ন্যাক্কারজনক, পার্টির লোকেদের ওপর হামলা হয়েছে, পুলিশ প্রতিবাদীদের কেস দিয়েছে, সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করার ওপর নোটি দিয়েছে। আর হাসপাতালে সরকারের পুলিশের লোক অভিযুক্ত, সরকারের প্রশাসন ধামাচাপা দিচ্ছে প্রমাণ লোপাট করছে অভিযোগ, অবস্থানরত ছাত্রদের ওপর হামলা হচ্ছে তাদের পুলিশ ধরতে ব্যর্থ, সর্বোপরি সরকার নিজেই বলছে কোর্টে দাঁড়িয়ে যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অচল লোকজন চিকিৎসা পাচ্ছে না। ডাক্তাররা সরকারের আবেদন শুনছে না। সবই তো জানা ঘটনা, এগুলো তুচ্ছ করে দেখাতে চান? অবস্থা এলার্মিং ছিল, সেই বারুদে দিল্লি আগুন দেয় নি। চাইলে দিতে পারত, ঠিক হত না, কিন্তু পারতো। বিশেষ করে আপনিই বলেছিলেন বিজেপি সামান্য সুযোগেই ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে করে নি, কেন? দ বললেন কিছুটা।
  • :|: | 174.25.***.*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৩৬530701
  • এবং, ২২:৩০, পবতে এরকম ঘটনার ফ্রিকোয়েন্সি জনসচেতনতা আর স্টেপ নেওয়ায় -- এই রাজ্যগুলি তুলনায় আসেনা। শুধু ব্যক্তিগত হিংসে থেকে যা ইচ্ছে বললেই কি রাতজাগা মানুষ প্রভাবিত হবে? মনে তো হয়না। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:c9dc:a838:2ba8:***:*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৩৪530700
  • আর গুজরাট সরকার বিলকিস বানোর ধর্ষকদের অ্যাক্টিভলি সাহায্য করেছে, তাদের হয়ে কোর্টে সওয়াল করেছে। 
  • Ranjan Roy | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৩০530699
  • চতুর্ভুজ
     আপনি ঠিক বলেছেন। যাঁরা উত্তর প্রদেশ , হরিয়ানা, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশে কখনও থাকেন নি, তাঁরা কল্পনাও করতে পারবেন না  কীভাবে দিনের পর দিন সামান্য অজুহাতে দলিত  এবং মুসলিমদের ঠ্যাঙানো এবং একঘরে করা হয়। দৈনন্দিন কথাবার্তায় পাবলিক প্লেসে কীভাবে ঘৃণা এবং হিংসা ছড়িয়ে দেয়া হয়।
      হাথ্রাস, উন্নাও এগুলো তো খবরে এসে  যায় বলে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই খবর হয়না। কিল খেয়ে কিল হজম করতে হয়।
     এই যে মেলা দেখতে যাওয়া দুই কিশোরী বোনকে মেরে ওদেরই একজনের ওড়নায় বেঁধে টাঙিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলা হল--এটা বঙ্গের ঘটনাটির চেয়ে কম বীভৎস?  
  • :|: | 174.25.***.*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:২৪530698
  • ২২:২৩ -- নিশ্চয়ই আমি আপনি সকলেই ব্যক্তি। আমাদের ব্যক্তিগত পারসেপশন এই লেখাগুলির মধ্যে প্রতিফলিত হয়। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বেশ বড়ো একটি বিষয়। উত্তরপ্রদেশ মধ্যপ্রদেশ বিহার গুজরাট এইরকম নানা প্রকার রাজ্য সম্পর্কে ব্যক্তিগত স্তর থেকে অভিজ্ঞতা লাভ করে থাকলে ২১টা সাতের শেষ লাইন লেখা অসম্ভব। তাই প্রশ্নটি করলাম। 
    এনিওয়ে আপনি আগের প্যারায় উল্লিখিত রাজ্যগুলির কোনওটিতে দীর্ঘ দিন থেকেছেন তারপরেও যখন এমন মনে হয়েছে তখন আর কোনও বক্তব্য নাই। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:c9dc:a838:2ba8:***:*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:১৪530697
  • অরিত্র, পবতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার মতো অবস্থা দূর দিয়েও হয়নি। (পব সম্বন্ধে খুব কম জেনেই বলছি)। আর যদি করেও তো সুপ্রিম কোর্টে বিরাট বড়ো রিয়্যাকশান হবে, প্লাস তার পরের ভোটে অবধারিত হারবে। 
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:১৩530696
  • :|: ২২:০১, আমি তো কোনো ব্যক্তি নই, রোল প্লে করি, তাই ব্যক্তিগত কিছুই নেই। তবে হ্যাঁ থেকেছি। সেটা বিষয় নয়। বিষয় হলো ২১:৫৬ দ্বিতীয় প্যারা আর সুযোগ থাকলেও বিজেপি/দিল্লি যে ঝাঁপালো না সেই পর্যবেক্ষণটা।
  • :|: | 174.25.***.*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:০১530695
  • একুশটা সাতের পোস্ট পরে একটি ব্যক্তিগত প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হলো। আপনি কখনও কোনও বিজেপি শাসিত রাজ্যে টানা কিছু বছর বাস করেছেন? চাকরিবাকরি করে ঘরবাড়ি নিয়ে? 
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৫৭530694
  • দ ২১:৪৩, হু ঠিক, আগের কমেন্টের দ্বিতীয় প্যারাটাও।
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৫৬530693
  • দ ২১:৩০, সেটাই তো। কিন্তু তৃণমূলকে ভাঙানো যেতো না কি আবার, নিজেই তো ভেঙে যাচ্ছে, তিনজন নেতা তো ঘোষিত ভাবে দল থেকে দূরত্ব তৈরি করেছেন। একজন তো ছেড়েই দিলেন, উনি অবশ্য ঠিক রাজনৈতিক নেতা নন। আর অনেকেই নিষ্ক্রিয়। বাকিটা কেসগুলো নিয়ে এগোলেই তো হবে। কিন্তু বিজেপি চায় না, এখনই।
     
