এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বকলম -এ অরিত্র | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৩৬519905
  • ** প্রবন্ধ মানে কোনো একটা বিষয়ে নিজের মতামত দিয়ে একটা পোস্টকেও ধরছি। 
  • kk | 2607:fb91:87a:52eb:c07b:363f:5bc6:***:*** | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৩৩519904
  • আরিব্বাস, হাতের লেখা নিয়ে কত কথা হয়েছে। সুকি আর সমরেশবাবু দুজনেরই হাতের লেখা চমৎকার। আমার হাতের লেখা মোটামুটি, ছবিও আঁকি নিম্ন-মোটামুটি। কিন্তু সুকির ঐ "কিন্তু ভালো ক্লাশ নোট নিতে পারতাম বলে খাতার বেশ ডিম্যান্ড থাকত! পরীক্ষার আগের দিন খাতা খুঁজে বের করা আমার নিয়মিত রুটিন ছিল বলতে গেলে!" অভিজ্ঞতার সাথে পুরো মিলে গেলো।
    আজকাল আবার কী হয়েছে, বাংলা হরফ লিখতে গেলে একটু পরেই কার্পাল টানেলে খুব ব্যথা করতে থাকে। পাতার পর পাতা জার্নালিং করি ইংরেজি হরফে বাংলায়!
     
  • বকলম -এ অরিত্র | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৩২519903
  • টইপত্তর এর সঠিক ব্যবহার: প্রবন্ধের ক্ষেত্রে, কোনটা খেরোর খাতায় আর কোনটা টইতে দেব, কনভেনশন কী?
  • r2h | 165.***.*** | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৫৫519902
  • বিটিডাব্লিউ সমরেশবাবুর হস্তলিপি চমৎকার।
    আপনার ক্যালিগ্রাফিতে আগ্রহ আছে?
  • গোছান  | 173.49.***.*** | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪৯519901
  • "যা যেখানে পাওরা সেটা পাওয়া যায়।"
    Method in the madness এর ব্যাপারে বহুল পরিমাণে জনতা ঠিক সহানুভূতিশীল নয় - এ আমি প্রায়ই নজর করি!
     
