cs, ঐন্দ্রিল ভট্টাচার্যকে ট্যাগ করুন।
কোভিডের সময়ে কাজ করছে, এরকম কোন ঠিকঠাক এন জি ও বা চ্যারিটি কারোর জানা আছে ?
বাইরে থাকে, টাকা পাঠাতে চায়।
ফিলানথ্রোফিক জেসচার, বুয়েছেন? https://www.ndtv.com/india-news/covishield-price-for-states-reduced-from-rs-400-to-rs-300-per-dose-tweets-serum-institutes-adar-poonawalla-2423768?pfrom=home-ndtv_topscroll
"ইমেলে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে তৃণমূল ছাড়লেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস"
কলকাতাতেও হয়েছে ভূকম্পন। কিন্তু টের পাইনি। চারিদিকে হঠাৎ শাঁক বাজতে শুরু করল। আজই অসম থেকে একজন ফোন করল।
ওয়েস্ট বেঙ্গলে কি কোনো মেজর লকডাউন হওয়ার সম্ভাবনা আছে? আমার এক কাজিনের বদলির জন্যে স্টেট বদল করতে হবে মে মাসের মাঝামাঝি।
@b, অসমে ভূমিকম্পের পর কি পরিস্থিতি? করোনা চলাকালীন ভূমিকম্প মারাত্মক, কারণ বহু মানুষকে এই অবস্থায় শেলটারে বা নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়াও ভারি সমস্যার।
২ তারিখের পরে সব ঠিক হয়ে যাবে । ধৈজ্জ ধরে বসুন।
গত বছর ভারত বায়োটেক এর চেয়ারম্যান কৃষ্ণ এলা বলেছিলেন যে কোভ্যাক্সিন তৈরি হচ্ছে গভর্নমেন্টের (ICMR) সহায়তায় এবং এর দাম হবে বলেছিল একটা ওয়াটার বটল এর থেকে কম, শুধু কম নয়, একটি জলের বোতলের দামের এক পঞ্চমাংশ।
কিন্তু এক বছর পরে এখন বলছে সরকারি হাসপাতালে ৬০০ টাকা এবং বেসরকারি হাসপাতালে ১২০০ টাকা। কৃষ্ণ এখন বলছেন যে সরকারি কোনো আর্থিক সহায়তা পায় নি, ৩৫০ কোটি খরচ হয়েছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করতে, আরও ৬০ কোটি খরচ হয়েছে কিসব করতে।
কিন্তু এই টাকা তো এমন বেশি কিছু নয়, সেটা সরকারের থেকে না পাবার কারণ নেই।
ওদিকে, মন-কি-বাত প্রোগ্রামে পিএম বলছেন - গুজবে কান না দিতে, সবাইকে ফ্রিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
দাম দিয়ে কিনলএও ভ্যাকসিনের দাম এত বেশি কেন, ভ্যাকসিন নিয়ে এমন অবস্থা...
এর মধ্যে শুরু হয়েছে কালোবাজারি, মানুষের এই অসহায়তার সুযোগে যারা কালোবাজারি করে তারা মনুষ্য পদবাচ্য নয়।
আজকের নিউ ইয়র্ক টাইমস এর আর্টিকল এ এই ছবিটা দেখলাম -
দরকারি তথ্য।
#প্রয়োজনীয়_কিছু_কথা
Pradipta Icarus
কিছুটা স্বস্তি, কিছুটা অসহয়তা আর কিছুটা আর্জেন্সি।
হ্যাঁ, এই সবটাই চলছে। গতকাল ঠিক এইরকম সময় একটা জুনিয়র মারফত খবর পাই তার বন্ধুর বাবার REMDESIVIR লাগবে। তিনদিন খুঁজছে কিন্তু কোথাও পাচ্ছে না। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের ICU তে ভর্তি তার বাবা। এই একই ইঞ্জেকশনের জন্য কাল সারাদিন কম করে হলেও ৫০জন মেসেজ করে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে। কোনোভাবেই সুরাহা হচ্ছিল না। আমাদের কোনো সাথীর কাছের এর সঠিক তথ্য ছিল না।
এতক্ষণে এই ইঞ্জেকশনটির নামটা অনেকেই জেনে ফেলেছেন। এবং অনেকেই ইতিমধ্যে এর জন্য লাগাতার চেষ্টাও চালিয়েছেন। আমার বিশ্বাস বেশিরভাগ জনই ক্লান্ত। ওষুধটির দাম হাজার দেড়েক মধ্যে হলেও বিভিন্ন অসাধু ব্যবসায়ী এবং কিছু মিডিলম্যানের দৌলতে এই ওষুধের দাম পৌঁছায় ২০-২৫ হাজারে।
এই সম্পর্কে কিছু কথা,
এই ওষুধটি সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী বাইরে কোনো খোলা দোকান বা ফার্মেসীতে আপনারা পেতে পারেন না। তা সত্ত্বেও কিছু হাসপাতাল ইচ্ছাকৃতভাবে এই ইঞ্জেকশনটি কিনে নিয়ে আসার জন্য পেসেন্টের ফ্যামিলিকে জোর করছেন। আর এদের বেশিরভাগটাই বেসরকারি হাসপাতাল। এবং বলতে খারাপ লাগছে কিন্তু এইমুহূর্তে এরাই এই কালোবাজারিকে পরোক্ষভাবে মদত দিচ্ছে।
হাজার হাজার ভলেন্টিয়ার অনবরত কাজ করে যাচ্ছে আর তারা সকলেই এই বিষয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছে। তাই এই কথাগুলো জানানোটা প্রয়োজন মনে হল, এইরকম ঘটনার সম্মুখীন হলে কি করবেন ??
আমি বা কালকের ঐ পেসেন্টটির বাড়ির লোক যা যা করেছে সেটাই বলছি।
আমরাও শুরুতে বিভিন্ন জায়গা থেকে অসহায়ের মত এই ইঞ্জেকশনটি খুঁজতে থাকি। একজায়গায় কথা হয়, ১২ হাজারে একটা ফাইল পাওয়া যাবে। কিন্তু হঠাৎ কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তিনি দিতে রাজি হন না। এবং আর ফোনও ধরেন না। আমরা অন্য জায়গায় চেষ্টা করি, একজায়গায় জানায় প্রেসক্রিপশন থাকলে তিনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তাও ২২হাজার লাগবে।
যাইহোক আমরা চেষ্টা করি হাসপাতাল থেকে প্রেসক্রিপশনটা বার করার। ওনারা সেটাও দেন না। কিন্তু উল্টোদিকে তারা প্রেশারও দেয় ইঞ্জেকশনটি আনার জন্য। তিনদিন ধরে খুঁজেও যখন পাচ্ছিলাম না এর নাগাল তখন আমরা স্বাস্থ্যভবনের আধিকারিকের সাথে যোগাযোগ করি।
WB Health Secretary, IAS Narayan Swarup Nigam এর সাথে যোগাযোগ করি, নম্বর- 913323575899 ।
উনি এই পুরো ঘটনা আর আর্জেন্সির কথা লিখে ওনাকে পাঠাতে বলেন। সেইমত রাত ১১টা নাগাদ ওনাকে পাঠানো হয়, এবং আশ্বস্ত করে বলেন ব্যক্তিগতভাবে তিনি এটি দেখছেন। তারপর ১২.৩০টার সময় জানতে পারি উনি একটা টিমকে হাসপাতালে পাঠাচ্ছেন পুরো ব্যাপারটা দেখার জন্য। তারপর আমাদের আর কিছু ভাবতে হয়নি।
বেলার দিকে ওনার অফিসের একজন যিনি ফোন করে Ast. Director (8918731067) পরিচয় দিয়ে জানান পেসেন্টের ইঞ্জেকশনটি মুকুন্দপুরের একটি ফার্মেসীতে অর্ডার হয়ে গেছে। সেটি রিসিভ করে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে হবে।
পেসেন্টের এক আত্মীয় সেই ফার্মেসী থেকে গিয়ে ৪৭০০ টাকা দিয়ে এবং বিল সমেত দুটি ইঞ্জেকশনই কিনে হাসপাতালে পৌঁছে দেন। বিকালে পেশেন্টকে ইঞ্জেকশনটি দেওয়া হয়। পেশেন্ট অনেকটা সুস্থ আছে। অক্সিজেন লেভেল ৯৭-এ চলে এসেছে।
এইমাত্র খবর পেলাম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পেসেন্টকে বাড়ির লোকেদের সাথে ভিডিও কলে কথা বলিয়েছেন। ফ্যামিলির সবাই অনেক নিশ্চিন্ত হয়েছেন। তাদের বাড়িতেও তিনজন কোভিড পজিটিভ, সকলেই সুস্থ আছেন।
এই সম্পূর্ণ ঘটনায় ২৪ ঘন্টার বেশি কেটে গেলেও স্বস্তি বলতে একটাই, সঠিক উপায়ে ইঞ্জেকশনটি পাওয়া গেছে এবং এই প্রসিডিউরটা জানতে পেরেছি। অনেকেই সাহায্য করেছে এই পুরো প্রচেষ্টাটায়।
ঠিক সেই কারণেই আপনারা যারা ভলেন্টিয়ারি সার্ভিস দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তারা সঠিক দিশায় চেষ্টা চালিয়ে যান। সরকারের যাবতীয় সাহায্য নিন। অক্সিজেন, ওষুধ, মাস্ক, স্যানিটাইজার, অক্সিমিটার এসব নিয়ে চারদিকে প্রচুর কালোবাজারি শুরু হয়েছে। তাই এই ইঞ্জেকশনটি নিয়ে এই কথাগুলি জানালাম। এসব কালোবাজারিকে প্রশয় দেবেন না।
জানি না এই ইঞ্জেকশটির আসলে কতটা প্রয়োজন, কতটা কার্যকারিতা, এবিষয়ে প্রচুর লেখা বেড়িয়েছে।
শুধুমাত্র মাথায় রাখবেন এই ওষুধটির জন্য কল আসলে প্রথমেই প্রেসক্রিপশন চাইবেন।
না দিতে পারলে সরাসরি স্বাস্থ্যভবনে ফোন করবেন-
1800313444222 // 03323576001
সকলের কাছে অনুরোধ এই লেখাটি চেনাপরিচিত মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে তাদেরকে সচেতন করুন। প্রতিটি ভলেন্টিয়ারের কাছে যেন ব্যাপারটা পরিষ্কার থাকে এবং তারা যেন সতর্ক থাকে। অসহায় হয়ে কেউ যেন প্রথমেই কালোবাজারির এই চক্রে পা না দেয়।
লড়াই জারি থাক। ধন্যবাদ।
@প্রদীপ্ত
Pradipta Icarus
ভারতের ব্যপার সত্যিই দুঃশ্চিন্তার। গত বছর যা ভেবেছিলাম এবারে সেইসব হচ্ছে।
এই করোনা তো ছারখার করে দিল।
তবে ভালো খবরও আছে, সেটাও কালকেই পেলাম। গত বছর আমাদের বাড়িতে একজন কাজ করতে আসতেন। এখন তিনি পবতে, নিজের জায়গায়, মা আর মেয়ের সাথে আছেন। ওনার বয়স খুব কম, পঁচিশ থেকে তিরিশের মধ্যে, কিন্তু ওনার লাইফ স্টোরি নিয়ে অসাধারন গল্প লেখা যায়। কাল উনি আমার মাকে ফোন করেছিলেন, আবার চেন্নাইতে ফিরে আসতে চান। সেসব নিয়ে কথা হচ্ছিল।
কাল রাত্তিরে আত্মীয়দের মধ্যে তিনজনের মৃত্যুর খবর পেলাম। দুজন দিল্লিতে, একজন পাটনায়। আরও চারজন হাসপাতালে ভর্তি। আমি আর স্ত্রী মিলে গুনে দেখলাম, আমাদের দুতরফে অন্তত দশটা পরিবার এই মুহূর্তে কোভিডে আক্রান্ত।
৬ তারিখেও সারাদিন অল্প অল্প ঝাঁকিয়েছে। সে আমাদের ড্রাইভারের বাড়ি থেকে ফ্যন করে বারেবারে ওকে ফিরে যেতে বলছে... বেচারি উতলা হয়ে পড়ছে।
ওই অঞ্চলে ত একটা ৯ স্কেলের ভূমিকম্প প্রেডিক্ট করা আছে অনেকদিন। কবে হবে কেউ জানে না।
আরে এতো ভাল মতন হয়েছে। আপনারা তাই এত বেশি টের পেয়েছে। কোথায় কী ক্ষয়ক্ষতি হল কে জানে। আগেত বার তো মূলত পাহাড় জঙ্গল এলাকায় হয়েছিল।
হ্যাঁ, কী বিকট ভূমিকম্প রে বাবা। হচ্ছে তো হচ্ছেই।
তবে আগেরদিনেরটা ঝটকা দিয়েছিল বেশি।
আব্বার?
এই ত ৫ তারিখে হল সন্ধ্যের পর। সেদিন কোলাখামে ছিলাম, বাঁশ আর কাঠের ঘর। বাপ্স কি ঝাঁকুনি!
কোথায় ভূমিকম্প হল???? এ মানে, কী যে চলছে!!!!
সাঙ্ঘাতিক ভূমিকম্প হল।
* রমিত ঠিক।
রেমিট্ঠিক। আমি আবাপ খুলি অগ্নিশিবা দিয়ে। কুনঅ অ্যাড দেখি না।
দ্রিয়ের কনস্পিরেসির টইটা কেউ তুলুন দেখি। ওখানে আবার শেষদিকে দুই তুরুপসাহেবের ভক্ত লিখতেন আকুল আশায় যে তুরুপের টেক্কা মেরে সায়েব বুঝি জিতবেন। তো, তিনি হেরে ভূত হয়ে কোথায় ভ্যানিশ করে গেলেন, ঐ ভক্তরাও মনোবেদনায় কোথায় যেন ভ্যানিশ!