    আমি বলছিলাম যে যেহেতু ভারতের কাঠামো আলাদা তাই একটা রাজ্যে তীব্র গণরোষ (বা অভ্যুত্থানের) পরিস্থিতি হলেও সেটা রাষ্ট্রের জন্য আতঙ্কের বিষয় নয়, সরকার পরিবর্তন বা রাষ্ট্রপতি শাসনের মাধ্যমে সেটা সামাল সে দিতে পারে, গোটা রাষ্ট্র নড়ে যায় না। ভারতের কাঠামোটা খুব ধূর্ত, এখানে যে যে কারণে মানুষের সাধারণত কষ্ট রাগ হয় সেগুলো রাজ্যের হাতে, তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোষ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যায় ও রাজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, কিন্তু মূল ক্ষমতা ও ব্যবস্থার রাশ যুক্ত সরকারের হাতে ফলে সেটা ক্ষতিগ্রস্থ হয় না, আর একসঙ্গে সব রাজ্যে রোষ জন্মায় না। এটা অনেকটা থার্ড পার্টি কোম্পানিকে দিয়ে কাস্টমার কেয়ার সামলানোর মতো।
  • | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৪৩530692
  •  পোস্টটা পড়ে দেখে মনে হল গণ অভ্যুত্থান বলতে সৃষ্টিছাড়া সম্ভবত মিশর বা বাংলাদেশের মত অভ্যুত্থান বলছেন। সেটা সত্যিই রাষ্ট্র হতে দেবে না। মমব্যানের সরকারকে ফেলে অন্য কোন গ্রুপ ছাত্র বা ডাক্তার বা  অন্য কেউ রাজ্যের ক্ষমতা হাতে নিল এ হবে না, হতে দেওয়াও  বোধহয় হবে না। 
    রাষ্ট্রপতির শাসন ও রাষ্ট্রের সিস্টেমের মধ্যেই পড়ে। 
  • | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩০530691
  • নাহ হত না। রাষ্ট্রপতি শাসন করলে কিছুদিনের মধ্যে ভোটও করতে হত।  এবারে ভোটে বিজেপীকে পবতে ঠেকনো দেবে কে?  মহারাষ্ট্রে উদ্ধবের দল ভাঙিয়ে এনে খাড়া করেছিল। এখানে তৃণমূলকে অতটা ভাঙতে পারলে আগেই করত।  এ তো কাশ্মীর নয় যে অনন্তকাল রাষ্ট্রপতির শাসন চালাবে। 
     