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪৭519900
  • হাতের লেখা নিয়ে এত্তো এত্তো কতাবাত্রা হৈচ্চে, অতুএব -
    কেলাস টুয়লভে পড়ার সময় মায়ের অনুরোধে কাকু তার খবরের কাগজ বিলির ব‍্যবসায়, কয়েকটি লাইনের বাড়ি-বাড়ি কাগজ ছোঁড়ার কজের হিসাব রাখার কাজে এক সকালে বহাল করে দুপুরে বিলি-ব‍্যঁটরার হিসাব পড়ে বিকেলে চাকরি নাকচ করে দিয়েছিল - হাতের লেখা পড়ে কোন মাথামুন্ডু বোঝা যায় না বলে। খুব মনে এবং মানে লেগেছিল। ৪৮ ঘন্টা বাদে ঐ হিসাবের পাতা আবার লিখে নিয়ে গিয়ে চাকরি উদ্ধার হয়েছিল। বাকি জীবনে যখনই হাতের লেখা ভালো বলে কেউ রায় দিয়েছেন, আমি ঐ ৪৮ ঘন্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। laugh
  • সমরেশ মুখার্জী | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:১৩519899
  • "লাঠিসোঁটা বাগিয়ে ড্রয়িং..." - হা হা হা - হেব্বি হেসে শেষে ঘোরা মাথাটা থামলো।
    laughlaughlaugh
  • r2h | 165.***.*** | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৫৬519898
  • ওহ, সমরেশবাবুর ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:০৪ দেখে মনে পড়লো, আমি কিছুদিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছিলাম, এবং তখন আমার ধারনা হয়েছিল অংক টংক না বুঝি, ড্রয়িং নিশ্চয় আমি চমৎকার সামলে নেবো। কিন্তু ঐসব লাঠিসোঁটা বাগিয়ে ড্রয়িঙে দেখা গেল আমি মোটেই সুবিধে করতে পারছি না। সেশে বিফল মনোরথ হয়ে ছেড়ে দিলাম। আর্ট কলেজে যখন ভর্তি হয়েছিলাম, তখনও, কী যেন একটা ক্লাসে লেটারিং ইত্যাদি করতে হতো, সেখানেও ঐসব ছিল। তারও অবশ্য আর শেষ দেখা হয়নি।
    সেই হিসেবে অবশ্য হাতের লেখা খারাপ আর ছবি আঁকতে না পারা মিলে যাচ্ছে।
    গোছানোর ব্যাপারটা, এগেন, খুবই সাবজেক্টিভ। আমার ধারনা আমি সব গুছিয়েই রাখি, যা যেখানে পাওরা সেটা পাওয়া যায়।
    অন্য কেউ সেটা স্বীকার করে না, তা কী আর করা যাবে।
  • dc | 122.164.***.*** | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:২৯519897
  • আমরা সারা সেমিস্টার ফাঁকি মারতাম, প্রদীপে পানু সিনেমা দেখতাম, আর পরীক্ষার আগে সুকির মতো ভালো ছেলেদের নোট খাতা জেরক্স করে এনে পাশ করতাম laugh
  • dc | 122.164.***.*** | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:২৫519896
  • আরিব্বাস, সুকির হাতের লেখা তো দারুন সুন্দর! আর ইকুয়েশানগুলো দেখে কলেজের কথা মনে পড়ে গেল :-) দুয়েকটা সেমেস্টারে আমাদেরও ক্রিস্টালোগ্রাফি পড়তে হয়েছিল। স্ট্রেস স্ট্রেন টেন্সর, মোহর সার্কল ইত্যাদি। ইকুয়েশানগুলো দেখতে বড়ো হলেও, সিমেট্রিক হওয়ার দরুন মনে রাখতে খুব সুবিধে হতো। আর তার ওপর ফুরিয়ার ট্রান্সফর্ম অ্যাপ্লাই করে কিভাবে যেন খুব ছোট্ট ফর্মে নিয়ে আসা যেত, সেসব ভুলে গেছি। 
  • সমরেশ মুখার্জী | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৫৭519895
  • সুকির হস্তলিপি মারাতমোক সুন্দর! ছবির মতো!! তবে ইকুয়েশন ও স্কেচ‌গুলো দেখে এমন শরীর খারাপ লাগলো, মাথা ঘুরে উঠলো, গায়ে জ্বর এলো যে একসাথে জেনট‍্যাক ও ক‍্যালপল খেতে হলো।

    সুকির "চেনা মানুষ - অজানা কথা” পর্বগুলো পড়ে খুব মজা পেয়েছি। তাই আব্দার র‌ইলো - সম্ভব হলে - লজ্জা না পেলে - হয়ে যাক দু এক পিস - (আমাদের) অচেনা ললনাদের অজানা (মুচমুচে) কাহিনী।
     
  • সুকি | 2401:4900:708d:9326:852d:b2e6:1021:***:*** | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩৪519894
  • হাতের লেখা ভালো হবার চাপও আছে! আমার হাতের লেখা খারাপ নয়, কিন্তু ভালো ক্লাশ নোট নিতে পারতাম বলে খাতার বেশ ডিম্যান্ড থাকত! পরীক্ষার আগের দিন খাতা খুঁজে বের করা আমার নিয়মিত রুটিন ছিল বলতে গেলে! মেয়েদের হোষ্টেলের সামনে খাতা ফিরত পেতে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতাও বেশ মজার।

    গত বছর এক বন্ধু জিজ্ঞেস করল, তোর কাছে প্রফেসর রায় এর এক্স-রে কৃষ্টালোগ্রাফি ক্লাসের নোট গুলো আছে?

    প্রফেসর রায় পড়াতেন আই আই টি কানপুরে। উনার থেকে এই সাবজেক্ট ভালো পড়াতে আমি আর কাউকে দেখি নি দেশের বাইরেও।

    কিন্তু সে প্রায় ২৪ বছর আগের ঘটনা। সেই খাতা খুঁজে পাওয়া তো চাপের! বন্ধু বলল তুই গোছানো পাবলিক ছিলি, প্লীজ নিমো বাড়িতে গেলে একবার খুঁজে দেখিস!

