প্যালেস্তাইন, ক্রিসমাস, কবিতা সব মিলিয়ে সনেটগুচ্ছ-ই মনে পড়ল। প্রিয় কবিতা-র টই তো এখন অতলে ডুবে গেছে, আর নতুন করে না তুলে এনে এখানেই রাখি বরং এটা। বড়দিনের শুভেচ্ছা সবাইকে!
"সম্পূর্ণ ক্ষুধার নীচে বালি আর সোরা আর গন্ধকের গৃহ---
অক্ষরে করুণ ঘন্টা আরও ক্ষিপ্র করে তুলে কিরণক্ষমতা
ভরে নিতে প্রক্ষেপণে , তুমি কি সমস্ত শেষে আমাকে সমীহ
করাই মনস্থ করলে শ্যামল ধনুক-তীর? এমন কি শমীও
ভেবে দ্যাখো , এ-পর্যন্ত এ-কথা জানে না! রাত্রে বালুতীর ধরে
হেঁটে গেছে আর তাঁবু নেমে এল চারিদিকে অবনত মোটা---
বালির উপরে উঠে অজ্ঞান ঘুমের শ্বাস থেমে থেমে দোরে
ধাক্কা দিল তারপর স্বপ্নে এসে দেখা দিতে তুমি চমকে ওঠা
হা-খোলা সংক্ষুব্ধ দেহ ঢেকে নিয়ে মুঠোভর্তি শাড়ির প্রান্তকে
আবিষ্কার করে ফের আমাকেও ডেকে দিলে --- 'অন্ধকারে তোকে
সৈকতের পাশে ফেলে এসেছি , এখন বালি সরিয়ে বসুধা
অর্ধখান করতেই জলরাশি , ঝকঝকে চোয়াল , ব্যারাকুডা---
তীরভূমি জ্বলে ওঠে; প্রৌঢ়তা , ধাতুর টুকরো সম্পূর্ণ চুম্বকে
তুলে দেখি শমী আর শ্যামল ধনুক ভস্ম, অবশেষে ক্ষুধা!"
(জতুগৃহ - জয় গোস্বামী , ক্রীসমাস ও শীতের সনেটগুচ্ছ)