আরে কী আশ্চর্য। এখানে ৪৭ পল্লি একটা প্রতীক মাত্র। এর বাস্তব অস্তিত্ব আছে এমনটা ভাবারই দরকার নেই। আসল কথা হল আমার শহরে কোনও টিকারই সাপ্লাই নেই। নাম লেখালেও নেই, না লেখালেও নেই। কাজেই যা নেই তা নিয়ে আর ভেবে কী হবে? টেস্টের কথা বললেই আপনারা অ্যাপেলো আর কীসব যেন হসপিটালের নাম বলছেন। ও সব সুবিধা আমাদের গ্রামে গঞ্জে আছে? তাহলে মরা ছাড়া আর উপায় কী?
এলেবেলের কোল্কেতার ওপর হেব্বি খার
বড় ক্ষতি হল।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=4292824497404510&id=540972375923093
আরে বোধিদা, এই দেখলাম। আমি৷ এসএমএস কমই দেখি! এত হাবজিগাবছি মেসেজ আসে!
অরণ্যদা, ভ্যাকসিনেশন লাইনগুলো হাইলি হটস্পট। নানা জনের অভিজ্ঞতা বলছে ডোজ নেওয়ার ৫-৭ দিনের মধ্যে সিম্পটম আসছে বা পজিটিভ ডিটেক্ট হয়ে যাচ্ছেন।
আর যা ভিড় বেশ কিছু জায়গায় দেখলাম, শুনলাম, না হোয়াটাই আশ্চর্যের!
কিছু জায়গায় ফাঁকায় ফাঁকায় হচ্ছে, এও ঠিক। মোটামুটি ফাঁকা পেলে নিয়ে নেওয়াই উচিত।
হানুদা, ভ্যাক্সিনের গ্যাপ নিয়ে পরে সময় করে বড় করে লিখতে হবে। তবে এর মধ্যে সায়েন্স আর সাপ্লাই কম, এই পরিস্থিতিতে মন্দের ভাল সবই আছে।
আজ আমার সিনিয়র চলে গেল।
কল্যাণীতে আমার মা -র ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের জন্য লাইন দিতে হয়েছিল ভোর চারটে থেকে, দুপুর ১২টা নাগাদ সেই ডোজ পাওয়া যায়।
দাদা লাইন দিয়েছিল, দীর্ঘ প্রতীক্ষা ইঃ। লাইন থেকেই সংক্রামিত হওয়ার হাই চান্স
কিন্তু হুতো ৪৫+!!?
হ্যার
ইয়ে ৪৭ পল্লীর মাটির তলায় মেট্রোরেল এসে গুঁতো মারলে সেখানকার বাসিন্দাদের নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসতে হয়।
আর কোন্নগরে বা আরো আরো দূরে কোত্থাও ভ্যাক্সিনের আতাপাতা নেই, জেলা হাসপাতালগুলোয় আইসিইউউ নেই সেজন্য মোটেই ৪৭ পল্লীর লোকজন দায়ী নয়। কেলোদা গতবার লোক ডাউনেও রাস্তায় থাকা লোকজনের অবস্থা নিয়ে লিখেছিলেন। সেসব লেখায় মোটেই লোকজন দারুণ ভাল আছে এমন মনে হয় নি।
আমি জাস্ট বলতে চাইছিলাম যে প্লিজ ভ্যাকসিন পাওয়ার চেষ্টা করুন । বেঁচে না থাকলে তো আর লেখালিখির সুযোগ নাই।
সেই ' মুন্ডু গেলে খাবো টা কী ' কেস :-)
এলেবেলে, বুঝতে পারছি। পঃ বঙ্গ একেবারেই কলকাতা কেন্দ্রিক। কলকাতার বাইরে মফস্বল শহর গুলোর অবস্থা বেশ খারাপ , যে কোন রকম স্বাস্থ্য পরিষেবার দিক থেকে, গ্রামের কথা তো ছেড়েই দিলাম।
আমার বাড়ি কল্যাণীতে। সেখানে একটা কোভিড হাসপাতাল আছে, কিন্তু সেখানে প্রচুর লোক মারা যাচ্ছে, চিকিৎসার ভাল ব্যবস্থা নেই বলে শুনি, কলকাতাই একমাত্র ভরসা।
যে কোন প্রয়োজনে যদি কলকাতা ছুটতে হয় , সে বড় দুঃখের কথা
ইকি রে ভাই টেস্ট না করিয়ে ভ্যাকসিন চেষ্টা না করিয়ে থাকবেন না।
অরণ্য, মাফ করবেন। আমার মন্তব্যটা সামান্য কস্টিক হবে যদিও যাঁরা টিকা নিয়েছেন বা 'অল্প স্বল্প' চেষ্টা করে তা নিতে পেরেছেন, তাঁদের প্রতি উদ্দেশ্য করে একবারের জন্যও নয়।
১৮৬৪ সালে ব্রিটিশরা এদেশে একটা আইন পাশ করে যাকে চলতি ভাষায় বলা হত 'ক্যান্টনমেন্ট অ্যাক্ট'। কী ছিল এই আইনে? ক্যান্টনমেন্টে থাকা সৈন্যদের যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য যৌনকর্মীদের তিনটি বর্গে ভাগ করা হয়েছিল --- গোরা চাকলা (এই চাকলা হচ্ছে সরকারি ব্যয়ে ক্যান্টনমেন্টে যৌনকর্মীদের জন্য বাসস্থানের নাম), লাল কুর্তি চাকলা এবং কালা চাকলা। নাম দেখেই বুঝতে পারবেন কোন বর্গের সেনা কোন চাকলায় যাবেন।
এখন এই চাকলার কথা মনে পড়ছে। আপনারা স্যানিটাইজড হন, ৪৭ পল্লিতে বিনি পয়সায় টিকা পান, দেদার বাঁচুন। আমরা সব কালা চাকলার দল, ফ্যাতাড়ু। সরকারের এই একচোখামিতে ক্রুদ্ধ হয়ে একদিন দল বেঁধে আমরা এই রকমের অসংখ্য ৪৭ পল্লিতে ছড়িয়ে পড়ব।
একাকী যাব না অসময়ে।
আমার পাশের বাড়ির প্রতিবেশী নেবে না, ধর্মে বারণ আছে বোধ হয়। একজন পোলিশ কন্ট্রাক্টর বাড়িতে কাজ করছিল - সেও নেবে না , কারণ সে ডাক্তার, হাসপাতাল, ভ্যাকসিন - এ সবে বিশ্বাস করে না।
অনেক বোঝালাম, দেখি কী হয়
টীকা পেতে প্রভূত খাটা খাটনি করতে হলে, অপেক্ষা করতেই পারেন, ভিড় কমার জন্য।
হ্যাঁ, অল্প চেষ্টায় পেলে এবার নিয়ে নেবো। বৃথা কালক্ষয়।
কড়াই-ও দিচ্ছে একটা করে, সে তো ভাল কথা
ইয়ে, হুতো, দ, এলে এট অল - অল্প স্বল্প চেষ্টায়, যদি টীকা পাওয়া যায়, তাই কি বেটার নয়?
সার্টিফিকেটে লিখেছে দাবাইয়ের সঙ্গে কড়াই। আপনারা তো হিন্দি বোঝেন না তাই বুঝিয়ে বললাম।
দমদি, আমি আছি।
তবে ইদানীং একটু উতলা, শ্যামচাচা সীমান্ত খুলে দিয়ে যদি বলে টীকা না থাকলে ঢুকতে দেবো না তাহলে কী হবে তা ভেবে।
আমি যদ্দুর বুঝেছি, কোভিশিল্ড বা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে। আমি টিকা নিয়েছিলাম এপ্রিলের ১২তে আর আমার স্ত্রী নিয়েছিল ১৭ তে। কাজেই আপাতত আমাদের টার্গেট দ্বিতীয় টিকা আমি নেবো জুনের থার্ড উইকে আর আমার স্ত্রী তার পাঁচ দিন পর।
কিন্তু সরকার এই যে হোম টেস্ট কিটের অনুমোদন দিলো, এটা কি ব্যপার? এটা কি সত্যি কিছু কাজে দেয় নাকি গৌমাতা কেস?
থ্যাঙ্কু কেলো দা। আপনার টিকার টীকা পড়ে আশ্বস্ত হলাম। মা ক্যান্টিনটা চালু হলে আরো ভালো হয়। দমদি চটিপেটা করে আরশোলা থেকে ভাইরাস সবাইকে ঠাণ্ডা রাখে এটাও খুব স্বস্তিদায়ক খবর। আর আমাদের সামার ক্যাম্পটা স্কুলের ছানাদের জন্যে, কলেজ-ইউনিভার্সিটির লোকে অ্যাপ্লিকেশেন ঠুকবেন না প্লিজ।
*এল
আমাদের গ্রামে কোনো ৪৭-এর পল্লি নেই। কলকাতায় এই রকম হাজারও প্রিভিলেজড গ্রাম রয়ে গেছে আজও।
দ-দি, একাকী বোধ করবেন না। টিকা না নেওয়ার দলে আমিও আছি। সবাই নিক, নেব। তাড়া নেই। মেয়ে পাবে না কিন্তু তার বাবা-মা পাবে, এতে যে ঘন্টা কী লাভ হবে সেটা আমার মাথায় ঢোকেনি। কলকাতায় যারা থাকে না তাদের মরে গেলেই বা সরকারের কী আসে যায়।
বহু দিন পরে খ-কে স্বনামে দেখে ধড়ে প্রাণ এর।
তোর দেওয়া অ্যাডভাইজরি গুলি সেভ করলাম, পড়ে বোঝার চেষ্টা করব।
পাই আমি এস এম এস কোরেছিলাম , কোন চাপ নেই।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
ইউকে তে আমার বন্ধু রা যেটা নিয়েছে , ভ্যাকসিন টা অ্যাস্ট্রা জেনিকার মাল, আমরা যেটাকে কোভিশিল্ড বলি সেটা কি এক ই মাল। আর ফারমাকোলোজিকাল বা অন্য কি বৈজ্ঞানিক কারণে কো ভ্যাকসিন আর কোভিশিল্ড এর গ্যাপ দুটো এতো আলাদা কেন একটু বুঝিইয়ে দিবি ?
কে , গুরু এরকম প্রাইভেট ইনফো শেয়ার করবেন না। :-)))) বহুত মজার লোক মাইরি আপনি।:-))))তাইলে তো ঠিক ই আছে। ভালো থাকুন।
পাই, তাইলে কি এই সময়সীমা কেসটা পুরোটাই অ্যাভেলেবিলিটি সংক্রান্ত ভেগোলজি নাকি সত্যি সত্যি রিসার্চ ঠিক করে যে কোন গ্যাপ টা অপটিমাল। প্রত্যেক্টা ঘোষণা তেই একটা পেপার এভিডেন্স দেয় ঠিক ই, কিন্তু ইউ কে আর এখানে একই ভ্যাকসিন এর আলাদা গ্যাপ, এটা কি শারীরিক গঠন এর আলাদার কারণে নাকি অ্যাভেলেবিলিটির গল্প। আমার ইউ কে র বন্ধুরা ৮ উইক এর গ্যাপে পেয়েছে , এখানে একবার শুনলাম ১২ উইক হয়েছে পরে শুনলাম হয় নি, হালক কনফিউজ্ড, আমি কোথায় ভুল করছি।
আমার এপ্রিলে নেবা ছিল প্রথম টা, এখন জুলাই দেখাছে ডিউ ডেট।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
আমিই কি একমাত্র ৪৫+ যে টীকা নেবার বিন্দুমাত্রও চেষ্টা না করে ড্যাঙ্ড্যাঙ করে ঘুরে বেড়াচ্ছে? নাকি আমার দলে আরো কেউ আছে / আছেন যিনি আমার মতই ভীড় টিড় কমলে চেষ্টা করবে / করবেন?
কেলোদাকে নির্ঝঞ্ঝাটে সম্পূর্ণ টীকাকৃত (নাকি টীকিত)্হবার জন্য ডিমেল শুভেচ্ছা।
বোধিদা, কোন মেসেজ আবার! মেলে তো কিছু নেই! মেলবাক্স অবশ্য এই সদ্য এই খুলেছে, আরেকটি এখনো তালাবন্দী।
আমার বলা প্রস্তাবগুলো সরকারকেই মূলত। কিন্তু কোথায় অল্প প্রশিক্ষণেও, বা প্রায় বিনা প্রশিক্ষণেও সেগুলো বলেছিলাম। সত্যি বলতে আমি এখনো মিলিয়ে দেখিনি শব্দসীমার দ্বিগুণ লেখায় কী কী বাদ গেছে।৷ পুরোটা ব্লগে দিয়ে দেব।
ধর RAT। এটার অনুমতি তো আগে সরকারকে দুতে হবে। পুরসভাকে নিতে হবে। আর এই যে এখন এই কিট এল, এটার যোগান আর অনুমতিও লাগবে
বোধিদা এইটে বুঝুন তাইলেই হবে -
কেন্দ্রের সময়সীমা - ২৮-৪২ দিন
মেডিকেল কলেজের সময়সীমা - ৩৫ + দিন কমপক্ষে
আমার হয়েছে - ৩২ কি ৩৩ দিন।
পাড়ার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র - বিনা প্রশ্নে দিয়েছে।
আর সার্টিফিকেটে কি দেখাচ্ছে সেটা নিজেই দেখে নিন-
দেখেছেন!!
মাননীয় মোদীজীর ছবি পুরো জ্বল জ্বল করছে। এইটি না থাকার জন্যই তো এতদিন টীকায় কাজ হচ্ছিল না। রাক্কুসীদের রাণী ইলেকশন কমিশনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে ঐ ছবি এতদিন না ছাপাতে দিয়ে বাংলার লাখো লাখো মানুষকে নির্মমভাবে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন।
এইবারে ছবি পুরো খ্যালা ঘুরিয়ে দেবে।।