    নিজেও অবাক হয়ে গেলাম সেই খাতা খুঁজে পেয়ে! 
     
     
     
     
     
  • Arindam Basu | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:৫১519893
  • আরে, চলে আসুন। এই দেখুন, আরো একটা লাইমস্টোন আর্চ, 
  • | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:৪৮519892
  • এমনিতে নিউজিল্যান্ড আমার বাকেট লিস্টে নেই, কিন্তু অরিনের ছবিগুলো দেখে কি যেতে ইচ্ছে করছে! 
  • Arindam Basu | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৫১519891
  • পাতাল গুহা থেকে পাথরের সিঁড়ি গুহার মুখ অবধি উঠে গেছে। 
  • Arindam Basu | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৫০519890
  • সমরেশ মুখার্জী | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৪৬519889
  • অতীতে কোথাও পড়া গুণী‌জন উবাচ অনুযায়ী হস্তলিপি‌র খাতার পাতায় চলন সংক্রান্ত অনুসিদ্ধান্তটি মনে হয় ঠিকই ছিল। কারণ তেরো মাস বাদে, খুব সচেতন না হয়ে চার্লাইন লিখে দেখলুম - লাইনগুলো উপরে‌ও উঠলো না - নীচেও নামলো না। আমার আলস‍্যময় অবসর জীবনও তো এখন উঠোনের পাশে পড়ে থাকা অকেজো ঢেঁকি সদৃশ - মাঝেমধ্যে কাছাখোলা ভ্রমণে বেরিয়ে পড়া ছাড়া কোনো ওঠাপড়ার ব‍্যাপার নেই তাতে - চলছে অবিরাম মুচমুচে ল‍্যাদের পালা। wink
     

     
  • Arindam Basu | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৩৩519888
  • এই বছর টলকিয়েন কপিরাইট মুক্ত হলেন। পাতালের গেট অফ মোরিয়ার একটা ছবি রাখলাম। আজকে তোলা, নিউজিল্যাণ্ডের কারামিয়ায়
    প্রবেশ পথের ছবি, 
  • Arindam Basu | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:২৯519887
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:২৭519886
  • সবাই আঁকা আর হাতের লেখা নিয়ে নানা অভিমত দিচ্ছেন, আমারও মনে মনে হল দুটো কথা বলে যাই। হাতের লেখা খারাপ হওয়ার মূল কারণ যতদূর আমি জানি বা এদিক ওদিক পড়েছি এবং আমার মনে হয় ব্রেনের স্পিডের সঙ্গে হাতের লেখার স্পিডের মিসম্যাচ। কারোর চিন্তা এত আগে এগোয়, হাতের লেখা তার সাথে তাল রাখতে পারেনা। তখন হাতের লেখা এলোমেলো হয়ে যায়। সেইই আবার ধীরে সুস্থে ধরে ধরে লিখলে অত খারাপ লেখে না।
     
    আমার হাতের লেখা বেশ বাজে, কিন্তু ছবি মোটামুটি আঁকতে পারি। সুতরাং হাতের লেখার সাথে আঁকার কোরিলেশন নেই বলেই মনে হয়। 
  • সমরেশ মুখার্জী | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:১১519885
  • আমার পেশকশিত হস্তলিপির নমুনা‌য় - সমীকরণ‌টি সংগৃহীত তবে অনুসিদ্ধান্তটি আমার smiley
  • π | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:০৮519884
  • আঁকা,  হাতের লেখা, গোছানো - সবেতেই ডাহা ফেল! মানে, খারাপের বেঞ্চমার্ক হতে পারে।
  • সমরেশ মুখার্জী | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:০৪519883
  • হস্তলিপি নিয়ে ভাট চলছে বলে জানাই, কোথাও পড়েছি‌লাম - যাদের হাতের লেখা খাতার পাতায় ওপরের দিকে উঠে যায় - তারা পেশাগত জীবনে‌ ভালো সাফল‍্য পায় - মানে ওপরে ওঠে আরকি।

    যৌবনকালে পাতার পর পাতা ডায়েরী লিখতাম। কর্মজীবনে‌‌ও আন্দাজ ৫০ বছর অবধি নিয়মিত দিনের শেষে দু এক পাতা ওয়ার্ক ডায়েরী লিখতাম। বিশেষ কিছু ঘটলে, বিশদে ধরে রাখতে, তিন চার পাতা‌ও হয়ে যেতো। তেমন কিছু বিশেষ ঘটনার ডায়েরী এন্ট্রি আমায় কয়েকবার ক্রিটিক্যাল ইস‍্যুতে সাহায্য করেছে। 
     
    আমি মোটামুটি অর্গানাইজড। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গিয়ে টী স্কোয়ার, সেট স্কোয়ার দিয়ে ‌ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িং করতে ভালো লাগতো। তবে ফ্রী হ‍্যাণ্ড স্কেচ বা  r2h এর মতো মজাদার কার্টুন আঁকা - আমার কম্মো নয়।

    এখন আর হাতে লেখা‌র প্রয়োজন হয় না বললেই চলে। তবে অভ‍্যাস‌টা যাতে হারিয়ে না যায় তাই মাঝে মাঝে বাজারের ফর্দ লিখি। নয়তো কোনো কানখেঁজুরে বিষয়ে এক আধ পাতা হাতে লিখে, বন্ধুদের পাঠিয়ে বলি, তোরাও পাঠা কিছু নমুনা। তবে সবাই এতো ঘেঁতো, সাড়া দেয় না। বন্ধুদের পাঠানো হোয়া চ‍্যাট থেকে পেলাম খুঁজে - ২.১২.২২ এ লেখা তেমন একটা নমুনা। তখন টেট পরীক্ষায় পাশ করে, বহুবছর অপেক্ষা করেও শিক্ষকের চাকরি না পেয়ে, ছেলেমেয়েরা কলকাতা‌র রাস্তায় অনশন করছি‌ল। আমি ছিলাম ব‍্যাঙ্গালোরে।
     


     
  • প্যালারাম | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:৫৬519882
  • আমার হাঁটুতে ব্যথা হওয়ার পর থেকে আর কেউ আমার হাতের লেখা পড়তে পারে না...এমনটা আমার ধারণা ছিল। তারপর সেদিন একজন কলিগকে এক প্যারা হঠাৎ লিখে দিতে গিয়ে বুঝলাম,আমি নিজেও আর ও লেখা পড়তে পারছি না। 
    গোটানো যায়-এমন কীবোর্ড অর্ডার দেবো ভাবছি। 
  • যদুবাবু | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:১৬519881
  • আমিও ঐ কেকের বন্ধুর মত কেস। স্কুলের শেষের দিকে সাট্টিফিটি, দেওয়াল পত্রিকা লিখতাম, ছবিও আঁকি, ভালোমন্দ যাই হোক, কিন্তু ভয়ঙ্কর অগোছালো লোক। চেষ্টা করেও গোছাতে পারি না। 

    ছোটোবেলায় অবশ্য হাতের লেখা অসম্ভব বাজে ছিলো। সে জন্য খুব সমস্যা-ও হতো। থেকে থেকেই গার্জেন কল ইত্যাদি। শুধু অক্ষর খারাপ তাই না, হাতের লেখা এক লাইনে থাকতো না, উপরে উঠে যেতো ... লাইনটানা খাতা ছাড়া প্রায় লিখতেই পারতাম না। ক্লাস এইটে না নাইনে পড়ার সময় বরানগরের একজন মাস্টারমশাই বটুকদা এক বছর রোজ এক পাতা হাতের লেখা প্র্যাকটিশ করিয়ে করিয়ে কী করে যেন হাতের লেখা শুধরে দেন। উনি কিছুই করেননি, জাস্ট বলেছিলেন রোজ যেন এক পাতা হাতে লিখে ওঁকে দেখাই। ব্যাপারটা সেই সময়ে এত মির‍্যাকুলাস লেগেছিলো যে বলার নয় - গোটা দুয়েক গাব্দা বাঁধাই খাতার ফার্স্ট পাতা আর লাস্ট পাতার মধ্যে হাতের লেখা পালটে গেলো। 
     