    তাচ্ছাড়া পরের বিধানসভাগুলোতে খারাপ ফল হলে নীতিশ চন্দ্রবাবু পালটি খেলে তৃণমূলকে লাগবে। 
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০৭530690
  • টেকনিক্যাল দরকারি ব্যাপারগুলো করিয়ে নেওয়া যায়, কয়েকটি ধরপাকড়, অনেকগুলো কেস আছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে ক্যাবিনেট অবধি ঢুকে পড়া যায়, পুরোনো কেস সারদা ইত্যাদি ছিলই। মূল প্রশ্ন হলো এইসবে জনগণ কিভাবে প্রভাবিত হবে, সাধারণত তারা রাষ্ট্রপতি শাসন চায় না, কিন্তু গণরোষ উচ্চমাত্রায় থাকলে সেই বাধা অতিক্রম করা যায়। আর শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, সারা দেশ জুড়ে মমতা নিন্দিত, হাসপাতালে খুন (ধর্ষণ), সেখানে প্রশাসন জড়িয়ে যাচ্ছে, ফলে পদক্ষেপ যদি করতো তাহলেও দেশজুড়ে নিন্দের আশঙ্কা অনেক কম।
  • পাপাঙ্গুল | 49.36.***.*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫২530689
  • গণরোষ থাকলেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা যায় না। জারি করার মত কোনো পরিস্থিতি হয় নি। 
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:১৯530688
  • সৃষ্টিছাড়া ১৪:২৮, "ভারত রাষ্ট্র কখনও চাইবে না তার কোনো নির্বাচিত সরকার গণ-অভ্যুত্থানে পড়ে যাক।" — আংশিকভাবে দ্বিমত, গণরোষ কাজে লাগিয়ে বিরোধী পক্ষের সরকার বদল কিন্তু খুবই চায়। পশ্চিমবঙ্গের গণরোষ এতটাই উচ্চমাত্রার যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা বাঁহাতের খেল ছিল। অথচ দিল্লি থেকে কোনো কমিটি এলো না, মোশা প্রায় নিশ্চুপ, আনন্দপালেরও আঙুল নড়ে নি! 
  • কালনিমে | 103.244.***.*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৫০530687
  • Rss ত সেকুলারিজম কেই ওয়েস্টার্ন আইডিয়া বলে দাগিয়ে রেখেছে। চাড্ডি বাহিনীর অশিক্ষিত জিভে সেটাই আবার 'সিকুলার হয়ে যেত কদিন আগেও। তাপ্পরে সংস্কৃত সেকুলার হলে আর দেখতে হবে না।
  • | 2409:40e0:57:b238:8000::***:*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:১১530686
  • এই ইংরেজি  বি কবে কলকাতায় আসবে বস?
  • . | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:২৮530685
  • প্রাইজ পোস্টিং
  • . | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:২৭530684
  • বিনীত গোয়ালকে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সে দেয়া হয়েছে। 
    চিড়েতন হরতন ইস্কাপন...
  • . | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:২৫530683
  • নতুন সিপি মনোজ ভার্মা।
    তোমার বাঙালি নাই কুসুম?
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:c9dc:a838:2ba8:***:*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:২৩530682
  • আচ্ছা এই সবাই মিলে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে কেন? জুনিয়র ডাক্তাররা কিছুদিন সময় নিয়ে কাজে ফিরলে অসুবিধা কি? অনেক সময়েই তো দেখি অন্য রাজ্যে ডাক্তাররা কিছুদিন ধরে আন্দোলন করেন, তারপর কিছুদিন পর কাজে ফেরেন। 
     
    (একটা কারন হতে পারে, পবতে ডাক্তার এমনিতেই কম। সেরকম কিছু হলে ঠিক আছে)। 
  • b | 14.139.***.*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:১৬530681
  • সমস্কৃত  সেকুলার হয় বৈকি । বহুদিন আগে কলকাতা খ এ  সকাল ৬ঃ৩৫ এ সমস্কৃত নিউজ হত(ইয়ম আকাশবাণী / সম্প্রতি বার্তাঃ শ্রুয়তাম ), এখনো হয় কি না জানি না। তাতে হ্যঃ ফ্রান্স্দেশস্য  রাষ্ট্রপতি মিতেরান্ড-মহোদয়ঃ ভারতে এসে কি কি কল্লেন   তার বিতং বর্ণনা থাকতো। সেকুলারিজমের হদ্দমুদ্দ যাকে বলে। 
  • একক | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৫৬530680
  • তার আগে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে,  সেক্যুলারিজম এর ধারণাটি আদৌ ব্যাকওয়ার্ড কম্প্যাটিবল কি না। বা কম্প্যাটিবল করতে গেলে কোন উপধারণার প্যাচ ইন্সটল করতে হবে কি না। এসব না করে, হুট করে স্যান্সক্রিট এস আ ল্যাংগুয়েজ সেকিউলার ছিলো কি না বোঝা বা বলা সম্ভব নয়। 
     
    এ তো,  বিজ্ঞানের শব্দ নয়। এ হলো টেক্সট।  এর অনেক প্যাচাল আচে।
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৫530679
  • frownlaugh তাইতো! বর্ণবিপর্যয় লেখা দেখেও খেয়াল করলাম না। ও হ্যাঁ ওই উকিলটাই এডুলজি, কাগজ পড়ে বুঝলাম।
  • . | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৩530678
  • রিপোর্টারের নাম অতনু হালদার, যিনি hard disk কে সবসময়ই এবং বাবংবার hard dicks বলে থাকেন।
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৩১530677
  • মন্দিরে নয় 'মন্দিয়ে' লেখা ছিল ব এর মন্তব্যে। 
     
    ভাষা সেকুলার হয় কিনা এটা কিরকম কথা। ভাষা তো সেকুলারই, কিন্তু কোনো ব্যক্তিবর্গ বা গোষ্ঠী যদি কোনো ভাষাকে নিজেদের কুক্ষিগত করে রাখতে যায় তখন সেই ভাষা তাদের একটা প্রতিভূ হয়ে দাঁড়ায় বা আগ্রাসনের অস্ত্র হতে পারে, কিন্তু সাধারণ ভাবে দেখতে গেলে ভাষা তো অবশ্যই ধর্ম নিরপেক্ষ।
  • সৃষ্টিছাড়া | 103.85.***.*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:২৮530676
  • রাষ্ট্র কখনও চাইবে না তার সিস্টেম ভেঙে পড়ুক। ভারত রাষ্ট্র কখনও চাইবে না তার কোনো নির্বাচিত সরকার গণ-অভ্যুত্থানে পড়ে যাক। পড়ে গেলেই সেটা উদাহরণ হয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গের উদাহরণে কাল মহারাষ্ট্রে অভ্যুত্থান হবে, পরদিন মধ্যপ্রদেশে, তারপর কর্নাটক, উত্তর প্রদেশে ... একসময় ভারত সরকার। ১৯৪৭ পরবর্তীতে ভারত রাষ্ট্র তার সিস্টেমকে যেভাবে তৈরি করেছে তাতে সে প্রতিবেশী পাকিস্তান বাংলাদেশ, মায়ানমার বা শ্রীলঙ্কার থেকে আলাদা এক কাঠামো গড়ে তুলেছে। এখানে তৃণমূল বিজেপি সিপিএম এসব তুচ্ছ। এখানে বিপদে পড়ে যাওয়া সিস্টেমকে বাঁচাতে হাইকোর্ট সিবিআই ডেকেছে। সুপ্রিম কোর্ট নিজে ঢুকেছে সেই সিস্টেমের প্রতি মানুষের ভরসা বজায় রাখার জন্য। ফলে যারা ভাবছেন এই ঘটনায় অভ্যুত্থান হবে তারা ভারত রাষ্ট্রের সিস্টেম সম্পর্কে অবহিত নন। প্রয়োজনে এই সিস্টেম বাঁচাতে কেন্দ্র সরকারও রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়াবে, সুপ্রিম কোর্ট দাঁড়াবে আরও খুল্লাম খুল্লা। কিন্তু গণ-অভ্যুত্থান রুখে দেওয়া হবে যেকোনো মূল্যে। 

    তাহলে কি এই পুরো আন্দোলন ব্যর্থতার দিকে চলে যাবে? না। আগামী দিনে এই জাগ্রত জনতাকে সমঝে চলবে শাসক, যদি সে শিক্ষা নেয়। আর না হলে শাসকের রং বদলে যাবে। যাবেই। সিস্টেম এক রেখে নতুন রঙের নির্বাচিত সরকার। জাগ্রত জনতা একটি জাতির প্রহরী --- এর সুফল জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে যাবেই।

    এই লেখাটি ভালো করে অনুধাবন করার অনুরোধ রইল :

    মনে হচ্ছে ভীষণভাবে কিছু ভুল পারসেপশন তৈরি হচ্ছে। কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখা অত্যন্ত দরকার নয়তো আমরা নিজেরাই এই আন্দোলন এবং সংশ্লিষ্ট মামলাটির অভিমুখ ঘুরিয়ে দেব। মাথা ঠান্ডা রেখে দাঁতে দাঁত চেপে এগোতে হবে। এখন ধৈর্য ধরে রাখাটাই তো সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।

    1. সুপ্রীমকোর্টে এই মুহূর্তে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলছে না, চলার কথা নয়। এই মামলার ট্রায়াল পার্ট তো শুরুই হয়নি, ইন ফ্যাক্ট তদন্তই শেষ হয়নি। তাহলে যারা আশা করছেন সুপ্রীম কোর্ট রায় দেবেন তারা ভুল ভাবছেন।

    2. কোন মামলার ধাপ গুলো সম্পর্কে একটু ধারণা রাখা দরকার নতুবা আমাদের আন্দোলন গুলিয়ে যাবে।

    3. এখন যেটি চলছে সেটি হল - "Court monitored  investigation"। মহামান্য সর্বোচ্চ আদালত স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এই তদন্ত মনিটর করছেন। মনিটরিং চলছে বলেই CBI কে "Status Report" জমা দিতে হচ্ছে। অর্থাৎ তদন্তের গতিপ্রকৃতি বা বলা ভালো অগ্রগতি মহামান্য আদালত দেখছেন। যে রিপোর্ট তদন্তকারী সংস্থা মুখবন্ধ খামে পেশ করছে সেটি হাইলি কনফিডেনশিয়াল এবং আমার আপনার জানার কথা নয়। আজ যারা লাইভ স্ট্রিমিং দেখেছেন, তারা নিশ্চই খেয়াল করেছেন যে  মহামান্য বিচারপতিরা বলেছেন যে তদন্তে একটি নির্দিষ্ট অভিমুখ দেখা যাচ্ছে এবং আগামী সাতদিন পর সিবিআই নেক্সট রিপোর্ট জমা দিক। 

    4. এই ফেজে মহামান্য আদালত কি করবেন তাহলে? লক্ষ্য রাখবেন - তদন্তের গতির দিকে, তদন্তের আওতায় কি কি থাকছে বা থাকতে পারে সেদিকেও নজর রাখবেন। আশা করা যায় নির্দিষ্ট একটা সময়ে তদন্ত যাতে সুসম্পন্ন হয় সেদিকেও সর্বোচ্চ আদালত নজর রাখবেন। 

    5. এই ফেজে মহামান্য আদালত কিছু অবজারভেশন ওরিয়েন্টেড অর্ডার দিতে পারেন বা দেবেন। রায়, বিচার এইসব বিষয়গুলি এখন আসেইনা। 

    6. আমরা কি চাইছি? বিচার চাইছি। অর্থাৎ প্রকৃত অপরাধী শাস্তি পাক, তার মানে conviction হোক। সিবিআই কে সেক্ষেত্রে একটি "Water tight" চার্জশিট দিতে হবে "কোর্টগ্রাহ্য এভিডেন্স" সমেত। 

    7. এবার ঘটনাটির কথা আরেকবার ভাবুন ভাল করে। Heinous crime - complex in nature;  এর তদন্ত খুব সহজ নয়। সময় একটু লাগবেই। 

    8. তাহলে আগামী ধাপগুলো কি কি? তদন্ত শেষ হবে -  চার্জশিট ফাইল হবে - চার্জশিটে কে বা কারা অভিযুক্ত সেটা স্পষ্ট হবে - আদালত চার্জশিট গ্রহণ করবেন - চার্জ ফ্রেম হবে - ট্রায়াল শুরু হবে। এই ট্রায়ালের নির্দিষ্ট কিছু ফেজ থাকবে। ফাইনালি এভিডেন্স এবং আর্গুমেন্ট শেষ হলে আসবে সেই বহু প্রতীক্ষিত সময় - "Verdict"। মামলার রায় বেরোবে। 

    9. এবার প্রশ্ন এই যে ট্রায়াল পার্ট অর্থাৎ বিচার, এটা কোথায় হবে? যতদূর জানি এটা তো কোন ফাস্ট ট্র্যাক লোয়ার কোর্টেই হওয়ার কথা। 

    10. সুতরাং ফেসবুকে যারা লিখে যাচ্ছেন - "তারিখ পে তারিখ", "সেটিং" ইত্যাদি ইত্যাদি তারা কিন্তু একদিক থেকে মামলাটির ক্ষতি করছেন। আইন, বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে fundamental factors না জেনে আন্দোলন করলে কিন্তু আখেরে আন্দোলনেরই ক্ষতি হবে।

    11. তাহলে এখন কি হবে? ধৈর্য ধরতেই হবে, আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। দেখতে হবে তদন্ত কিভাবে ও কবে শেষ হয়। মনে রাখতে হবে "tampering of evidences" প্রমাণ করতে পারাটাও কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ এভিডেন্স। 

    12. Justice hurried is justice buried এবং Justice delayed is justice denied - এই দুটোই কিন্তু চূড়ান্ত সত্যি। এখানেই কনফিউশন - তাড়াহুড়ো হচ্ছে নাকি দীর্ঘসূত্রিতা, সেটা আমরা বুঝবো কি করে? সেটা বুঝতে হবে volume and nature of the case অনুধাবন করে। কি জাতীয় অপরাধ হয়েছে, hostility কতটা, তদন্ত টাইমফ্রেম অনুসারে চার্জশিট কিরকম হল, সাক্ষ্যগ্রহন পর্ব কতটা - এই সবকিছুর ওপর নির্ভর করবে চূড়ান্ত পরিণতি। আমাদের মাথা ঠান্ডা রেখে, নিজেদের বোধ বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে বিচার করতে হবে যে ঠিক কতটা ধৈর্য আমাদের ধরা উচিত।

    13. 'তিলোত্তমা' চলে গিয়ে প্রমাণ করেছে যে সে যায়নি। অধৈর্য হয়ে, বিভ্রান্ত হয়ে, বেসিক কিছু জিনিস না বুঝে ফেসবুক বিপ্লবের ফাঁদে পা দিলে তিলোত্তমা বিচার পাবে না। এই গনজাগরনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে সংবিধান মেনে গণতান্ত্রিক উপায়ে। 

    14. গত কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে প্রচুর পোস্ট দেখেছি। আমার অনেক পরিচিতজনেরাও করছেন। তাতে সর্বোচ্চ আদালত, প্রধান বিচারপতিকেও আক্রমণ করা হচ্ছে। এগুলো থেকে বিরত থাকুন। নাহলে আপনার অজান্তেই বিপদ হতে পারে। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, আন্দোলন যাই করা হবে, সেটা সংবিধানকে মর্যাদা দিয়েই করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া কিন্তু বড় ভয়ানক জায়গা।

    15. পরিশেষে বলি - পৃথিবীর ইতিহাস হলো মানুষের জাস্টিস চাওয়ার এবং পাওয়ার লড়াইয়ের ইতিহাস। সেই ইতিহাস কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমাদের।
     
  • . | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৫৩530675
  • উকিল না, রিপোর্টার Harddicks.
  • !! | 146.196.***.*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৪০530674
  • মন্দিরে সংস্কৃত পড়তে হবে ? কেন ? মন্দিরে তো পুজো হয় । তবে পুজোর মন্ত্র সংস্কৃতেই হয়, এটা ঠিক। সংস্কৃত আর পুজোআর্চা এক সঙ্গে শেখা হয়ে যাবে, এই সময়ে খুব কাজ দেবে। বাই দ্য ওয়ে, সেকুলার সংস্কৃত হয় কি ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত