ডিসি, তিন নম্বরটা কবে ছাড়বে চীন? আগে থেকে জানা থাকলে একটা মানসিক প্রস্তুতি থাকে আরকি।
বোতিন, ওটি আমার লেখা নয়। সংগৃহীত।
রামমোহন, দ্বারকানাথ , দেবেন্দ্রনাথ ও ব্রাহ্ম সমাজ বিষয়ে কাল এই অনুষ্ঠান।
বক্তারা সব বিদগ্ধ গবেষক।
এখানে যারা আগ্রহী, শুনবেন।
কোভিশিল্ড নিলাম। আমি SSKM এ নিয়েছি। খুবই সুব্যবস্থা।
আমার বাবা, মা'র অনেকদিন দুটো ডোজ কমপ্লিট। ওদের দুটোতেই কিছু এফেক্ট ছিল না।
ইন্দো দা, অসাধারণ হয়েছে। টু গুড! :)))
আরে আমাকে ব্রতীন দা বলো। নো বাবু। তোমার মেল আই ডি টা দাও। অভ্যু আর তোমাকে শেয়ার করে দেবো।
আরে বি, গোফ টা তো সেরকম ই পুরুষ্টু আছে :))))
কিন্তু কিন্ত.......
অর্জুন, কী নিলে? আমি কোভিশিল্ড নিলাম। এখানে খুব ভিড় বলে আরামবাগে গিয়ে ডাক্তার বন্ধু র নার্সিং হোমে নিলাম। একা যাবো না বলে চন্দন নগর থেকে ISI এর আরেকটা বন্ধু কে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে গেলাম। তারপর ডোজ নিয়ে দিব্যি কামারপুকুর জ য়রামবাটী তে প্রণাম করে বাড়ি ফিরলাম।
ডোজ নেবার পরের দিন বেশ গা হাত পা ব্যথা। একটা ক্যালপল নিলাম। ব্যাস। আর প্রবলেম হ য় নি।
চতুরানন, আপনি যে কেন সাঁকো নাড়াতে গেলেন! দিব্যি ছিলাম মশাই। শেষতক আন্দোবাজারে ইয়াব্বড় একটা চিঠি পাঠিয়ে শান্তি পেলাম। ছাপা হলে যাবতীয় কৃতিত্ব আপনার। না ছাপা হলে বুঝতে হবে ওটা কিছুই হয়নি। হপ্তাদুয়েক অপেক্ষা করুন, না ছাপলে আমি নিজেই সেটা ভাটিতে ছাপিয়ে দেব!
@অভ্যু
আমার বোন ভগ্নীপতির তো আপনার দেশেই ফাইজারের দুটো ডোজই নেওয়া হয়ে গেছে। ভগ্নীপতির প্রথমবার ব্যথা,পেট খারাপ হয়েছিল। বোনের সেরকম কিছু হয়নি।
আমরা পরশু একটা ৬০ জনের গ্রুপ নিলাম। বাড়ি ফিরেই দেখি গায়ে জ্বর। যে হাতে নিয়েছি,খুব ব্যথা। ওই হাতে ব্যথা আজও আছে। তারপর দেখলাম বেশীক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিনা। একটু মাথাও ঘুরছে। আসলে ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে আমার হঠাৎ খুব ভয় করছিল। শক্ত হয়ে বসেছিলাম। নার্সও তাই বললেন। একটা দুর্বল ভাব এখনো আছে। সামান্য একটু গা গোলাচ্ছিল। আমার সঙ্গে যারা নিয়েছে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের এক অবস্থা। একজনের শুনলাম টেম্পারেচর ১০৩।
এটা মাস পাঁচেক আগের কিন্তু এখনও প্রাসঙ্গিক
আরেকটা দিচ্ছি "ভোজ কয় কাহারে"
ব্রতীন-বাবু, আমার-ও চাই ইন্দোজাল কমিক্স। ঐ ব্লগে গিয়ে পড়েছি দুএকটা, জেনারেল বাবাবু আর তারাকিমোর শয়তানি (উঃ সে কী শিহরণ!), কিন্তু গুগুল ড্রাইভ হলে তো হাতে চাঁদ পাবো যাকে বলে।
#অবাক_টিকাকরণ
-- কলমচি কৌশিক
(সুকুমার রায়ের "অবাক জলপান" অবলম্বনে কলমচি কৌশিকের নিবেদন)
পাত্রগণঃ পথিক । পুরোহিত মশাই । প্রথম ভদ্রলোক । দ্বিতীয় ভদ্রলোক । ছোকরা কবি।
দৃশ্যপটঃ রাজপথ
ছাতা মাথায় এক পথিকের প্রবেশ। মুখে ফেসশিল্ড, হাতে আধার কার্ড।উস্কোখুস্কো চুল, ভ্রান্ত চেহারা।
পথিকঃ নাহ, ভ্যাক্সিন না পেলে আর চলছে না। সেই সকাল থেকে হেঁটে হেঁটে প্রাইভেট হাসপাতাল, পাবলিক হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কর্পোরেশন সব ঘুরে ফেললাম। এক ডোজ টিকা চাই কার কাছে? লকডাউনের দুপুর রোদে দরজা এঁটে সব ঘুম দিচ্ছে, ডাকলে সাড়া দেয় না। বেশি চেঁচাতে গেলে হয়তো পিপিই পরে তেড়ে আসবে। ঘাড় ধরে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেও নিয়ে যেতে পারে। এদিকে পথেও তো লোকজন দেখছিনে। ঐ একজন আসছে! ওকেই জিজ্ঞেস করা যাক।
(ধুতি পরে, নামাবলি গায়ে, ঘন্টা নাড়াতে নাড়াতে পুরুত মশাইয়ের প্রবেশ।)
পথিকঃ মশাই, টিকা পাই কোথায় বলতে পারেন?
পুরুত মশাইঃ টিকা? তা টিকা এখানে কোথায় পাবেন? মন্দিরে এলে তবে দিয়ে দিতে পারি।
পথিকঃ না না, আমি তা বলিনি...
পুরুত মশাইঃ না, মন্দিরে যাবার কথা আপনি বলেননি। কিন্তু টিকা চাইছিলেন কিনা। তা তো আর এখানে পাওয়া যাবে না। তাই বলছিলুম...
পথিকঃ না মশাই, আমি সেই টিকা মানে ওই কপালে তিলক কাটার কথা বলছি না।
পুরুত মশাইঃ সে বুঝেছি। তিলক দিয়ে টিকা না নিন, সিঁদুর দিয়ে নিন, চন্দন দিয়ে নিন, যজ্ঞের ছাই দিয়ে নিন। যেটা আপনার ইচ্ছে। মন্দিরে গেলেই আপনার কপালে সব জুটে যাবে।
পথিকঃ আপনি ভুল বুঝেছেন। আমি করোনার টিকা চাইছিলাম।
পুরুত মশাইঃ করোনার টিকা চাইছেন তো করোনার টিকা বললেই হয়। শুধু 'টিকা' বলবার দরকার কী? ঘোল আর ঘোল খাওয়ানো কি এক? বাড়ি আর শ্বশুরবাড়ি কি সমান? পাতাল যা হাসপাতালও তাই? ফেসবুককে কি আপনি শুধু বুক বলেন?? পাদটিকা, সায়াটিকা, অ্যান্টার্কটিকা সবই কি মশাই টিকা?
পথিকঃ ঘাট হয়েছে মশাই। আপনার সঙ্গে কথা বলাই আমার অন্যায় হয়েছে।
পুরুত মশাইঃ অন্যায় তো হয়েছেই। দেখছেন নামাবলি গায়ে হাতে ঘন্টা নিয়ে যাচ্ছি, আপনি টিকা চাইছেন কেন? টিকা কি ঘন্টা? চাইলে ঘন্টা পাবেন মশাই। লোকের সঙ্গে কথা কইতে গেলে একটু বিবেচনা করে বলতে হয়।
(পুরুত মশাইয়ের প্রস্থান)
পথিকঃ দেখলে! কী কথায় কী বানিয়ে ফেললে! যাক, ঐ এক ভদ্রলোক আসছেন, ওনাকে একবার বলে দেখি।
(চটি পায়ে, মাস্ক থুতনিতে, মাথায় গান্ধীটুপি ভদ্রলোকের প্রবেশ।)
ভদ্রলোকঃ কে হে? মিত্র নাকি?
পথিকঃ আজ্ঞে না। আমি গাঁয়ের লোক। ভ্যাক্সিনের খোঁজে শহরে এসেছি।
ভদ্রলোকঃ বলো কী হে! গাঁ ছেড়ে এখেনে এয়েছ ভ্যাক্সিন নিতে? হাঃ, হাঃ, হাঃ। তা, যাই বল বাপু, অমন ভ্যাক্সিন কিন্তু আর কোথাও পাবে না। আত্মনির্ভর ভারতের আত্মনির্ভর ভ্যাক্সিন।
পথিকঃ আজ্ঞে হ্যাঁ, গাঁয়ে পাইনি বলেই আত্মনির্ভরশীল হয়ে শহরে খোঁজ নিতে এলাম।
ভদ্রলোকঃ তা বেশ করেছ। ভাল ভ্যাক্সিন যদি হয় তাহলে তার জন্য অপেক্ষা করা যায়, লাইনে দাঁড়ানো যায়। এমনকি গাঁটের কড়িও খরচা করা যায়।
পথিকঃ বটেই তো বটেই তো। তা কোথায় গেলে এই ভ্যাক্সিন পাওয়া যায় বলতে পারেন?
ভদ্রলোকঃ পারি। আলবাত পারি। তা তুমি কোভিশিল্ডের নাম শুনেছ? কোভ্যাক্সিনের? তাদের নির্মাতা কারা জানো? দেশীয় প্রযুক্তিতে প্রক্রিয়াকরণের পেছনে দেশজ বিজ্ঞানীদের অবদান জানো? কোণে কোণে টিকা, জনে জনে টিকা। টিকাকরণের বিশাল কর্মসূচিতে কাদের আসল অনুপ্রেরণা রয়েছে জানো? নিজেদের চাহিদা মিটেয়ে বিদেশেও রপ্তানি করে কারা দেশের মুখ বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল করছে জানো?
পথিকঃ জেনে নেব মশাই। সব জেনে নেব। আপনি শুধু টিকা নেবার ব্যবস্থাটা করে দিন। কোভিশিল্ডই হোক আর কোভ্যাক্সিন, আমার একটা হলেই হলো।
ভদ্রলোকঃ একটা হলেই হলো! তাহলে বাপু তোমার গাঁয়ে বসে টিকা নিলেই তো পারতে? কষ্ট করে শহরে আসবার দরকার কী ছিল? 'যা হয় একটা হলেই হল' ও আবার কী রকম কথা? আর অমন তচ্ছিল্য করে বলবারই বা দরকার কী? আমাদের টিকা পছন্দ না হয়, নিও না, ব্যাস্। গায়ে পড়ে নিন্দে করবার দরকার কী! আমি ওরকম ভালোবাসিনে। হ্যাঃ।
(রাগে গজগজ করতে করতে ভদ্রলোকের প্রস্থান।
পাশের এক বাড়ির জানলা খুলে আর এক ভদ্রলোক হসিমুখ বার করলেন।)
ভদ্রলোকঃ কী হে? এত তর্কাতর্কি কিসের?