    ওঁর প্রতি কৃতজ্ঞতাও অপরিসীম - আমাদের লাইনে তো বোর্ডে এক গাদা লিখে এঁকে পড়াতে হয়, ভালো হাতের লেখা হলে একটু যে সুবিধে হয় না এমন না। 
  • dc | 122.164.***.*** | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:১৫519880
  • আমার হাতের লেখা মোটামুটি, যদিও অনেকদিন লেখা হয়নি। দুয়েকবার মেয়ের ইস্কুলে দুয়েকটা চিঠি লিখতে হয়েছে, সেগুলো মেয়েই একগাদা ধমক দিয়ে পড়ার মতো করে লিখিয়ে নিয়েছে। 
     
    তবে আমার আঁকা অসাধারন, দুর্দ্ধষ রকম বাজে। অবশ্য সেই ইস্কুলে পড়ার সময়ে লাস্ট এঁকেছিলাম, লাইফ সায়েন্সে দুয়েকটা ছবি আঁকতে হতো, সেই ছবি দেখে টিচাররা বোধায় অজ্ঞান হয়ে যেতেন। আরও ছোটবেলায় মা আমাকে এক আঁকার ইস্কুলে ভর্তি করে দিয়েছিল। সেখানে এক বছর ধরে আপেল আঁকতে শিখিয়েছিল, তো সেরকম একটা আঁকা বাবাকে দেখিয়েছিলাম, বাবা বলেছিল বাঃ বেলুনটা তো ভালোই এঁকেছিস! তার পর আঁকার স্কুল ছাড়িয়ে দিয়েছিল, আমার মাস্টারমশাইও হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিলেন। 
  • | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:৩৬519879
  • আমি মোটামুটি গোছানো স্বভাবের।  একেবারে সবসময় নিখুঁত থাকতেই হবে এমন নয় কিন্তু জিনিষপত্র জামাকাপড় ঠিকঠাক ভাঁজ করে সারি দিয়ে না রাখলে চলে না। 
     
    এই হাতের লেখা প্রসঙ্গে বলি অনেক পরে এই ধরুন বছর দশেক আগে একজন  নিউরোলজিস্ট বলেছিলেন এই যে আমার একটা পেয়ার অব নার্ভ নেই সেইজন্যই চোখের সমস্যার সাথে সাথে হাতের লেখাটাও ঠিকঠাক হয় না। উনিই বলেছিলেন দরকারই বা কি এখন তো কম্পিউয়ারে টাইপ কতেই কাজ চলে যায়। আমিও সেই কথাই বললাম যে হ্যাঁ আমিও এখন আর মাথা ঘামাই না। তবে একটু আধটু আঁকতে পারলে মন্দ হত না। 
  • kk | 2607:fb91:87a:52eb:8db0:7e51:192d:***:*** | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ০১:০০519878
  • হাতের লেখার সাথে গোছালো হবার খুব ডাইরেক্ট কানেকশন আছে বলে মনে হয়না। আমার বাবা অসম্ভব গোছালো ছিলেন। কিন্তু হাতের লেখা পুরো ইল্লেজিবল। আবার এক প্রিয় বন্ধু, তাকে সুন্দর হাতের লেখার জন্য সার্টিফিকেট লিখতে ডাকা হতো, অথচ অগোছালোর চূড়ান্ত। লেখা-আঁকার যোগাযোগও যে সব্সময় কাজ করেনা তেমনও দেখেছি। দুদিক থেকেই।
    ঐ দিদিমুনির ঐভাবে বলাটা খারাপই লেগেছে। এইসব আলটপকা মন্তব্যের ফলে কত যে ব্যাগেজ তৈরী হয়। সারা জীবন তা বয়ে বেড়াও এখন!
  • যোষিতা | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:৫১519877
  • অরিত্রর কি ডিসলেক্সিয়া ছিল?
    খারাপ হাতের লেখা, অগোছালো, ... 
  • বকলম -এ অরিত্র | ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:২০519876
  • না না, ম্যালেরিয়ার সময়ে নয়, পক্স হয়েছিল। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত