KCআপনাকে এখানেই লিখছি। মাজ্জিনি এবং গ্যারিবলদির কথা , কারবোনারি আন্দোলন অত্যন্ত ফ্যাসিনেটিং। সাভারকরের প্রথম জীবনের এঁর প্রভাব বোঝা যায় মারাঠিতে মাজ্জিনির জীবনী অনুবাদ করায় এবং প্রথম বার লণ্ডন যাওয়ার সময় মার্সাই বন্দরে জাহাজ থামলে সেখানে নেমে মাজ্জিনির কাজের জায়গাগুলো খুঁজে তীর্থস্থানের মত দর্শন করায়।
আমার ধারণা সাভারকর সারাজীবনই মাজ্জিনির প্রভাবে থেকেছেন।
তাঁর বিপ্লবী কাজকর্মের পদ্ধতি, ব্যক্তিগত সন্ত্রাসবাদ সবেতেই মাজ্জিনি।
ধরুন, লন্ডনে কার্জন-উইলি হত্যা, নাসিকে জ্যাকসন হত্যা এবং পরিণত জীবনে গান্ধীহত্যা--সবেতেই যেন একই প্যাটার্ণ।
তবে টইপত্তরে এধরণের আলোচনা আমি সবশেষের জন্য বরাদ্দ করেছি, নইলে পাবলিক পালিয়ে যাবে।
এখন লক্ষ্য --ঘটনা পরম্পরাকে ঠিক করা। এতসব পরস্পর বিরোধী দাবি যে মাথা ঘুরে যায়।
ধরুন, ননীগোপালের ভুখ হরতাল ভাঙানো।
সাভারকর লিখলেন-- উনি নিজে অনশনে বিশ্বাসী নন। কিন্তু ননীগোপালের প্রাণ বাঁচাতে নিজে তিনদিনের অনশনে বসলেন। এই খবর দাবানলের মত গোটা সেলুলার জেলে ছড়িয়ে পড়ল। জেলার ব্যারি সাভারকরের উদ্দেশ্য বুঝে ওনাকে সঙ্গে করে ননীগোপালের সেলে নিয়ে গেলেন।
সাভারকর বোঝালেন, ননীগোপাল অনশন ভাঙলেন। ধনঞ্জয় কীরদের মতে ননী তো প্রায় সাভারকরের শিষ্য!
কিন্তু বারীন এবং উপেন্দ্রের লেখায় সাভারকরের ভূমিকার কোন উল্লেখ নেই। বরং ওদের মতে ননীর বন্ধুরা অনেক বুঝিয়ে অনশন ভাঙায় ।
কিন্তু ক'দিন পরে ননী দ্বিতীয়বার অনশন শুরু করেন।
সে বিষয়ে আবার সাভারকরের বা কীরের লেখায় কোন উল্লেখ নেই।