পথিকঃ আজ্ঞে না, তর্ক নয়। আমি টিকা কোথায় পাওয়া যায় জানতে চাইছিলুম। তা উনি সে কথা কানেই নেন না। আসল কথায় না এসে কেবলই তাঁর আগডুম বাগডুম মনের কথা বলতে লেগেছেন। বলতে গেলুম তো রেগেমেগে অস্থির!
ভদ্রলোকঃ আরে দূর দূর! তুমিও যেমন! জিজ্ঞেস করবার আর লোক পাওনি? ও হতভাগা জানেই বা কি, আর বলবেই বা কি? ওর যে দাদা আছে, দিল্লিতে চাকরি করে, সেটা তো একটা গাধা। ও মুখ্যুটা কী বললে তোমায়?
পথিকঃ কী জানি মশাই! ভ্যাক্সিনের কথা বলতেই আসল কথায় না এসে কোভ্যাক্সিন, কোভিশিল্ড আর আত্মনির্ভরতার গল্প শুনিয়ে গেলো।
ভদ্রলোকঃ হুঁ! ভাবলে খুব বাহাদুরি করেছি। তোমায় বোকা মতন দেখে খুব চাল চেলে নিয়েছে। ভারি তো শুনেছে সেই কোভ্যাক্সিন আর কোভিশিল্ডের নাম। আমি এখুনি তোমায় দেশী বিদেশী সব ভ্যাক্সিনের লিস্টি দিয়ে দিতে পারি।
পথিকঃ আজ্ঞে হ্যাঁ। নিশ্চই নিশ্চই। কিন্তু আমি বলছিলুম কী, এক ডোজ টিকা কোথায় গেলে পাওয়া যাবে সেটা যদি বলতে পারেন...
ভদ্রলোকঃ কী বলছ? বিশ্বাস হচ্ছে না? আচ্ছা শুনে যাও। স্পুটনিক ভির নাম শুনেছ? রাশিয়ান টিকা। ওদেরই আছে স্পুটনিক লাইট। আরও আছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা, এপিভ্যাক করোনা, আরবিডি ডাইমার। শুনেছ এগুলোর কথা?
পথিকঃ না মশাই, শুনিনি। আমার আর খেয়ে দেয়ে কাজ নেই যে টিকার নামতা মুখস্ত করবো!
ভদ্রলোকঃ তোমার কাজ না থাকলেও আমাদের কাজ থাকতে পারে তো? যাও, যাও, মেলা বকিও না। একেবারে অপদার্থের একশেষ!
(সশব্দে জানলা বন্ধ করে দিল ভদ্রলোক)
পথিকঃ নাহ, আর টিকার খোঁজ করে লাভ নেই। গাঁয়েই ফিরে যাই। কপালে থাকলে একদিন না একদিন পেয়ে যাব নিশ্চই।
(লম্বা লম্বা চুল, চোখে চশমা, হাতে মোবাইল ফোন, কাঁধে ঝোলা ব্যাগ একটি ছোকরার প্রবেশ।)
লোকটা নেহাৎ এসে পড়েছে যখন, একটু জিজ্ঞাসাই করে দেখি। মশাই, আমি অনেক দূর থেকে আসছি। বলি এ'শহরে কি টিকা মিলবে না কোথাও?
ছোকরাঃ 'টিকা' মিলবে না? বলেন কী!খুব মিলবে। একশোবার মিলবে! দাঁড়ান, এক্ষুনি মিলিয়ে দিচ্ছি। টিকা, ফিকা, নিকা, ইনা মিনা ডিকা, অনামিকা, মিলের অভাব কি? ফেসবুকে রোজ হাফডজন অন্ত্যমিলের কবিতা পোস্ট করি মশাই। যা বলবেন তাই মিলিয়ে দেব।
পথিকঃ এ দেখি আরেক পাগল! মশাই, আমি সে রকম মিলবার কথা বলিনি।
ছোকরাঃ তবে কী রকম মিল চাই বলুন? কী তাল, কোন লয়, কোন ছন্দ, সব বলে দিন। যেমনটি চাইবেন তেমনটি মিলিয়ে দেব।
পথিকঃ (স্বগতোক্তি) ভালো বিপদেই পড়া গেল দেখছি। (জোরে) মশাই! আর কিছু চাইনে। (আরো জোরে) তখন থেকে দুপুর রোদে মরছি খুঁজে টিকা।
ছোকরাঃ ও বুঝেছি।
"তখন থেকে দুপুর রোদে মরছি খুঁজে টিকা।" এই তো? আচ্ছা বেশ। এ আর মিলবে না কেন?
তখন থেকে দুপুর রোদে মরছি খুঁজে টিকা...
যেমনটা ঠিক রাখী সাবন্ত খোঁজেন শুনি মিকা।
কী? কেমন দিলাম? ঠিক মিলেছে তো?
পথিকঃ আজ্ঞে হ্যাঁ, খুব মিলেছে। খাসা মিলেছে। নমস্কার।
(স্বগতোক্তি) ঘাট হয়েছে আমার টিকার খোঁজে শহরে এসে। এরাতো দেখি সবাই নিজের মতো বকেই যায়। কারো কথা কানেই তোলে না। শুধু নিজের কথা ঘাড় ধরে শুনিয়ে যায়। নাহ্। আমি বরং গাঁয়েই ফিরে যাই। উফফ! খুব শিক্ষা হলো।
পথিকের প্রস্থান।
ছোকরাঃ (খুশী হয়ে মোবাইলে চোখ রেখে টাইপ করতে করতে) মিলবে না? বলি, মেলাচ্ছে কে? সেবার যখন কলমচি 'বগা, কাগার' সঙ্গে (নাক সিঁটকে) ওই ইয়ে ছাড়া কিসের মিল দেবে খুঁজে পাচ্ছিল না, তখন 'নাগা' আর "দাগা" বলে দিয়েছিল কে? আরে মশাই ফেবুতে আমার চল্লিশ হাজার ফলোয়ার কি এমনি হয়েছে? সব পোস্টে দেড় হাজার লাইক, সাত হাজার কমেন্ট। এমনি এমনি! শুধু টিকা কেন! কোভ্যাক্সিন, কোভিশিল্ড সব নিয়ে কবিতা লিখে দিতে পারি। শুনবেন?
আমার কবিতার খাতা মুড়িয়ে রেখো র্যাক্সিনে...
আজও আমার ভরসা অটুট জানবে কোভ্যাক্সিনে।
কিম্বা ধরুন কোভিশিল্ড নিয়ে লেখা কবিতা...
তোমরা হয়তো ভরসা রাখো শুধুই কোভিশিল্ডে
অনেক আছে, সেটাও পাবে, নেমেই দেখো ফিল্ডে।
কী মশাই? কেমন?
আরে! লোকটা গেল কোথায়? ধুত্তোরি! যাই। বরং পদ্যগুলি ফেসবুকেই পোস্ট করি। এ'সব আকাঠ মুখ্যুকে পদ্য শোনানোই বৃথা।
(যবনিকা পতন)
- কলমচি কৌশিক
(সুকুমার রায়ের পায়ে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানিয়ে)
রমিত , ধন্যবাদ
ঠিক, নিজারি সেক্টই হবে। কোলন দাঁড়ি কোলন মশাইকে অজস্র ধন্যভাদ।
বোতিন্দা আমাকেই পাঠিয়ে দাও না?
অর্জুন, হ্যাঁ আমিই নিয়েছি তবে ফাইজারের টিকা। সাইড এফেক্টের গল্প সব জায়গাতেই সমান। আমার যেমন কিচ্ছুটি হয় নি, হাত ব্যথাও না, ওদিকে আমারই এক বান্ধবী বলেছিল - ফেল্ট লাইক হিট বাই আ বাস (নিশ্চয়ই বাসটা আস্তে চলছিল)।
অপু, ওটা ২০০৯ বা দশ নাগাদ হবে। আপনার রাজস্থান সাইজের গোঁফজোড়া মনে আছে। এস বোধ হয় সুদীপ্ত বা ওরকম কিছু নাম।
১৮- ৪৪ বছরের মধ্যে যাদের বয়েস তাদের কেউ এখানে ভ্যাকসিন নিয়েছেন? আমি পরশু নিলাম। ভালই এফেক্ট। বেশ ব্যথা,জ্বর এসে গিয়েছিল। সঙ্গে অসম্ভব মাথা ব্যথা। উঠে দাঁড়ালেই মাথা ঘুরছিল। চোখ বুজে থাকতে ইচ্ছে করছে।
আজ একটু ঠিক আছি।
রাস্কিন বন্ডের Binya গদ্যটিকে একদিক দিয়ে তারুণ্য/ বয়ঃসন্ধির প্রেমের গল্প হিসেবে চিহ্নিত করে দেওয়া যায়। তবে আমার কাছে লেখাটির গুরুত্ব অন্যত্র।
আমার যে কারণে রাস্কিনকে মূলত ভালোবাসা --- প্রকৃতির সঙ্গে তাঁর এক আশ্চর্য সাংসারিক সম্পর্কের জন্য, সেই সম্পর্কের প্রতিফলন এই গদ্যের ছত্রে ছত্রে। বিন্যা এক মানুষের অন্তর্কথন --- যে সব শেষে প্রাকৃত পথেই চলিষ্ণু।
আমার করা এই গদ্যের অনুবাদটি প্রকাশিত হয়েছে Silly পয়েন্ট পোর্টালে।
মতামত পেলে ভালো লাগবে।
অভ্যু ধন্যবাদ।:))
আমার কাছে অজস্র ইন্দ্রজাল কমিক্স আছে। স্ক্যান করে গুগল ড্রাইভে তোলা আছে। কারোর লাগলে বোলো।
সে কী বি র সাথেও ব্যাটেবলে হ য়েছিল!!
কাবলি দা, সিকি তো মনে আসছে। হায়দ্রাবাদের S মনে আসছে না। কত সালে একটু বলো? আরেকটু হিন্টস দাও তোমার সম্পর্কে।
আসলে তখন গুরুর জন্যে গেট টুগেদার করা আমার একটু নিয়মিত কাজ ছিল। কাবলি দার বাড়িতেই কত পার্টি হ য়েছে। সামরান, সুমেরু, ব ড় M, স্যার জেমস, রঞ্জন দা, তীর্থ দা, বাইনারী দা সবার সাথে ওখানেই প্রথম দেখা। তীর্থ দা চন্দননগরের জলভরা এনেছিল। আমি তার থেকে কটা সাটিয়েছিলাম সে ব্যাপারে কিছু না বলাই ভালো :)))
আরেকবার হায়দ্রাবাদের বিবি দা,রঞ্জন দা আরো প্রচুর গুরুর পাবলিক(8/9 জন হবে) সেক্টর ফাইভের RDB র BBQ Nations এ সেবার খেলাম। যেবারে বুনান এক বীচ কাকড়া খাবার পরে 5 টা ফিরনি সাটালো। বোধি দা কি ছিলে?
অভ্যুকে বাংলা ইন্দ্রজাল কমিক্স এর URL পাঠাবার জন্যে অজস্র ধন্যবাদ। ডার্টি হ্যারির ভাষায় বলি "আপনি আমার দিন তৈরি করে দিয়েছেন"।
ধন্যবাদ এলেবেলে বাবু।
দ্বিতীয় বাক্যের কর্তা দ্বারকানাথ। তৃতীয় বাক্যে 'তাঁর' নাতি অর্থাৎ সর্বনাম পদ ব্যবহৃত হয়েছে।